রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে অসাধু ব্যবসায়ীরা ভেজাল সার বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই সার কিনে কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। ভেজাল সার বিক্রির অভিযোগে প্রশাসন ব্যবস্থা নিলেও তা বন্ধ করা যায়নি। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
শুধু রাজবাড়ীতেই নয় দেশের অনেক স্থানেই অসাধু চক্র ভেজাল সার বিক্রি করছে। অতীতে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন অধিদপ্তরের (এসআরডিআই) করা এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, কৃষকরা যে সার কেনেন তার ৪০ শতাংশই ভেজাল।
সার (ব্যবস্থাপনা) (সংশোধন) আইন ২০১৮ অনুযায়ী, ভেজাল সার বিক্রিতে ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড বা সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডের বিধান রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করে বলেছেন, গোপনে বা প্রভাব খাটিয়ে প্রতারক চক্র কারখানায় ভেজাল সার প্রস্তুত করে। তারপর বাজারে সেই সার কৃষকদের কাছে বিক্রি করে। এ ক্ষেত্রে তারা আইনের তোয়াক্কা করে না। ভেজাল সার প্রস্তুতের কারখানা গড়ে তুলতে এবং সেখানে উৎপাদিত ভেজাল সার বিক্রির কর্মকান্ডে অনেক সময় প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও হাত থাকে বলে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উপার্জন করা অর্থ দিয়ে এসব ভেজাল সার কিনে প্রতারিত হচ্ছেন কৃষকরা। ভালো ফলনের আশায় তারা গাঁটের পয়সা খরচ করে সার কেনেন। ভেজাল সার ব্যবহার করা হলে খেতের ফলন ভালো হওয়া তো দূরের কথা, উল্টো ফসল নষ্ট হয়।
রাসায়নিক সারের সঙ্গে ডলোমাইট, জিপসাম, ম্যাগনেশিয়াম সালফেট, লাল রঙের বালু ও সোডিয়াম সালফেটের মতো ক্ষতিকারক দ্রব্য মেশানো হচ্ছে। কৃষকরা ভালোমানের সার ভেবে সেগুলো খেতে ব্যবহার করছেন। ব্যবহারের পর দেখা যায় খেতের ফসলে পচন ধরছে। এতে একদিকে কৃষকরা যেমন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, অন্যদিকে ফসলের উৎপাদন ক্ষমতাও দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। পরিবেশের ক্ষতি তো হচ্ছেই। কৃষিবিজ্ঞানীরা বলছেন, ভেজাল সারে যেসব ক্ষতিকারক পদার্থ মেশানো হচ্ছে, সেসব পদার্থ মাটি ও মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক।
প্রশাসনকে কঠোর হাতে ভেজালকারীদের দমন করতে হবে। প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং করতে হবে। এ সংক্রান্ত যে আইন আছে তা কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হলে অবস্থার উন্নতি হবে। কৃষকদের সঙ্গে যারা প্রতারণা করছে, যাদের কারণে দেশের কৃষি উৎপাদন হুমকির মুখে পড়ছে তাদের ছাড় দেয়া চলবে না।
মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে অসাধু ব্যবসায়ীরা ভেজাল সার বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই সার কিনে কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। ভেজাল সার বিক্রির অভিযোগে প্রশাসন ব্যবস্থা নিলেও তা বন্ধ করা যায়নি। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
শুধু রাজবাড়ীতেই নয় দেশের অনেক স্থানেই অসাধু চক্র ভেজাল সার বিক্রি করছে। অতীতে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন অধিদপ্তরের (এসআরডিআই) করা এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, কৃষকরা যে সার কেনেন তার ৪০ শতাংশই ভেজাল।
সার (ব্যবস্থাপনা) (সংশোধন) আইন ২০১৮ অনুযায়ী, ভেজাল সার বিক্রিতে ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড বা সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডের বিধান রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করে বলেছেন, গোপনে বা প্রভাব খাটিয়ে প্রতারক চক্র কারখানায় ভেজাল সার প্রস্তুত করে। তারপর বাজারে সেই সার কৃষকদের কাছে বিক্রি করে। এ ক্ষেত্রে তারা আইনের তোয়াক্কা করে না। ভেজাল সার প্রস্তুতের কারখানা গড়ে তুলতে এবং সেখানে উৎপাদিত ভেজাল সার বিক্রির কর্মকান্ডে অনেক সময় প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও হাত থাকে বলে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উপার্জন করা অর্থ দিয়ে এসব ভেজাল সার কিনে প্রতারিত হচ্ছেন কৃষকরা। ভালো ফলনের আশায় তারা গাঁটের পয়সা খরচ করে সার কেনেন। ভেজাল সার ব্যবহার করা হলে খেতের ফলন ভালো হওয়া তো দূরের কথা, উল্টো ফসল নষ্ট হয়।
রাসায়নিক সারের সঙ্গে ডলোমাইট, জিপসাম, ম্যাগনেশিয়াম সালফেট, লাল রঙের বালু ও সোডিয়াম সালফেটের মতো ক্ষতিকারক দ্রব্য মেশানো হচ্ছে। কৃষকরা ভালোমানের সার ভেবে সেগুলো খেতে ব্যবহার করছেন। ব্যবহারের পর দেখা যায় খেতের ফসলে পচন ধরছে। এতে একদিকে কৃষকরা যেমন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, অন্যদিকে ফসলের উৎপাদন ক্ষমতাও দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। পরিবেশের ক্ষতি তো হচ্ছেই। কৃষিবিজ্ঞানীরা বলছেন, ভেজাল সারে যেসব ক্ষতিকারক পদার্থ মেশানো হচ্ছে, সেসব পদার্থ মাটি ও মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক।
প্রশাসনকে কঠোর হাতে ভেজালকারীদের দমন করতে হবে। প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং করতে হবে। এ সংক্রান্ত যে আইন আছে তা কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হলে অবস্থার উন্নতি হবে। কৃষকদের সঙ্গে যারা প্রতারণা করছে, যাদের কারণে দেশের কৃষি উৎপাদন হুমকির মুখে পড়ছে তাদের ছাড় দেয়া চলবে না।