পাবনার ৯টি উপজেলায় ইটভাটার সংখ্যা ১৯৩টি। এর মধ্যে বৈধভাবে গড়ে উঠেছে মাত্র ৪০টি। বাকি ১৫৩টিই চলে অবৈধভাবে। এদের কোন অনুমোদন বা ছাড়পত্র নেই। এতে একদিকে সরকার যেমন রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে যত্রতত্র ইটভাটা গড়ে উঠায় পরিবেশ দূষণ হচ্ছে মারাত্মকভাবে। এ নিয়ে গত শুক্রবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
শুধু পাবনাতেই নয়, অবৈধ ইটভাটার সন্ধান দেশের অন্যান্য জায়গাতেও পাওয়া যায়। সেসব জায়গায় লোকালয়ে ও ফসলের জমিতে বেআইনিভাবে ইটভাটা গড়ে তোলা হয়েছে। এগুলো নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। কৃষি জমির মাটি কেটে অবৈধ এসব ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন কৃষি জমির উর্বরতা হ্রাস পাচ্ছে, অন্যদিকে উৎপাদনও কমছে। আরও অভিযোগ রয়েছে, এসব ইটভাটায় কয়লার বদলে কাঠ পুড়িয়ে ইট প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। বন ধ্বংস করে কাঠ বানিয়ে তা ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে। ফলে বনাঞ্চল যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমন জনস্বাস্থ্যও হুমকির মুখে পড়ছে।
বাস্তবতা হচ্ছে, দেশে ইটের প্রয়োজন আছে। এজন্য ইটভাটাও দরকার। তবে ইটভাটা স্থাপন করতে হবে আইন মেনে এবং সেখানে আইন মেনে ইট তৈরি করতে হবে।
ইট তৈরির জন্য ভাটা স্থাপন সংক্রান্ত একটি আইন দেশে কার্যকর রয়েছে। সেই আইন অনুযায়ী লাইসেন্স ছাড়া ইট তৈরি করার সুযোগ নেই। লাইসেন্স ছাড়া কেউ ইটভাটা স্থাপন করলে অনধিক এক বছরের কারাদন্ড বা অনধিক পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডই হতে পারে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে এই আইন মানা হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, আইন অমান্য করে প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব ইটভাটা গড়ে ওঠে কিভাবে, আর সেগুলো টিকে থাকেই বা কিভাবে। আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে দিনের পর দিন অবৈধভাবে ইটভাটা তৈরি করা হলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না কেন?
আমরা বলতে চাই, অবৈধ ইটভাটা সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ করতে হবে। আইন অমান্য করে ইটভাটা স্থাপন বা ইটভাটা তৈরির কোন সুযোগ থাকা উচিত নয়। পাবনাসহ দেশের আর যেসব স্থানে অবৈধ ইটভাটা গড়ে উঠেছে সেগুলো বন্ধ করতে হবে। আর যারা আইন অমান্য করে অবৈধভাবে ইটভাটা গড়ে তুলেছেন তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
শনিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৩
পাবনার ৯টি উপজেলায় ইটভাটার সংখ্যা ১৯৩টি। এর মধ্যে বৈধভাবে গড়ে উঠেছে মাত্র ৪০টি। বাকি ১৫৩টিই চলে অবৈধভাবে। এদের কোন অনুমোদন বা ছাড়পত্র নেই। এতে একদিকে সরকার যেমন রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে যত্রতত্র ইটভাটা গড়ে উঠায় পরিবেশ দূষণ হচ্ছে মারাত্মকভাবে। এ নিয়ে গত শুক্রবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
শুধু পাবনাতেই নয়, অবৈধ ইটভাটার সন্ধান দেশের অন্যান্য জায়গাতেও পাওয়া যায়। সেসব জায়গায় লোকালয়ে ও ফসলের জমিতে বেআইনিভাবে ইটভাটা গড়ে তোলা হয়েছে। এগুলো নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। কৃষি জমির মাটি কেটে অবৈধ এসব ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন কৃষি জমির উর্বরতা হ্রাস পাচ্ছে, অন্যদিকে উৎপাদনও কমছে। আরও অভিযোগ রয়েছে, এসব ইটভাটায় কয়লার বদলে কাঠ পুড়িয়ে ইট প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। বন ধ্বংস করে কাঠ বানিয়ে তা ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে। ফলে বনাঞ্চল যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমন জনস্বাস্থ্যও হুমকির মুখে পড়ছে।
বাস্তবতা হচ্ছে, দেশে ইটের প্রয়োজন আছে। এজন্য ইটভাটাও দরকার। তবে ইটভাটা স্থাপন করতে হবে আইন মেনে এবং সেখানে আইন মেনে ইট তৈরি করতে হবে।
ইট তৈরির জন্য ভাটা স্থাপন সংক্রান্ত একটি আইন দেশে কার্যকর রয়েছে। সেই আইন অনুযায়ী লাইসেন্স ছাড়া ইট তৈরি করার সুযোগ নেই। লাইসেন্স ছাড়া কেউ ইটভাটা স্থাপন করলে অনধিক এক বছরের কারাদন্ড বা অনধিক পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডই হতে পারে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে এই আইন মানা হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, আইন অমান্য করে প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব ইটভাটা গড়ে ওঠে কিভাবে, আর সেগুলো টিকে থাকেই বা কিভাবে। আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে দিনের পর দিন অবৈধভাবে ইটভাটা তৈরি করা হলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না কেন?
আমরা বলতে চাই, অবৈধ ইটভাটা সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ করতে হবে। আইন অমান্য করে ইটভাটা স্থাপন বা ইটভাটা তৈরির কোন সুযোগ থাকা উচিত নয়। পাবনাসহ দেশের আর যেসব স্থানে অবৈধ ইটভাটা গড়ে উঠেছে সেগুলো বন্ধ করতে হবে। আর যারা আইন অমান্য করে অবৈধভাবে ইটভাটা গড়ে তুলেছেন তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।