alt

সম্পাদকীয়

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে হবে

: বৃহস্পতিবার, ০২ মার্চ ২০২৩

গত বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে ২৭ জন শিক্ষার্থী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ‘স্টুডেন্টস অ্যাগেইনেস্ট টর্চার-স্যাট’ নামক শিক্ষার্থীভিত্তিক একটি মানবাধিকার সংগঠন এ তথ্য দিয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে সংগঠনটি এই সমীক্ষা করেছে বলে জানিয়েছে। তারা বলছে, নির্যাততিত শিক্ষার্থীর প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হবে। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ই নয়- দেশের আরও অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েই শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে অভিযোগের আঙুল ওঠে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে। মাত্রই কয়েকদিন আগে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থী নির্যাতিত হয়েছে। সেখানকার ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মী এর সঙ্গে জড়িত ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হলগুলোর গেস্টরুমে নির্যাতনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে। বলা হয়, বাস্তবে গেস্টরুম নির্যাতনের যত ঘটনা ঘটে প্রকাশ পায় তার চেয়ে অনেক কম।

প্রশ্ন হচ্ছে, গেস্টরুমে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা প্রতিকারের দায়িত্ব কারো আছে কিনা, থাকলে তারা সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে কিনা। অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নির্যাতনের ঘটনা জেনেও অনেক সময় না জানার ভান করে, এর বিরুদ্ধে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না। কখনো কখনো কোনো কোনো ঘটনায় হৈচৈ হলে নামমাত্র ব্যবস্থা নেয়া হয়। যে কারণে এই অপসংস্কৃতি বন্ধ করা যাচ্ছে না।

প্রশ্ন হচ্ছে, নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোন ব্যবস্থা না নেয়ার কারণ কী। গেস্টরুম নির্যাতন করে কারা সেটা কারো অজান নয়। সাধারণত ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন নির্যাতকের ভূমিকা পালন করে। যে কারণে নির্যাতকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন উচ্চবাচ্য করে না।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি নির্যাতনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয় তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূর হবে না। প্রশাসনকে নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়াতে হবে। গেস্টরুম নির্যাতনের অপসংস্কৃতির অবসান ঘটাতে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। যেকোন মূল্যে আবাসিক হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।

যক্ষ্মা নির্মূলে কাজ করে যেতে হবে

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী হামলা

লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চাই

সোহাগী হত্যার তদন্ত কবে শেষ হবে

আসন্ন বর্ষায় চট্টগ্রাম নগরে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা

সুপেয় পানির সংকট প্রসঙ্গে

লালমোহন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপারেশন থিয়েটার চালু করা হোক

আবার সড়ক দুর্ঘটনা, আবার মৃত্যু

চরের শিশুদের শিক্ষার পথের বাধা দূর করুন

সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার, এই ধারা অব্যাহত থাকুক

নদী খননে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে চাই শক্তিশালী বাজার ব্যবস্থাপনা

বিল ভরাট বন্ধ করুন

বরন্দ্রে অঞ্চলে পানি সংকট

শকুন রক্ষায় তৎপর হতে হবে

সুনামগঞ্জে বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

শিশুর অপুষ্টি চিকিৎসায় অবহেলা কাম্য নয়

গ্যাস জমে ভবন বিস্ফোরণ ও তিতাসের দায়

নিষিদ্ধ নোট-গাইড বই বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপ নিন

চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘব করুন

বড়খালের বাসিন্দাদের যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

বন রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ময়ূর নদ খননে সব বাধা দূর করুন

বন্যপ্রাণী পাচার বন্ধে কঠোর হোন

দেলুয়াবাড়ী চরের কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করুন

দুর্ঘটনা মোকাবিলায় ঘাটতি কোথায়

সুন্দরগঞ্জের সাব-প্রাণিসম্পদ কল্যাণ কেন্দ্রটির সংকট নিরসন করুন

বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীদের পাঠযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করুন

জেলেদের মাঝে চাল বিতরণে অনিয়মের প্রতিকার করুন

দূর হোক মজুরি বৈষম্য

নির্ধারিত সময়ে হাওরের বাঁধ নির্মাণ করা হয় না কেন

রাজধানীতে ভবন বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে

রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে অগ্নিকান্ড প্রসঙ্গে

সীতাকুণ্ডে আরেকটি ট্র্যাজেডি

পঞ্চগড়ে সাম্প্রদায়িক হামলা প্রশাসনের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি মিলবে কীভাবে

tab

সম্পাদকীয়

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে হবে

বৃহস্পতিবার, ০২ মার্চ ২০২৩

গত বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে ২৭ জন শিক্ষার্থী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ‘স্টুডেন্টস অ্যাগেইনেস্ট টর্চার-স্যাট’ নামক শিক্ষার্থীভিত্তিক একটি মানবাধিকার সংগঠন এ তথ্য দিয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে সংগঠনটি এই সমীক্ষা করেছে বলে জানিয়েছে। তারা বলছে, নির্যাততিত শিক্ষার্থীর প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হবে। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ই নয়- দেশের আরও অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েই শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে অভিযোগের আঙুল ওঠে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে। মাত্রই কয়েকদিন আগে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থী নির্যাতিত হয়েছে। সেখানকার ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মী এর সঙ্গে জড়িত ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হলগুলোর গেস্টরুমে নির্যাতনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে। বলা হয়, বাস্তবে গেস্টরুম নির্যাতনের যত ঘটনা ঘটে প্রকাশ পায় তার চেয়ে অনেক কম।

প্রশ্ন হচ্ছে, গেস্টরুমে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা প্রতিকারের দায়িত্ব কারো আছে কিনা, থাকলে তারা সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে কিনা। অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নির্যাতনের ঘটনা জেনেও অনেক সময় না জানার ভান করে, এর বিরুদ্ধে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না। কখনো কখনো কোনো কোনো ঘটনায় হৈচৈ হলে নামমাত্র ব্যবস্থা নেয়া হয়। যে কারণে এই অপসংস্কৃতি বন্ধ করা যাচ্ছে না।

প্রশ্ন হচ্ছে, নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোন ব্যবস্থা না নেয়ার কারণ কী। গেস্টরুম নির্যাতন করে কারা সেটা কারো অজান নয়। সাধারণত ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন নির্যাতকের ভূমিকা পালন করে। যে কারণে নির্যাতকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন উচ্চবাচ্য করে না।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি নির্যাতনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয় তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূর হবে না। প্রশাসনকে নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়াতে হবে। গেস্টরুম নির্যাতনের অপসংস্কৃতির অবসান ঘটাতে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। যেকোন মূল্যে আবাসিক হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।

back to top