খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা দুস্থ ও অতিদরিদ্রদের স্বনির্ভর করতে সহায়তার জন্য সরকার ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট বা ‘ভিডব্লিউবি’ কার্যক্রম চালু করেছে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ভিডব্লিউবির চাল পাচ্ছে সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী, পাকা বাড়ি, জমির মালিক ও ব্যবসায়ী পরিবার। আর বাদ পড়েছেন প্রকৃত হতদরিদ্ররা।
ভিডব্লিউবির আওতায় উপকারভোগী ব্যক্তিরা ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল সহায়তা পাবেন বলে সরকার নিয়ম বেধে দিয়েছে। গ্রামীণ জনপদের দুস্থ নারীরা সরকারের এ সিদ্ধান্তে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। উদ্দেশ্য ভালো, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু চাল যদি প্রকৃত উপকারভোগীদের কাছে না পৌঁছায়, তাহলে তো গরিব মানুষ উপকৃত হবে না। দেশের গ্রামীণ জনপদের অতিদরিদ্র নারীদের মুখে সরকার দুমুঠো খাবার তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করেছে আর সেটা প্রশাসন ও একশ্রেণির জনপ্রতিনিধিদের অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে ভেস্তে যেতে বসেছে।
শুধু পলাশবাড়ীর ইউনিয়নগুলোতে যে প্রকৃত অনেক উপকারভোগীকে বাদ দিয়ে সচ্ছল নারীদের ভিডব্লিউবির চাল দেয়া হচ্ছে তা নয়। দেশের অনেক জায়গাতেই দরিদ্রদের জন্য সরকারের দেয়া সহায়তাগুলোয় ভাগ বসায় সচ্ছলরা। চাল দেয়ার দায়িত্ব স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের। তারা এক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি করেন বলে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। টাকার বিনিময়ে কার্ড মেলে। এ নিয়ে পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। সংবাদ-এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। আমরা এসব অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সম্পাদকীয় লিখেছি। কিন্তু অতিদরিদ্রদের চাল নিয়ে দুর্নীতি বন্ধ হয়নি।
পলাশবাড়ীতে ভিডব্লিউবির তালিকা তৈরি যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি ভিডব্লিউবির তালিকায় সচ্ছল ব্যক্তিদের নাম থাকার কথা স্বীকার করেছেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য তদন্ত কমিটি হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণ হলে সচ্ছল ব্যক্তিদের নাম বাদ দিয়ে প্রকৃত উপকারভোগীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করবেন। পলাশবাড়ীর ইউএনও আশ্বাস দিয়েছেন, উপকারভোগীদের চাল যাতে প্রকৃত উপকারভোগীরা পান সে ব্যবস্থা তিনি করবেন। এটা ভালো কথা। আমরা চাই, প্রকৃত উপকারভোগীরা সুবিধাটা পাক। পাশাপাশি চাল বিতরণে যারা অনিয়ম-দুর্নীতি করছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের সব ইউনিয়নে চাল নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির অবসান ঘটাতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩
খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা দুস্থ ও অতিদরিদ্রদের স্বনির্ভর করতে সহায়তার জন্য সরকার ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট বা ‘ভিডব্লিউবি’ কার্যক্রম চালু করেছে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ভিডব্লিউবির চাল পাচ্ছে সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী, পাকা বাড়ি, জমির মালিক ও ব্যবসায়ী পরিবার। আর বাদ পড়েছেন প্রকৃত হতদরিদ্ররা।
ভিডব্লিউবির আওতায় উপকারভোগী ব্যক্তিরা ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল সহায়তা পাবেন বলে সরকার নিয়ম বেধে দিয়েছে। গ্রামীণ জনপদের দুস্থ নারীরা সরকারের এ সিদ্ধান্তে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। উদ্দেশ্য ভালো, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু চাল যদি প্রকৃত উপকারভোগীদের কাছে না পৌঁছায়, তাহলে তো গরিব মানুষ উপকৃত হবে না। দেশের গ্রামীণ জনপদের অতিদরিদ্র নারীদের মুখে সরকার দুমুঠো খাবার তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করেছে আর সেটা প্রশাসন ও একশ্রেণির জনপ্রতিনিধিদের অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে ভেস্তে যেতে বসেছে।
শুধু পলাশবাড়ীর ইউনিয়নগুলোতে যে প্রকৃত অনেক উপকারভোগীকে বাদ দিয়ে সচ্ছল নারীদের ভিডব্লিউবির চাল দেয়া হচ্ছে তা নয়। দেশের অনেক জায়গাতেই দরিদ্রদের জন্য সরকারের দেয়া সহায়তাগুলোয় ভাগ বসায় সচ্ছলরা। চাল দেয়ার দায়িত্ব স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের। তারা এক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি করেন বলে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। টাকার বিনিময়ে কার্ড মেলে। এ নিয়ে পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। সংবাদ-এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। আমরা এসব অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সম্পাদকীয় লিখেছি। কিন্তু অতিদরিদ্রদের চাল নিয়ে দুর্নীতি বন্ধ হয়নি।
পলাশবাড়ীতে ভিডব্লিউবির তালিকা তৈরি যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি ভিডব্লিউবির তালিকায় সচ্ছল ব্যক্তিদের নাম থাকার কথা স্বীকার করেছেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য তদন্ত কমিটি হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণ হলে সচ্ছল ব্যক্তিদের নাম বাদ দিয়ে প্রকৃত উপকারভোগীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করবেন। পলাশবাড়ীর ইউএনও আশ্বাস দিয়েছেন, উপকারভোগীদের চাল যাতে প্রকৃত উপকারভোগীরা পান সে ব্যবস্থা তিনি করবেন। এটা ভালো কথা। আমরা চাই, প্রকৃত উপকারভোগীরা সুবিধাটা পাক। পাশাপাশি চাল বিতরণে যারা অনিয়ম-দুর্নীতি করছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের সব ইউনিয়নে চাল নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির অবসান ঘটাতে হবে।