আদালতে দ্রুত বিচারকাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বিচারকের সংখ্যা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। গত বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির ২৭তম বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে এ সুপারিশ করা হয়। দেশের আদালতগুলোতে মামলা জট রয়েছে। মামলাজট কমানোর লক্ষ্যে সংসদীয় কমিটি এই সুপারিশ করেছে।
মামলা জট দেশের দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত সমস্যা। এর আগে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে আইনমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের আদালতে বিচারাধীন রয়েছে ৪০ লাখ ৪ হাজার ৭টি মামলা। এক হিসাব অনুযায়ী, দেশে প্রতি এক লাখ মানুষের জন্য বিচারক রয়েছেন মাত্র একজন। অথচ প্রতিবেশী ভারতে ৫০ হাজার জনে একজন বিচারক রয়েছেন। উন্নত দেশগুলোতে জনসংখ্যা অনুপাতে বিচারকের সংখ্যা আরো বেশি।
গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আপিল বিভাগে প্রায় ২৩ হাজার মামলার বিপরীতে সাতজন, হাইকোর্ট বিভাগে পাঁচ লাখ মামলার বিপরীতে ৯৭ জন এবং অধস্তন আদালতে ৩১ লাখেরও বেশি মামলার বিপরীতে এক হাজার ৯৬৭ জন বিচারক রয়েছেন। এই পরিসংখ্যান থেকে ধারণা করা যায় যে, জনসংখ্যা বা বিচারাধীন মামলার তুলনায় বিচারকের সংখ্যা অনেক কম।
বিচারক সংকটের কারণে অনেক মামলার বিচার যথাসময়ে সম্পন্ন করা যাচ্ছে না। বিচার বিলম্বিত হলে বিচারপ্রার্থীদের নানান ভোগান্তি পোহাতে হয়। এর সাথে সাথে তাদের খরচও বাড়ে। বিচার চলাকালীন সময়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরকে মানসিক যন্ত্রণা সইতে হয়। বিবাদী ও সাক্ষীরাও নানান অসুবিধার সম্মুখীন হন।
বিচারপ্রার্থীরা আদালতের দুয়ারে এসে কোন কারণে ফিরে যাবেন, এমনটা কাম্য নয়। মানুষের ভোগান্তি কমিয়ে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করতে হলে আদালতগুলোতে প্রয়োজনীয়সংখ্যক বিচারক নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। মামলার দীর্ঘসূত্রিতা কমিয়ে দ্রুততম সময়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার কথা অতীতে বহুবার বলছে সরকার।
দেশে লাখ লাখ মামলা একদিনে জট পাকায়নি। যেসব কারণে মামলা জট পাকায় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আদালতগুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিচারক না থাকা। দেশের আদালতগুলোতে বিচারকদের শূন্য পদগুলোতে দ্রুত সময়ের মধ্যে পদায়ন করা জরুরি। আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সংসদীয় কমিটির সুপারিশ আমলে নেবে। বিচারক সংকট দূর করা না গেলে মামলাজট কমানো যাবে না, মানুষের ভোগান্তিও কমবে না।
শুক্রবার, ০৩ মার্চ ২০২৩
আদালতে দ্রুত বিচারকাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বিচারকের সংখ্যা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। গত বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির ২৭তম বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে এ সুপারিশ করা হয়। দেশের আদালতগুলোতে মামলা জট রয়েছে। মামলাজট কমানোর লক্ষ্যে সংসদীয় কমিটি এই সুপারিশ করেছে।
মামলা জট দেশের দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত সমস্যা। এর আগে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে আইনমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের আদালতে বিচারাধীন রয়েছে ৪০ লাখ ৪ হাজার ৭টি মামলা। এক হিসাব অনুযায়ী, দেশে প্রতি এক লাখ মানুষের জন্য বিচারক রয়েছেন মাত্র একজন। অথচ প্রতিবেশী ভারতে ৫০ হাজার জনে একজন বিচারক রয়েছেন। উন্নত দেশগুলোতে জনসংখ্যা অনুপাতে বিচারকের সংখ্যা আরো বেশি।
গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আপিল বিভাগে প্রায় ২৩ হাজার মামলার বিপরীতে সাতজন, হাইকোর্ট বিভাগে পাঁচ লাখ মামলার বিপরীতে ৯৭ জন এবং অধস্তন আদালতে ৩১ লাখেরও বেশি মামলার বিপরীতে এক হাজার ৯৬৭ জন বিচারক রয়েছেন। এই পরিসংখ্যান থেকে ধারণা করা যায় যে, জনসংখ্যা বা বিচারাধীন মামলার তুলনায় বিচারকের সংখ্যা অনেক কম।
বিচারক সংকটের কারণে অনেক মামলার বিচার যথাসময়ে সম্পন্ন করা যাচ্ছে না। বিচার বিলম্বিত হলে বিচারপ্রার্থীদের নানান ভোগান্তি পোহাতে হয়। এর সাথে সাথে তাদের খরচও বাড়ে। বিচার চলাকালীন সময়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরকে মানসিক যন্ত্রণা সইতে হয়। বিবাদী ও সাক্ষীরাও নানান অসুবিধার সম্মুখীন হন।
বিচারপ্রার্থীরা আদালতের দুয়ারে এসে কোন কারণে ফিরে যাবেন, এমনটা কাম্য নয়। মানুষের ভোগান্তি কমিয়ে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করতে হলে আদালতগুলোতে প্রয়োজনীয়সংখ্যক বিচারক নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। মামলার দীর্ঘসূত্রিতা কমিয়ে দ্রুততম সময়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার কথা অতীতে বহুবার বলছে সরকার।
দেশে লাখ লাখ মামলা একদিনে জট পাকায়নি। যেসব কারণে মামলা জট পাকায় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আদালতগুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিচারক না থাকা। দেশের আদালতগুলোতে বিচারকদের শূন্য পদগুলোতে দ্রুত সময়ের মধ্যে পদায়ন করা জরুরি। আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সংসদীয় কমিটির সুপারিশ আমলে নেবে। বিচারক সংকট দূর করা না গেলে মামলাজট কমানো যাবে না, মানুষের ভোগান্তিও কমবে না।