alt

সম্পাদকীয়

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে

: মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩

ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা বাড়ছে আশঙ্কাজনকভাবে। এই রোগের ধরন ও রূপও বদলে গেছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। স্বাস্থ্যমন্ত্রী দিনকয়েক আগে বলেছেন, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ডেঙ্গুরোগী পাঁচগুণ বেড়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যে তথ্য দিয়েছে তা থেকে জানা গেছে, গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৮ মে পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে ৩১০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। এবার একই সময়ে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৭৭১ জন।

আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, ডেঙ্গু শুধু রাজধানী বা বড় নগরীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। যদিও ডেঙ্গুকে মনে করা হয় নগর অঞ্চলের রোগ। তবে গত কয়েক মৌসুমে রোগটিকে শহর ছাপিয়ে গ্রামেও বিস্তৃত হতে দেখা গেছে। এবারও গ্রামে এর বিস্তৃতি ঘটছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে গত রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

নাগরিকদের জীবনে বড় দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এডিস মশা। এর বংশবৃদ্ধি কিছুতেই রোধ করা যাচ্ছে না। শহর-নগর তো বটেই গ্রামাঞ্চলেও এডিস মশার বংশবৃদ্ধি ঘটছে। এবং এ কারণে দেখা দিচ্ছে ডেঙ্গুরোগ। রাজধানী ঢাকায় বা অন্য সিটি করপোরেশনগুলোতে কর্তৃপক্ষগুলো মশা নিয়ন্ত্রণে গলদঘর্ম হচ্ছে। সেক্ষেত্রে গ্রামাঞ্চলে এডিস মশার প্রকোপ বাড়লে তা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে সেটা একটা ভাবনার বিষয়।

প্রায় দুই যুগ ধরে ডেঙ্গু দেশে বড় ধরনের জনস্বাস্থ্য সমস্যা। ২০০০ সালে দেশে বড় ধরনের ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। এরপর থেকে প্রতি বছর বহু মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু হচ্ছে। ২০১৯ সালে এক লাখেরও বেশি মানুষ ডেঙ্গুরোগে আক্রান্ত হয়েছিল। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, সেবার দেড় শতাধিক মানুষের এ রোগে মৃত্যু হয়েছিল। তবে বেসরকারি হিসাব অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩০০।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এডিস মশার বংশবিস্তারের যে ধরন তাতে ডেঙ্গুরোগ প্রতিরোধে নাগরিকদেরই বেশি তৎপর হতে হবে। ঘর, বারান্দা, ছাদ কিংবা বাড়ির আশপাশে কোথাও যাতে পানি জমে থাকতে না পারে সেদিকে নাগরিকদের খেয়াল রাখতে হবে। যদি বাড়িতে কোথাও পানি ধরে রাখতে হয়, তবে পানির পাত্রটি ঢেকে রাখতে হবে। কোথাও পানি জমে থাকলে অবশ্যই প্রতি তিন দিনে অন্তত একবার তা নিষ্কাশন করতে হবে। ডেঙ্গু যেহেতু গ্রামে ছড়িয়ে পড়ছে সেহেতু গ্রামবাসীকে এ বিষয়ে সচেতন করে তুলতে হবে। এডিস মশা নিধনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও জোরদার ভূমিকা পালন করতে হবে। সবাইকে সম্মিলিতভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।

রেল যাত্রীদের সেবার মান বাড়ান

সড়কে চালকদের হয়রানির অভিযোগ আমলে নিন

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সমস্যা দূর করুন

অনুমোদনহীন তিন চাকার যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বেশি মূল্যে খাবার কিনছে কেন

অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান সেকশন বন্ধ করতে হবে

নিষিদ্ধ ইউক্যালিপটাস গাছ বিক্রি বন্ধ হচ্ছে না কেন

ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু রোধে চাই সচেতনতা

ওজোন স্তরের ক্ষয় প্রসঙ্গে

অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি রোধে কোনো ছাড় নয়

বেদে শিশুদের শিক্ষা অর্জনের পথে বাধা দূর করুন

সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে

সিসা দূষণ মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিন

কম উচ্চতার সেতু বানানোর হেতু কী

জাংকফুডে স্বাস্থ্যঝুঁকি : মানুষকে সচেতন হতে হবে

কৃষক কেন পাটের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না

নন্দীগ্রামে নকল কীটনাশক বিক্রি বন্ধ করুন

বনভূমি রক্ষায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে

অবৈধ বালু তোলা বন্ধ করুন

গাইড-কোচিং নির্ভরতা কমানো যাচ্ছে না কেন

সংরক্ষিত বন রক্ষা করুন

মরক্কোতে ভয়াবহ ভূমিকম্প

শতভাগ সাক্ষরতা অর্জনে পাড়ি দিতে হবে অনেক পথ

ডেঙ্গু রোগ : মশারি ব্যবহারে অনীহা নয়

প্রকৃত উপকারভোগীদের বয়স্কভাতা কার্ড প্রাপ্তি নিশ্চিত করুন

ইবিতে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ আমলে নিন

কৃষককে পাটের ন্যায্যমূল্য দিতে হবে

সড়ক-মহাসড়ক টেকসই হয় না কেন

এলপিজি : বিইআরসির নির্ধারিত দর কার্যকর করতে হবে

এলপিজি : বিইআরসির নির্ধারিত দর কার্যকর করতে হবে

‘প্রকৃতির পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের’ রক্ষায় তৎপর হতে হবে

আবহাওয়ার পূর্বাভাস প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়ল কেন

শিক্ষার প্রকল্প বাস্তবায়নে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিন

সিডও সনদ ও নারীর অগ্রগতি

সাঙ্গু নদীর ঝুলন্ত সেতু সংস্কার করুন

রাজধানীর খাল রক্ষায় সুষ্ঠু পরিকল্পনা থাকতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে

মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩

ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা বাড়ছে আশঙ্কাজনকভাবে। এই রোগের ধরন ও রূপও বদলে গেছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। স্বাস্থ্যমন্ত্রী দিনকয়েক আগে বলেছেন, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ডেঙ্গুরোগী পাঁচগুণ বেড়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যে তথ্য দিয়েছে তা থেকে জানা গেছে, গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৮ মে পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে ৩১০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। এবার একই সময়ে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৭৭১ জন।

আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, ডেঙ্গু শুধু রাজধানী বা বড় নগরীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। যদিও ডেঙ্গুকে মনে করা হয় নগর অঞ্চলের রোগ। তবে গত কয়েক মৌসুমে রোগটিকে শহর ছাপিয়ে গ্রামেও বিস্তৃত হতে দেখা গেছে। এবারও গ্রামে এর বিস্তৃতি ঘটছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে গত রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

নাগরিকদের জীবনে বড় দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এডিস মশা। এর বংশবৃদ্ধি কিছুতেই রোধ করা যাচ্ছে না। শহর-নগর তো বটেই গ্রামাঞ্চলেও এডিস মশার বংশবৃদ্ধি ঘটছে। এবং এ কারণে দেখা দিচ্ছে ডেঙ্গুরোগ। রাজধানী ঢাকায় বা অন্য সিটি করপোরেশনগুলোতে কর্তৃপক্ষগুলো মশা নিয়ন্ত্রণে গলদঘর্ম হচ্ছে। সেক্ষেত্রে গ্রামাঞ্চলে এডিস মশার প্রকোপ বাড়লে তা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে সেটা একটা ভাবনার বিষয়।

প্রায় দুই যুগ ধরে ডেঙ্গু দেশে বড় ধরনের জনস্বাস্থ্য সমস্যা। ২০০০ সালে দেশে বড় ধরনের ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। এরপর থেকে প্রতি বছর বহু মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু হচ্ছে। ২০১৯ সালে এক লাখেরও বেশি মানুষ ডেঙ্গুরোগে আক্রান্ত হয়েছিল। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, সেবার দেড় শতাধিক মানুষের এ রোগে মৃত্যু হয়েছিল। তবে বেসরকারি হিসাব অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩০০।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এডিস মশার বংশবিস্তারের যে ধরন তাতে ডেঙ্গুরোগ প্রতিরোধে নাগরিকদেরই বেশি তৎপর হতে হবে। ঘর, বারান্দা, ছাদ কিংবা বাড়ির আশপাশে কোথাও যাতে পানি জমে থাকতে না পারে সেদিকে নাগরিকদের খেয়াল রাখতে হবে। যদি বাড়িতে কোথাও পানি ধরে রাখতে হয়, তবে পানির পাত্রটি ঢেকে রাখতে হবে। কোথাও পানি জমে থাকলে অবশ্যই প্রতি তিন দিনে অন্তত একবার তা নিষ্কাশন করতে হবে। ডেঙ্গু যেহেতু গ্রামে ছড়িয়ে পড়ছে সেহেতু গ্রামবাসীকে এ বিষয়ে সচেতন করে তুলতে হবে। এডিস মশা নিধনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও জোরদার ভূমিকা পালন করতে হবে। সবাইকে সম্মিলিতভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।

back to top