alt

সম্পাদকীয়

দূর হোক মজুরি বৈষম্য

: বৃহস্পতিবার, ০৯ মার্চ ২০২৩

পুরুষ শ্রমিকদের মতো সমান শ্রম দিয়েও গাইবান্ধার নারী শ্রমিকরা কম মজুরি পাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গাইবান্ধা সদর উপজেলার রেস্টুরেন্টে কাজ করে একজন নারী শ্রমিক তার পুরুষ সহকর্মীর তুলনায় দিনে ৫০ টাকা কম মজুরি পাচ্ছেন।

ইটভাটায় কর্মরত নারীদের মজুরি বৈষম্য আরও বেশি। সেখানে নারী শ্রমিকরা একই কাজের জন্য পুরুষদের অর্ধেক মজুরি পান। মজুর বৈষম্যের শিকার হলেও এর বিরুদ্ধে তারা কথা বলতে পারেন না। তাতে কাজ হারাবার আশঙ্কা থাকে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

গাইবান্ধার মতো দেশের অনেক এলাকাতেই মজুরি বৈষম্য রয়েছে। আর এর মূল শিকার হচ্ছেন নারী শ্রমিকরা। বিশেষ করে অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত নারীরা তাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। নারী শ্রমিকরা তাদের পুরুষ সহকর্মীর তুলনায় কম কাজ করেন না। কাজে তাদের দক্ষতা নিয়েও কোনো প্রশ্ন নেই। একই কাজ একই সময় ধরে করছেন কিন্তু পুরুষের তুলনায় নারীরা মজুরি পাচ্ছেন কম। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে তারা কথাও বলতে পারেন না। কথা বললে যে প্রতিকার মেলে তাও নয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে অনানুষ্ঠানিক খাতে মজুরি বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করেছে। শ্রম খাতে নারী-পুরষের সক্ষমতা বা দক্ষতায় ব্যবধান নেই। নারীরা সমান তালে সমান দক্ষতায় কাজ করছেন। কোনো কোনো সেক্টরে নারী শ্রমিকদেরই বেশি পরিশ্রম করতে হয়। এরপরও সংশ্লিষ্ট মালিকরা নারীদের প্রাপ্য মজুরি দেন না।

দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নকে টেকসই করতে হলে মজুরি বৈষ্যম দূর করতে হবে। নারী শ্রমিকদের আর্থিকবঞ্চনার নিরসন ঘটাতে হবে। নারী শ্রমিকদের বঞ্চিত করে দেশের প্রকৃত উন্নতি নিশ্চিত করা যাবে না। আমরা মজুরি-বৈষম্যমুক্ত সমাজ দেখতে চাই।

নারী শ্রমিককে তার ন্যায্য পাওনা দেয়া হচ্ছে কিনা সেটা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের দায়িত্ব রয়েছে। কারণ সংবিধানের মৌলিক অধিকার অংশে অনুচ্ছেদ ২৮ এ বলা আছে, ‘রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী-পুরুষের সমান অধিকার লাভ করবে।’

নারী শ্রমিকের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিতেও ইতিবাচক পরিবর্তন আনা দরকার। বিশেষ করে অনানুষ্ঠানিক খাতের মালিকশ্রেণীর মনোভাব বদলাতে হবে। এজন্য প্রয়োজনে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

দূর হোক মজুরি বৈষম্য

বৃহস্পতিবার, ০৯ মার্চ ২০২৩

পুরুষ শ্রমিকদের মতো সমান শ্রম দিয়েও গাইবান্ধার নারী শ্রমিকরা কম মজুরি পাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গাইবান্ধা সদর উপজেলার রেস্টুরেন্টে কাজ করে একজন নারী শ্রমিক তার পুরুষ সহকর্মীর তুলনায় দিনে ৫০ টাকা কম মজুরি পাচ্ছেন।

ইটভাটায় কর্মরত নারীদের মজুরি বৈষম্য আরও বেশি। সেখানে নারী শ্রমিকরা একই কাজের জন্য পুরুষদের অর্ধেক মজুরি পান। মজুর বৈষম্যের শিকার হলেও এর বিরুদ্ধে তারা কথা বলতে পারেন না। তাতে কাজ হারাবার আশঙ্কা থাকে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

গাইবান্ধার মতো দেশের অনেক এলাকাতেই মজুরি বৈষম্য রয়েছে। আর এর মূল শিকার হচ্ছেন নারী শ্রমিকরা। বিশেষ করে অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত নারীরা তাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। নারী শ্রমিকরা তাদের পুরুষ সহকর্মীর তুলনায় কম কাজ করেন না। কাজে তাদের দক্ষতা নিয়েও কোনো প্রশ্ন নেই। একই কাজ একই সময় ধরে করছেন কিন্তু পুরুষের তুলনায় নারীরা মজুরি পাচ্ছেন কম। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে তারা কথাও বলতে পারেন না। কথা বললে যে প্রতিকার মেলে তাও নয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে অনানুষ্ঠানিক খাতে মজুরি বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করেছে। শ্রম খাতে নারী-পুরষের সক্ষমতা বা দক্ষতায় ব্যবধান নেই। নারীরা সমান তালে সমান দক্ষতায় কাজ করছেন। কোনো কোনো সেক্টরে নারী শ্রমিকদেরই বেশি পরিশ্রম করতে হয়। এরপরও সংশ্লিষ্ট মালিকরা নারীদের প্রাপ্য মজুরি দেন না।

দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নকে টেকসই করতে হলে মজুরি বৈষ্যম দূর করতে হবে। নারী শ্রমিকদের আর্থিকবঞ্চনার নিরসন ঘটাতে হবে। নারী শ্রমিকদের বঞ্চিত করে দেশের প্রকৃত উন্নতি নিশ্চিত করা যাবে না। আমরা মজুরি-বৈষম্যমুক্ত সমাজ দেখতে চাই।

নারী শ্রমিককে তার ন্যায্য পাওনা দেয়া হচ্ছে কিনা সেটা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের দায়িত্ব রয়েছে। কারণ সংবিধানের মৌলিক অধিকার অংশে অনুচ্ছেদ ২৮ এ বলা আছে, ‘রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী-পুরুষের সমান অধিকার লাভ করবে।’

নারী শ্রমিকের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিতেও ইতিবাচক পরিবর্তন আনা দরকার। বিশেষ করে অনানুষ্ঠানিক খাতের মালিকশ্রেণীর মনোভাব বদলাতে হবে। এজন্য প্রয়োজনে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

back to top