চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকার ৬৪ পয়েন্টে কালভার্ট ও ব্রিজের নিচে ওয়াসা ও কর্ণফুলী গ্যাস লাইনের ১০৩টি পাইপ লাইন রয়েছে। এই পাইপ লাইনগুলোর সঙ্গে ময়লা-আবর্জনা আটকে ব্রিজ ও কালভার্টসমূহ বন্ধ হয়ে গেছে। বর্ষার আগেই এসব পাইপ লাইন সরানো না হলে মহানগরীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সাধারণভাবে মনে করা হয় বৃষ্টির পানিতে শুধু রাজধানীতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়; কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে রাজধানী ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামের মতো মহানগরীতেও নিয়মিত জলাবদ্ধতা হচ্ছে। আর যখন চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়, তখন নগরবাসীকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সামান্য বৃষ্টির পানিতেই নগরীর রাস্তা ও গলি পানিতে ডুবে যায়। সেখানে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা নাজুক। নালা-নর্দমাগুলো ময়লা-আবর্জনায় ভর্তি। ময়লা আবর্জনার স্তূপে খাল ও কালভার্ট ভরাট হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি নামতে সময় লাগে। তখন নগরবাসীর দুর্ভোগের শেষ থাকে না।
চট্টগ্রামে অতীতে জলাবদ্ধতার কারণে একাধিকবার মানুষের প্রাণহানির মতো মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। ২০২১ সালের ২৫ আগস্ট চট্টগ্রাম মহানগরের পানিমগ্ন ফুটপাথ দিয়ে হাঁটতে গিয়ে এক ব্যক্তি পা পিছলে পড়ে যান নালার ভেতরে; তার সলিল সমাধি হয়েছে।
চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৪টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। বছরে পর বছর ধরে এসব প্রকল্পের কাজ চলছে; কিন্তু জলাবদ্ধতার সমস্যার তেমন উন্নতি হয়নি।
চট্টগ্রামে মহানগরে অতীতে জলাবদ্ধতার অভিজ্ঞতা মোটেও সুখকর নয়। চট্টগ্রাম নগরে কী কারণে জলাবদ্ধতা হয় তা কারও অজানা নয়। সেবা সংস্থাগুলো নগরবাসীদের সেবায় আন্তরিক হলেই জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ নিরসন হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
এবারের বর্ষায় নগরবাসীকে যেন জলাবদ্ধতার শিকার হতে না হয় সেজন্য এখন থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। যেসব কারণে জলাবদ্ধতা হয় সেগুলো চিহ্নিত করে এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। নগরীর বিভিন্ন এলাকার যেসব পয়েন্টে কালভার্ট ও ব্রিজের নিচে পাইপ লাইন রয়েছে, সেসব পাইপ লাইন বর্ষার আগেই সরিয়ে নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ নেবে- এটাই আমরা আশা করি।
মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩
চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকার ৬৪ পয়েন্টে কালভার্ট ও ব্রিজের নিচে ওয়াসা ও কর্ণফুলী গ্যাস লাইনের ১০৩টি পাইপ লাইন রয়েছে। এই পাইপ লাইনগুলোর সঙ্গে ময়লা-আবর্জনা আটকে ব্রিজ ও কালভার্টসমূহ বন্ধ হয়ে গেছে। বর্ষার আগেই এসব পাইপ লাইন সরানো না হলে মহানগরীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সাধারণভাবে মনে করা হয় বৃষ্টির পানিতে শুধু রাজধানীতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়; কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে রাজধানী ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামের মতো মহানগরীতেও নিয়মিত জলাবদ্ধতা হচ্ছে। আর যখন চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়, তখন নগরবাসীকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সামান্য বৃষ্টির পানিতেই নগরীর রাস্তা ও গলি পানিতে ডুবে যায়। সেখানে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা নাজুক। নালা-নর্দমাগুলো ময়লা-আবর্জনায় ভর্তি। ময়লা আবর্জনার স্তূপে খাল ও কালভার্ট ভরাট হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি নামতে সময় লাগে। তখন নগরবাসীর দুর্ভোগের শেষ থাকে না।
চট্টগ্রামে অতীতে জলাবদ্ধতার কারণে একাধিকবার মানুষের প্রাণহানির মতো মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। ২০২১ সালের ২৫ আগস্ট চট্টগ্রাম মহানগরের পানিমগ্ন ফুটপাথ দিয়ে হাঁটতে গিয়ে এক ব্যক্তি পা পিছলে পড়ে যান নালার ভেতরে; তার সলিল সমাধি হয়েছে।
চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৪টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। বছরে পর বছর ধরে এসব প্রকল্পের কাজ চলছে; কিন্তু জলাবদ্ধতার সমস্যার তেমন উন্নতি হয়নি।
চট্টগ্রামে মহানগরে অতীতে জলাবদ্ধতার অভিজ্ঞতা মোটেও সুখকর নয়। চট্টগ্রাম নগরে কী কারণে জলাবদ্ধতা হয় তা কারও অজানা নয়। সেবা সংস্থাগুলো নগরবাসীদের সেবায় আন্তরিক হলেই জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ নিরসন হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
এবারের বর্ষায় নগরবাসীকে যেন জলাবদ্ধতার শিকার হতে না হয় সেজন্য এখন থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। যেসব কারণে জলাবদ্ধতা হয় সেগুলো চিহ্নিত করে এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। নগরীর বিভিন্ন এলাকার যেসব পয়েন্টে কালভার্ট ও ব্রিজের নিচে পাইপ লাইন রয়েছে, সেসব পাইপ লাইন বর্ষার আগেই সরিয়ে নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ নেবে- এটাই আমরা আশা করি।