alt

সম্পাদকীয়

বন্যপ্রাণী পাচার বন্ধে কঠোর হোন

: রোববার, ১২ মার্চ ২০২৩

দেশের বনভূমিগুলোতে বন্যপ্রাণী হত্যা ও পাচার বেড়েছে। বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরাই বলছেন এমন কথা। বন্যপ্রাণী যেমন পাচার হচ্ছে তেমন দেশের ভেতরও বেচাকেনা হচ্ছে। দেশের ১৩টি জেলায় বন্যপ্রাণী বেচাকেনা হয় প্রকাশ্যেই। ‘এক্সপ্লোরিং মার্কেট-বেইজড ওয়াইল্ড লাইফ ট্রেড ডাইনামিকস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য। গবেষণাটি হয়েছে যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বাংলাদেশ অনেক আগেই বন্যপ্রাণী পাচারের আন্তর্জাতিক চক্রের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশকে বন্যপ্রাণী পাচারের রুট হিসেবেও ব্যবহার করছে তারা। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা অতীতেও এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। নানান কৌশলে বন্যপ্রাণী শিকার ও পাচার করেছে বিভিন্ন চক্র। চোর শিকারিরা ছদ্মবেশে বনে ঢুকছে। খাবারে বিষ বা ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে, ফাঁদ পেতে, গুলি করে প্রভৃতি উপায়ে প্রাণী হত্যা বা শিকার করছে। পাচারবাণিজ্য দিন দিন বিস্তৃত হচ্ছে।

সাধারণভাবে ধারণা করা হয়, দেশ থেকে পাচার হওয়া বন্যপ্রাণীদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশের উৎস সুন্দরবন। বাস্তবতা হচ্ছে, দেশের অন্যান্য বন থেকেও প্রাণী শিকার ও পাচার করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময় জীবিত বা মৃত বন্যপ্রাণী পাচারকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করে। বিক্রেতা ও ক্রেতাকে জেল-জরিমানা করার বিধান সংশ্লিষ্ট আইনেই রয়েছে। জরুরি হচ্ছে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ঘটানো। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী কখনো কখনো কারো কারো বিরুদ্ধে ববস্থাও নেয়া হয়। তবে তা শিকার বা পাচার বন্ধে যথেষ্ট প্রমাণিত হয়নি।

অভিযোগ রয়েছে, পাচারের নেপথ্যে রয়েছে যেসব গডফাদার তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয় না। বন্যপ্রাণী যারা অবৈধভাবে কেনাবেচা করে তারাও থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

পাচাররোধে যাদের ব্যবস্থা নেয়ার কথা তাদের কারো কারো সঙ্গে পাচারকারীদের সখ্য আছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। শর্ষের মধ্যে ভূত থাকলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে না। শিকার ও পাচার কার্যকরভাবে বন্ধ করতে হলে আগে শর্ষের ভূত তাড়াতে হবে। বন আদালতগুলোকে কার্যকর করতে হবে। বন্যপ্রাণী পাচার বা অবৈধ বাণিজ্যসংক্রান্ত মামলা পরিচালনায় জটিলতা দূর করাও জরুরি।

দেশের বনগুলো পাহারা দিতে হবে। সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে দুই হাজারেরও বেশি খাল রয়েছে। এসব খালকেই পাচারকারীরা নানান কৌশলে ব্যবহার করে। কিন্তু খাল পাহারা দেয়ার মতো পর্যাপ্ত জনবল নেই। জনবল সংকট দূর করা জরুরি। পাহারার কাজে নিয়োজিতদের আধুনিক সরঞ্জমাদি সরবরাহ করতে হবে। বন্যপ্রাণী পাচার চক্রকে ধ্বংস করতে যা যা করার তা করতে হবে।

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছর : মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কতটা পূরণ হলো

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

আজ সেই কালরাত্রি : গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে প্রচেষ্টা চালাতে হবে

সাতক্ষীরা হাসপাতালের ডায়ালাসিস মেশিন সংকট দূর করুন

পানি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা জরুরি

আর কত অপেক্ষার পর বিধবা ছালেহার ভাগ্যে ঘর মিলবে

tab

সম্পাদকীয়

বন্যপ্রাণী পাচার বন্ধে কঠোর হোন

রোববার, ১২ মার্চ ২০২৩

দেশের বনভূমিগুলোতে বন্যপ্রাণী হত্যা ও পাচার বেড়েছে। বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরাই বলছেন এমন কথা। বন্যপ্রাণী যেমন পাচার হচ্ছে তেমন দেশের ভেতরও বেচাকেনা হচ্ছে। দেশের ১৩টি জেলায় বন্যপ্রাণী বেচাকেনা হয় প্রকাশ্যেই। ‘এক্সপ্লোরিং মার্কেট-বেইজড ওয়াইল্ড লাইফ ট্রেড ডাইনামিকস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য। গবেষণাটি হয়েছে যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বাংলাদেশ অনেক আগেই বন্যপ্রাণী পাচারের আন্তর্জাতিক চক্রের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশকে বন্যপ্রাণী পাচারের রুট হিসেবেও ব্যবহার করছে তারা। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা অতীতেও এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। নানান কৌশলে বন্যপ্রাণী শিকার ও পাচার করেছে বিভিন্ন চক্র। চোর শিকারিরা ছদ্মবেশে বনে ঢুকছে। খাবারে বিষ বা ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে, ফাঁদ পেতে, গুলি করে প্রভৃতি উপায়ে প্রাণী হত্যা বা শিকার করছে। পাচারবাণিজ্য দিন দিন বিস্তৃত হচ্ছে।

সাধারণভাবে ধারণা করা হয়, দেশ থেকে পাচার হওয়া বন্যপ্রাণীদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশের উৎস সুন্দরবন। বাস্তবতা হচ্ছে, দেশের অন্যান্য বন থেকেও প্রাণী শিকার ও পাচার করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময় জীবিত বা মৃত বন্যপ্রাণী পাচারকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করে। বিক্রেতা ও ক্রেতাকে জেল-জরিমানা করার বিধান সংশ্লিষ্ট আইনেই রয়েছে। জরুরি হচ্ছে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ঘটানো। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী কখনো কখনো কারো কারো বিরুদ্ধে ববস্থাও নেয়া হয়। তবে তা শিকার বা পাচার বন্ধে যথেষ্ট প্রমাণিত হয়নি।

অভিযোগ রয়েছে, পাচারের নেপথ্যে রয়েছে যেসব গডফাদার তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয় না। বন্যপ্রাণী যারা অবৈধভাবে কেনাবেচা করে তারাও থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

পাচাররোধে যাদের ব্যবস্থা নেয়ার কথা তাদের কারো কারো সঙ্গে পাচারকারীদের সখ্য আছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। শর্ষের মধ্যে ভূত থাকলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে না। শিকার ও পাচার কার্যকরভাবে বন্ধ করতে হলে আগে শর্ষের ভূত তাড়াতে হবে। বন আদালতগুলোকে কার্যকর করতে হবে। বন্যপ্রাণী পাচার বা অবৈধ বাণিজ্যসংক্রান্ত মামলা পরিচালনায় জটিলতা দূর করাও জরুরি।

দেশের বনগুলো পাহারা দিতে হবে। সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে দুই হাজারেরও বেশি খাল রয়েছে। এসব খালকেই পাচারকারীরা নানান কৌশলে ব্যবহার করে। কিন্তু খাল পাহারা দেয়ার মতো পর্যাপ্ত জনবল নেই। জনবল সংকট দূর করা জরুরি। পাহারার কাজে নিয়োজিতদের আধুনিক সরঞ্জমাদি সরবরাহ করতে হবে। বন্যপ্রাণী পাচার চক্রকে ধ্বংস করতে যা যা করার তা করতে হবে।

back to top