গত বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে ২৭ জন শিক্ষার্থী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ‘স্টুডেন্টস অ্যাগেইনেস্ট টর্চার-স্যাট’ নামক শিক্ষার্থীভিত্তিক একটি মানবাধিকার সংগঠন এ তথ্য দিয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে সংগঠনটি এই সমীক্ষা করেছে বলে জানিয়েছে। তারা বলছে, নির্যাততিত শিক্ষার্থীর প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হবে। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ই নয়- দেশের আরও অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েই শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে অভিযোগের আঙুল ওঠে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে। মাত্রই কয়েকদিন আগে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থী নির্যাতিত হয়েছে। সেখানকার ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মী এর সঙ্গে জড়িত ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হলগুলোর গেস্টরুমে নির্যাতনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে। বলা হয়, বাস্তবে গেস্টরুম নির্যাতনের যত ঘটনা ঘটে প্রকাশ পায় তার চেয়ে অনেক কম।
প্রশ্ন হচ্ছে, গেস্টরুমে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা প্রতিকারের দায়িত্ব কারো আছে কিনা, থাকলে তারা সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে কিনা। অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নির্যাতনের ঘটনা জেনেও অনেক সময় না জানার ভান করে, এর বিরুদ্ধে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না। কখনো কখনো কোনো কোনো ঘটনায় হৈচৈ হলে নামমাত্র ব্যবস্থা নেয়া হয়। যে কারণে এই অপসংস্কৃতি বন্ধ করা যাচ্ছে না।
প্রশ্ন হচ্ছে, নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোন ব্যবস্থা না নেয়ার কারণ কী। গেস্টরুম নির্যাতন করে কারা সেটা কারো অজান নয়। সাধারণত ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন নির্যাতকের ভূমিকা পালন করে। যে কারণে নির্যাতকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন উচ্চবাচ্য করে না।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি নির্যাতনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয় তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূর হবে না। প্রশাসনকে নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়াতে হবে। গেস্টরুম নির্যাতনের অপসংস্কৃতির অবসান ঘটাতে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। যেকোন মূল্যে আবাসিক হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ০২ মার্চ ২০২৩
গত বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে ২৭ জন শিক্ষার্থী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ‘স্টুডেন্টস অ্যাগেইনেস্ট টর্চার-স্যাট’ নামক শিক্ষার্থীভিত্তিক একটি মানবাধিকার সংগঠন এ তথ্য দিয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে সংগঠনটি এই সমীক্ষা করেছে বলে জানিয়েছে। তারা বলছে, নির্যাততিত শিক্ষার্থীর প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হবে। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ই নয়- দেশের আরও অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েই শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে অভিযোগের আঙুল ওঠে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে। মাত্রই কয়েকদিন আগে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থী নির্যাতিত হয়েছে। সেখানকার ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মী এর সঙ্গে জড়িত ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হলগুলোর গেস্টরুমে নির্যাতনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে। বলা হয়, বাস্তবে গেস্টরুম নির্যাতনের যত ঘটনা ঘটে প্রকাশ পায় তার চেয়ে অনেক কম।
প্রশ্ন হচ্ছে, গেস্টরুমে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা প্রতিকারের দায়িত্ব কারো আছে কিনা, থাকলে তারা সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে কিনা। অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নির্যাতনের ঘটনা জেনেও অনেক সময় না জানার ভান করে, এর বিরুদ্ধে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না। কখনো কখনো কোনো কোনো ঘটনায় হৈচৈ হলে নামমাত্র ব্যবস্থা নেয়া হয়। যে কারণে এই অপসংস্কৃতি বন্ধ করা যাচ্ছে না।
প্রশ্ন হচ্ছে, নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোন ব্যবস্থা না নেয়ার কারণ কী। গেস্টরুম নির্যাতন করে কারা সেটা কারো অজান নয়। সাধারণত ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন নির্যাতকের ভূমিকা পালন করে। যে কারণে নির্যাতকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন উচ্চবাচ্য করে না।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি নির্যাতনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয় তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূর হবে না। প্রশাসনকে নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়াতে হবে। গেস্টরুম নির্যাতনের অপসংস্কৃতির অবসান ঘটাতে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। যেকোন মূল্যে আবাসিক হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।