দিনাজপুরের পার্বতীপুরে অবস্থিত কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানার বিভিন্ন বিভাগে বরাদ্দ মোট জনবলের সংখ্যা ৭১০ জন। এর বিপরীতে কর্মরত আছেন ২৬৫ জন। বাকি ৪৪৫টি পদ শূন্য। প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে ইঞ্জিন মেরামতের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারছে না কারখানাটি।
দেশের একমাত্র রেল ইঞ্জিন মেরামতের কারখানাটি শুধু যে লোকবল সংকটেই ভুগছে তা নয়। সেখানে অর্থ বরাদ্দও অপ্রতুল বলে অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার প্রকাশিত সংবাদ-এর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০২১-২২ গত অর্থবছরে ৮৫ কোটি টাকার চাহিদার বিপরীতে বরাদ্দ দেয়া হয় ৬৩ কোটি টাকা।
দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আয়ুষ্কাল ফুরিয়ে গেছে বা কার্যক্ষমতা কমে গেছে ডিজেলচালিত এমন রেল ইঞ্জিনের জেনারেল ওভারহোলিং (ভারি মেরামত) করা হয় কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানায়। মেরামতের পর রেল ইঞ্জিন আবার নতুন ইঞ্জিনের মতো ব্যবহার উপযোগী হয়। এ কাজে কারখানাটি মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়ে আসছে। যদিও নানান সীমবদ্ধতার মধ্যে তাদের কাজ করতে হয়।
দেশে রেল যোগাযোগকে আরও বিস্তৃত করার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। লক্ষ্য পূরণ করতে হলে রেলের সংখ্যা বাড়বে। রেলের বহরে যদি আরও নতুন নতুন ডিজেল ইঞ্জিন (লোকোমোটিভ) যুক্ত হয় তখন কারখানাটির কাজ বাড়বে বৈ কমবে না; কিন্তু বিদ্যমান ডিজেল ইঞ্জিন মেরামতের লক্ষ্যই তো তারা পূরণ করতে পারছে না। তাহলে ভবিষ্যতের চাহিদা তারা মেটাবে কী করে সেটা একটা প্রশ্ন। এক হিসাব অনুযায়ী, দেশে ৯০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ ও ১৭৩টি মিটারগেজ লোকোমোটিভ রয়েছে। এর সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছে আরও ৫৫টি ইঞ্জিন।
দেশের রেল যোগাযোগকে নিরবচ্ছিন্ন করতে হলে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ইঞ্জিন মেরামত করা জরুরি; কিন্তু দেশে রেল ইঞ্জিন মেরামতের কারখানা একটিই। কাজেই এর সক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। আমরা বলতে চাই, কারখানাটির জনবল সংকট দ্রুত দূর করতে হবে। পদ অনুযায়ী লোকবল নিয়োগ দিতে হবে। এক্ষেত্রে যোগ্য ব্যক্তির নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। নিয়োগে যেন কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি না হয় সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে। কারখানায় পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে। বরাদ্দকৃত অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা জরুরি।
মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে অবস্থিত কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানার বিভিন্ন বিভাগে বরাদ্দ মোট জনবলের সংখ্যা ৭১০ জন। এর বিপরীতে কর্মরত আছেন ২৬৫ জন। বাকি ৪৪৫টি পদ শূন্য। প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে ইঞ্জিন মেরামতের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারছে না কারখানাটি।
দেশের একমাত্র রেল ইঞ্জিন মেরামতের কারখানাটি শুধু যে লোকবল সংকটেই ভুগছে তা নয়। সেখানে অর্থ বরাদ্দও অপ্রতুল বলে অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার প্রকাশিত সংবাদ-এর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০২১-২২ গত অর্থবছরে ৮৫ কোটি টাকার চাহিদার বিপরীতে বরাদ্দ দেয়া হয় ৬৩ কোটি টাকা।
দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আয়ুষ্কাল ফুরিয়ে গেছে বা কার্যক্ষমতা কমে গেছে ডিজেলচালিত এমন রেল ইঞ্জিনের জেনারেল ওভারহোলিং (ভারি মেরামত) করা হয় কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানায়। মেরামতের পর রেল ইঞ্জিন আবার নতুন ইঞ্জিনের মতো ব্যবহার উপযোগী হয়। এ কাজে কারখানাটি মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়ে আসছে। যদিও নানান সীমবদ্ধতার মধ্যে তাদের কাজ করতে হয়।
দেশে রেল যোগাযোগকে আরও বিস্তৃত করার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। লক্ষ্য পূরণ করতে হলে রেলের সংখ্যা বাড়বে। রেলের বহরে যদি আরও নতুন নতুন ডিজেল ইঞ্জিন (লোকোমোটিভ) যুক্ত হয় তখন কারখানাটির কাজ বাড়বে বৈ কমবে না; কিন্তু বিদ্যমান ডিজেল ইঞ্জিন মেরামতের লক্ষ্যই তো তারা পূরণ করতে পারছে না। তাহলে ভবিষ্যতের চাহিদা তারা মেটাবে কী করে সেটা একটা প্রশ্ন। এক হিসাব অনুযায়ী, দেশে ৯০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ ও ১৭৩টি মিটারগেজ লোকোমোটিভ রয়েছে। এর সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছে আরও ৫৫টি ইঞ্জিন।
দেশের রেল যোগাযোগকে নিরবচ্ছিন্ন করতে হলে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ইঞ্জিন মেরামত করা জরুরি; কিন্তু দেশে রেল ইঞ্জিন মেরামতের কারখানা একটিই। কাজেই এর সক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। আমরা বলতে চাই, কারখানাটির জনবল সংকট দ্রুত দূর করতে হবে। পদ অনুযায়ী লোকবল নিয়োগ দিতে হবে। এক্ষেত্রে যোগ্য ব্যক্তির নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। নিয়োগে যেন কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি না হয় সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে। কারখানায় পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে। বরাদ্দকৃত অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা জরুরি।