alt

সম্পাদকীয়

সাইবার অপরাধ দমনে আইনের প্রয়োগ ঘটাতে হবে

: সোমবার, ২২ মে ২০২৩

দেশে নারী ও শিশুরাই সাইবার অপরাধের বেশি শিকার হয়। সাইবার পৃথিবীতে শিশু ভুক্তভোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিশুরা অপপ্রচারের শিকার হয়। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের (সিক্যাফ) ‘বাংলাদেশ সাইবার অপরাধপ্রবণতা-২০২৩’ শীর্ষক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য। প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে ভুক্তভোগীদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সাইবার অপরাধের শিকার বেশির ভাগ মানুষই আইনের আশ্রয় নেন না। এ সম্পর্কে অনেকের ধারণাই নেই। আবার যারা আইনের আশ্রয় নেন তাদের অভিজ্ঞতাও সুখকর নয়।

সাইবার অপরাধের হাত থেকে দেশের মানুষকে সুরক্ষা দিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে। বলা হয়েছিল, যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মতো বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমের অপব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে এই আইনের প্রয়োজন রয়েছে। বাস্তবে আইনটি সাধারণ মানুষকে কতটা রক্ষা করছে সেই প্রশ্ন রয়েছে। আইনের সঠিক প্রয়োগ হলে সাইবার অপরাধ বাড়ে কী করে সেই প্রশ্ন করা যেতে পারে। অভিযোগ রয়েছে, এই আইন সাইবার দুনিয়া অপরাধের শিকার মানুষের রক্ষাকবচ হওয়ার পরিবর্তে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর নির্যাতন-নিপীড়নের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে।

তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে, সেইসঙ্গে অপরাধীরাও বেপরোয়া হয়ে গেছে। সমস্যা হচ্ছে, সাইবার জগতে হয়রানির শিকার ভুক্তভোগীদের বড় একটি অংশই আইনের আশ্রয় নেন না।

প্রশ্ন হচ্ছে, সাইবার অপরাধের শিকার ভুক্তভোগীরা কেন আইনের আশ্রয় নিচ্ছেন না। ভুক্তভোগীদের কেউ কেউ বলেন, প্রতিকার চাইতে গেলে প্রায়ই উল্টো আরও হয়রানির শিকার হতে হয়- নানা জায়গায় দৌড়ঝাঁপ করতে হয়। আবার যারা আইনের আশ্রয় নেন বা মামলা করেন তারা সন্তোষজনক প্রতিকার পান না।

যখন কোনো অপরাধীর সাজা হয় তখন সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়। এতে করে অপরাধীরা অপরাধ করতে নিরুৎসাহিত হয়, ভুক্তভোগীরা অভিযোগ বা মামলা করতে উৎসাহিত হন। তাই সাইবার অপরাধ দমনে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ঘটাতে হবে। ভুক্তভোগীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।

পাশাপাশি সাইবার ঝুঁকির বিষয়ে দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মানুষদেরও সচেতন হতে হবে। সাইবার অপরাধ থেকে বাঁচতে সচেতনতার বিকল্প নেই।

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছর : মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কতটা পূরণ হলো

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

tab

সম্পাদকীয়

সাইবার অপরাধ দমনে আইনের প্রয়োগ ঘটাতে হবে

সোমবার, ২২ মে ২০২৩

দেশে নারী ও শিশুরাই সাইবার অপরাধের বেশি শিকার হয়। সাইবার পৃথিবীতে শিশু ভুক্তভোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিশুরা অপপ্রচারের শিকার হয়। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের (সিক্যাফ) ‘বাংলাদেশ সাইবার অপরাধপ্রবণতা-২০২৩’ শীর্ষক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য। প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে ভুক্তভোগীদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সাইবার অপরাধের শিকার বেশির ভাগ মানুষই আইনের আশ্রয় নেন না। এ সম্পর্কে অনেকের ধারণাই নেই। আবার যারা আইনের আশ্রয় নেন তাদের অভিজ্ঞতাও সুখকর নয়।

সাইবার অপরাধের হাত থেকে দেশের মানুষকে সুরক্ষা দিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে। বলা হয়েছিল, যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মতো বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমের অপব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে এই আইনের প্রয়োজন রয়েছে। বাস্তবে আইনটি সাধারণ মানুষকে কতটা রক্ষা করছে সেই প্রশ্ন রয়েছে। আইনের সঠিক প্রয়োগ হলে সাইবার অপরাধ বাড়ে কী করে সেই প্রশ্ন করা যেতে পারে। অভিযোগ রয়েছে, এই আইন সাইবার দুনিয়া অপরাধের শিকার মানুষের রক্ষাকবচ হওয়ার পরিবর্তে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর নির্যাতন-নিপীড়নের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে।

তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে, সেইসঙ্গে অপরাধীরাও বেপরোয়া হয়ে গেছে। সমস্যা হচ্ছে, সাইবার জগতে হয়রানির শিকার ভুক্তভোগীদের বড় একটি অংশই আইনের আশ্রয় নেন না।

প্রশ্ন হচ্ছে, সাইবার অপরাধের শিকার ভুক্তভোগীরা কেন আইনের আশ্রয় নিচ্ছেন না। ভুক্তভোগীদের কেউ কেউ বলেন, প্রতিকার চাইতে গেলে প্রায়ই উল্টো আরও হয়রানির শিকার হতে হয়- নানা জায়গায় দৌড়ঝাঁপ করতে হয়। আবার যারা আইনের আশ্রয় নেন বা মামলা করেন তারা সন্তোষজনক প্রতিকার পান না।

যখন কোনো অপরাধীর সাজা হয় তখন সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়। এতে করে অপরাধীরা অপরাধ করতে নিরুৎসাহিত হয়, ভুক্তভোগীরা অভিযোগ বা মামলা করতে উৎসাহিত হন। তাই সাইবার অপরাধ দমনে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ঘটাতে হবে। ভুক্তভোগীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।

পাশাপাশি সাইবার ঝুঁকির বিষয়ে দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মানুষদেরও সচেতন হতে হবে। সাইবার অপরাধ থেকে বাঁচতে সচেতনতার বিকল্প নেই।

back to top