alt

সম্পাদকীয়

কম উচ্চতার সেতু বানানোর অপসংস্কৃতির অবসান চাই

: বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩

সেতু নির্মাণ করতে হয় নদীর পানির প্রবাহ, বন্যা ও পানি ব্যবস্থাপনা, পরিবেশগত বিষয় প্রভৃতি বিবেচনায় নিয়ে। শুধু সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে নয়, নৌ যোগাযোগের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সেতু। এর উপর দিয়ে যেমন বিভিন্ন পরিবহন চলে, নিচ দিয়ে তেমন নৌযান চলে। কিন্তু দেশের অনেক স্থানেই দেখা যায়, সেতুর উচ্চতা কম থাকায় তার নিচ দিয়ে বর্ষা মৌসুমে নৌযান চলাচল করতে পারে না।

দেশের ৯৯টি সেতুর ওপর জরিপ চালিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। জরিপে দেখা গেছে, এসব সেতুর মধ্যে ৮৫টিরই উচ্চতা প্রয়োজনের তুলনায় কম। উচ্চতা কম থাকায় বর্ষা মৌসুমে দেশের অনেক নৌপথ অকার্যকর হয়ে পড়ে। তখন সেতুর নিচ দিয়ে বড় নৌযান চলতে পারে না। এ নিয়ে প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

অবশ্য নৌপথের বাধা দূর করতে সরকার কম উচ্চতার বেশ কিছু সেতু ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে। কম উচ্চতার সেতু ভাঙার উদ্যোগ নেয়া হলেও নতুন করে কম উচ্চতার সেতু তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রশ্ন হলো- কীভাবে এ ধরনের সেতু নির্মিত হয়?

নৌ চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়, এমন সেতু ও স্থাপনা নির্মাণ করার নিয়ম নেই। সেতু তৈরি করতে হলে নৌ মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে নিতে হয়ে ছাড়পত্র। বাস্তবে দেখা যায়, বিভিন্ন নদী ও খালের ওপর ছাড়পত্র ছাড়াই সেতু নির্মিত হয়েছে। তাই সেসব স্থানে নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এসব সেতু একবার নির্মাণ করা হচ্ছে, আবার তা ভেঙে ঠিক করা হচ্ছে। সেতু ভাঙাগড়ার খেলায় রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় হচ্ছে।

নিয়ম ভেঙে কম উচ্চতার সেতু তৈরি যেন না হয় সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। সেতু নির্মাণে যারা অনিয়ম এবং গাফিলতি করছে, তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা দিতে হবে। উন্নয়ন পরিকল্পনা সড়ক, রেল ও নৌপথের সঙ্গে সমন্বয় করে বাস্তবায়ন করতে হবে।

কোন একটি সংস্থা বা বিভাগের উন্নয়নের কারণে অন্য কোন সংস্থা বা বিভাগের পরিকল্পনা কিংবা সম্ভাবনা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সেতু নির্মাণে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে সমন্বয়ের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। সড়ক ও রেলপথের পাশাপাশি নৌপথের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। সেটা হলে মানুষের সময় ও অর্থ দুইই বাঁচবে। এজন্য নদীর উপর অপরিকল্পিতভাবে সেতু বানানোর অপসংস্কৃতি ত্যাগ করতে হবে।

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

tab

সম্পাদকীয়

কম উচ্চতার সেতু বানানোর অপসংস্কৃতির অবসান চাই

বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩

সেতু নির্মাণ করতে হয় নদীর পানির প্রবাহ, বন্যা ও পানি ব্যবস্থাপনা, পরিবেশগত বিষয় প্রভৃতি বিবেচনায় নিয়ে। শুধু সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে নয়, নৌ যোগাযোগের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সেতু। এর উপর দিয়ে যেমন বিভিন্ন পরিবহন চলে, নিচ দিয়ে তেমন নৌযান চলে। কিন্তু দেশের অনেক স্থানেই দেখা যায়, সেতুর উচ্চতা কম থাকায় তার নিচ দিয়ে বর্ষা মৌসুমে নৌযান চলাচল করতে পারে না।

দেশের ৯৯টি সেতুর ওপর জরিপ চালিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। জরিপে দেখা গেছে, এসব সেতুর মধ্যে ৮৫টিরই উচ্চতা প্রয়োজনের তুলনায় কম। উচ্চতা কম থাকায় বর্ষা মৌসুমে দেশের অনেক নৌপথ অকার্যকর হয়ে পড়ে। তখন সেতুর নিচ দিয়ে বড় নৌযান চলতে পারে না। এ নিয়ে প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

অবশ্য নৌপথের বাধা দূর করতে সরকার কম উচ্চতার বেশ কিছু সেতু ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে। কম উচ্চতার সেতু ভাঙার উদ্যোগ নেয়া হলেও নতুন করে কম উচ্চতার সেতু তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রশ্ন হলো- কীভাবে এ ধরনের সেতু নির্মিত হয়?

নৌ চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়, এমন সেতু ও স্থাপনা নির্মাণ করার নিয়ম নেই। সেতু তৈরি করতে হলে নৌ মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে নিতে হয়ে ছাড়পত্র। বাস্তবে দেখা যায়, বিভিন্ন নদী ও খালের ওপর ছাড়পত্র ছাড়াই সেতু নির্মিত হয়েছে। তাই সেসব স্থানে নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এসব সেতু একবার নির্মাণ করা হচ্ছে, আবার তা ভেঙে ঠিক করা হচ্ছে। সেতু ভাঙাগড়ার খেলায় রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় হচ্ছে।

নিয়ম ভেঙে কম উচ্চতার সেতু তৈরি যেন না হয় সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। সেতু নির্মাণে যারা অনিয়ম এবং গাফিলতি করছে, তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা দিতে হবে। উন্নয়ন পরিকল্পনা সড়ক, রেল ও নৌপথের সঙ্গে সমন্বয় করে বাস্তবায়ন করতে হবে।

কোন একটি সংস্থা বা বিভাগের উন্নয়নের কারণে অন্য কোন সংস্থা বা বিভাগের পরিকল্পনা কিংবা সম্ভাবনা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সেতু নির্মাণে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে সমন্বয়ের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। সড়ক ও রেলপথের পাশাপাশি নৌপথের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। সেটা হলে মানুষের সময় ও অর্থ দুইই বাঁচবে। এজন্য নদীর উপর অপরিকল্পিতভাবে সেতু বানানোর অপসংস্কৃতি ত্যাগ করতে হবে।

back to top