পুরুষ শ্রমিকদের মতো সমান শ্রম দিয়েও গাইবান্ধার নারী শ্রমিকরা কম মজুরি পাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গাইবান্ধা সদর উপজেলার রেস্টুরেন্টে কাজ করে একজন নারী শ্রমিক তার পুরুষ সহকর্মীর তুলনায় দিনে ৫০ টাকা কম মজুরি পাচ্ছেন।
ইটভাটায় কর্মরত নারীদের মজুরি বৈষম্য আরও বেশি। সেখানে নারী শ্রমিকরা একই কাজের জন্য পুরুষদের অর্ধেক মজুরি পান। মজুর বৈষম্যের শিকার হলেও এর বিরুদ্ধে তারা কথা বলতে পারেন না। তাতে কাজ হারাবার আশঙ্কা থাকে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
গাইবান্ধার মতো দেশের অনেক এলাকাতেই মজুরি বৈষম্য রয়েছে। আর এর মূল শিকার হচ্ছেন নারী শ্রমিকরা। বিশেষ করে অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত নারীরা তাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। নারী শ্রমিকরা তাদের পুরুষ সহকর্মীর তুলনায় কম কাজ করেন না। কাজে তাদের দক্ষতা নিয়েও কোনো প্রশ্ন নেই। একই কাজ একই সময় ধরে করছেন কিন্তু পুরুষের তুলনায় নারীরা মজুরি পাচ্ছেন কম। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে তারা কথাও বলতে পারেন না। কথা বললে যে প্রতিকার মেলে তাও নয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে অনানুষ্ঠানিক খাতে মজুরি বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করেছে। শ্রম খাতে নারী-পুরষের সক্ষমতা বা দক্ষতায় ব্যবধান নেই। নারীরা সমান তালে সমান দক্ষতায় কাজ করছেন। কোনো কোনো সেক্টরে নারী শ্রমিকদেরই বেশি পরিশ্রম করতে হয়। এরপরও সংশ্লিষ্ট মালিকরা নারীদের প্রাপ্য মজুরি দেন না।
দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নকে টেকসই করতে হলে মজুরি বৈষ্যম দূর করতে হবে। নারী শ্রমিকদের আর্থিকবঞ্চনার নিরসন ঘটাতে হবে। নারী শ্রমিকদের বঞ্চিত করে দেশের প্রকৃত উন্নতি নিশ্চিত করা যাবে না। আমরা মজুরি-বৈষম্যমুক্ত সমাজ দেখতে চাই।
নারী শ্রমিককে তার ন্যায্য পাওনা দেয়া হচ্ছে কিনা সেটা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের দায়িত্ব রয়েছে। কারণ সংবিধানের মৌলিক অধিকার অংশে অনুচ্ছেদ ২৮ এ বলা আছে, ‘রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী-পুরুষের সমান অধিকার লাভ করবে।’
নারী শ্রমিকের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিতেও ইতিবাচক পরিবর্তন আনা দরকার। বিশেষ করে অনানুষ্ঠানিক খাতের মালিকশ্রেণীর মনোভাব বদলাতে হবে। এজন্য প্রয়োজনে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ০৯ মার্চ ২০২৩
পুরুষ শ্রমিকদের মতো সমান শ্রম দিয়েও গাইবান্ধার নারী শ্রমিকরা কম মজুরি পাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গাইবান্ধা সদর উপজেলার রেস্টুরেন্টে কাজ করে একজন নারী শ্রমিক তার পুরুষ সহকর্মীর তুলনায় দিনে ৫০ টাকা কম মজুরি পাচ্ছেন।
ইটভাটায় কর্মরত নারীদের মজুরি বৈষম্য আরও বেশি। সেখানে নারী শ্রমিকরা একই কাজের জন্য পুরুষদের অর্ধেক মজুরি পান। মজুর বৈষম্যের শিকার হলেও এর বিরুদ্ধে তারা কথা বলতে পারেন না। তাতে কাজ হারাবার আশঙ্কা থাকে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
গাইবান্ধার মতো দেশের অনেক এলাকাতেই মজুরি বৈষম্য রয়েছে। আর এর মূল শিকার হচ্ছেন নারী শ্রমিকরা। বিশেষ করে অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত নারীরা তাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। নারী শ্রমিকরা তাদের পুরুষ সহকর্মীর তুলনায় কম কাজ করেন না। কাজে তাদের দক্ষতা নিয়েও কোনো প্রশ্ন নেই। একই কাজ একই সময় ধরে করছেন কিন্তু পুরুষের তুলনায় নারীরা মজুরি পাচ্ছেন কম। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে তারা কথাও বলতে পারেন না। কথা বললে যে প্রতিকার মেলে তাও নয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে অনানুষ্ঠানিক খাতে মজুরি বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করেছে। শ্রম খাতে নারী-পুরষের সক্ষমতা বা দক্ষতায় ব্যবধান নেই। নারীরা সমান তালে সমান দক্ষতায় কাজ করছেন। কোনো কোনো সেক্টরে নারী শ্রমিকদেরই বেশি পরিশ্রম করতে হয়। এরপরও সংশ্লিষ্ট মালিকরা নারীদের প্রাপ্য মজুরি দেন না।
দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নকে টেকসই করতে হলে মজুরি বৈষ্যম দূর করতে হবে। নারী শ্রমিকদের আর্থিকবঞ্চনার নিরসন ঘটাতে হবে। নারী শ্রমিকদের বঞ্চিত করে দেশের প্রকৃত উন্নতি নিশ্চিত করা যাবে না। আমরা মজুরি-বৈষম্যমুক্ত সমাজ দেখতে চাই।
নারী শ্রমিককে তার ন্যায্য পাওনা দেয়া হচ্ছে কিনা সেটা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের দায়িত্ব রয়েছে। কারণ সংবিধানের মৌলিক অধিকার অংশে অনুচ্ছেদ ২৮ এ বলা আছে, ‘রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী-পুরুষের সমান অধিকার লাভ করবে।’
নারী শ্রমিকের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিতেও ইতিবাচক পরিবর্তন আনা দরকার। বিশেষ করে অনানুষ্ঠানিক খাতের মালিকশ্রেণীর মনোভাব বদলাতে হবে। এজন্য প্রয়োজনে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।