alt

সম্পাদকীয়

প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিচারক নিয়োগ দিন

: শুক্রবার, ০৩ মার্চ ২০২৩

আদালতে দ্রুত বিচারকাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বিচারকের সংখ্যা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। গত বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির ২৭তম বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে এ সুপারিশ করা হয়। দেশের আদালতগুলোতে মামলা জট রয়েছে। মামলাজট কমানোর লক্ষ্যে সংসদীয় কমিটি এই সুপারিশ করেছে।

মামলা জট দেশের দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত সমস্যা। এর আগে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে আইনমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের আদালতে বিচারাধীন রয়েছে ৪০ লাখ ৪ হাজার ৭টি মামলা। এক হিসাব অনুযায়ী, দেশে প্রতি এক লাখ মানুষের জন্য বিচারক রয়েছেন মাত্র একজন। অথচ প্রতিবেশী ভারতে ৫০ হাজার জনে একজন বিচারক রয়েছেন। উন্নত দেশগুলোতে জনসংখ্যা অনুপাতে বিচারকের সংখ্যা আরো বেশি।

গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আপিল বিভাগে প্রায় ২৩ হাজার মামলার বিপরীতে সাতজন, হাইকোর্ট বিভাগে পাঁচ লাখ মামলার বিপরীতে ৯৭ জন এবং অধস্তন আদালতে ৩১ লাখেরও বেশি মামলার বিপরীতে এক হাজার ৯৬৭ জন বিচারক রয়েছেন। এই পরিসংখ্যান থেকে ধারণা করা যায় যে, জনসংখ্যা বা বিচারাধীন মামলার তুলনায় বিচারকের সংখ্যা অনেক কম।

বিচারক সংকটের কারণে অনেক মামলার বিচার যথাসময়ে সম্পন্ন করা যাচ্ছে না। বিচার বিলম্বিত হলে বিচারপ্রার্থীদের নানান ভোগান্তি পোহাতে হয়। এর সাথে সাথে তাদের খরচও বাড়ে। বিচার চলাকালীন সময়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরকে মানসিক যন্ত্রণা সইতে হয়। বিবাদী ও সাক্ষীরাও নানান অসুবিধার সম্মুখীন হন।

বিচারপ্রার্থীরা আদালতের দুয়ারে এসে কোন কারণে ফিরে যাবেন, এমনটা কাম্য নয়। মানুষের ভোগান্তি কমিয়ে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করতে হলে আদালতগুলোতে প্রয়োজনীয়সংখ্যক বিচারক নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। মামলার দীর্ঘসূত্রিতা কমিয়ে দ্রুততম সময়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার কথা অতীতে বহুবার বলছে সরকার।

দেশে লাখ লাখ মামলা একদিনে জট পাকায়নি। যেসব কারণে মামলা জট পাকায় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আদালতগুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিচারক না থাকা। দেশের আদালতগুলোতে বিচারকদের শূন্য পদগুলোতে দ্রুত সময়ের মধ্যে পদায়ন করা জরুরি। আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সংসদীয় কমিটির সুপারিশ আমলে নেবে। বিচারক সংকট দূর করা না গেলে মামলাজট কমানো যাবে না, মানুষের ভোগান্তিও কমবে না।

যক্ষ্মা নির্মূলে কাজ করে যেতে হবে

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী হামলা

লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চাই

সোহাগী হত্যার তদন্ত কবে শেষ হবে

আসন্ন বর্ষায় চট্টগ্রাম নগরে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা

সুপেয় পানির সংকট প্রসঙ্গে

লালমোহন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপারেশন থিয়েটার চালু করা হোক

আবার সড়ক দুর্ঘটনা, আবার মৃত্যু

চরের শিশুদের শিক্ষার পথের বাধা দূর করুন

সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার, এই ধারা অব্যাহত থাকুক

নদী খননে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে চাই শক্তিশালী বাজার ব্যবস্থাপনা

বিল ভরাট বন্ধ করুন

বরন্দ্রে অঞ্চলে পানি সংকট

শকুন রক্ষায় তৎপর হতে হবে

সুনামগঞ্জে বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

শিশুর অপুষ্টি চিকিৎসায় অবহেলা কাম্য নয়

গ্যাস জমে ভবন বিস্ফোরণ ও তিতাসের দায়

নিষিদ্ধ নোট-গাইড বই বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপ নিন

চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘব করুন

বড়খালের বাসিন্দাদের যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

বন রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ময়ূর নদ খননে সব বাধা দূর করুন

বন্যপ্রাণী পাচার বন্ধে কঠোর হোন

দেলুয়াবাড়ী চরের কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করুন

দুর্ঘটনা মোকাবিলায় ঘাটতি কোথায়

সুন্দরগঞ্জের সাব-প্রাণিসম্পদ কল্যাণ কেন্দ্রটির সংকট নিরসন করুন

বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীদের পাঠযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করুন

জেলেদের মাঝে চাল বিতরণে অনিয়মের প্রতিকার করুন

দূর হোক মজুরি বৈষম্য

নির্ধারিত সময়ে হাওরের বাঁধ নির্মাণ করা হয় না কেন

রাজধানীতে ভবন বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে

রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে অগ্নিকান্ড প্রসঙ্গে

সীতাকুণ্ডে আরেকটি ট্র্যাজেডি

পঞ্চগড়ে সাম্প্রদায়িক হামলা প্রশাসনের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি মিলবে কীভাবে

tab

সম্পাদকীয়

প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিচারক নিয়োগ দিন

শুক্রবার, ০৩ মার্চ ২০২৩

আদালতে দ্রুত বিচারকাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বিচারকের সংখ্যা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। গত বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির ২৭তম বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে এ সুপারিশ করা হয়। দেশের আদালতগুলোতে মামলা জট রয়েছে। মামলাজট কমানোর লক্ষ্যে সংসদীয় কমিটি এই সুপারিশ করেছে।

মামলা জট দেশের দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত সমস্যা। এর আগে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে আইনমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের আদালতে বিচারাধীন রয়েছে ৪০ লাখ ৪ হাজার ৭টি মামলা। এক হিসাব অনুযায়ী, দেশে প্রতি এক লাখ মানুষের জন্য বিচারক রয়েছেন মাত্র একজন। অথচ প্রতিবেশী ভারতে ৫০ হাজার জনে একজন বিচারক রয়েছেন। উন্নত দেশগুলোতে জনসংখ্যা অনুপাতে বিচারকের সংখ্যা আরো বেশি।

গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আপিল বিভাগে প্রায় ২৩ হাজার মামলার বিপরীতে সাতজন, হাইকোর্ট বিভাগে পাঁচ লাখ মামলার বিপরীতে ৯৭ জন এবং অধস্তন আদালতে ৩১ লাখেরও বেশি মামলার বিপরীতে এক হাজার ৯৬৭ জন বিচারক রয়েছেন। এই পরিসংখ্যান থেকে ধারণা করা যায় যে, জনসংখ্যা বা বিচারাধীন মামলার তুলনায় বিচারকের সংখ্যা অনেক কম।

বিচারক সংকটের কারণে অনেক মামলার বিচার যথাসময়ে সম্পন্ন করা যাচ্ছে না। বিচার বিলম্বিত হলে বিচারপ্রার্থীদের নানান ভোগান্তি পোহাতে হয়। এর সাথে সাথে তাদের খরচও বাড়ে। বিচার চলাকালীন সময়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরকে মানসিক যন্ত্রণা সইতে হয়। বিবাদী ও সাক্ষীরাও নানান অসুবিধার সম্মুখীন হন।

বিচারপ্রার্থীরা আদালতের দুয়ারে এসে কোন কারণে ফিরে যাবেন, এমনটা কাম্য নয়। মানুষের ভোগান্তি কমিয়ে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করতে হলে আদালতগুলোতে প্রয়োজনীয়সংখ্যক বিচারক নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। মামলার দীর্ঘসূত্রিতা কমিয়ে দ্রুততম সময়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার কথা অতীতে বহুবার বলছে সরকার।

দেশে লাখ লাখ মামলা একদিনে জট পাকায়নি। যেসব কারণে মামলা জট পাকায় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আদালতগুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিচারক না থাকা। দেশের আদালতগুলোতে বিচারকদের শূন্য পদগুলোতে দ্রুত সময়ের মধ্যে পদায়ন করা জরুরি। আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সংসদীয় কমিটির সুপারিশ আমলে নেবে। বিচারক সংকট দূর করা না গেলে মামলাজট কমানো যাবে না, মানুষের ভোগান্তিও কমবে না।

back to top