alt

সম্পাদকীয়

জন্মনিবন্ধন সনদ জালিয়াতি প্রসঙ্গে

: শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৩

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে জন্মনিবন্ধন সনদ জালিয়াতির অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ বলছে, জালিয়াত চক্র গত সাত মাসে কমবেশি পাঁচ হাজার ভুয়া জন্মনিবন্ধন করেছে। প্রতি নিবন্ধনের জন্য ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা নিয়েছে চক্রটি।

পুলিশি অভিযানের মধ্যেও সনদ জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। জালিয়াত চক্র গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের লালখান বাজার ওয়ার্ডের আইডি ব্যবহার করে ১৩৩টি জন্মনিবন্ধন সনদ নিয়েছে।

জন্মনিবন্ধন সনদ জালিয়াতির ঘটনা উদ্বেগজনক। এতে নিবন্ধন ব্যবস্থার নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। জালিয়াতি করে রোহিঙ্গাদের নামে জন্মনিবন্ধন সনদ নেয়া হয়েছে কিনা সেই প্রশ্নও উঠেছে।

মাসের পর মাস ধরে জন্মনিবন্ধন সনদ জালিয়াতি করা হলো কীভাবে সেটা জানা জরুরি। সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, আইডি হ্যাক করে জন্মনিবন্ধন সনদ বের করা হয়েছে। তবে পুলিশ এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি যে সার্ভার হ্যাক করে নাকি পাসওয়ার্ড চুরি করে জালিয়াত চক্র এই কাজ করেছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এটা জানা যাবে সেটা আমাদের আশা।

একটি চক্রই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত নাকি এমন আর কোনো চক্র আছে তা জানতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, জালিয়াতির অভিযোগে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা ‘মাঠ পর্যায়ের’ তথ্য সংগ্রহকারী। মূলত জন্মনিবন্ধন সনদ প্রয়োজন এমন লোক খুঁজে বের করে তারা তথ্য সংগ্রহ করে। তাদের উপরে আরেকটি গ্রুপ আছে। এছাড়াও এরকম আরও কয়েকটি চক্র সারাদেশে সক্রিয় আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যাদের প্রতিটি গ্রুপে সক্রিয় রয়েছে ৩০-১০০ জন সদস্য। কাজেই নেপথ্যের শক্তিকে শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। নইলে জন্মনিবন্ধন সনদ জালিয়াতি কার্যকরভাবে বন্ধ করা যাবে না।

দেশে একটি কার্যকর ও নিরাপদ জন্মনিবন্ধন ব্যবস্থা তৈরি করা জরুরি। জন্মনিবন্ধন নিয়ে জাল জালিয়াতির ঘটনা প্রায়ই ঘটে। দেশে জনসংখ্যার তুলনায় জন্মনিবন্ধন সনদের সংখ্যা বেশি। এ থেকেই বোঝা যায় যে বিদ্যমান জন্মনিবন্ধন ব্যবস্থা কতটা ত্রুটিপূর্ণ। আমরা ত্রুটিমুক্ত নিরাপদ একটি ব্যবস্থা চাই। সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে সেই প্রত্যাশা করি।

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

জন্মনিবন্ধন সনদ জালিয়াতি প্রসঙ্গে

শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৩

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে জন্মনিবন্ধন সনদ জালিয়াতির অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ বলছে, জালিয়াত চক্র গত সাত মাসে কমবেশি পাঁচ হাজার ভুয়া জন্মনিবন্ধন করেছে। প্রতি নিবন্ধনের জন্য ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা নিয়েছে চক্রটি।

পুলিশি অভিযানের মধ্যেও সনদ জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। জালিয়াত চক্র গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের লালখান বাজার ওয়ার্ডের আইডি ব্যবহার করে ১৩৩টি জন্মনিবন্ধন সনদ নিয়েছে।

জন্মনিবন্ধন সনদ জালিয়াতির ঘটনা উদ্বেগজনক। এতে নিবন্ধন ব্যবস্থার নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। জালিয়াতি করে রোহিঙ্গাদের নামে জন্মনিবন্ধন সনদ নেয়া হয়েছে কিনা সেই প্রশ্নও উঠেছে।

মাসের পর মাস ধরে জন্মনিবন্ধন সনদ জালিয়াতি করা হলো কীভাবে সেটা জানা জরুরি। সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, আইডি হ্যাক করে জন্মনিবন্ধন সনদ বের করা হয়েছে। তবে পুলিশ এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি যে সার্ভার হ্যাক করে নাকি পাসওয়ার্ড চুরি করে জালিয়াত চক্র এই কাজ করেছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এটা জানা যাবে সেটা আমাদের আশা।

একটি চক্রই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত নাকি এমন আর কোনো চক্র আছে তা জানতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, জালিয়াতির অভিযোগে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা ‘মাঠ পর্যায়ের’ তথ্য সংগ্রহকারী। মূলত জন্মনিবন্ধন সনদ প্রয়োজন এমন লোক খুঁজে বের করে তারা তথ্য সংগ্রহ করে। তাদের উপরে আরেকটি গ্রুপ আছে। এছাড়াও এরকম আরও কয়েকটি চক্র সারাদেশে সক্রিয় আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যাদের প্রতিটি গ্রুপে সক্রিয় রয়েছে ৩০-১০০ জন সদস্য। কাজেই নেপথ্যের শক্তিকে শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। নইলে জন্মনিবন্ধন সনদ জালিয়াতি কার্যকরভাবে বন্ধ করা যাবে না।

দেশে একটি কার্যকর ও নিরাপদ জন্মনিবন্ধন ব্যবস্থা তৈরি করা জরুরি। জন্মনিবন্ধন নিয়ে জাল জালিয়াতির ঘটনা প্রায়ই ঘটে। দেশে জনসংখ্যার তুলনায় জন্মনিবন্ধন সনদের সংখ্যা বেশি। এ থেকেই বোঝা যায় যে বিদ্যমান জন্মনিবন্ধন ব্যবস্থা কতটা ত্রুটিপূর্ণ। আমরা ত্রুটিমুক্ত নিরাপদ একটি ব্যবস্থা চাই। সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে সেই প্রত্যাশা করি।

back to top