alt

সম্পাদকীয়

শিশুর অপুষ্টি চিকিৎসায় অবহেলা কাম্য নয়

: বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩

দেশে অপুষ্টির শিকার শিশুর সংখ্যা এখনো উদ্বেগজনক পর্যায়ে রয়ে গেছে। সাড়ে তিন লাখেরও বেশি তীব্র অপুষ্টির শিকার শিশু রয়েছে দেশে। দেশের প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে অপুষ্টির শিকার শিশুদের চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে; কিন্তু শতকরা ৪৮ ভাগ চিকিৎসা কেন্দ্রে কোনো চিকিৎসা দেয়া হয় না। গত বছর মাত্র ১২ হাজার অপুষ্টি রোগে ভোগা শিশু চিকিৎসা নিয়েছে। বাকি শিশুরা স্বাস্থ্য বিভাগের অব্যবস্থাপনা ও নজরদারির অভাবে চিকিৎসা বঞ্চিত হচ্ছে। অধিকাংশ চিকিৎসা কেন্দ্রে শিশুদের অপুষ্টি চিকিৎসার ঘাটতি রয়েছে। ২০২২ সালে ইউনেস্কো ৪৩৬টি হাসপাতাল জরিপ করে এ তথ্য তুলে এনেছে। গত সোমবার অনুষ্ঠিত একটি সেমিনারে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে ইউনেস্কো।

অপুষ্টির কারণে শিশুদের স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশ পরিপূর্ণভাবে ঘটে না, বুদ্ধিগত বিকাশও বাধাপ্রাপ্ত হয়, মেধার বিকাশ ঘটে কম। অধিক জনসংখ্যা, দারিদ্র্য, পুষ্টি সম্পর্কে অজ্ঞতা ও অসচেতনতা শিশুর অপুষ্টির প্রধান কারণ। অতিরিক্ত পরিমাণে জাঙ্কফুড খাওয়ার জন্য আর্থিকভাবে সচ্ছল পরিবারের শিশুরাও অপুষ্টির শিকার হতে পারে।

অপুষ্টির চিকিৎসা করাতে গেলে প্রথমে শিশুর ওজন ও উচ্চতা মেপে নেওয়ার কথা; কিন্তু অধিকাংশ হাসপাতালে ওজন মাপার যন্ত্রই নেই। শিশুদের জন্য পুষ্টিমান ঠিক রাখতে সরবরাহ করা খাদ্য ও পথ্য তাদের দেয়া হয় না। এগুলো হাসপাতালের গুদামে পচে নষ্ট হচ্ছে। চিকিৎসকদের অনেকেই এসব খাবার মজুদের কথা জানেনও না। পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার হাসপাতালে মজুদ করে রাখা আছে। অথচ শিশুরা তা পাচ্ছে না। কার গাফিলতি ও অবহেলার কারণে শিশুরা এসব খাবার পাচ্ছে না, সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। মজুদ রাখা খাবার যাতে শিশুরা পায় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।

মারাত্মক তীব্র অপুষ্টির শিকার শিশুদের চিকিৎসা ও সেবা দেওয়ার জন্য ৪১৯ জন চিকিৎসক ও ৯১৯ জন নার্সকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে সরকার। বাস্তবে দেখা গেছে অধিকাংশ চিকিৎসক ও নার্স হাসপাতালে নেই। এ অবস্থার অবসান ঘটাতে হবে।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় শিশুদের অপুষ্টির চিকিৎসায় হাসপাতালগুলোর কার্যক্রমের ব্যবস্থাপনা আরও জোরদার করবে- এটা আমাদের আশা। অপুষ্টির শিকার শিশুরা যাতে সঠিক চিকিৎসা পায় সেজন্য নজরদারি বাড়াতে হবে।

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

শিশুর অপুষ্টি চিকিৎসায় অবহেলা কাম্য নয়

বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩

দেশে অপুষ্টির শিকার শিশুর সংখ্যা এখনো উদ্বেগজনক পর্যায়ে রয়ে গেছে। সাড়ে তিন লাখেরও বেশি তীব্র অপুষ্টির শিকার শিশু রয়েছে দেশে। দেশের প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে অপুষ্টির শিকার শিশুদের চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে; কিন্তু শতকরা ৪৮ ভাগ চিকিৎসা কেন্দ্রে কোনো চিকিৎসা দেয়া হয় না। গত বছর মাত্র ১২ হাজার অপুষ্টি রোগে ভোগা শিশু চিকিৎসা নিয়েছে। বাকি শিশুরা স্বাস্থ্য বিভাগের অব্যবস্থাপনা ও নজরদারির অভাবে চিকিৎসা বঞ্চিত হচ্ছে। অধিকাংশ চিকিৎসা কেন্দ্রে শিশুদের অপুষ্টি চিকিৎসার ঘাটতি রয়েছে। ২০২২ সালে ইউনেস্কো ৪৩৬টি হাসপাতাল জরিপ করে এ তথ্য তুলে এনেছে। গত সোমবার অনুষ্ঠিত একটি সেমিনারে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে ইউনেস্কো।

অপুষ্টির কারণে শিশুদের স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশ পরিপূর্ণভাবে ঘটে না, বুদ্ধিগত বিকাশও বাধাপ্রাপ্ত হয়, মেধার বিকাশ ঘটে কম। অধিক জনসংখ্যা, দারিদ্র্য, পুষ্টি সম্পর্কে অজ্ঞতা ও অসচেতনতা শিশুর অপুষ্টির প্রধান কারণ। অতিরিক্ত পরিমাণে জাঙ্কফুড খাওয়ার জন্য আর্থিকভাবে সচ্ছল পরিবারের শিশুরাও অপুষ্টির শিকার হতে পারে।

অপুষ্টির চিকিৎসা করাতে গেলে প্রথমে শিশুর ওজন ও উচ্চতা মেপে নেওয়ার কথা; কিন্তু অধিকাংশ হাসপাতালে ওজন মাপার যন্ত্রই নেই। শিশুদের জন্য পুষ্টিমান ঠিক রাখতে সরবরাহ করা খাদ্য ও পথ্য তাদের দেয়া হয় না। এগুলো হাসপাতালের গুদামে পচে নষ্ট হচ্ছে। চিকিৎসকদের অনেকেই এসব খাবার মজুদের কথা জানেনও না। পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার হাসপাতালে মজুদ করে রাখা আছে। অথচ শিশুরা তা পাচ্ছে না। কার গাফিলতি ও অবহেলার কারণে শিশুরা এসব খাবার পাচ্ছে না, সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। মজুদ রাখা খাবার যাতে শিশুরা পায় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।

মারাত্মক তীব্র অপুষ্টির শিকার শিশুদের চিকিৎসা ও সেবা দেওয়ার জন্য ৪১৯ জন চিকিৎসক ও ৯১৯ জন নার্সকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে সরকার। বাস্তবে দেখা গেছে অধিকাংশ চিকিৎসক ও নার্স হাসপাতালে নেই। এ অবস্থার অবসান ঘটাতে হবে।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় শিশুদের অপুষ্টির চিকিৎসায় হাসপাতালগুলোর কার্যক্রমের ব্যবস্থাপনা আরও জোরদার করবে- এটা আমাদের আশা। অপুষ্টির শিকার শিশুরা যাতে সঠিক চিকিৎসা পায় সেজন্য নজরদারি বাড়াতে হবে।

back to top