দেশে পাঠ্যবই ছাপা হবে আর তাতে ভুল থাকবে, তথ্যের বিকৃতি ঘটবে- এটাই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রমের বইয়েও ভুল রয়েছে, তথ্যের বিকৃতি ঘটেছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে চৌর্যবৃত্তি।
নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীতে নতুন পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ করা হয়েছে। সপ্তম শ্রেণীর বিজ্ঞান বইয়ের পরীক্ষামূলক সংস্করণ ‘অনুসন্ধানী পাঠ’-এর কোনো কোনো অংশ ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এডুকেশনাল সাইট থেকে নেওয়া হয়েছে। আর তা গুগল ট্রান্সলেটারের সহায়তায় হুবহু অনুবাদ করা হয়েছে। বইটি সম্পাদনার দায়িত্বে থাকা দু’জন এর দায় স্বীকার করেছেন।
পাঠ্যবইয়ে ভুল থাকবে, সেটা নিয়ে হইচই হবে, এনসিটিবি একসময় সংশোধনী দেবে- এভাবেই চলে আসছে। তবুও ভালো যে, এবার অন্তত বই সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত কেউ দায় স্বীকার করেছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, স্বীকার করলেই কি দায় মিটে যায়। বিশেষ করে পাঠ্যবই রচনা বা সম্পাদনার মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজে এমন কিছু কি কাম্য হতে পারে; যা থেকে ভবিষ্যতের নাগরিকরা ভুল জিনিস শিখবে, চৌর্যবৃত্তিতে উদ্বুদ্ধ হবে- এটা একটা প্রশ্ন।
বই রচনা ও সম্পাদনায় কার কী ভূমিকা সেটা বুঝতে হবে। এক্ষেত্রে বড় দায়িত্ব কার সে বিষয়ে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই। পাঠ্যবই সম্পাদনা করা গুরু দায়িত্ব। যারা বই সম্পাদনা করেন তারা যদি তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকেন এবং সেই অনুযায়ী কাজ করেন তাহলে বই ছাপার আগেই ভুল, বিকৃতি, চুরি সবই ধরা পড়ার কথা। বই রচনায় ভুলভ্রান্তি ধরার জন্যই সম্পাদক নিয়োগ দেওয়া হয়।
অনেক অপরাধকেই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার একটি সংস্কৃতি দেশে চালু আছে। এই দৃষ্টিভঙ্গির কারণে অনেকে গুরুতর অপরাধ করেও ‘ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টির’ তকমা লাগিয়ে পার পেয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সমাজও তাদের দায় থেকে একসময় নিষ্কৃতি দেয়। আর এ কারণেই পাঠ্যবইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ভুলের এক দুষ্টচক্রে বাধা পড়েছে দেশ। এই দুষ্টচক্র ভাঙতে হবে।
পাঠ্যবই রচনায় ভুলের দুষ্টচক্র ভাঙতে হলে যারা ভুল করেন বা চৌর্যবৃত্তি করেন এবং যাদের কারণে সেই ভুল সংশোধন হয় না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। পাঠ্যবই রচনায় যা হয়েছে সেটাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে হবে এবং একে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার সুযোগ নেই। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের প্রত্যেকেরই কোনো না কোনো শাস্তি দিয়ে সমাজে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩
দেশে পাঠ্যবই ছাপা হবে আর তাতে ভুল থাকবে, তথ্যের বিকৃতি ঘটবে- এটাই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রমের বইয়েও ভুল রয়েছে, তথ্যের বিকৃতি ঘটেছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে চৌর্যবৃত্তি।
নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীতে নতুন পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ করা হয়েছে। সপ্তম শ্রেণীর বিজ্ঞান বইয়ের পরীক্ষামূলক সংস্করণ ‘অনুসন্ধানী পাঠ’-এর কোনো কোনো অংশ ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এডুকেশনাল সাইট থেকে নেওয়া হয়েছে। আর তা গুগল ট্রান্সলেটারের সহায়তায় হুবহু অনুবাদ করা হয়েছে। বইটি সম্পাদনার দায়িত্বে থাকা দু’জন এর দায় স্বীকার করেছেন।
পাঠ্যবইয়ে ভুল থাকবে, সেটা নিয়ে হইচই হবে, এনসিটিবি একসময় সংশোধনী দেবে- এভাবেই চলে আসছে। তবুও ভালো যে, এবার অন্তত বই সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত কেউ দায় স্বীকার করেছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, স্বীকার করলেই কি দায় মিটে যায়। বিশেষ করে পাঠ্যবই রচনা বা সম্পাদনার মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজে এমন কিছু কি কাম্য হতে পারে; যা থেকে ভবিষ্যতের নাগরিকরা ভুল জিনিস শিখবে, চৌর্যবৃত্তিতে উদ্বুদ্ধ হবে- এটা একটা প্রশ্ন।
বই রচনা ও সম্পাদনায় কার কী ভূমিকা সেটা বুঝতে হবে। এক্ষেত্রে বড় দায়িত্ব কার সে বিষয়ে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই। পাঠ্যবই সম্পাদনা করা গুরু দায়িত্ব। যারা বই সম্পাদনা করেন তারা যদি তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকেন এবং সেই অনুযায়ী কাজ করেন তাহলে বই ছাপার আগেই ভুল, বিকৃতি, চুরি সবই ধরা পড়ার কথা। বই রচনায় ভুলভ্রান্তি ধরার জন্যই সম্পাদক নিয়োগ দেওয়া হয়।
অনেক অপরাধকেই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার একটি সংস্কৃতি দেশে চালু আছে। এই দৃষ্টিভঙ্গির কারণে অনেকে গুরুতর অপরাধ করেও ‘ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টির’ তকমা লাগিয়ে পার পেয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সমাজও তাদের দায় থেকে একসময় নিষ্কৃতি দেয়। আর এ কারণেই পাঠ্যবইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ভুলের এক দুষ্টচক্রে বাধা পড়েছে দেশ। এই দুষ্টচক্র ভাঙতে হবে।
পাঠ্যবই রচনায় ভুলের দুষ্টচক্র ভাঙতে হলে যারা ভুল করেন বা চৌর্যবৃত্তি করেন এবং যাদের কারণে সেই ভুল সংশোধন হয় না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। পাঠ্যবই রচনায় যা হয়েছে সেটাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে হবে এবং একে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার সুযোগ নেই। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের প্রত্যেকেরই কোনো না কোনো শাস্তি দিয়ে সমাজে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।