alt

সম্পাদকীয়

যক্ষ্মা নির্মূলে কাজ করে যেতে হবে

: বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩

দেশে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন গড়ে মারা যাচ্ছেন শতাধিক মানুষ। দেশ থেকে যক্ষ্মা নির্মূলে সরকারি ও বেসরকারিভাবে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থা দীর্ঘদিন ধরে কাজও করে যাচ্ছে। কিন্তু যক্ষ্মা নির্মূলে সরকার ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা যে শতভাগ সফল তা বলা যাচ্ছে না। গত বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি ও আইসিডিডিআরবি পরিচালিত ইউএসএআইডি’র অ্যালায়েন্স ফর কমব্যাটিং টিবি ইন বাংলাদেশ (এসিটিবি) কার্যক্রমের যৌথভাবে অনুষ্ঠিত সভায় যক্ষ্মা রোগ বিশেষজ্ঞরা এসব মত ব্যক্ত করেন।

যক্ষ্মা এক সময় দুরারোগ্য ব্যাধি ছিল। বলা হতো- যার হয় যক্ষ্মা তার নাই রক্ষা। তখন চিকিৎসা ব্যবস্থা এত উন্নত ছিল না। এখন চিকিৎসা পদ্ধতির আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। জটিল অনেক রোগের চিকিৎসা করা হচ্ছে। যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা আছে। এটা ব্যয়বহুলও নয়। তারপরেও যক্ষ্মায় এত মানুষ মারা যাচ্ছেন কেন সেটা একটা প্রশ্ন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলছেন, বিশ্বে আটটি দেশে অধিক যক্ষ্মা রোগী রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ একটি। এখনো দেশে দিনে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে যক্ষ্মা রোগে।

যক্ষ্মা রোগ নিরাময়যোগ্য হওয়ার পরও অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, যক্ষা রোগী শনাক্ত করা সহজ কাজ নয়। দেশ থেকে যক্ষ্মা রোগ সফলভাবে নির্মূল করতে হলে রোগী শনাক্তের হার বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। রোগ শনাক্ত করতে পারলে ও যথাযথ চিকিৎসা দেয়া গেলে রোগী সুস্থ হয়ে উঠবে। দেশে যক্ষ্মা চিকিৎসায় ৯৫ শতাংশ রোগী সুস্থ হয়ে উঠছেন। এই রোগ শতভাগ নির্মূল করতে সরকারি-বেসরকারিভাবে এক হয়ে কাজ করতে হবে।

আমরা চাই যে যক্ষ্মা রোগটি দেশ থেকে চিরতরে নির্মূল হোক। আর এর জন্য যথাসময়ে রোগ নির্ণয় করতে হবে। যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত করার জন্য যা যা করা দরকার তার জন্য সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য দপ্তর ও স্বাস্থ্য বিভাগ ব্যবস্থা নেবে- এটা আমাদের আশা।

যক্ষ্মা রোগ নির্মূল কর্মসূচিতে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে। যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা একটি দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা পদ্ধতি। তাই রোগী যাতে ধৈর্যহারা না হয়ে পড়েন সেদিকে নজর দিতে হবে। এছাড়া যক্ষ্মা রোগীরা তাদের অধিকার সম্পর্কেও সচেতন নন। তাদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। নারী ও পুরুষের ক্ষেত্রে রোগ শনাক্ত এবং চিকিৎসাসেবায় কিছু পার্থক্য দেখা যায়। তাই নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করতে পারলে যক্ষ্মা নির্মূল করা সম্ভব হবে।

পাহাড়ে ডায়রিয়ার প্রকোপ

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরি

চায়না দুয়ারি জালের ব্যবহার বন্ধে টেকসই ব্যবস্থা নিন

ভিডব্লিউবির চাল নিয়ে অনিয়ম বন্ধ করুন

সিরাজগঞ্জের ট্রমা সেন্টারটি দ্রুত চালু করুন

রুদ্র প্রকৃতি

দুমকির ভাড়ানি খালে সেতু চাই

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে

ভৈরবে খাল খননে বাধা দূর করুন

প্লাস্টিক দূষণ বন্ধে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে

খোয়াই নদী বাঁচাতে টেকসই ব্যবস্থা নিন

নিমতলী ট্র্যাজেডি থেকে কী শিক্ষা নিয়েছি আমরা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি বন্ধে বাধা কোথায়

বাল্যবিয়ে : সামাজিক এ ব্যাধির নিরাময় করতে হবে সমাজকেই

বাসাইলে সেতু পুনর্নির্মাণে পদক্ষেপ নিন

পাহাড় কাটা কি চলতেই থাকবে

পীরগাছায় আড়াইকুঁড়ি নদীতে সেতু নির্মাণ করুন

বাড়ছে ডেঙ্গু : আতঙ্ক নয়, চাই সচেতনতা

খুলনা নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে টেকসই পদক্ষেপ নিন

শিশু নির্যাতন বন্ধে সমাজের মনোভাব বদলানো জরুরি

তেঁতুলিয়ায় ভিডব্লিউবির চাল বিতরণে অনিয়ম বন্ধ করুন

শিশুর বিকাশে চাই পুষ্টি সচেতনতা

রংপুর শিশু হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করতে দেরি কেন

পেঁয়াজের বাড়তি দাম, লাভের গুড় খাচ্ছে কে

পানি সংকট নিরসনে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

কক্সবাজারে অপহরণ বাণিজ্য কেন বন্ধ করা যাচ্ছে না

ভালুকায় সড়ক সংস্কারের কাজ বন্ধ কেন

মানুষ ও হাতি উভয়কেই রক্ষা করতে হবে

দালাল চক্রের হাত থেকে বিদেশ গমনেচ্ছুদের রক্ষা করতে হবে

গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রসঙ্গে

বিএসটিআইর সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি

অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে ফায়ার সার্ভিসের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে

সৈয়দপুরে রেলের পয়ঃনিষ্কাশনের নালা দখলমুক্ত করুন

সাইবার অপরাধ দমনে আইনের প্রয়োগ ঘটাতে হবে

ফরিদপুরে পদ্মার বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাত ও অতি উষ্ণতা মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

যক্ষ্মা নির্মূলে কাজ করে যেতে হবে

বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩

দেশে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন গড়ে মারা যাচ্ছেন শতাধিক মানুষ। দেশ থেকে যক্ষ্মা নির্মূলে সরকারি ও বেসরকারিভাবে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থা দীর্ঘদিন ধরে কাজও করে যাচ্ছে। কিন্তু যক্ষ্মা নির্মূলে সরকার ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা যে শতভাগ সফল তা বলা যাচ্ছে না। গত বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি ও আইসিডিডিআরবি পরিচালিত ইউএসএআইডি’র অ্যালায়েন্স ফর কমব্যাটিং টিবি ইন বাংলাদেশ (এসিটিবি) কার্যক্রমের যৌথভাবে অনুষ্ঠিত সভায় যক্ষ্মা রোগ বিশেষজ্ঞরা এসব মত ব্যক্ত করেন।

যক্ষ্মা এক সময় দুরারোগ্য ব্যাধি ছিল। বলা হতো- যার হয় যক্ষ্মা তার নাই রক্ষা। তখন চিকিৎসা ব্যবস্থা এত উন্নত ছিল না। এখন চিকিৎসা পদ্ধতির আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। জটিল অনেক রোগের চিকিৎসা করা হচ্ছে। যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা আছে। এটা ব্যয়বহুলও নয়। তারপরেও যক্ষ্মায় এত মানুষ মারা যাচ্ছেন কেন সেটা একটা প্রশ্ন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলছেন, বিশ্বে আটটি দেশে অধিক যক্ষ্মা রোগী রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ একটি। এখনো দেশে দিনে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে যক্ষ্মা রোগে।

যক্ষ্মা রোগ নিরাময়যোগ্য হওয়ার পরও অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, যক্ষা রোগী শনাক্ত করা সহজ কাজ নয়। দেশ থেকে যক্ষ্মা রোগ সফলভাবে নির্মূল করতে হলে রোগী শনাক্তের হার বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। রোগ শনাক্ত করতে পারলে ও যথাযথ চিকিৎসা দেয়া গেলে রোগী সুস্থ হয়ে উঠবে। দেশে যক্ষ্মা চিকিৎসায় ৯৫ শতাংশ রোগী সুস্থ হয়ে উঠছেন। এই রোগ শতভাগ নির্মূল করতে সরকারি-বেসরকারিভাবে এক হয়ে কাজ করতে হবে।

আমরা চাই যে যক্ষ্মা রোগটি দেশ থেকে চিরতরে নির্মূল হোক। আর এর জন্য যথাসময়ে রোগ নির্ণয় করতে হবে। যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত করার জন্য যা যা করা দরকার তার জন্য সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য দপ্তর ও স্বাস্থ্য বিভাগ ব্যবস্থা নেবে- এটা আমাদের আশা।

যক্ষ্মা রোগ নির্মূল কর্মসূচিতে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে। যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা একটি দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা পদ্ধতি। তাই রোগী যাতে ধৈর্যহারা না হয়ে পড়েন সেদিকে নজর দিতে হবে। এছাড়া যক্ষ্মা রোগীরা তাদের অধিকার সম্পর্কেও সচেতন নন। তাদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। নারী ও পুরুষের ক্ষেত্রে রোগ শনাক্ত এবং চিকিৎসাসেবায় কিছু পার্থক্য দেখা যায়। তাই নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করতে পারলে যক্ষ্মা নির্মূল করা সম্ভব হবে।

back to top