alt

সম্পাদকীয়

পেঁয়াজের দাম ও কিছু প্রশ্ন

: শনিবার, ২০ মে ২০২৩

পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলেছে। রোজার ঈদের আগেও এর দাম কেজিপ্রতি ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। কোনো কোনো বাজারে এর চেয়ে কম দরেও পেঁয়াজ মিলেছে। ঈদের পর থেকেই এর দর ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকে। গত প্রায় এক মাসে এর দাম বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। খুচরা পর্যায়ে কেজিপ্রতি পেঁয়াজ এখন ৮০ টাকা।

দেশে পেঁয়াজের যথেষ্ট উৎপাদন হয়েছে। তারপরও এর দাম কেন হু হু করে বাড়ছে? বলা হচ্ছে, পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ করার কারণে এর দাম বাড়ছে। কৃষক যেন লাভের মুখ দেখে সেজন্য আমদানি বন্ধ করা হয়েছিল।

এখন পেঁয়াজের দাম যে বাড়ছে তাতে কৃষকের পকেটে বাড়তি টাকা যাচ্ছে কিনা সেটা ভেবে দেখতে হবে। প্রান্তিক অনেক কৃষকই আরও আগেই পেঁয়াজ বিক্রি করে দিয়েছেন। তারা বাড়তি দাম পাননি, আর পাওয়ার কোনো সম্ভাবনাও নেই। প্রশ্ন হচ্ছে, কৃষক বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করেননি বা করতে পারেননি তাহলে এর দাম বাড়ছে কেন।

নাগরিকরা যে হঠাৎ করে পেঁয়াজ খাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছেন তাও না। কোরবানির ঈদ আসতে ঢের দেরি। উৎপাদন ভালো হয়েছে, চাহিদা বাড়েনি, সরবরাহ সংকট নেই। তাহলে এর দাম বাড়ছে কেন? উৎপাদন-বিপণনের কোন পর্যায়ে দাম বাড়ছে, কারা এর দাম বাড়াচ্ছে, কারা লাভবান হচ্ছে-এসব প্রশ্নের উত্তর জানা দরকার।

কৃষি মন্ত্রণালয় পেঁয়াজের দাম বাড়তে দেখে এর আমদানির অনুমতি দেয়ার কথা বলেছে। মন্ত্রণালয় বলেছে, বাজার পর্যপবেক্ষণ করা হচ্ছে। তাদের ঘোষণা বা পর্যবেক্ষণের কী প্রভাব পেঁয়াজের বাজারে পড়েছে সেটা মানুষ জানতে চায়।

শুধু পেঁয়াজ নয় আদা-রসুনের মতো পণ্যের দামও চড়া। দ্রব্যমূল্যে মানুষের স্বস্তি আর মিলছে না। কোনো একটার দাম একটু স্থিতিশীল হলে অন্য পণ্যের দাম বাড়তে থাকে। দাম বাড়ার ধরনটা অস্বাভাবিক। কোনো কোনো পণ্যের দাম দ্বিগুণ-তিনগুণ হতে এক মাস সময়ও লাগে না। এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতির কারণ কী, এ থেকে নাগরিকদের নিস্তার মিলবে কীভাবে-এমন অনেক প্রশ্নই নাগরিক মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। দায়িত্বশীলরা এসব প্রশ্নের সদুত্তর দেবেন সেটা আমাদের আশা।

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

অতিরিক্ত ভাড়া : যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কতকাল?

করতোয়া নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের দাবি

tab

সম্পাদকীয়

পেঁয়াজের দাম ও কিছু প্রশ্ন

শনিবার, ২০ মে ২০২৩

পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলেছে। রোজার ঈদের আগেও এর দাম কেজিপ্রতি ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। কোনো কোনো বাজারে এর চেয়ে কম দরেও পেঁয়াজ মিলেছে। ঈদের পর থেকেই এর দর ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকে। গত প্রায় এক মাসে এর দাম বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। খুচরা পর্যায়ে কেজিপ্রতি পেঁয়াজ এখন ৮০ টাকা।

দেশে পেঁয়াজের যথেষ্ট উৎপাদন হয়েছে। তারপরও এর দাম কেন হু হু করে বাড়ছে? বলা হচ্ছে, পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ করার কারণে এর দাম বাড়ছে। কৃষক যেন লাভের মুখ দেখে সেজন্য আমদানি বন্ধ করা হয়েছিল।

এখন পেঁয়াজের দাম যে বাড়ছে তাতে কৃষকের পকেটে বাড়তি টাকা যাচ্ছে কিনা সেটা ভেবে দেখতে হবে। প্রান্তিক অনেক কৃষকই আরও আগেই পেঁয়াজ বিক্রি করে দিয়েছেন। তারা বাড়তি দাম পাননি, আর পাওয়ার কোনো সম্ভাবনাও নেই। প্রশ্ন হচ্ছে, কৃষক বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করেননি বা করতে পারেননি তাহলে এর দাম বাড়ছে কেন।

নাগরিকরা যে হঠাৎ করে পেঁয়াজ খাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছেন তাও না। কোরবানির ঈদ আসতে ঢের দেরি। উৎপাদন ভালো হয়েছে, চাহিদা বাড়েনি, সরবরাহ সংকট নেই। তাহলে এর দাম বাড়ছে কেন? উৎপাদন-বিপণনের কোন পর্যায়ে দাম বাড়ছে, কারা এর দাম বাড়াচ্ছে, কারা লাভবান হচ্ছে-এসব প্রশ্নের উত্তর জানা দরকার।

কৃষি মন্ত্রণালয় পেঁয়াজের দাম বাড়তে দেখে এর আমদানির অনুমতি দেয়ার কথা বলেছে। মন্ত্রণালয় বলেছে, বাজার পর্যপবেক্ষণ করা হচ্ছে। তাদের ঘোষণা বা পর্যবেক্ষণের কী প্রভাব পেঁয়াজের বাজারে পড়েছে সেটা মানুষ জানতে চায়।

শুধু পেঁয়াজ নয় আদা-রসুনের মতো পণ্যের দামও চড়া। দ্রব্যমূল্যে মানুষের স্বস্তি আর মিলছে না। কোনো একটার দাম একটু স্থিতিশীল হলে অন্য পণ্যের দাম বাড়তে থাকে। দাম বাড়ার ধরনটা অস্বাভাবিক। কোনো কোনো পণ্যের দাম দ্বিগুণ-তিনগুণ হতে এক মাস সময়ও লাগে না। এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতির কারণ কী, এ থেকে নাগরিকদের নিস্তার মিলবে কীভাবে-এমন অনেক প্রশ্নই নাগরিক মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। দায়িত্বশীলরা এসব প্রশ্নের সদুত্তর দেবেন সেটা আমাদের আশা।

back to top