alt

সম্পাদকীয়

সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবায় প্রতিবন্ধকতা দূর করুন

: সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩

পদ আছে, চিকিৎসক নেই। নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, পরিছন্নতা কর্মীসহ অন্যান্যা জনবলেও রয়েছে ঘাটতি। জেলা-উপজেলার বেশির ভাগ সরকারি হাসপাতালের চিত্র এমনই। এসব হাসপাতালের অনেকগুলোতেই নেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম। যেখানে আছে সেখানে তার সদ্ব্যবহার হয় না বা করা হয় না রক্ষণাবেক্ষণ। হাসপাতালে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার পরিবেশ মানসম্মত নয়। এ নিয়ে গতকাল রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সরকার স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার কথা বলে। বাস্তবতা হচ্ছে, নিজ এলাকায় সরকারি হাসপাতাল আছে কিন্তু সাধারণ মানুষ সেখানে নানান কারণে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা পান না। বাধ্য হয়ে তাদের ছুটতে হয় বিভাগীয় শহর বা রাজধানীতে। কেউ কেউ বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের দ্বারস্থ হন। আর যাদের সামর্থ্য নেই তারা চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিতই থাকছেন।

সরকারি হাসপাতালের বাইরে চিকিৎসা বা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো বরাবরই ব্যয়বহুল। বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে কেউ কেউ সর্বস্ব হারান, আবার অনেকে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা না করিয়েই মাঝ পথে ক্ষান্ত দেন। জেলা বা উপজেলা স্তরের বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অনেক সেবা পাওয়াও যায় না।

জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য হাসপাতাল করা হয়। সেখানে যদি চিকিৎসকই না থাকেন তাহলে তারা স্বাস্থ্যসেবা পাবেন কীভাবে? হাসপাতালগুলোতে সংশ্লিষ্ট সব পদ আছে কিন্তু লোকবল নিয়োগ দেয়া হয় না। আবার নিয়োগ দেয়া হলেও অনেক চিকিৎসক ঢাকার বাইরে যেতে চান না-এমন অভিযোগ অনেক পুরনো।

স্বাস্থ্যসেবার মতো মৌলিক অধিকার থেকে প্রান্তিক মানুষ বঞ্চিত হোক সেটা আমরা চাই না। কেবল হাসপাতাল থাকলেই হয় না। সেখানে চিকিৎসকসহ প্রয়োজনীয় লোকবল থাকা জরুরি। থাকতে হবে চিকিৎসা সরঞ্জাম। রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি সহজ হবে। তাদের চিকিৎসার জন্য নিজ এলাকার বাইরে যেতে হবে না, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা নিতে গিয়ে নিঃস্ব হতে হবে না।

আমরা বলতে চাই, জেলা-উপজেলা স্তরের সরকারি হাসপাতালগুলোর জনবল সংকট দূর করুন। পাশাপাশি সেখানে যাদের নিয়োগ দেয়া হবে তারা যেন নিজ নিজ স্থানে থেকে চিকিৎসাসেবা দেন সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি হাসপাতালে আরও যেসব সমস্যা আছে তা চিহ্নিত করে সমাধানের ব্যবস্থা করতে হবে। যেকোন মূল্যে প্রান্তিক জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে।

সরকারি কলেজে আসবাবপত্র কেনায় অনিয়ম-দুর্নীতি প্রসঙ্গে

হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগ সুষ্ঠু তদন্ত হোক

মিথেন নির্গমন কমানো জরুরি

সড়ক নির্মাণ চলাকালে নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন

খুলনায় সেতু নির্মাণের কাজ দ্রুত শেষ করুন

রেলওয়ের জমি দখলমুক্ত হোক

করতোয়ার পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক করতে পদক্ষেপ নিন

ব্রয়লার মুরগির দাম প্রসঙ্গে

যক্ষ্মা নির্মূলে কাজ করে যেতে হবে

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী হামলা

লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চাই

সোহাগী হত্যার তদন্ত কবে শেষ হবে

আসন্ন বর্ষায় চট্টগ্রাম নগরে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা

সুপেয় পানির সংকট প্রসঙ্গে

লালমোহন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপারেশন থিয়েটার চালু করা হোক

আবার সড়ক দুর্ঘটনা, আবার মৃত্যু

চরের শিশুদের শিক্ষার পথের বাধা দূর করুন

সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার, এই ধারা অব্যাহত থাকুক

নদী খননে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে চাই শক্তিশালী বাজার ব্যবস্থাপনা

বিল ভরাট বন্ধ করুন

বরন্দ্রে অঞ্চলে পানি সংকট

শকুন রক্ষায় তৎপর হতে হবে

সুনামগঞ্জে বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

শিশুর অপুষ্টি চিকিৎসায় অবহেলা কাম্য নয়

গ্যাস জমে ভবন বিস্ফোরণ ও তিতাসের দায়

নিষিদ্ধ নোট-গাইড বই বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপ নিন

চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘব করুন

বড়খালের বাসিন্দাদের যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

বন রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ময়ূর নদ খননে সব বাধা দূর করুন

বন্যপ্রাণী পাচার বন্ধে কঠোর হোন

দেলুয়াবাড়ী চরের কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করুন

দুর্ঘটনা মোকাবিলায় ঘাটতি কোথায়

সুন্দরগঞ্জের সাব-প্রাণিসম্পদ কল্যাণ কেন্দ্রটির সংকট নিরসন করুন

বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীদের পাঠযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করুন

tab

সম্পাদকীয়

সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবায় প্রতিবন্ধকতা দূর করুন

সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩

পদ আছে, চিকিৎসক নেই। নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, পরিছন্নতা কর্মীসহ অন্যান্যা জনবলেও রয়েছে ঘাটতি। জেলা-উপজেলার বেশির ভাগ সরকারি হাসপাতালের চিত্র এমনই। এসব হাসপাতালের অনেকগুলোতেই নেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম। যেখানে আছে সেখানে তার সদ্ব্যবহার হয় না বা করা হয় না রক্ষণাবেক্ষণ। হাসপাতালে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার পরিবেশ মানসম্মত নয়। এ নিয়ে গতকাল রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সরকার স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার কথা বলে। বাস্তবতা হচ্ছে, নিজ এলাকায় সরকারি হাসপাতাল আছে কিন্তু সাধারণ মানুষ সেখানে নানান কারণে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা পান না। বাধ্য হয়ে তাদের ছুটতে হয় বিভাগীয় শহর বা রাজধানীতে। কেউ কেউ বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের দ্বারস্থ হন। আর যাদের সামর্থ্য নেই তারা চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিতই থাকছেন।

সরকারি হাসপাতালের বাইরে চিকিৎসা বা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো বরাবরই ব্যয়বহুল। বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে কেউ কেউ সর্বস্ব হারান, আবার অনেকে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা না করিয়েই মাঝ পথে ক্ষান্ত দেন। জেলা বা উপজেলা স্তরের বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অনেক সেবা পাওয়াও যায় না।

জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য হাসপাতাল করা হয়। সেখানে যদি চিকিৎসকই না থাকেন তাহলে তারা স্বাস্থ্যসেবা পাবেন কীভাবে? হাসপাতালগুলোতে সংশ্লিষ্ট সব পদ আছে কিন্তু লোকবল নিয়োগ দেয়া হয় না। আবার নিয়োগ দেয়া হলেও অনেক চিকিৎসক ঢাকার বাইরে যেতে চান না-এমন অভিযোগ অনেক পুরনো।

স্বাস্থ্যসেবার মতো মৌলিক অধিকার থেকে প্রান্তিক মানুষ বঞ্চিত হোক সেটা আমরা চাই না। কেবল হাসপাতাল থাকলেই হয় না। সেখানে চিকিৎসকসহ প্রয়োজনীয় লোকবল থাকা জরুরি। থাকতে হবে চিকিৎসা সরঞ্জাম। রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি সহজ হবে। তাদের চিকিৎসার জন্য নিজ এলাকার বাইরে যেতে হবে না, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা নিতে গিয়ে নিঃস্ব হতে হবে না।

আমরা বলতে চাই, জেলা-উপজেলা স্তরের সরকারি হাসপাতালগুলোর জনবল সংকট দূর করুন। পাশাপাশি সেখানে যাদের নিয়োগ দেয়া হবে তারা যেন নিজ নিজ স্থানে থেকে চিকিৎসাসেবা দেন সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি হাসপাতালে আরও যেসব সমস্যা আছে তা চিহ্নিত করে সমাধানের ব্যবস্থা করতে হবে। যেকোন মূল্যে প্রান্তিক জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে।

back to top