alt

সম্পাদকীয়

পাহাড় দখল বন্ধে টেকসই পদক্ষেপ নিন

: সোমবার, ১৫ মে ২০২৩

কক্সবাজারে প্রায় ১৮ হাজার হেক্টর পাহাড় দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ বসতি। দখলকৃত জায়গায় তিন লাখ মানুষ বাস করছে বলে জানা গেছে। এ দেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের দখল চলে গেছে ৪ হাজার ৮৫৮ হেক্টর পাহাড়। সেখানে বাস করছে লাখো রোহিঙ্গা। এ নিয়ে গত রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

পাহাড় কেটে বসতি তৈরির সঙ্গে মানুষের জানমালের নিরাপত্তার প্রশ্ন রয়েছে। বিশেষ করে বর্ষার মৌসুমে পাহাড় ধসে পড়লে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অতীতে এমন অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। গত এক যুগে পাহাড় ধসের ঘটনায় দেশে প্রাণ হারিয়েছে হাজারখানেক মানুষ। আমাদের মনে আছে, ২০০৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে প্রবল বর্ষণে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসে ১২৭ জন মারা গিয়েছিল।

বর্ষার মৌসুম এলে পাহাড় ধসের কারণে যেন জানমালের ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসন মাঝেমাঝে কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে। তবে তাতে সমাধান মেলে না। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ে হাজারো পরিবার বসবাস করছে। পাহাড় কেটে যারা অবৈধ বসতি গড়ে তোলে তাদের বড় একটি অংশই স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে।

পাহাড়ে যারা অবৈধভাবে বসবাস করে তাদের বড় একটি অংশই নিম্নআয়ের দরিদ্র মানুষ। জীবনের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও তারা অল্প খরচে সেখানে থাকে। বাস্তবতা হচ্ছে, নিরাপদ বাসস্থানের ব্যবস্থা করার সামর্থ্য তাদের নেই। পাহাড়ের বসতি ছেড়ে সীমিত আয়ের এসব মানুষ যাবে কোথায় সেটা একটা প্রশ্ন।

যেসব দরিদ্র মানুষ পাহাড়ে বসবাস করছে তাদের পুনর্বাসন করা হলে সমস্যার টেকসই সমাধান মিলতে পারে। পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে শুধু বর্ষার মৌসুমে মাইকিং করলে বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়ে তাদের উচ্ছেদ করলে সমস্যার সমাধন হবে না। বর্ষার সময় সাময়িকভাবে সেখানকার বাসিন্দাদের সরে গেলেও তারা আবার সেখানে ফিরে যাবে।

ধস থেকে মানুষের জানমালকে রক্ষা করতে হলে পাহাড় রক্ষা করতে হবে। নির্বিচারে পাহাড় কাটা বন্ধ করার বিকল্প নেই। গাছ কেটে বন উজাড় করার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। অতীতে পাহাড় ধস বন্ধে বিভিন্ন সময় অনেক সুপারিশ করা হয়েছে। এসব সুপারিশ বাস্তবে আলোর মুখ দেখে না। পাহাড় রক্ষার সুপারিশ ‘কাগজ-বন্দী’ করে না রেখে বাস্তবায়ন করতে হবে।

পীরগাছায় আড়াইকুঁড়ি নদীতে সেতু নির্মাণ করুন

বাড়ছে ডেঙ্গু : আতঙ্ক নয়, চাই সচেতনতা

খুলনা নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে টেকসই পদক্ষেপ নিন

শিশু নির্যাতন বন্ধে সমাজের মনোভাব বদলানো জরুরি

তেঁতুলিয়ায় ভিডব্লিউবির চাল বিতরণে অনিয়ম বন্ধ করুন

শিশুর বিকাশে চাই পুষ্টি সচেতনতা

রংপুর শিশু হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করতে দেরি কেন

পেঁয়াজের বাড়তি দাম, লাভের গুড় খাচ্ছে কে

পানি সংকট নিরসনে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

কক্সবাজারে অপহরণ বাণিজ্য কেন বন্ধ করা যাচ্ছে না

ভালুকায় সড়ক সংস্কারের কাজ বন্ধ কেন

মানুষ ও হাতি উভয়কেই রক্ষা করতে হবে

দালাল চক্রের হাত থেকে বিদেশ গমনেচ্ছুদের রক্ষা করতে হবে

গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রসঙ্গে

বিএসটিআইর সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি

অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে ফায়ার সার্ভিসের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে

সৈয়দপুরে রেলের পয়ঃনিষ্কাশনের নালা দখলমুক্ত করুন

সাইবার অপরাধ দমনে আইনের প্রয়োগ ঘটাতে হবে

ফরিদপুরে পদ্মার বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাত ও অতি উষ্ণতা মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিতে হবে

নদী খননে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

পেঁয়াজের দাম ও কিছু প্রশ্ন

সুন্দরগঞ্জে কালভার্ট নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

প্রান্তিক দরিদ্রদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে

ব্রহ্মপুত্র নদে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

চাই আর্সেনিকমুক্ত পানি

তারাকান্দার সড়কটি সংস্কার করুন

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করুন

মোরেলগঞ্জে পানগুছি নদীতীরে বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি

শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় চূড়ান্ত ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব কেন

দশমিনার খালগুলো রক্ষা করুন

সাতছড়ি উদ্যান রক্ষা করুন

নার্স সংকট নিরসন করুন

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ময়লার ভাগাড় কেন

প্রকৃত উপকারভোগীদের বয়স্ক ভাতা নিশ্চিত করুন

ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কারে পদক্ষেপ জরুরি

tab

সম্পাদকীয়

পাহাড় দখল বন্ধে টেকসই পদক্ষেপ নিন

সোমবার, ১৫ মে ২০২৩

কক্সবাজারে প্রায় ১৮ হাজার হেক্টর পাহাড় দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ বসতি। দখলকৃত জায়গায় তিন লাখ মানুষ বাস করছে বলে জানা গেছে। এ দেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের দখল চলে গেছে ৪ হাজার ৮৫৮ হেক্টর পাহাড়। সেখানে বাস করছে লাখো রোহিঙ্গা। এ নিয়ে গত রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

পাহাড় কেটে বসতি তৈরির সঙ্গে মানুষের জানমালের নিরাপত্তার প্রশ্ন রয়েছে। বিশেষ করে বর্ষার মৌসুমে পাহাড় ধসে পড়লে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অতীতে এমন অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। গত এক যুগে পাহাড় ধসের ঘটনায় দেশে প্রাণ হারিয়েছে হাজারখানেক মানুষ। আমাদের মনে আছে, ২০০৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে প্রবল বর্ষণে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসে ১২৭ জন মারা গিয়েছিল।

বর্ষার মৌসুম এলে পাহাড় ধসের কারণে যেন জানমালের ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসন মাঝেমাঝে কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে। তবে তাতে সমাধান মেলে না। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ে হাজারো পরিবার বসবাস করছে। পাহাড় কেটে যারা অবৈধ বসতি গড়ে তোলে তাদের বড় একটি অংশই স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে।

পাহাড়ে যারা অবৈধভাবে বসবাস করে তাদের বড় একটি অংশই নিম্নআয়ের দরিদ্র মানুষ। জীবনের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও তারা অল্প খরচে সেখানে থাকে। বাস্তবতা হচ্ছে, নিরাপদ বাসস্থানের ব্যবস্থা করার সামর্থ্য তাদের নেই। পাহাড়ের বসতি ছেড়ে সীমিত আয়ের এসব মানুষ যাবে কোথায় সেটা একটা প্রশ্ন।

যেসব দরিদ্র মানুষ পাহাড়ে বসবাস করছে তাদের পুনর্বাসন করা হলে সমস্যার টেকসই সমাধান মিলতে পারে। পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে শুধু বর্ষার মৌসুমে মাইকিং করলে বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়ে তাদের উচ্ছেদ করলে সমস্যার সমাধন হবে না। বর্ষার সময় সাময়িকভাবে সেখানকার বাসিন্দাদের সরে গেলেও তারা আবার সেখানে ফিরে যাবে।

ধস থেকে মানুষের জানমালকে রক্ষা করতে হলে পাহাড় রক্ষা করতে হবে। নির্বিচারে পাহাড় কাটা বন্ধ করার বিকল্প নেই। গাছ কেটে বন উজাড় করার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। অতীতে পাহাড় ধস বন্ধে বিভিন্ন সময় অনেক সুপারিশ করা হয়েছে। এসব সুপারিশ বাস্তবে আলোর মুখ দেখে না। পাহাড় রক্ষার সুপারিশ ‘কাগজ-বন্দী’ করে না রেখে বাস্তবায়ন করতে হবে।

back to top