alt

সম্পাদকীয়

দালাল চক্রের হাত থেকে বিদেশ গমনেচ্ছুদের রক্ষা করতে হবে

: বুধবার, ২৪ মে ২০২৩

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের বেলতৈল গ্রামের বাসিন্দা প্রবাসী মামুনের সন্ধান মিলছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। তার স্বজনরা দাবি করেছেন, বিদেশে নেয়ার কথা বলে দালাল চক্র তার টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে। তার স্বজনরা এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

দালালদের খপ্পরে পড়ে বিদেশ গমনেচ্ছু অনেক মানুষই নিঃস্ব হচ্ছেন। ভাগ্য বদলের আশায় অনেকে জমিজমা বিক্রি করে ও ধারদেনা করে টাকাপয়সা তুলে দেন দালালদের হাতে। কেউ কেউ দালালদের ফাঁদে পা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্রপথে পাড়ি জমাচ্ছেন ইউরোপের কোনো কোনো দেগে। গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই জাহাজ ডুবে মারাও যাচ্ছেন অথবা নিখোঁজও হচ্ছেন অনেকে।

সাঘাটার মামুনের পরিবারও সহায়-সম্বল বিক্রি ও ধারদেনা করে দালালের হাতে টাকা তুলে দিয়েছিল। তার পরিবার ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে এখন মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। মানুষ নিঃস্ব হচ্ছে, টাকাপয়সা হারাচ্ছে, কেউ কেউ বিদেশযাত্রায় প্রাণ হারাচ্ছে তার জন্য দায়ী মানবপাচারকারীরা। দালালরা এসব অপকর্ম বছরের পর বছর ধরে চালিয়ে আসছে কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে তেমন কঠোর ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। অভিযান চালিয়ে মাঝে মাঝে ধরা হয়ে থাকে পাচারকারী চক্রের চুনোপুঁটিদের। তবে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় মূলহোতারা।

দালালদের সিন্ডিকেট ভাঙতে সরকার তথ্যভান্ডার থেকে কর্মী নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল; কিন্তু সেটাও আর আলোর মুখ দেখেনি। দালালদের প্রলোভনে পড়েই নিঃস্ব হচ্ছে বিদেশ গমনেচ্ছু পরিবারগুলো। দালাল চক্রকে আইনের আওতায় আনা কি খুব কঠিন কাজ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জন্য?

মানুষ উন্নত জীবন ও জীবিকার আশায় জমিজমা সর্বস্ব বিক্রি করে বিদেশে যায়। আমরা বলতে চাই, সহায়-সম্বল বিক্রি করে কারো হাতে তুলে দেয়ার আগে খোঁজখবর নিতে হবে। ডিজিটাল যুগে খোঁজখবর নেয়াটা কঠিন কিছু নয়। বিদেশে গমনেচ্ছুরা যদি সচেতন হন, তাহলে প্রতারিত হওয়ার প্রবণতা কমবে।

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

দালাল চক্রের হাত থেকে বিদেশ গমনেচ্ছুদের রক্ষা করতে হবে

বুধবার, ২৪ মে ২০২৩

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের বেলতৈল গ্রামের বাসিন্দা প্রবাসী মামুনের সন্ধান মিলছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। তার স্বজনরা দাবি করেছেন, বিদেশে নেয়ার কথা বলে দালাল চক্র তার টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে। তার স্বজনরা এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

দালালদের খপ্পরে পড়ে বিদেশ গমনেচ্ছু অনেক মানুষই নিঃস্ব হচ্ছেন। ভাগ্য বদলের আশায় অনেকে জমিজমা বিক্রি করে ও ধারদেনা করে টাকাপয়সা তুলে দেন দালালদের হাতে। কেউ কেউ দালালদের ফাঁদে পা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্রপথে পাড়ি জমাচ্ছেন ইউরোপের কোনো কোনো দেগে। গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই জাহাজ ডুবে মারাও যাচ্ছেন অথবা নিখোঁজও হচ্ছেন অনেকে।

সাঘাটার মামুনের পরিবারও সহায়-সম্বল বিক্রি ও ধারদেনা করে দালালের হাতে টাকা তুলে দিয়েছিল। তার পরিবার ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে এখন মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। মানুষ নিঃস্ব হচ্ছে, টাকাপয়সা হারাচ্ছে, কেউ কেউ বিদেশযাত্রায় প্রাণ হারাচ্ছে তার জন্য দায়ী মানবপাচারকারীরা। দালালরা এসব অপকর্ম বছরের পর বছর ধরে চালিয়ে আসছে কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে তেমন কঠোর ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। অভিযান চালিয়ে মাঝে মাঝে ধরা হয়ে থাকে পাচারকারী চক্রের চুনোপুঁটিদের। তবে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় মূলহোতারা।

দালালদের সিন্ডিকেট ভাঙতে সরকার তথ্যভান্ডার থেকে কর্মী নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল; কিন্তু সেটাও আর আলোর মুখ দেখেনি। দালালদের প্রলোভনে পড়েই নিঃস্ব হচ্ছে বিদেশ গমনেচ্ছু পরিবারগুলো। দালাল চক্রকে আইনের আওতায় আনা কি খুব কঠিন কাজ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জন্য?

মানুষ উন্নত জীবন ও জীবিকার আশায় জমিজমা সর্বস্ব বিক্রি করে বিদেশে যায়। আমরা বলতে চাই, সহায়-সম্বল বিক্রি করে কারো হাতে তুলে দেয়ার আগে খোঁজখবর নিতে হবে। ডিজিটাল যুগে খোঁজখবর নেয়াটা কঠিন কিছু নয়। বিদেশে গমনেচ্ছুরা যদি সচেতন হন, তাহলে প্রতারিত হওয়ার প্রবণতা কমবে।

back to top