গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের বেলতৈল গ্রামের বাসিন্দা প্রবাসী মামুনের সন্ধান মিলছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। তার স্বজনরা দাবি করেছেন, বিদেশে নেয়ার কথা বলে দালাল চক্র তার টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে। তার স্বজনরা এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
দালালদের খপ্পরে পড়ে বিদেশ গমনেচ্ছু অনেক মানুষই নিঃস্ব হচ্ছেন। ভাগ্য বদলের আশায় অনেকে জমিজমা বিক্রি করে ও ধারদেনা করে টাকাপয়সা তুলে দেন দালালদের হাতে। কেউ কেউ দালালদের ফাঁদে পা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্রপথে পাড়ি জমাচ্ছেন ইউরোপের কোনো কোনো দেগে। গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই জাহাজ ডুবে মারাও যাচ্ছেন অথবা নিখোঁজও হচ্ছেন অনেকে।
সাঘাটার মামুনের পরিবারও সহায়-সম্বল বিক্রি ও ধারদেনা করে দালালের হাতে টাকা তুলে দিয়েছিল। তার পরিবার ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে এখন মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। মানুষ নিঃস্ব হচ্ছে, টাকাপয়সা হারাচ্ছে, কেউ কেউ বিদেশযাত্রায় প্রাণ হারাচ্ছে তার জন্য দায়ী মানবপাচারকারীরা। দালালরা এসব অপকর্ম বছরের পর বছর ধরে চালিয়ে আসছে কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে তেমন কঠোর ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। অভিযান চালিয়ে মাঝে মাঝে ধরা হয়ে থাকে পাচারকারী চক্রের চুনোপুঁটিদের। তবে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় মূলহোতারা।
দালালদের সিন্ডিকেট ভাঙতে সরকার তথ্যভান্ডার থেকে কর্মী নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল; কিন্তু সেটাও আর আলোর মুখ দেখেনি। দালালদের প্রলোভনে পড়েই নিঃস্ব হচ্ছে বিদেশ গমনেচ্ছু পরিবারগুলো। দালাল চক্রকে আইনের আওতায় আনা কি খুব কঠিন কাজ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জন্য?
মানুষ উন্নত জীবন ও জীবিকার আশায় জমিজমা সর্বস্ব বিক্রি করে বিদেশে যায়। আমরা বলতে চাই, সহায়-সম্বল বিক্রি করে কারো হাতে তুলে দেয়ার আগে খোঁজখবর নিতে হবে। ডিজিটাল যুগে খোঁজখবর নেয়াটা কঠিন কিছু নয়। বিদেশে গমনেচ্ছুরা যদি সচেতন হন, তাহলে প্রতারিত হওয়ার প্রবণতা কমবে।
বুধবার, ২৪ মে ২০২৩
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের বেলতৈল গ্রামের বাসিন্দা প্রবাসী মামুনের সন্ধান মিলছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। তার স্বজনরা দাবি করেছেন, বিদেশে নেয়ার কথা বলে দালাল চক্র তার টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে। তার স্বজনরা এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
দালালদের খপ্পরে পড়ে বিদেশ গমনেচ্ছু অনেক মানুষই নিঃস্ব হচ্ছেন। ভাগ্য বদলের আশায় অনেকে জমিজমা বিক্রি করে ও ধারদেনা করে টাকাপয়সা তুলে দেন দালালদের হাতে। কেউ কেউ দালালদের ফাঁদে পা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্রপথে পাড়ি জমাচ্ছেন ইউরোপের কোনো কোনো দেগে। গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই জাহাজ ডুবে মারাও যাচ্ছেন অথবা নিখোঁজও হচ্ছেন অনেকে।
সাঘাটার মামুনের পরিবারও সহায়-সম্বল বিক্রি ও ধারদেনা করে দালালের হাতে টাকা তুলে দিয়েছিল। তার পরিবার ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে এখন মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। মানুষ নিঃস্ব হচ্ছে, টাকাপয়সা হারাচ্ছে, কেউ কেউ বিদেশযাত্রায় প্রাণ হারাচ্ছে তার জন্য দায়ী মানবপাচারকারীরা। দালালরা এসব অপকর্ম বছরের পর বছর ধরে চালিয়ে আসছে কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে তেমন কঠোর ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। অভিযান চালিয়ে মাঝে মাঝে ধরা হয়ে থাকে পাচারকারী চক্রের চুনোপুঁটিদের। তবে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় মূলহোতারা।
দালালদের সিন্ডিকেট ভাঙতে সরকার তথ্যভান্ডার থেকে কর্মী নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল; কিন্তু সেটাও আর আলোর মুখ দেখেনি। দালালদের প্রলোভনে পড়েই নিঃস্ব হচ্ছে বিদেশ গমনেচ্ছু পরিবারগুলো। দালাল চক্রকে আইনের আওতায় আনা কি খুব কঠিন কাজ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জন্য?
মানুষ উন্নত জীবন ও জীবিকার আশায় জমিজমা সর্বস্ব বিক্রি করে বিদেশে যায়। আমরা বলতে চাই, সহায়-সম্বল বিক্রি করে কারো হাতে তুলে দেয়ার আগে খোঁজখবর নিতে হবে। ডিজিটাল যুগে খোঁজখবর নেয়াটা কঠিন কিছু নয়। বিদেশে গমনেচ্ছুরা যদি সচেতন হন, তাহলে প্রতারিত হওয়ার প্রবণতা কমবে।