alt

সম্পাদকীয়

অভিবাসী নারী শ্রমিকদের মৃত্যু প্রসঙ্গে

: বৃহস্পতিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করতে গিয়ে বাংলাদেশের অনেক নারী শ্রমিক মারা যান। নিহতদের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার পর ৪৮ ভাগ ক্ষেত্রেই তাদের স্বজনরা মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। যদিও সেসব প্রশ্নের জবাব মেলে না। কারণ এসব মরদেহ কোনোটিরই দেশে ময়নাতদন্ত করা হয় না। মধ্যপ্রাচ্যের সংশ্লিষ্ট দেশ থেকে যে মৃত্যুসনদ দেয়া হয় সেটিকেই বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করে।

প্রবাসী নারী শ্রমিকদের মৃত্যুর কারণ ও করণীয় নিয়ে ‘ডেথ অব উইমেন মাইগ্র্যান্ট ওয়ার্কার্স ইন ডেস্টিনেশন কান্ট্রিজ’ শীর্ষক একটি গবেষণা করেছে রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিট (রামরু)। ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সালের অক্টোবর পর্যন্ত প্রবাসে মারা যাওয়া ৫৫৮ জন নারী শ্রমিক নিয়ে গবেষণাটি পরিচালিত হয়। গবেষণা থেকে জানা গেছে, মারা যাওয়া শ্রমিকদের মৃত্যু সনদে উল্লেখ করা মৃত্যুর কারণ অনুযায়ী ৬৯ শতাংশ শ্রমিকের স্বাভাবিক এবং ৩১ শতাংশ নারী শ্রমিকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।

দেশের বাইরে প্রায় ৯ লাখের মতো নারী শ্রমিক কাজ করছেন। তাদের অর্ধেকই কাজ করেন সৌদি আরবে। মধ্যপ্রাচ্য থেকে নিয়মিত বিরতিতে নারীকর্মীদের ফিরে আসার খবর পাওয়া যায়। তাদের কেউ নির্যাতিত হয়ে, কেউবা লাশ হয়ে ফেরেন।

ফিরে আসা নারীদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন যে, তারা কর্মস্থলে নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। হতভাগ্য এসব নারীরা ভাগ্য বদলের আশায় বিদেশে যান। অনেকেই জীবনের শেষ সম্বল দিয়ে, এমনকি ভিটেমাটি বিক্রি করে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমান। কিন্তু সেখানে গিয়ে নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হন। রামরুর গবেষণা থেকে জানা গেছে, লাশ হয়ে ফেরত আসা নারী শ্রমিকদের ৭৯ শতাংশই প্রবাসে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন।

প্রশ্ন হচ্ছে, যেসব মরদেহ দেশে আসে সেগুলোর ময়নাতদন্ত করা হয় না কেন। মৃত্যু নিয়ে তাদের স্বজনদের যে সন্দেহ-সংশয় সেটি দূর করার উদ্যোগ নেয়া হয় না কেন। প্রবাসে নাগরিকদের মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটনে বাধা কোথায় সেটা দেশবাসীকে জানাতে হবে।

প্রবাসে যেসব নারী শ্রমিক মারা যাচ্ছেন তাদের মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট করা জরুরি। এজন্য যা যা করণীয় সেটা সরকারকে করতে হবে। আন্তর্জাতিক ফোরামের প্রস্তাবের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক মানদন্ড বজায় রেখে প্রবাসী শ্রমিকদের মৃত্যু সনদের ফরমেট তৈরির উদ্যোগ নেয়ার দাবি উঠেছে। সরকার দাবিটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে সেটা আমাদের আশা।

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছর : মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কতটা পূরণ হলো

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

tab

সম্পাদকীয়

অভিবাসী নারী শ্রমিকদের মৃত্যু প্রসঙ্গে

বৃহস্পতিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করতে গিয়ে বাংলাদেশের অনেক নারী শ্রমিক মারা যান। নিহতদের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার পর ৪৮ ভাগ ক্ষেত্রেই তাদের স্বজনরা মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। যদিও সেসব প্রশ্নের জবাব মেলে না। কারণ এসব মরদেহ কোনোটিরই দেশে ময়নাতদন্ত করা হয় না। মধ্যপ্রাচ্যের সংশ্লিষ্ট দেশ থেকে যে মৃত্যুসনদ দেয়া হয় সেটিকেই বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করে।

প্রবাসী নারী শ্রমিকদের মৃত্যুর কারণ ও করণীয় নিয়ে ‘ডেথ অব উইমেন মাইগ্র্যান্ট ওয়ার্কার্স ইন ডেস্টিনেশন কান্ট্রিজ’ শীর্ষক একটি গবেষণা করেছে রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিট (রামরু)। ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সালের অক্টোবর পর্যন্ত প্রবাসে মারা যাওয়া ৫৫৮ জন নারী শ্রমিক নিয়ে গবেষণাটি পরিচালিত হয়। গবেষণা থেকে জানা গেছে, মারা যাওয়া শ্রমিকদের মৃত্যু সনদে উল্লেখ করা মৃত্যুর কারণ অনুযায়ী ৬৯ শতাংশ শ্রমিকের স্বাভাবিক এবং ৩১ শতাংশ নারী শ্রমিকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।

দেশের বাইরে প্রায় ৯ লাখের মতো নারী শ্রমিক কাজ করছেন। তাদের অর্ধেকই কাজ করেন সৌদি আরবে। মধ্যপ্রাচ্য থেকে নিয়মিত বিরতিতে নারীকর্মীদের ফিরে আসার খবর পাওয়া যায়। তাদের কেউ নির্যাতিত হয়ে, কেউবা লাশ হয়ে ফেরেন।

ফিরে আসা নারীদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন যে, তারা কর্মস্থলে নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। হতভাগ্য এসব নারীরা ভাগ্য বদলের আশায় বিদেশে যান। অনেকেই জীবনের শেষ সম্বল দিয়ে, এমনকি ভিটেমাটি বিক্রি করে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমান। কিন্তু সেখানে গিয়ে নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হন। রামরুর গবেষণা থেকে জানা গেছে, লাশ হয়ে ফেরত আসা নারী শ্রমিকদের ৭৯ শতাংশই প্রবাসে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন।

প্রশ্ন হচ্ছে, যেসব মরদেহ দেশে আসে সেগুলোর ময়নাতদন্ত করা হয় না কেন। মৃত্যু নিয়ে তাদের স্বজনদের যে সন্দেহ-সংশয় সেটি দূর করার উদ্যোগ নেয়া হয় না কেন। প্রবাসে নাগরিকদের মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটনে বাধা কোথায় সেটা দেশবাসীকে জানাতে হবে।

প্রবাসে যেসব নারী শ্রমিক মারা যাচ্ছেন তাদের মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট করা জরুরি। এজন্য যা যা করণীয় সেটা সরকারকে করতে হবে। আন্তর্জাতিক ফোরামের প্রস্তাবের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক মানদন্ড বজায় রেখে প্রবাসী শ্রমিকদের মৃত্যু সনদের ফরমেট তৈরির উদ্যোগ নেয়ার দাবি উঠেছে। সরকার দাবিটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে সেটা আমাদের আশা।

back to top