বোরো মৌসুমের শুরু থেকেই কৃষকদেরকে নানান সংকট মোকাবিলা করতে হচ্ছে। প্রবল শীতের মধ্যেও হচ্ছে লোডশেডিং। দেশের অনেক স্থানেই রাতে যেমন দিনেও তেমন বিদ্যুৎ থাকছে না। এতেকরে ব্যহত হচ্ছে সেচকাজ, বিঘ্নিত হচ্ছে বোরোর আবাদ।
আজ সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমের শুরু থেকে যশোরের কেশবপুরে লোডশেডিং হচ্ছে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে। গড়ে প্রতিদিন লোডশেডিং হয় তিন থেকে চার ঘণ্টা । এই সমস্যার সঙ্গে যোগ হয়েছে, রাসায়নিক সারের বাড়তি দাম, বৈদ্যুতিক সেচ পাম্পের পানির দাম বৃদ্ধি।
ফসল ফলানো কৃষকদের জন্য বরাবরই কঠিন একটি কাজ। কৃষিপ্রযুক্তির বদৌলতে তাদের পরিশ্রম অনেক ক্ষেত্রে কমেছে বটে। তবে তাদের দুঃশ্চিন্তা দূর হয়নি। কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করা এখনো তাদের জন্য দূরূহই হয়ে রয়েছে। আবাদ করতে গিয়ে বিদ্যুৎ মেলে না, বিদ্যুৎ মেলে তো সার মেলে না। আর মিললেও দিতে হয় বাড়তি দাম। বছর বছর ফসল উৎপাদনের খরচ বাড়ছেই। কিন্তু কৃষক লাভের মুখ দেখছেন না।
আমনের মৌসুমে কৃষকদেরকে অনেক সংগ্রাম করে ধান উৎপাদন করতে হয়েছে। গত বর্ষায় বৃষ্টি হয়েছে কম। জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। হয়েছে লোডশেডিং। সার নিয়েও অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে তাদেরকে। বোরো মৌসুমে অন্তত লোডশেডিংয়ের যন্ত্রনা পোহাতে হবে না- এমনটাই আশা করা গিয়েছিল। সরকার বলেছিল, শীতে লোডশেডিং থাকবে না। বাস্তবতা হচ্ছে, তীব্র শীতেও চলছে লোডশেডিং। শীত চলে গেলে, গরমকালে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি কী হবে সেটা ভেবে অনেকে শঙ্কিত হচ্ছেন এখনই।
চলতি বছর বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যদিয়ে যাবে বলে অনেকে ভবিষ্যৎবাণী করেছেন। বাংলাদেশকেও সংকট মোকাবিলা করতে হবে। এই সংকট মোকাবিলার অন্যতম হাতিয়ার হবে খাদ্য উৎপাদন। কাজেই ধানের উৎপাদনে সফল হতেই হবে। দেশের কৃষকরা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত আছেন। প্রশ্ন হচ্ছে তাদেরকে প্রয়োজনীয় রসদ যোগানের চ্যালেঞ্জ নিতে সরকার প্রস্তুত আছে কিনা। কৃষককে প্রয়োজন অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে কিনা।
ফসলের আবাদে সেচের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কোনো কারণে সেচ কাজ ব্যহত হলে ফসল উৎপাদন হুমকির মুখে পড়বে। আমরা বলতে চাই, কৃষকদের সেচকাজ যেন বিঘিœত না হয় সেই ব্যবস্থা সরকারকে করতে হবে। এজন্য এখন থেকেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। লোডশেডিংয়ের সমস্যা কাটিয়ে তোলার বা সেচের সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার জন্য এখনই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩
বোরো মৌসুমের শুরু থেকেই কৃষকদেরকে নানান সংকট মোকাবিলা করতে হচ্ছে। প্রবল শীতের মধ্যেও হচ্ছে লোডশেডিং। দেশের অনেক স্থানেই রাতে যেমন দিনেও তেমন বিদ্যুৎ থাকছে না। এতেকরে ব্যহত হচ্ছে সেচকাজ, বিঘ্নিত হচ্ছে বোরোর আবাদ।
আজ সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমের শুরু থেকে যশোরের কেশবপুরে লোডশেডিং হচ্ছে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে। গড়ে প্রতিদিন লোডশেডিং হয় তিন থেকে চার ঘণ্টা । এই সমস্যার সঙ্গে যোগ হয়েছে, রাসায়নিক সারের বাড়তি দাম, বৈদ্যুতিক সেচ পাম্পের পানির দাম বৃদ্ধি।
ফসল ফলানো কৃষকদের জন্য বরাবরই কঠিন একটি কাজ। কৃষিপ্রযুক্তির বদৌলতে তাদের পরিশ্রম অনেক ক্ষেত্রে কমেছে বটে। তবে তাদের দুঃশ্চিন্তা দূর হয়নি। কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করা এখনো তাদের জন্য দূরূহই হয়ে রয়েছে। আবাদ করতে গিয়ে বিদ্যুৎ মেলে না, বিদ্যুৎ মেলে তো সার মেলে না। আর মিললেও দিতে হয় বাড়তি দাম। বছর বছর ফসল উৎপাদনের খরচ বাড়ছেই। কিন্তু কৃষক লাভের মুখ দেখছেন না।
আমনের মৌসুমে কৃষকদেরকে অনেক সংগ্রাম করে ধান উৎপাদন করতে হয়েছে। গত বর্ষায় বৃষ্টি হয়েছে কম। জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। হয়েছে লোডশেডিং। সার নিয়েও অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে তাদেরকে। বোরো মৌসুমে অন্তত লোডশেডিংয়ের যন্ত্রনা পোহাতে হবে না- এমনটাই আশা করা গিয়েছিল। সরকার বলেছিল, শীতে লোডশেডিং থাকবে না। বাস্তবতা হচ্ছে, তীব্র শীতেও চলছে লোডশেডিং। শীত চলে গেলে, গরমকালে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি কী হবে সেটা ভেবে অনেকে শঙ্কিত হচ্ছেন এখনই।
চলতি বছর বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যদিয়ে যাবে বলে অনেকে ভবিষ্যৎবাণী করেছেন। বাংলাদেশকেও সংকট মোকাবিলা করতে হবে। এই সংকট মোকাবিলার অন্যতম হাতিয়ার হবে খাদ্য উৎপাদন। কাজেই ধানের উৎপাদনে সফল হতেই হবে। দেশের কৃষকরা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত আছেন। প্রশ্ন হচ্ছে তাদেরকে প্রয়োজনীয় রসদ যোগানের চ্যালেঞ্জ নিতে সরকার প্রস্তুত আছে কিনা। কৃষককে প্রয়োজন অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে কিনা।
ফসলের আবাদে সেচের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কোনো কারণে সেচ কাজ ব্যহত হলে ফসল উৎপাদন হুমকির মুখে পড়বে। আমরা বলতে চাই, কৃষকদের সেচকাজ যেন বিঘিœত না হয় সেই ব্যবস্থা সরকারকে করতে হবে। এজন্য এখন থেকেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। লোডশেডিংয়ের সমস্যা কাটিয়ে তোলার বা সেচের সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার জন্য এখনই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।