alt

সম্পাদকীয়

কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানার সংকট দূর করুন

: মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে অবস্থিত কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানার বিভিন্ন বিভাগে বরাদ্দ মোট জনবলের সংখ্যা ৭১০ জন। এর বিপরীতে কর্মরত আছেন ২৬৫ জন। বাকি ৪৪৫টি পদ শূন্য। প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে ইঞ্জিন মেরামতের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারছে না কারখানাটি।

দেশের একমাত্র রেল ইঞ্জিন মেরামতের কারখানাটি শুধু যে লোকবল সংকটেই ভুগছে তা নয়। সেখানে অর্থ বরাদ্দও অপ্রতুল বলে অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার প্রকাশিত সংবাদ-এর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০২১-২২ গত অর্থবছরে ৮৫ কোটি টাকার চাহিদার বিপরীতে বরাদ্দ দেয়া হয় ৬৩ কোটি টাকা।

দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আয়ুষ্কাল ফুরিয়ে গেছে বা কার্যক্ষমতা কমে গেছে ডিজেলচালিত এমন রেল ইঞ্জিনের জেনারেল ওভারহোলিং (ভারি মেরামত) করা হয় কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানায়। মেরামতের পর রেল ইঞ্জিন আবার নতুন ইঞ্জিনের মতো ব্যবহার উপযোগী হয়। এ কাজে কারখানাটি মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়ে আসছে। যদিও নানান সীমবদ্ধতার মধ্যে তাদের কাজ করতে হয়।

দেশে রেল যোগাযোগকে আরও বিস্তৃত করার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। লক্ষ্য পূরণ করতে হলে রেলের সংখ্যা বাড়বে। রেলের বহরে যদি আরও নতুন নতুন ডিজেল ইঞ্জিন (লোকোমোটিভ) যুক্ত হয় তখন কারখানাটির কাজ বাড়বে বৈ কমবে না; কিন্তু বিদ্যমান ডিজেল ইঞ্জিন মেরামতের লক্ষ্যই তো তারা পূরণ করতে পারছে না। তাহলে ভবিষ্যতের চাহিদা তারা মেটাবে কী করে সেটা একটা প্রশ্ন। এক হিসাব অনুযায়ী, দেশে ৯০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ ও ১৭৩টি মিটারগেজ লোকোমোটিভ রয়েছে। এর সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছে আরও ৫৫টি ইঞ্জিন।

দেশের রেল যোগাযোগকে নিরবচ্ছিন্ন করতে হলে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ইঞ্জিন মেরামত করা জরুরি; কিন্তু দেশে রেল ইঞ্জিন মেরামতের কারখানা একটিই। কাজেই এর সক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। আমরা বলতে চাই, কারখানাটির জনবল সংকট দ্রুত দূর করতে হবে। পদ অনুযায়ী লোকবল নিয়োগ দিতে হবে। এক্ষেত্রে যোগ্য ব্যক্তির নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। নিয়োগে যেন কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি না হয় সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে। কারখানায় পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে। বরাদ্দকৃত অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা জরুরি।

স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি দুমকি হাসপাতাল

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

tab

সম্পাদকীয়

কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানার সংকট দূর করুন

মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে অবস্থিত কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানার বিভিন্ন বিভাগে বরাদ্দ মোট জনবলের সংখ্যা ৭১০ জন। এর বিপরীতে কর্মরত আছেন ২৬৫ জন। বাকি ৪৪৫টি পদ শূন্য। প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে ইঞ্জিন মেরামতের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারছে না কারখানাটি।

দেশের একমাত্র রেল ইঞ্জিন মেরামতের কারখানাটি শুধু যে লোকবল সংকটেই ভুগছে তা নয়। সেখানে অর্থ বরাদ্দও অপ্রতুল বলে অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার প্রকাশিত সংবাদ-এর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০২১-২২ গত অর্থবছরে ৮৫ কোটি টাকার চাহিদার বিপরীতে বরাদ্দ দেয়া হয় ৬৩ কোটি টাকা।

দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আয়ুষ্কাল ফুরিয়ে গেছে বা কার্যক্ষমতা কমে গেছে ডিজেলচালিত এমন রেল ইঞ্জিনের জেনারেল ওভারহোলিং (ভারি মেরামত) করা হয় কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানায়। মেরামতের পর রেল ইঞ্জিন আবার নতুন ইঞ্জিনের মতো ব্যবহার উপযোগী হয়। এ কাজে কারখানাটি মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়ে আসছে। যদিও নানান সীমবদ্ধতার মধ্যে তাদের কাজ করতে হয়।

দেশে রেল যোগাযোগকে আরও বিস্তৃত করার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। লক্ষ্য পূরণ করতে হলে রেলের সংখ্যা বাড়বে। রেলের বহরে যদি আরও নতুন নতুন ডিজেল ইঞ্জিন (লোকোমোটিভ) যুক্ত হয় তখন কারখানাটির কাজ বাড়বে বৈ কমবে না; কিন্তু বিদ্যমান ডিজেল ইঞ্জিন মেরামতের লক্ষ্যই তো তারা পূরণ করতে পারছে না। তাহলে ভবিষ্যতের চাহিদা তারা মেটাবে কী করে সেটা একটা প্রশ্ন। এক হিসাব অনুযায়ী, দেশে ৯০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ ও ১৭৩টি মিটারগেজ লোকোমোটিভ রয়েছে। এর সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছে আরও ৫৫টি ইঞ্জিন।

দেশের রেল যোগাযোগকে নিরবচ্ছিন্ন করতে হলে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ইঞ্জিন মেরামত করা জরুরি; কিন্তু দেশে রেল ইঞ্জিন মেরামতের কারখানা একটিই। কাজেই এর সক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। আমরা বলতে চাই, কারখানাটির জনবল সংকট দ্রুত দূর করতে হবে। পদ অনুযায়ী লোকবল নিয়োগ দিতে হবে। এক্ষেত্রে যোগ্য ব্যক্তির নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। নিয়োগে যেন কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি না হয় সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে। কারখানায় পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে। বরাদ্দকৃত অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা জরুরি।

back to top