গ্রামীণ দুস্থ নারীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকার ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) কর্মসূচি চালু করেছে। এটি সরকারের একটি বৃহত্তর সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি।
ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে কার্ডধারী উপকারভোগীদের প্রতি মাসে বিনামূল্যে ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হয়। এজন্য তাদের কাছ থেকে কোনো টাকা নেয়ার কথা নয়। কিন্তু পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার ভজনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কার্ডধারী দরিদ্র নারীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১০০ টাকা করে আদায় করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
দেশে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। আর অতি দারিদ্র্যের হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। এসব প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে কিছুটা স্বস্তি দিতেই সরকার বিভিন্ন ভাতা’র ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু প্রকৃত দরিদ্রগোষ্ঠী এসব ভাতা ভোগ করতে পারে কিনা সে নিয়েও নানা প্রশ্ন রয়েছে। সুষ্ঠুভাবেই যদি চাল বিতরণের কার্যক্রম চলতো, তাহলে তেঁতুলিয়ায় ভজনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিনামূল্যের চাল বিতরণে জনপ্রতি ১০০ টাকা করে আদায় করে কিভাবে। কার্ড বিতরণের সময় জনপ্রতি ৬০০ টাকা করে আদায় করার অভিযোগও তার বিরুদ্ধে রয়েছে। অসহায় দরিদ্র মানুষ অনৈতিক অনেক কাজের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে পারেন না; কিন্তু অনিয়ম-দুর্নীতি প্রশাসনের চোখ এড়ালো কিভাবে- সে প্রশ্ন আমরা করতে চাই।
শুধু তেঁতুলিয়ায় ভজনপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যানই যে চাল বিতরণে অনিয়ম-দুর্নীতি করছেন তা নয়। দেশের অনেক এলাকায় একশ্রেণীর জনপ্রতিনিধি বা প্রশাসনের অসাধু একশ্রেণীর কর্মকর্তাদের অনিয়ম-দুর্নীতির খবর পাওয়া যায়।
উপকারভোগী নারীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ আমলে নিতেহবে। সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত বলে আমরা মনে করি। সেই ব্যক্তি যতই প্রভাবশালী হোক না কেন। আইনের চোখে সবাই সমান।
দুস্থ ও অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল নারীদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভিডব্লিউবি কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকৃত উপকারভোগী নির্বাচন, চাল বিতরণের অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে টেকসই পদক্ষেপ না নিলে সরকারের আসল উদ্দেশ্যই ভেস্তে যাবে বলে আমরা মনে করি।
রোববার, ২৮ মে ২০২৩
গ্রামীণ দুস্থ নারীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকার ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) কর্মসূচি চালু করেছে। এটি সরকারের একটি বৃহত্তর সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি।
ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে কার্ডধারী উপকারভোগীদের প্রতি মাসে বিনামূল্যে ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হয়। এজন্য তাদের কাছ থেকে কোনো টাকা নেয়ার কথা নয়। কিন্তু পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার ভজনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কার্ডধারী দরিদ্র নারীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১০০ টাকা করে আদায় করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
দেশে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। আর অতি দারিদ্র্যের হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। এসব প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে কিছুটা স্বস্তি দিতেই সরকার বিভিন্ন ভাতা’র ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু প্রকৃত দরিদ্রগোষ্ঠী এসব ভাতা ভোগ করতে পারে কিনা সে নিয়েও নানা প্রশ্ন রয়েছে। সুষ্ঠুভাবেই যদি চাল বিতরণের কার্যক্রম চলতো, তাহলে তেঁতুলিয়ায় ভজনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিনামূল্যের চাল বিতরণে জনপ্রতি ১০০ টাকা করে আদায় করে কিভাবে। কার্ড বিতরণের সময় জনপ্রতি ৬০০ টাকা করে আদায় করার অভিযোগও তার বিরুদ্ধে রয়েছে। অসহায় দরিদ্র মানুষ অনৈতিক অনেক কাজের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে পারেন না; কিন্তু অনিয়ম-দুর্নীতি প্রশাসনের চোখ এড়ালো কিভাবে- সে প্রশ্ন আমরা করতে চাই।
শুধু তেঁতুলিয়ায় ভজনপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যানই যে চাল বিতরণে অনিয়ম-দুর্নীতি করছেন তা নয়। দেশের অনেক এলাকায় একশ্রেণীর জনপ্রতিনিধি বা প্রশাসনের অসাধু একশ্রেণীর কর্মকর্তাদের অনিয়ম-দুর্নীতির খবর পাওয়া যায়।
উপকারভোগী নারীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ আমলে নিতেহবে। সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত বলে আমরা মনে করি। সেই ব্যক্তি যতই প্রভাবশালী হোক না কেন। আইনের চোখে সবাই সমান।
দুস্থ ও অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল নারীদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভিডব্লিউবি কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকৃত উপকারভোগী নির্বাচন, চাল বিতরণের অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে টেকসই পদক্ষেপ না নিলে সরকারের আসল উদ্দেশ্যই ভেস্তে যাবে বলে আমরা মনে করি।