সাধারণত শীত মৌসুম এলেই নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। এবারও শীতে আসার পর পরই নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে। দেশের ২৮ জেলায় নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে লোকজন মারা গেছে বলেও জানা গেছে। এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, চলতি মৌসুমে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন পাঁচজন।
এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার বড় একটি কারণ হচ্ছে খেজুরের রস। মূলত বাদুড় হচ্ছে নিপাহ ভাইরাসের বাহক। খেজুরের রস পান করা বা কোনো ফল খাওয়ার সময় বাদুড়ের মুখের লালা, প্র¯্রাব বা অন্য বর্জ্য সেই ফল বা খেজুরের রসে মিশে যায়। মানুষ সেই ফল খেলে বা কাঁচা খেজুরের রস পান করলে আক্রান্ত হতে পারে।
কেউ যদি অসতর্কতায় বা না জেনে দূষিত খেজুরের রস পান করে তাহলে তার মধ্যে নিপাহ ভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিতে আট বা নয় দিন লাগতে পারে। প্রথমদিকে রোগীর প্রচ- জ্বর থাকতে পারে, সর্দি, কাশি, গলাব্যথা, বমি, মাথাব্যথা, মাংসপেশিতে ব্যথার মতো উপসর্গও দেখা দিতে পারে। এই ভাইরাসে আক্রান্তদের মৃত্যুঝুঁকি শতকরা ৭০ শতাংশ।
আইইডিসিআর’র গবেষকরা বলছেন, খেজুরের রস জ্বাল দিয়ে খেলে রসও যেমন নিরাপদ হবে এবং সেই রসের গুড়ও তেমন নিরাপদ হবে। গাছিদের রস সংগ্রহের পর ভালো মতো হাত ধুয়ে নেয়ার পরামর্শও দিয়েছে সংস্থাটি।
নিপাহ ভাইরাসকে প্রতিরোধ করার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হচ্ছে মানুষকে সচেতন করা। আপাতত এর চেয়ে ভালো প্রতিকার আর নেই। কাজেই জনসচেতনতার বিকল্প নেই। নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণের খবর পাওয়ার পরপরই এ নিয়ে মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছিল। আশা করা গিয়েছিল এর মাধ্যমে নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যাবে। এটা প্রতিরোধ করাই শ্রেয়। কারণ এর কোনো প্রতিকার নেই কিন্তু উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে ভাইরাসটি দেশের অনেক জায়গায় বিস্তৃত হয়ে পড়েছে। এর কারণ কী? এতদিন যে সতর্কবার্তা দেয়া হচ্ছিল তা কি ঠিকঠাক মতো মানুষের কাছে পৌঁছায়নি? এক্ষেত্রে কোথাও কোনো গলদ আছে কিনা সেটা খুঁজে দেখতে হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। জনসচেতনতা সৃষ্টির কাজ অব্যাহত থাকবে সেটা আমাদের আশা।
সোমবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
সাধারণত শীত মৌসুম এলেই নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। এবারও শীতে আসার পর পরই নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে। দেশের ২৮ জেলায় নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে লোকজন মারা গেছে বলেও জানা গেছে। এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, চলতি মৌসুমে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন পাঁচজন।
এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার বড় একটি কারণ হচ্ছে খেজুরের রস। মূলত বাদুড় হচ্ছে নিপাহ ভাইরাসের বাহক। খেজুরের রস পান করা বা কোনো ফল খাওয়ার সময় বাদুড়ের মুখের লালা, প্র¯্রাব বা অন্য বর্জ্য সেই ফল বা খেজুরের রসে মিশে যায়। মানুষ সেই ফল খেলে বা কাঁচা খেজুরের রস পান করলে আক্রান্ত হতে পারে।
কেউ যদি অসতর্কতায় বা না জেনে দূষিত খেজুরের রস পান করে তাহলে তার মধ্যে নিপাহ ভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিতে আট বা নয় দিন লাগতে পারে। প্রথমদিকে রোগীর প্রচ- জ্বর থাকতে পারে, সর্দি, কাশি, গলাব্যথা, বমি, মাথাব্যথা, মাংসপেশিতে ব্যথার মতো উপসর্গও দেখা দিতে পারে। এই ভাইরাসে আক্রান্তদের মৃত্যুঝুঁকি শতকরা ৭০ শতাংশ।
আইইডিসিআর’র গবেষকরা বলছেন, খেজুরের রস জ্বাল দিয়ে খেলে রসও যেমন নিরাপদ হবে এবং সেই রসের গুড়ও তেমন নিরাপদ হবে। গাছিদের রস সংগ্রহের পর ভালো মতো হাত ধুয়ে নেয়ার পরামর্শও দিয়েছে সংস্থাটি।
নিপাহ ভাইরাসকে প্রতিরোধ করার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হচ্ছে মানুষকে সচেতন করা। আপাতত এর চেয়ে ভালো প্রতিকার আর নেই। কাজেই জনসচেতনতার বিকল্প নেই। নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণের খবর পাওয়ার পরপরই এ নিয়ে মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছিল। আশা করা গিয়েছিল এর মাধ্যমে নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যাবে। এটা প্রতিরোধ করাই শ্রেয়। কারণ এর কোনো প্রতিকার নেই কিন্তু উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে ভাইরাসটি দেশের অনেক জায়গায় বিস্তৃত হয়ে পড়েছে। এর কারণ কী? এতদিন যে সতর্কবার্তা দেয়া হচ্ছিল তা কি ঠিকঠাক মতো মানুষের কাছে পৌঁছায়নি? এক্ষেত্রে কোথাও কোনো গলদ আছে কিনা সেটা খুঁজে দেখতে হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। জনসচেতনতা সৃষ্টির কাজ অব্যাহত থাকবে সেটা আমাদের আশা।