হবিগঞ্জের মাধবপুর বৈষ্ণবপুর গ্রামে একটি শিশুকে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে হাত বেঁধে রেখে নির্যাতন করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা বলছেন, অটোরিকশার যন্ত্রাংশের ক্ষতিসাধনের অভিযোগে শিশুটিকে আটকে রাখা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই অটোরিকশার চালককে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সমাজের একশ্রেণীর মানুষকে প্রায়ই শিশুদের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করতে দেখা যায়। তারা প্রকাশ্যেই সেই নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন করেন। তারই অংশ হিসেবে গাছের সঙ্গে বা অটোরিকশার সঙ্গে শিশুদের বেঁধে রাখা হয় বা আটকে রাখা হয়। গত শনিবার জামালপুরে একাধিক স্কুলছাত্রকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। এর জন্য এক কৃষক লীগ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে বিষয়টি জানতে পেরে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে।
শাসনের নামে সারা বিশ্বে শিশুরা নানাভাবে সহিংসতার শিকার হচ্ছে। এক তথ্য অনুযায়ী, দুই থেকে ১৪ বছরের প্রতি ৫টি শিশুর মধ্যে ৪টিই কোন না কোনভাবে মারধরের শিকার হচ্ছে। সমাজের বিভিন্ন স্তরে শিশুরা শারীরিক শাস্তির শিকার হয়ে থাকে। এমনকি বাড়িতে স্বজনদের কাছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের কাছেও তাদের নির্যাতিত হতে হয়।
শুধু শারীরিকভাবেই যে শিশুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তা নয়। সমাজের এক শ্রেণীর মানুষ কোন কোন শিশুর পরিবার, বংশ পরিচয়, বর্ণ, ধর্ম নিয়েও অনাকাক্সিক্ষত মন্তব্য করে। সমাজের একটি শ্রেণী সব সময় মনে করে থাকে শিশুরা বড়দের ইচ্ছামাফিক চলবে। এমন মনোভাবের কারণে তারা মনগড়া নিয়ম শিশুদের ওপর চাপিয়ে দেয়। ছোটখাটো ত্রুটি-বিচ্যুতি ঘটলেই শিশুদের নির্যাতন করে।
ঘরে-বাইরে শিশুরা নানাভাবে নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। তারা সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে পারছে না। ফলে তাদের স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত হয়। শিশুরা মানসিক সমস্যায় ভুগলে হতাশা ও বিষণ্নতায় আক্রান্ত হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন।
আমরা শিশুদের প্রতি সব ধরনের নির্যাতনের অবসান চাই। শিশুরা জাতির ভবিষ্যৎ। তাই শিশুদের সুরক্ষিত রাখা এবং তাদের সুন্দর পরিবেশে বেড়ে ওঠার দায়িত্ব আমাদেরই নিশ্চিত করতে হবে। সরকারের একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য হচ্ছে- ২০৩০ সালের মধ্যে সব ধরনের শিশু নির্যাতন বন্ধ করা হবে। এ লক্ষ্য পূরণে সরকার কাজ করছে সেটা আমরা দেখতে চাই। এক্ষেত্রে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনতে সবার মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।
মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩
হবিগঞ্জের মাধবপুর বৈষ্ণবপুর গ্রামে একটি শিশুকে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে হাত বেঁধে রেখে নির্যাতন করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা বলছেন, অটোরিকশার যন্ত্রাংশের ক্ষতিসাধনের অভিযোগে শিশুটিকে আটকে রাখা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই অটোরিকশার চালককে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সমাজের একশ্রেণীর মানুষকে প্রায়ই শিশুদের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করতে দেখা যায়। তারা প্রকাশ্যেই সেই নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন করেন। তারই অংশ হিসেবে গাছের সঙ্গে বা অটোরিকশার সঙ্গে শিশুদের বেঁধে রাখা হয় বা আটকে রাখা হয়। গত শনিবার জামালপুরে একাধিক স্কুলছাত্রকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। এর জন্য এক কৃষক লীগ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে বিষয়টি জানতে পেরে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে।
শাসনের নামে সারা বিশ্বে শিশুরা নানাভাবে সহিংসতার শিকার হচ্ছে। এক তথ্য অনুযায়ী, দুই থেকে ১৪ বছরের প্রতি ৫টি শিশুর মধ্যে ৪টিই কোন না কোনভাবে মারধরের শিকার হচ্ছে। সমাজের বিভিন্ন স্তরে শিশুরা শারীরিক শাস্তির শিকার হয়ে থাকে। এমনকি বাড়িতে স্বজনদের কাছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের কাছেও তাদের নির্যাতিত হতে হয়।
শুধু শারীরিকভাবেই যে শিশুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তা নয়। সমাজের এক শ্রেণীর মানুষ কোন কোন শিশুর পরিবার, বংশ পরিচয়, বর্ণ, ধর্ম নিয়েও অনাকাক্সিক্ষত মন্তব্য করে। সমাজের একটি শ্রেণী সব সময় মনে করে থাকে শিশুরা বড়দের ইচ্ছামাফিক চলবে। এমন মনোভাবের কারণে তারা মনগড়া নিয়ম শিশুদের ওপর চাপিয়ে দেয়। ছোটখাটো ত্রুটি-বিচ্যুতি ঘটলেই শিশুদের নির্যাতন করে।
ঘরে-বাইরে শিশুরা নানাভাবে নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। তারা সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে পারছে না। ফলে তাদের স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত হয়। শিশুরা মানসিক সমস্যায় ভুগলে হতাশা ও বিষণ্নতায় আক্রান্ত হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন।
আমরা শিশুদের প্রতি সব ধরনের নির্যাতনের অবসান চাই। শিশুরা জাতির ভবিষ্যৎ। তাই শিশুদের সুরক্ষিত রাখা এবং তাদের সুন্দর পরিবেশে বেড়ে ওঠার দায়িত্ব আমাদেরই নিশ্চিত করতে হবে। সরকারের একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য হচ্ছে- ২০৩০ সালের মধ্যে সব ধরনের শিশু নির্যাতন বন্ধ করা হবে। এ লক্ষ্য পূরণে সরকার কাজ করছে সেটা আমরা দেখতে চাই। এক্ষেত্রে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনতে সবার মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।