alt

সম্পাদকীয়

রুদ্র প্রকৃতি

: বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩

এপ্রিলে গরমের ধকল সইতে হয়েছে দেশবাসীকে। আবারও প্রকৃতির রুদ্র রূপ দেখতে হচ্ছে মানুষকে। মে’র শেষের দিকে এসে আবার তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। জুনের প্রথম সপ্তাহেও এর প্রভাব কমেনি। খুব শীঘ্রই যে গরম কমবে তার কোনো আভাস মেলেনি। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এবার বর্ষা আসতে দেরি হবে।

গরমে মানুষের জীবন জেরবার। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লোডশেডিং। দিনে যেমন, রাতেও তেমন থেমে থেমে লোডশেডিং হচ্ছে। বরং মধ্যরাতেই লোডশেডিং বেশি হচ্ছে বলে জানা গেছে। বিদ্যুৎ না থাকায় গরমে মানুষের মিলছে না স্বস্তি। ব্যহত হচ্ছে শিল্পোৎপাদন।

তাপমাত্রা বাড়লে মানুষের কর্মক্ষমতাও কমে। শ্রমজীবী মানুষকে টানা গরমে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ক্রমবর্ধমান তাপের কারণে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ কর্মঘণ্টার অপচয় হচ্ছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক জনস্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেটের ‘কাউন্টডাউন-২০২২’-এর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, তাপমাত্রা বাড়ার কারণে দেশের কৃষি খাতে ১৫৯ কোটি ৭০ লাখ কর্মঘণ্টার অপচয় হয়েছে। একই কারণে নির্মাণ খাতে ৩৩ কোটি কর্মঘণ্টা এবং উৎপাদন খাতে ২৪ কোটি কর্মঘণ্টা অপচয় হয়েছে।

তীব্র তাপদাহের কারণে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম চার দিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে এই পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। গরমের কারণে শিশুদের পাশাপাশি বৃদ্ধরা বিপাকে পড়েছেন। শিশু ও প্রবীণদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় হতে হবে যতœবান। গরমে হিটস্ট্রোকের আশঙ্কা থাকে। অন্যান্য অসুখও হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা সুস্থ থাকার জন্য পর্যাপ্ত পানীয় গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়াই ভালো।

বিশ্বজুড়েই তাপমাত্রা বাড়ছে। চীনের সবচেয়ে বড় শহর সাংহাইয়ে গত ১০০ বছরের মধ্যে ২৯ মে সবচেয়ে বেশি গরম অনুভূত হয়েছে। গরমের নতুন রেকর্ড হয়েছে। গত এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকায় ৫৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে।

দেশে জলাশয় ও বন কমেছে আশঙ্কাজনক হারে। বিশেষ করে রাজধানীতে জলাশয় ও সবুজের পরিমাণ কমেছে। এক তথ্য অনুযায়ী, গত দুই দশকে রাজধানীতে ৭০ ভাগ জলাশয় কমেছে, ইট-কংক্রিটের স্থাপনা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে গরম বেশি অনুভূত হওয়ার বড় একটি কারণ হচ্ছে জলাশয় ও বন কমে যাওয়া।

প্রতিকূল আবহাওয়াকে মোকাবিলা করতে হলে বনভূমি রক্ষা করতে হবে, বাঁচাতে হবে জলাভূমি। শুধু চারা লাগিয়ে সমস্যার সমাধান করা কঠিন হবে। বনভূমি রক্ষার বিকল্প নেই। সবুজের পরিমাণ বাড়ানো না গেলে ভবিষ্যতেও মানুষকে তীব্র গরমের মতো প্রতিকূল আবহাওয়ার শিকার হতে হবে। কাজেই এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সচেতন হতে হবে, করণীয় নির্ধারণ করতে হবে।

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

রুদ্র প্রকৃতি

বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩

এপ্রিলে গরমের ধকল সইতে হয়েছে দেশবাসীকে। আবারও প্রকৃতির রুদ্র রূপ দেখতে হচ্ছে মানুষকে। মে’র শেষের দিকে এসে আবার তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। জুনের প্রথম সপ্তাহেও এর প্রভাব কমেনি। খুব শীঘ্রই যে গরম কমবে তার কোনো আভাস মেলেনি। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এবার বর্ষা আসতে দেরি হবে।

গরমে মানুষের জীবন জেরবার। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লোডশেডিং। দিনে যেমন, রাতেও তেমন থেমে থেমে লোডশেডিং হচ্ছে। বরং মধ্যরাতেই লোডশেডিং বেশি হচ্ছে বলে জানা গেছে। বিদ্যুৎ না থাকায় গরমে মানুষের মিলছে না স্বস্তি। ব্যহত হচ্ছে শিল্পোৎপাদন।

তাপমাত্রা বাড়লে মানুষের কর্মক্ষমতাও কমে। শ্রমজীবী মানুষকে টানা গরমে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ক্রমবর্ধমান তাপের কারণে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ কর্মঘণ্টার অপচয় হচ্ছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক জনস্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেটের ‘কাউন্টডাউন-২০২২’-এর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, তাপমাত্রা বাড়ার কারণে দেশের কৃষি খাতে ১৫৯ কোটি ৭০ লাখ কর্মঘণ্টার অপচয় হয়েছে। একই কারণে নির্মাণ খাতে ৩৩ কোটি কর্মঘণ্টা এবং উৎপাদন খাতে ২৪ কোটি কর্মঘণ্টা অপচয় হয়েছে।

তীব্র তাপদাহের কারণে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম চার দিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে এই পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। গরমের কারণে শিশুদের পাশাপাশি বৃদ্ধরা বিপাকে পড়েছেন। শিশু ও প্রবীণদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় হতে হবে যতœবান। গরমে হিটস্ট্রোকের আশঙ্কা থাকে। অন্যান্য অসুখও হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা সুস্থ থাকার জন্য পর্যাপ্ত পানীয় গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়াই ভালো।

বিশ্বজুড়েই তাপমাত্রা বাড়ছে। চীনের সবচেয়ে বড় শহর সাংহাইয়ে গত ১০০ বছরের মধ্যে ২৯ মে সবচেয়ে বেশি গরম অনুভূত হয়েছে। গরমের নতুন রেকর্ড হয়েছে। গত এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকায় ৫৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে।

দেশে জলাশয় ও বন কমেছে আশঙ্কাজনক হারে। বিশেষ করে রাজধানীতে জলাশয় ও সবুজের পরিমাণ কমেছে। এক তথ্য অনুযায়ী, গত দুই দশকে রাজধানীতে ৭০ ভাগ জলাশয় কমেছে, ইট-কংক্রিটের স্থাপনা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে গরম বেশি অনুভূত হওয়ার বড় একটি কারণ হচ্ছে জলাশয় ও বন কমে যাওয়া।

প্রতিকূল আবহাওয়াকে মোকাবিলা করতে হলে বনভূমি রক্ষা করতে হবে, বাঁচাতে হবে জলাভূমি। শুধু চারা লাগিয়ে সমস্যার সমাধান করা কঠিন হবে। বনভূমি রক্ষার বিকল্প নেই। সবুজের পরিমাণ বাড়ানো না গেলে ভবিষ্যতেও মানুষকে তীব্র গরমের মতো প্রতিকূল আবহাওয়ার শিকার হতে হবে। কাজেই এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সচেতন হতে হবে, করণীয় নির্ধারণ করতে হবে।

back to top