alt

সম্পাদকীয়

সেচের সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা জরুরি

: সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩

বোরো মৌসুমের শুরু থেকেই কৃষকদেরকে নানান সংকট মোকাবিলা করতে হচ্ছে। প্রবল শীতের মধ্যেও হচ্ছে লোডশেডিং। দেশের অনেক স্থানেই রাতে যেমন দিনেও তেমন বিদ্যুৎ থাকছে না। এতেকরে ব্যহত হচ্ছে সেচকাজ, বিঘ্নিত হচ্ছে বোরোর আবাদ।

আজ সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমের শুরু থেকে যশোরের কেশবপুরে লোডশেডিং হচ্ছে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে। গড়ে প্রতিদিন লোডশেডিং হয় তিন থেকে চার ঘণ্টা । এই সমস্যার সঙ্গে যোগ হয়েছে, রাসায়নিক সারের বাড়তি দাম, বৈদ্যুতিক সেচ পাম্পের পানির দাম বৃদ্ধি।

ফসল ফলানো কৃষকদের জন্য বরাবরই কঠিন একটি কাজ। কৃষিপ্রযুক্তির বদৌলতে তাদের পরিশ্রম অনেক ক্ষেত্রে কমেছে বটে। তবে তাদের দুঃশ্চিন্তা দূর হয়নি। কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করা এখনো তাদের জন্য দূরূহই হয়ে রয়েছে। আবাদ করতে গিয়ে বিদ্যুৎ মেলে না, বিদ্যুৎ মেলে তো সার মেলে না। আর মিললেও দিতে হয় বাড়তি দাম। বছর বছর ফসল উৎপাদনের খরচ বাড়ছেই। কিন্তু কৃষক লাভের মুখ দেখছেন না।

আমনের মৌসুমে কৃষকদেরকে অনেক সংগ্রাম করে ধান উৎপাদন করতে হয়েছে। গত বর্ষায় বৃষ্টি হয়েছে কম। জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। হয়েছে লোডশেডিং। সার নিয়েও অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে তাদেরকে। বোরো মৌসুমে অন্তত লোডশেডিংয়ের যন্ত্রনা পোহাতে হবে না- এমনটাই আশা করা গিয়েছিল। সরকার বলেছিল, শীতে লোডশেডিং থাকবে না। বাস্তবতা হচ্ছে, তীব্র শীতেও চলছে লোডশেডিং। শীত চলে গেলে, গরমকালে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি কী হবে সেটা ভেবে অনেকে শঙ্কিত হচ্ছেন এখনই।

চলতি বছর বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যদিয়ে যাবে বলে অনেকে ভবিষ্যৎবাণী করেছেন। বাংলাদেশকেও সংকট মোকাবিলা করতে হবে। এই সংকট মোকাবিলার অন্যতম হাতিয়ার হবে খাদ্য উৎপাদন। কাজেই ধানের উৎপাদনে সফল হতেই হবে। দেশের কৃষকরা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত আছেন। প্রশ্ন হচ্ছে তাদেরকে প্রয়োজনীয় রসদ যোগানের চ্যালেঞ্জ নিতে সরকার প্রস্তুত আছে কিনা। কৃষককে প্রয়োজন অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে কিনা।

ফসলের আবাদে সেচের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কোনো কারণে সেচ কাজ ব্যহত হলে ফসল উৎপাদন হুমকির মুখে পড়বে। আমরা বলতে চাই, কৃষকদের সেচকাজ যেন বিঘিœত না হয় সেই ব্যবস্থা সরকারকে করতে হবে। এজন্য এখন থেকেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। লোডশেডিংয়ের সমস্যা কাটিয়ে তোলার বা সেচের সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার জন্য এখনই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।

স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি দুমকি হাসপাতাল

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

tab

সম্পাদকীয়

সেচের সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা জরুরি

সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩

বোরো মৌসুমের শুরু থেকেই কৃষকদেরকে নানান সংকট মোকাবিলা করতে হচ্ছে। প্রবল শীতের মধ্যেও হচ্ছে লোডশেডিং। দেশের অনেক স্থানেই রাতে যেমন দিনেও তেমন বিদ্যুৎ থাকছে না। এতেকরে ব্যহত হচ্ছে সেচকাজ, বিঘ্নিত হচ্ছে বোরোর আবাদ।

আজ সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমের শুরু থেকে যশোরের কেশবপুরে লোডশেডিং হচ্ছে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে। গড়ে প্রতিদিন লোডশেডিং হয় তিন থেকে চার ঘণ্টা । এই সমস্যার সঙ্গে যোগ হয়েছে, রাসায়নিক সারের বাড়তি দাম, বৈদ্যুতিক সেচ পাম্পের পানির দাম বৃদ্ধি।

ফসল ফলানো কৃষকদের জন্য বরাবরই কঠিন একটি কাজ। কৃষিপ্রযুক্তির বদৌলতে তাদের পরিশ্রম অনেক ক্ষেত্রে কমেছে বটে। তবে তাদের দুঃশ্চিন্তা দূর হয়নি। কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করা এখনো তাদের জন্য দূরূহই হয়ে রয়েছে। আবাদ করতে গিয়ে বিদ্যুৎ মেলে না, বিদ্যুৎ মেলে তো সার মেলে না। আর মিললেও দিতে হয় বাড়তি দাম। বছর বছর ফসল উৎপাদনের খরচ বাড়ছেই। কিন্তু কৃষক লাভের মুখ দেখছেন না।

আমনের মৌসুমে কৃষকদেরকে অনেক সংগ্রাম করে ধান উৎপাদন করতে হয়েছে। গত বর্ষায় বৃষ্টি হয়েছে কম। জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। হয়েছে লোডশেডিং। সার নিয়েও অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে তাদেরকে। বোরো মৌসুমে অন্তত লোডশেডিংয়ের যন্ত্রনা পোহাতে হবে না- এমনটাই আশা করা গিয়েছিল। সরকার বলেছিল, শীতে লোডশেডিং থাকবে না। বাস্তবতা হচ্ছে, তীব্র শীতেও চলছে লোডশেডিং। শীত চলে গেলে, গরমকালে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি কী হবে সেটা ভেবে অনেকে শঙ্কিত হচ্ছেন এখনই।

চলতি বছর বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যদিয়ে যাবে বলে অনেকে ভবিষ্যৎবাণী করেছেন। বাংলাদেশকেও সংকট মোকাবিলা করতে হবে। এই সংকট মোকাবিলার অন্যতম হাতিয়ার হবে খাদ্য উৎপাদন। কাজেই ধানের উৎপাদনে সফল হতেই হবে। দেশের কৃষকরা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত আছেন। প্রশ্ন হচ্ছে তাদেরকে প্রয়োজনীয় রসদ যোগানের চ্যালেঞ্জ নিতে সরকার প্রস্তুত আছে কিনা। কৃষককে প্রয়োজন অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে কিনা।

ফসলের আবাদে সেচের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কোনো কারণে সেচ কাজ ব্যহত হলে ফসল উৎপাদন হুমকির মুখে পড়বে। আমরা বলতে চাই, কৃষকদের সেচকাজ যেন বিঘিœত না হয় সেই ব্যবস্থা সরকারকে করতে হবে। এজন্য এখন থেকেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। লোডশেডিংয়ের সমস্যা কাটিয়ে তোলার বা সেচের সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার জন্য এখনই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।

back to top