alt

সম্পাদকীয়

বিএডিসির সেচ সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দূর করুন

: সোমবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

হাওরের কৃষকদের মূল ভরসাই হচ্ছে বোরো। বোরো ধানের ওপর হাওরের কৃষকদের জীবন-জীবিকা বহুলাংশে নির্ভর করে। বোরো আবাদ না করতে পারলে এই অঞ্চলের কৃষকদের করুণ দশার মুখোমুখি হতে হয়।

বোরো মৌসুম অনেক আগেই শুরু হয়ে গেছে। অনেক অঞ্চলেই কৃষকরা বোরো আবাদ শুরুও করেছেন কিন্তু কিশোরগঞ্জের ইটনায় অনেক কৃষকই এখন পর্যন্ত বোরো আবাদ শুরু করতে পারেননি। কারণ বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) সংশ্লিষ্ট দুটি প্রকল্পে নেই বিদ্যুৎ সংযোগ। যে কারণে কোনো কোনো কৃষক বিএডিসির আশায় বসে না থেকে নিজেরাই স্যালোমেশিন বসিয়ে আবাদ শুরু করেছেন। সমস্যা হচ্ছে-এতে তাদের খরচ বেড়েছে। স্যালোমেশিনের সেচ ব্যবস্থার চেয়ে বিএডিসির সেচ প্রকল্পে খরচ তুলনামূলকভাবে কম। কৃষকরা এ সুবিধা গ্রহণ করতে পারলে তাদের সাশ্রয় হতো।

বোরো আবাদ শুরু হলেও কিশোরগঞ্জের ইটনা হাওরে বাংলাদেশ বিএডিসির সেচ প্রকল্পে বিদ্যুৎ নেই কেন-সে প্রশ্ন আমরা করতে চাই। গতকার রোববার প্রকাশিত সংবাদ-এর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বিএডিসির দুটি সেচ প্রকল্পে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় সেচ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে। ভরা মৌসুমেও কৃষকরা খেতে সেচের পানি না পাওয়ায় ছয়শ’ হেক্টর জমির ক্ষতি হচ্ছে। এ জন্য সেচ সরবরাহে নিয়োজিত সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন এলাকার কৃষকরা।

বিএডিসির সেচ প্রকল্পের বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকার কারণ যেটাই হোক না কেন, সেটা বোরো মৌসুমের আগেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সমাধান করা উচিত ছিল। হাওরের বোরো ধানের গুরুত্ব উপলব্ধি করলে কোনো কর্তৃপক্ষের হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকা সম্ভব নয়। হাওরে কোনো কারণে বোরোর ফলন না হলে সেটা গোটাদেশের জন্যই অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ঠিক সময় বোরো আবাদ করা না গেলে অপূরণীয় লোকসানে পড়তে হয় কৃষককে। আগাম বন্যা হলে ঘরে ধান তোলার স্বপ্ন ভেস্তে যায় কৃষকদের।

ইটনা হাওরে বোরো আবাদে অনেক সময়ক্ষেপণ হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এখন বোরোর আবাদে কৃষকের যদি বিলম্ব হয় এবং আগাম বন্যার কারণে তারা যথাসময়ে ফসল ঘরে তুলতে না পারে তবে তার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারবে না।

ইটনায় বোরোর কৃষকরা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী পানি পাচ্ছে-সেটাই আমরা দেখতে চাই। এজন্য বিএিডিসির সেচ প্রকল্প দুটি অবিলম্বে চালু করতে হবে। এক্ষেত্রে যে বাধা বা বিদ্যুৎ সংযোগ সমস্যা তার সুরাহা করতে হবে। সেচ প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্ত চার মাস আগে দশ হাজার টাকা বিএডিসির ইউনিট অফিসে জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। নিয়ম অনুযায়ী বিএডিসির পক্ষ থেকে বিদ্যুতের সংযোগের জন্য পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে আবেদন করার কথা কিন্তু সেটা করা হয়নি। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের দায়িত্বে গাফিলতি আছে কিনা সেটা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।

লালমোহন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপারেশন থিয়েটার চালু করা হোক

আবার সড়ক দুর্ঘটনা, আবার মৃত্যু

চরের শিশুদের শিক্ষার পথের বাধা দূর করুন

সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার, এই ধারা অব্যাহত থাকুক

নদী খননে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে চাই শক্তিশালী বাজার ব্যবস্থাপনা

বিল ভরাট বন্ধ করুন

বরন্দ্রে অঞ্চলে পানি সংকট

শকুন রক্ষায় তৎপর হতে হবে

সুনামগঞ্জে বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

শিশুর অপুষ্টি চিকিৎসায় অবহেলা কাম্য নয়

গ্যাস জমে ভবন বিস্ফোরণ ও তিতাসের দায়

নিষিদ্ধ নোট-গাইড বই বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপ নিন

চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘব করুন

বড়খালের বাসিন্দাদের যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

বন রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ময়ূর নদ খননে সব বাধা দূর করুন

বন্যপ্রাণী পাচার বন্ধে কঠোর হোন

দেলুয়াবাড়ী চরের কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করুন

দুর্ঘটনা মোকাবিলায় ঘাটতি কোথায়

সুন্দরগঞ্জের সাব-প্রাণিসম্পদ কল্যাণ কেন্দ্রটির সংকট নিরসন করুন

বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীদের পাঠযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করুন

জেলেদের মাঝে চাল বিতরণে অনিয়মের প্রতিকার করুন

দূর হোক মজুরি বৈষম্য

নির্ধারিত সময়ে হাওরের বাঁধ নির্মাণ করা হয় না কেন

রাজধানীতে ভবন বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে

রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে অগ্নিকান্ড প্রসঙ্গে

সীতাকুণ্ডে আরেকটি ট্র্যাজেডি

পঞ্চগড়ে সাম্প্রদায়িক হামলা প্রশাসনের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি মিলবে কীভাবে

কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিচারক নিয়োগ দিন

অবৈধভাবে নদীর বালু তোলা বন্ধ করুন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে হবে

চট্টগ্রাম হাসপাতালের অকেজো এমআরআই মেশিন মেরামতে পদক্ষেপ নিন

ওএমএস-এর পণ্য বিক্রিতে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হোক

tab

সম্পাদকীয়

বিএডিসির সেচ সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দূর করুন

সোমবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

হাওরের কৃষকদের মূল ভরসাই হচ্ছে বোরো। বোরো ধানের ওপর হাওরের কৃষকদের জীবন-জীবিকা বহুলাংশে নির্ভর করে। বোরো আবাদ না করতে পারলে এই অঞ্চলের কৃষকদের করুণ দশার মুখোমুখি হতে হয়।

বোরো মৌসুম অনেক আগেই শুরু হয়ে গেছে। অনেক অঞ্চলেই কৃষকরা বোরো আবাদ শুরুও করেছেন কিন্তু কিশোরগঞ্জের ইটনায় অনেক কৃষকই এখন পর্যন্ত বোরো আবাদ শুরু করতে পারেননি। কারণ বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) সংশ্লিষ্ট দুটি প্রকল্পে নেই বিদ্যুৎ সংযোগ। যে কারণে কোনো কোনো কৃষক বিএডিসির আশায় বসে না থেকে নিজেরাই স্যালোমেশিন বসিয়ে আবাদ শুরু করেছেন। সমস্যা হচ্ছে-এতে তাদের খরচ বেড়েছে। স্যালোমেশিনের সেচ ব্যবস্থার চেয়ে বিএডিসির সেচ প্রকল্পে খরচ তুলনামূলকভাবে কম। কৃষকরা এ সুবিধা গ্রহণ করতে পারলে তাদের সাশ্রয় হতো।

বোরো আবাদ শুরু হলেও কিশোরগঞ্জের ইটনা হাওরে বাংলাদেশ বিএডিসির সেচ প্রকল্পে বিদ্যুৎ নেই কেন-সে প্রশ্ন আমরা করতে চাই। গতকার রোববার প্রকাশিত সংবাদ-এর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বিএডিসির দুটি সেচ প্রকল্পে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় সেচ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে। ভরা মৌসুমেও কৃষকরা খেতে সেচের পানি না পাওয়ায় ছয়শ’ হেক্টর জমির ক্ষতি হচ্ছে। এ জন্য সেচ সরবরাহে নিয়োজিত সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন এলাকার কৃষকরা।

বিএডিসির সেচ প্রকল্পের বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকার কারণ যেটাই হোক না কেন, সেটা বোরো মৌসুমের আগেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সমাধান করা উচিত ছিল। হাওরের বোরো ধানের গুরুত্ব উপলব্ধি করলে কোনো কর্তৃপক্ষের হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকা সম্ভব নয়। হাওরে কোনো কারণে বোরোর ফলন না হলে সেটা গোটাদেশের জন্যই অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ঠিক সময় বোরো আবাদ করা না গেলে অপূরণীয় লোকসানে পড়তে হয় কৃষককে। আগাম বন্যা হলে ঘরে ধান তোলার স্বপ্ন ভেস্তে যায় কৃষকদের।

ইটনা হাওরে বোরো আবাদে অনেক সময়ক্ষেপণ হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এখন বোরোর আবাদে কৃষকের যদি বিলম্ব হয় এবং আগাম বন্যার কারণে তারা যথাসময়ে ফসল ঘরে তুলতে না পারে তবে তার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারবে না।

ইটনায় বোরোর কৃষকরা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী পানি পাচ্ছে-সেটাই আমরা দেখতে চাই। এজন্য বিএিডিসির সেচ প্রকল্প দুটি অবিলম্বে চালু করতে হবে। এক্ষেত্রে যে বাধা বা বিদ্যুৎ সংযোগ সমস্যা তার সুরাহা করতে হবে। সেচ প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্ত চার মাস আগে দশ হাজার টাকা বিএডিসির ইউনিট অফিসে জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। নিয়ম অনুযায়ী বিএডিসির পক্ষ থেকে বিদ্যুতের সংযোগের জন্য পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে আবেদন করার কথা কিন্তু সেটা করা হয়নি। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের দায়িত্বে গাফিলতি আছে কিনা সেটা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top