নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বহুতল ভবনের একটি ফ্ল্যাটে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস। তিতাসের গ্যাস জমে ভবন বিস্ফোরণের অভিযোগ আগেও পাওয়া গেছে। কিছু দিন আগে রাজধানীর সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায়ও গ্যাস জমে থাকার অভিযোগ উঠেছিল। যদিও তিতাস কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এর আগে রাজধানীর মগবাজারে এ ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তখনও তিতাস কর্তৃপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করেছিল।
অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও ত্রুটিপূর্ণ লাইনের কারণে দেশে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে, জনগণের জানমালের ক্ষতি হয়। তিতাসের গ্যাস জমে থাকার কারণে বা সংযোগ লাইন ছিদ্র হয়ে নারায়াণগঞ্জে অতীতে অনেক দুর্ঘটনাই ঘটেছে। আমাদের মনে আছে, নারায়ণগঞ্জে একটি মসজিদে গ্যাস বিস্ফোরণে অনেকেই হতাহত হয়েছেন।
বিস্ফোরণের ঘটনায় কোনো অভিযোগ উঠলে সেটা তদন্তের আগেই অবৈধ সংযোগ থাকার কথা অস্বীকার করে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। অস্বীকার করা, দায় এড়ানো এটিই তাদের রুটিন ওয়ার্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ ও লিকেজের কারণে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটবে, জনগণের জানমাল ধ্বংস হবে আর তারা অস্বীকার করবে।
কোন দুর্ঘটনার পর তার দায় অস্বীকার করা বা অন্যের ঘাড়ে চাপানো দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক নয়। তিতাস কর্তৃপক্ষের দায় এড়ানো বা অস্বীকার করার এ প্রবণতা ত্যাগ করতে হবে। বরং দেশের কোথায় অবৈধ সংযোগ আছে বা কোন লাইনে ত্রুটি আছে কিনা- সেটা নিয়ে কাজ করা জরুরি। এ কাজগুলো করা হলে নারায়ণগঞ্জের দুর্ঘটনা হয়তো দেশবাসীকে দেখতে হতো না।
কিভাবে তিতাসের অবৈধ সংযোগ দেয়া হয়, এর পেছনে কারা আছে, সেগুলো খুঁজে বের করতে হবে। অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। অবৈধ গ্যাস বাণিজ্যর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। লোক দেখানো অভিযান চালালে হবে না।
বিতরণ লাইনের ত্রুটি সংস্কারের জন্য তিতাস কর্তৃপক্ষকে তৎপর হতে হবে। জানা গেছে, তিতাসের কেন্দ্রীয় জরুরি গ্যাস নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে গ্রাহকরা যত অভিযোগ করেন তার সিংহভাগই গ্যাস লিকেজ সংক্রান্ত। এসব অভিযোগ আমলে নিতে হবে। লাইনের ত্রুটি মেরামত করা না হলে ভবিষ্যতে আবারো মানুষকে দুর্ঘটনার শিকার হতে হবে।
বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বহুতল ভবনের একটি ফ্ল্যাটে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস। তিতাসের গ্যাস জমে ভবন বিস্ফোরণের অভিযোগ আগেও পাওয়া গেছে। কিছু দিন আগে রাজধানীর সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায়ও গ্যাস জমে থাকার অভিযোগ উঠেছিল। যদিও তিতাস কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এর আগে রাজধানীর মগবাজারে এ ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তখনও তিতাস কর্তৃপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করেছিল।
অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও ত্রুটিপূর্ণ লাইনের কারণে দেশে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে, জনগণের জানমালের ক্ষতি হয়। তিতাসের গ্যাস জমে থাকার কারণে বা সংযোগ লাইন ছিদ্র হয়ে নারায়াণগঞ্জে অতীতে অনেক দুর্ঘটনাই ঘটেছে। আমাদের মনে আছে, নারায়ণগঞ্জে একটি মসজিদে গ্যাস বিস্ফোরণে অনেকেই হতাহত হয়েছেন।
বিস্ফোরণের ঘটনায় কোনো অভিযোগ উঠলে সেটা তদন্তের আগেই অবৈধ সংযোগ থাকার কথা অস্বীকার করে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। অস্বীকার করা, দায় এড়ানো এটিই তাদের রুটিন ওয়ার্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ ও লিকেজের কারণে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটবে, জনগণের জানমাল ধ্বংস হবে আর তারা অস্বীকার করবে।
কোন দুর্ঘটনার পর তার দায় অস্বীকার করা বা অন্যের ঘাড়ে চাপানো দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক নয়। তিতাস কর্তৃপক্ষের দায় এড়ানো বা অস্বীকার করার এ প্রবণতা ত্যাগ করতে হবে। বরং দেশের কোথায় অবৈধ সংযোগ আছে বা কোন লাইনে ত্রুটি আছে কিনা- সেটা নিয়ে কাজ করা জরুরি। এ কাজগুলো করা হলে নারায়ণগঞ্জের দুর্ঘটনা হয়তো দেশবাসীকে দেখতে হতো না।
কিভাবে তিতাসের অবৈধ সংযোগ দেয়া হয়, এর পেছনে কারা আছে, সেগুলো খুঁজে বের করতে হবে। অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। অবৈধ গ্যাস বাণিজ্যর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। লোক দেখানো অভিযান চালালে হবে না।
বিতরণ লাইনের ত্রুটি সংস্কারের জন্য তিতাস কর্তৃপক্ষকে তৎপর হতে হবে। জানা গেছে, তিতাসের কেন্দ্রীয় জরুরি গ্যাস নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে গ্রাহকরা যত অভিযোগ করেন তার সিংহভাগই গ্যাস লিকেজ সংক্রান্ত। এসব অভিযোগ আমলে নিতে হবে। লাইনের ত্রুটি মেরামত করা না হলে ভবিষ্যতে আবারো মানুষকে দুর্ঘটনার শিকার হতে হবে।