alt

সম্পাদকীয়

সমুদ্রপথে রোহিঙ্গা পাচার প্রসঙ্গে

: রোববার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩

বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা নাগরিকেরা মানবপাচার চক্রের প্রধান লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে। পাচারকালে প্রায়ই রোহিঙ্গাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্ধার করছে। পাচারে জড়িতদের কেউ কেউ আটকও হচ্ছে। তারপরও থামছে না রোহিঙ্গা পাচার।

অবৈধভাবে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়ায় পাচারের সময় ২৬ রোহিঙ্গা উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গত বুধবার কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। তাদের মালয়েশিয়ায় ভালো চাকরি এবং রোহিঙ্গা নারীদের বিয়ের কথা বলে মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যরা প্রতারণার ফাঁদে ফেলছে। রোহিঙ্গাদের পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ দালালকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন বাংলাদেশি এবং একজন রোহিঙ্গা।

অভিবাসনের আশায় বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিয়তই ঝুঁকি নিয়ে আন্দামান সাগর পাড়ি দিচ্ছে হাজারও মানুষ। এদের মধ্যে বড় একটি অংশই বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা নাগরিক। মানবপাচার বন্ধে অতীতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনা হয়েছে। সেখানে মায়ানমারকে তাদের নাগরিক রোহিঙ্গাদের দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে; কিন্তু দেশটি বরাবরই সেই দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃত জানিয়েছে। তারা মনে করে না যে, এর জন্য তাদের কোনো দায় রয়েছে। দেশটি বলে- রোহিঙ্গাদের সাগরপথ পাড়ি দেওয়ার পেছনে রয়েছে মানবপাচার।

শুধু মানবপাচারকারী চক্রের ওপর দোষ চাপালেই মায়ানমার পার পেয়ে যায় না। রোহিঙ্গাদের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য তাদের দায় রয়েছে। ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গারা মায়ানমার সেনাবাহিনীর ব্যাপক অত্যাচার-নিপীড়নের শিকার হয়। তখন সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা নিজ দেশ মায়ানমার ছেড়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। তার আগে গত কয়েক দশকে বিভিন্ন সময় দমন-নিপীড়নের শিকার হয়ে মায়ানমার থেকে আসা কয়েক লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে। নিজ দেশে ফেরার কোনো আশা না দেখে এসব রোহিঙ্গার অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমাচ্ছে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হলে আরও অনেক সমস্যার মতো সমুদ্রপথে ঝুঁকি নিয়ে মানবপাচারও কমত বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই; কিন্তু রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ও রাখাইনে সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করাসহ বেশকিছু ইস্যুতে মায়ানামারের নেতিবাচক ভূমিকার কারণে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া থমকে আছে। রোহিঙ্গাদের যেন ফেরত নেয়া হয় সেজন্য জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলকে মায়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে হবে। প্রত্যাবাসন প্রশ্নে জাতিসংঘ সুস্পষ্ট একটি রোডম্যাপ তৈরি করবে এবং সে অনুযায়ী দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরু হবে- সেটাই আমাদের আশা।

লালমোহন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপারেশন থিয়েটার চালু করা হোক

আবার সড়ক দুর্ঘটনা, আবার মৃত্যু

চরের শিশুদের শিক্ষার পথের বাধা দূর করুন

সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার, এই ধারা অব্যাহত থাকুক

নদী খননে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে চাই শক্তিশালী বাজার ব্যবস্থাপনা

বিল ভরাট বন্ধ করুন

বরন্দ্রে অঞ্চলে পানি সংকট

শকুন রক্ষায় তৎপর হতে হবে

সুনামগঞ্জে বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

শিশুর অপুষ্টি চিকিৎসায় অবহেলা কাম্য নয়

গ্যাস জমে ভবন বিস্ফোরণ ও তিতাসের দায়

নিষিদ্ধ নোট-গাইড বই বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপ নিন

চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘব করুন

বড়খালের বাসিন্দাদের যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

বন রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ময়ূর নদ খননে সব বাধা দূর করুন

বন্যপ্রাণী পাচার বন্ধে কঠোর হোন

দেলুয়াবাড়ী চরের কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করুন

দুর্ঘটনা মোকাবিলায় ঘাটতি কোথায়

সুন্দরগঞ্জের সাব-প্রাণিসম্পদ কল্যাণ কেন্দ্রটির সংকট নিরসন করুন

বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীদের পাঠযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করুন

জেলেদের মাঝে চাল বিতরণে অনিয়মের প্রতিকার করুন

দূর হোক মজুরি বৈষম্য

নির্ধারিত সময়ে হাওরের বাঁধ নির্মাণ করা হয় না কেন

রাজধানীতে ভবন বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে

রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে অগ্নিকান্ড প্রসঙ্গে

সীতাকুণ্ডে আরেকটি ট্র্যাজেডি

পঞ্চগড়ে সাম্প্রদায়িক হামলা প্রশাসনের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি মিলবে কীভাবে

কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিচারক নিয়োগ দিন

অবৈধভাবে নদীর বালু তোলা বন্ধ করুন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে হবে

চট্টগ্রাম হাসপাতালের অকেজো এমআরআই মেশিন মেরামতে পদক্ষেপ নিন

ওএমএস-এর পণ্য বিক্রিতে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হোক

tab

সম্পাদকীয়

সমুদ্রপথে রোহিঙ্গা পাচার প্রসঙ্গে

রোববার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩

বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা নাগরিকেরা মানবপাচার চক্রের প্রধান লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে। পাচারকালে প্রায়ই রোহিঙ্গাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্ধার করছে। পাচারে জড়িতদের কেউ কেউ আটকও হচ্ছে। তারপরও থামছে না রোহিঙ্গা পাচার।

অবৈধভাবে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়ায় পাচারের সময় ২৬ রোহিঙ্গা উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গত বুধবার কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। তাদের মালয়েশিয়ায় ভালো চাকরি এবং রোহিঙ্গা নারীদের বিয়ের কথা বলে মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যরা প্রতারণার ফাঁদে ফেলছে। রোহিঙ্গাদের পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ দালালকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন বাংলাদেশি এবং একজন রোহিঙ্গা।

অভিবাসনের আশায় বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিয়তই ঝুঁকি নিয়ে আন্দামান সাগর পাড়ি দিচ্ছে হাজারও মানুষ। এদের মধ্যে বড় একটি অংশই বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা নাগরিক। মানবপাচার বন্ধে অতীতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনা হয়েছে। সেখানে মায়ানমারকে তাদের নাগরিক রোহিঙ্গাদের দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে; কিন্তু দেশটি বরাবরই সেই দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃত জানিয়েছে। তারা মনে করে না যে, এর জন্য তাদের কোনো দায় রয়েছে। দেশটি বলে- রোহিঙ্গাদের সাগরপথ পাড়ি দেওয়ার পেছনে রয়েছে মানবপাচার।

শুধু মানবপাচারকারী চক্রের ওপর দোষ চাপালেই মায়ানমার পার পেয়ে যায় না। রোহিঙ্গাদের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য তাদের দায় রয়েছে। ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গারা মায়ানমার সেনাবাহিনীর ব্যাপক অত্যাচার-নিপীড়নের শিকার হয়। তখন সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা নিজ দেশ মায়ানমার ছেড়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। তার আগে গত কয়েক দশকে বিভিন্ন সময় দমন-নিপীড়নের শিকার হয়ে মায়ানমার থেকে আসা কয়েক লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে। নিজ দেশে ফেরার কোনো আশা না দেখে এসব রোহিঙ্গার অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমাচ্ছে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হলে আরও অনেক সমস্যার মতো সমুদ্রপথে ঝুঁকি নিয়ে মানবপাচারও কমত বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই; কিন্তু রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ও রাখাইনে সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করাসহ বেশকিছু ইস্যুতে মায়ানামারের নেতিবাচক ভূমিকার কারণে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া থমকে আছে। রোহিঙ্গাদের যেন ফেরত নেয়া হয় সেজন্য জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলকে মায়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে হবে। প্রত্যাবাসন প্রশ্নে জাতিসংঘ সুস্পষ্ট একটি রোডম্যাপ তৈরি করবে এবং সে অনুযায়ী দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরু হবে- সেটাই আমাদের আশা।

back to top