alt

সম্পাদকীয়

বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীদের পাঠযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করুন

: শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০২৩

বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৯৩ সালে। এরপর কেটে গেছে তিন দশক। এই সময়ের মধ্যে বিদ্যালয়টি জরাজীর্ণই হয়েছে শুধু। বিদ্যালয়ের ভবনের দেয়ালে ফাটল ধরেছে, দরজা-জানালা খুলে পড়েছে। করা হয়নি কোনো সংস্কার। শ্রেণীকক্ষে চেয়ার-টেবিল ও বেঞ্চের সংকট রয়েছে। সুপেয় পানির অভাব ও ভঙ্গুর শৌচাগারের কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পোহাতে হয় দুর্ভোগ।

উন্নয়নবঞ্চিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি হচ্ছে যশোরের কেশবপুরে রেজাকাটি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অভিযোগ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে দুইবার ভবন বরাদ্দ হলেও শেষ সময়ে বরাদ্দ বাতিল হয়ে যায়। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বছরের পর বছর ধরে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পাঠগ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছে। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে না। কারো উদাসীনতা-অবহেলার কারণে শিক্ষার্থীরা প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে সেটা হতে পারে না।

বিদ্যালয়ের ভবন জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি নিয়ে সেখানে পাঠগ্রহণ করতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা কেন দুর্ভোগ পোহাবে, তারা কেন পড়ালেখার নিরাপদ পরিবেশ পাবে না সেটা আমরা জানতে চাইব। স্বাস্থ্যকর পরিবেশে পাঠগ্রহণ করবার অধিকার তাদের রয়েছে। তাদের এই অধিকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উপেক্ষা করতে পারে না।

আমরা বলতে চাই, দ্রুত ওই বিদ্যালয়ের ভবন সংস্কার বা নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হোক। সেখানে পাঠরত শিক্ষার্থীদের যাবতীয় অসুবিধা দূর করতে হবে। শ্রেণীকক্ষে প্রয়োজনীয় বেঞ্চ ও অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ করতে হবে। তাদের সুপেয় পানির সংকট অবিলম্বে দূর করতে হবে। খাবার পানির সংকট সংশ্লিষ্টরা উপেক্ষা করে কিভাবে সেটা আমাদের বোধগম্য নয়। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগারের ব্যবস্থাও করতে হবে।

শিক্ষা খাতে সরকার অনেক বিনিয়োগ করেছে। বিশেষকরে অবকাঠামো নির্মাণে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। এত অগ্রগতি-উন্নতির মধ্যে যশোরে একটি বিদ্যালয় জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে কেন সেই প্রশ্ন আমরা করতে চাই। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অভিযোগ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে দুইবার ভবন বরাদ্দ হলেও শেষ সময়ে বরাদ্দ বাতিল হয়ে যায়। এই অভিযোগ আমলে নিতে হবে এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

খুলনায় সেতু নির্মাণের কাজ দ্রুত শেষ করুন

রেলওয়ের জমি দখলমুক্ত হোক

করতোয়ার পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক করতে পদক্ষেপ নিন

ব্রয়লার মুরগির দাম প্রসঙ্গে

যক্ষ্মা নির্মূলে কাজ করে যেতে হবে

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী হামলা

লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চাই

সোহাগী হত্যার তদন্ত কবে শেষ হবে

আসন্ন বর্ষায় চট্টগ্রাম নগরে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা

সুপেয় পানির সংকট প্রসঙ্গে

লালমোহন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপারেশন থিয়েটার চালু করা হোক

আবার সড়ক দুর্ঘটনা, আবার মৃত্যু

চরের শিশুদের শিক্ষার পথের বাধা দূর করুন

সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার, এই ধারা অব্যাহত থাকুক

নদী খননে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে চাই শক্তিশালী বাজার ব্যবস্থাপনা

বিল ভরাট বন্ধ করুন

বরন্দ্রে অঞ্চলে পানি সংকট

শকুন রক্ষায় তৎপর হতে হবে

সুনামগঞ্জে বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

শিশুর অপুষ্টি চিকিৎসায় অবহেলা কাম্য নয়

গ্যাস জমে ভবন বিস্ফোরণ ও তিতাসের দায়

নিষিদ্ধ নোট-গাইড বই বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপ নিন

চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘব করুন

বড়খালের বাসিন্দাদের যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

বন রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ময়ূর নদ খননে সব বাধা দূর করুন

বন্যপ্রাণী পাচার বন্ধে কঠোর হোন

দেলুয়াবাড়ী চরের কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করুন

দুর্ঘটনা মোকাবিলায় ঘাটতি কোথায়

সুন্দরগঞ্জের সাব-প্রাণিসম্পদ কল্যাণ কেন্দ্রটির সংকট নিরসন করুন

জেলেদের মাঝে চাল বিতরণে অনিয়মের প্রতিকার করুন

দূর হোক মজুরি বৈষম্য

নির্ধারিত সময়ে হাওরের বাঁধ নির্মাণ করা হয় না কেন

রাজধানীতে ভবন বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে

রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে অগ্নিকান্ড প্রসঙ্গে

tab

সম্পাদকীয়

বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীদের পাঠযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করুন

শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০২৩

বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৯৩ সালে। এরপর কেটে গেছে তিন দশক। এই সময়ের মধ্যে বিদ্যালয়টি জরাজীর্ণই হয়েছে শুধু। বিদ্যালয়ের ভবনের দেয়ালে ফাটল ধরেছে, দরজা-জানালা খুলে পড়েছে। করা হয়নি কোনো সংস্কার। শ্রেণীকক্ষে চেয়ার-টেবিল ও বেঞ্চের সংকট রয়েছে। সুপেয় পানির অভাব ও ভঙ্গুর শৌচাগারের কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পোহাতে হয় দুর্ভোগ।

উন্নয়নবঞ্চিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি হচ্ছে যশোরের কেশবপুরে রেজাকাটি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অভিযোগ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে দুইবার ভবন বরাদ্দ হলেও শেষ সময়ে বরাদ্দ বাতিল হয়ে যায়। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বছরের পর বছর ধরে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পাঠগ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছে। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে না। কারো উদাসীনতা-অবহেলার কারণে শিক্ষার্থীরা প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে সেটা হতে পারে না।

বিদ্যালয়ের ভবন জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি নিয়ে সেখানে পাঠগ্রহণ করতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা কেন দুর্ভোগ পোহাবে, তারা কেন পড়ালেখার নিরাপদ পরিবেশ পাবে না সেটা আমরা জানতে চাইব। স্বাস্থ্যকর পরিবেশে পাঠগ্রহণ করবার অধিকার তাদের রয়েছে। তাদের এই অধিকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উপেক্ষা করতে পারে না।

আমরা বলতে চাই, দ্রুত ওই বিদ্যালয়ের ভবন সংস্কার বা নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হোক। সেখানে পাঠরত শিক্ষার্থীদের যাবতীয় অসুবিধা দূর করতে হবে। শ্রেণীকক্ষে প্রয়োজনীয় বেঞ্চ ও অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ করতে হবে। তাদের সুপেয় পানির সংকট অবিলম্বে দূর করতে হবে। খাবার পানির সংকট সংশ্লিষ্টরা উপেক্ষা করে কিভাবে সেটা আমাদের বোধগম্য নয়। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগারের ব্যবস্থাও করতে হবে।

শিক্ষা খাতে সরকার অনেক বিনিয়োগ করেছে। বিশেষকরে অবকাঠামো নির্মাণে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। এত অগ্রগতি-উন্নতির মধ্যে যশোরে একটি বিদ্যালয় জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে কেন সেই প্রশ্ন আমরা করতে চাই। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অভিযোগ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে দুইবার ভবন বরাদ্দ হলেও শেষ সময়ে বরাদ্দ বাতিল হয়ে যায়। এই অভিযোগ আমলে নিতে হবে এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top