সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক না থাকায় ভোলার লালমোহন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপারেশন থিয়েটার পাঁচ বছর ধরে বন্ধ আছে। ৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে জনগণের করের টাকায় আধুনিক অপারেশন থিয়েটার স্থাপন করলেও তা কোনো কাজে আসছে না। অপারেশন থিয়েটারটি চালুর দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা। এ নিয়ে গতকাল রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে কয়েকটি সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়। সে-ই শেষ। এরপর হাসপাতালে সব ধরনের অপারেশন বন্ধ রয়েছে। অপারেশনের রোগীদের ছুটতে হয় বেসরকারি ক্লিনিক, জেলা হাসপাতাল নয়তো ঢাকায়। সেক্ষেত্রে অপারেশন চার্জ, ওষুধ ও ক্লিনিক ভাড়াসহ মোটা টাকা গুনতে হচ্ছে রোগীর স্বজনদের। এতে একদিকে তাদের বাড়তি টাকা ব্যয় হচ্ছে, অন্যদিকে রোগী নিয়ে স্বজনদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন অসহায় ও দরিদ্র রোগীরা।
দীর্ঘদিন ধরে অযত্ন, অবহেলায় পড়ে থাকার কারণে অপারেশন থিয়েটারের মূল্যবান সরঞ্জামাদিও নষ্ট হতে বসেছে। দেখভালের অভাবে জনগণের অর্থে কেনা এসব যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারেন না।
সরকার স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। প্রশ্ন হচ্ছে হাসপাতালের একটি অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার জনশক্তির অভাবে বন্ধ থাকলে সেই লক্ষ্য পূরণ হবে কিভাবে। বলা হয়, সাধারণ জনগণ কম খরচে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সবরকম চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে। কিন্তু সাধারণ মানুষকে এখনো স্বাস্থ্য খাতে বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে।
হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার বন্ধ থাকা, রোগ নির্ণয়ের কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি অবহেলায়-অযত্নে নষ্ট হওয়া- এমন চিত্র শুধু লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নয়। দেশের অনেক হাসপাতালেই এমনটা দেখা যায়।
লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা দপ্তর জানাচ্ছে, শুধু জনবলের অভাবেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আধুনিক এ অপারেশন থিয়েটারটি চালু করা যাচ্ছে না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে কয়েকবার জানানো হয়েছে। জনবল নিয়োগ দিলেই অপারেশন থিয়েটারটি চালু করা হবে।
আমরা বলতে চাই, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত লোকবল নিয়োগ দিয়ে উক্ত অপারেশন থিয়েটার চালুর ব্যবস্থা করতে হবে। অপরেশন থিয়েটারটি চালু হচ্ছে, রোগী সাধারণদের কষ্ট লাঘব হচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই।
সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩
সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক না থাকায় ভোলার লালমোহন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপারেশন থিয়েটার পাঁচ বছর ধরে বন্ধ আছে। ৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে জনগণের করের টাকায় আধুনিক অপারেশন থিয়েটার স্থাপন করলেও তা কোনো কাজে আসছে না। অপারেশন থিয়েটারটি চালুর দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা। এ নিয়ে গতকাল রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে কয়েকটি সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়। সে-ই শেষ। এরপর হাসপাতালে সব ধরনের অপারেশন বন্ধ রয়েছে। অপারেশনের রোগীদের ছুটতে হয় বেসরকারি ক্লিনিক, জেলা হাসপাতাল নয়তো ঢাকায়। সেক্ষেত্রে অপারেশন চার্জ, ওষুধ ও ক্লিনিক ভাড়াসহ মোটা টাকা গুনতে হচ্ছে রোগীর স্বজনদের। এতে একদিকে তাদের বাড়তি টাকা ব্যয় হচ্ছে, অন্যদিকে রোগী নিয়ে স্বজনদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন অসহায় ও দরিদ্র রোগীরা।
দীর্ঘদিন ধরে অযত্ন, অবহেলায় পড়ে থাকার কারণে অপারেশন থিয়েটারের মূল্যবান সরঞ্জামাদিও নষ্ট হতে বসেছে। দেখভালের অভাবে জনগণের অর্থে কেনা এসব যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারেন না।
সরকার স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। প্রশ্ন হচ্ছে হাসপাতালের একটি অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার জনশক্তির অভাবে বন্ধ থাকলে সেই লক্ষ্য পূরণ হবে কিভাবে। বলা হয়, সাধারণ জনগণ কম খরচে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সবরকম চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে। কিন্তু সাধারণ মানুষকে এখনো স্বাস্থ্য খাতে বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে।
হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার বন্ধ থাকা, রোগ নির্ণয়ের কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি অবহেলায়-অযত্নে নষ্ট হওয়া- এমন চিত্র শুধু লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নয়। দেশের অনেক হাসপাতালেই এমনটা দেখা যায়।
লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা দপ্তর জানাচ্ছে, শুধু জনবলের অভাবেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আধুনিক এ অপারেশন থিয়েটারটি চালু করা যাচ্ছে না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে কয়েকবার জানানো হয়েছে। জনবল নিয়োগ দিলেই অপারেশন থিয়েটারটি চালু করা হবে।
আমরা বলতে চাই, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত লোকবল নিয়োগ দিয়ে উক্ত অপারেশন থিয়েটার চালুর ব্যবস্থা করতে হবে। অপরেশন থিয়েটারটি চালু হচ্ছে, রোগী সাধারণদের কষ্ট লাঘব হচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই।