জাঁ-নেসার ওসমান
‘হেঁ হেঁ হেঁ, রসে ভরা বাংলাদেশ, হেঁ হেঁ! এইটা কোনো কথা হইলো! আরে ভাই পৃথিবীর সব দেশইতো রসে ভরা! তো বাংলাদেশের জন্য আবার আলাদা করে বলার কী আছে!!’
‘পৃথিবীর সব দেশই বাংলাদেশের মতো রসে ভরা??’
‘ক্যেনো নয়? এই যে খেজুরের রস, তালের রস, কমলার রস, আঙুরের রস, আখের রস, বাতাবি লেবুর রস, পাতি লেবুর রস, মোসাম্বুর রস... আর কত বলব!! পৃথিবীর সব দেশেই এই সব রস পাওয়া যায়। তাহলে বাংলাদেশের জন্য আলাদা করে আবার কী রস আবিষ্কার হলো যে, কেবল রসে ভরা বাংলাদেশ বলতে হবে?’
‘আরে গাড়ল আমি যে রসের কথা বলছি তার সাথে তোর এই সব প্রাকৃতিক ফল ফ্রুটের রসের সঙ্গে কোনো সম্বন্ধ নেই রে, এ হচ্ছে ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গলের রস।’
‘অন্নদামঙ্গল!! এরাম কোনো উদ্ভিদের নাম শুনি নাই যার রস হয়?’
‘ও রে কাঠ বাঙাল, এ-রস, সে রস নয় যে তুই গ্লাসে ঢেলে পান করবি?’ ‘গ্লাসে ঢেলে পান করতে না পারলে, সে রস আবার কোনো রস হয় নাকি?’
‘হয় হয়, গ্লাসে ঢেলে পান করতে না পারলেও রস হয় রে. রস হয়।’
‘সাত সকালেই গাঞ্জা সেবন করিয়াছেন নাকি? গ্লাসে না ঢালিয়াও রস পান করা যায়, ফাইজলামি মারার জায়গা পান না মিয়া!!’
‘আরে মনু চ্যেতো ক্যা!! এই যে দ্যেখ, শৃঙ্গার, বীর, করুণ, অদ্ভুত, হাস্য, বীভৎস, রৌদ্র ও শান্ত রস, এই রস তো সর্বজনগ্রাহ্য। এই রস তো গ্লাসে ঢেলে পান করা যায় না। তাই বলে তুই এই রসকে রস বলবি না??’
‘ও মনু আপনি দেখি ওকালতির প্যাঁচ, মাইরা সাহিত্যের, চলচ্চিত্রের, নাটক নভেলের রস লইয়া আমার সাথে রসিকতা করলেন! এইটা তো রস, মানলাম। এইটা গ্লাসে ঢেলে পান করা যায় না, তা ও মানলাম। তবে রসে ভরা বাংলাদেশ! এই কথার মানে কি?’
‘বাহ্ এই কথার মানে তুই বুঝিস নাই বললে তো হবে না!!’
‘এইডা আবার কি কথা! আপনের মনে কি আছে সেটা আমি বুঝবো কি করে??’ ‘তোর মতো ঘাগু বাঙালকেও এঁটা বুঝিয়ে বলতে হবে??’
‘ঘাগু বলেন আর যাই বলেন, সব সময় সব কথার মানে সবাই বুঝে না। ভাই না ভালা, আর ধন্দের মইধ্যে না রাইখ্যা ব্যাপারটা খোলোসা কইরা কন প্লিজ?’
‘শুরু করিতেছি বাংলার অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত জনগণের নামে যারা পরম করুণাময় এবং অত্যন্ত দয়ালু।
এই দয়ালু লোকেদের দয়ার সুযোগ লইয়া কিছু বটতলার ঔপ্যনাসিকরা যাহা ইচ্ছা তাহাই রচনা করিতেছেন।
আর বাঙলার আপামর অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত জনগণ যারা পরম করুণাময় এবং অন্তত্য দয়ালু, তাহারা এসব চটি গল্প, কবিতা, নাটক ও উপন্যাস রসিয়ে রসিয়ে রসিয়া বন্ধুর মতো উপভোগ করিতেছেন। কাহাকেও কিছু বলিতেছেন না। একপ্রকার পড়ন্তবেলার গোধূলি লগ্নের ¯িœগ্ধ আলোর মতো এই সব রস, দিকে দিকে বিচ্ছুরিত করিতেছেন এবং পুত্র-কন্যা দারা-পরিবার লইয়া মহা সুখে কুম্ভকর্ণের নিদ্রায় মগ্ন রহিয়াছেন।’
‘দাদা, ব্রাদার, ভাই সাহেব, এসব হেঁয়ালি পূর্ণ ধাঁ-ধাঁর মধ্যে বাংলার অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত জনগণকে রাখার অর্থ কী??’
‘যা বলবেন মিয়া সোজা কইরা কন। এই সব বঙ্কিমী রং আমাগো লগে... দিয়েন না, প্লিজ।’
‘এতে বঙ্কিম চন্দ্রের কী আছে, এই যে তোদের ৭০০ কোটি টাকার পাবলিক, যার তোরা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করলি, তার বৌ-বাচ্চা, সন্তান সন্ততির, চৌদ্দগোষ্ঠীর নাড়ি-নক্ষত্র ধরে টান দিলি, তার নামে মোকদ্দমা শুরু করলি, সেই মান্যবর বিশ কোটি বাঙালির চল্লিশ কোটি চোখ (জুলফিকারের মতো কিছু কানা, আর মান্যবরের নিজের আর ছেলে-মেয়েদের চোখ, বাদে) ফাঁকি দিয়ে হাওয়া হয়ে গেল!!’
‘এটাতো একটা অদ্ভুত ব্যাপার!’
‘জ্বি, সেটাই বলছিলাম, এটা আমাদের মুকুন্দরামের নাটক, সাহিত্য, নভেল, কবিতা গানে বলা হয় অদ্ভুত রস। তোর বাংলাদেশে প্রতিদিন এমনি রসের বন্যা বয়ে যাচ্ছে আর তোরা বাংলার অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত জনগণ পরম তৃপ্তির সঙ্গে বৌ-বাচ্চা, পোলাপান নিয়া মজা নিচ্ছিস!! সাধু সাধু।’
‘বুঝলাম আমরা বাংলার অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত জনগণ পরম করুনাময় এবং অন্তত্য দয়ালু, তাই এসব অদ্ভুত ব্যাপার নিয়ে আমরা মাথা ঘামাই না। কিন্তু তাই বলে আমার বীভৎস ঘটনাও উপভোগ করছি, বৌ পোলাপান নিয়া মজা নিচ্ছি, এই অপবাদ দেয়া কি ঠিক??’
‘ওই ব্যাটা ওই, এই যে তোদের মাননীয় বঙ্গবাসী বিদেশ বিভুঁয়ে মইরা কিমা হয়া মাছের খাদ্যে পরিণত হলো...
‘না না, এটাতো একটা বীভৎস ব্যাপার!!’
‘জ্বি, এই বীভৎস ব্যাপার, মানে তোরা রসিয়ে রসিয়ে এই বীভৎ রসের মজা লুটছিস। তোরা এর কোনো প্রতিবাদ করেছিস?? কোনো মানববন্ধন? নয়ন বন্ডের চাপাতি দিয়ে কোপায়া বান্ধবি মারা, মোসলমানির সময় বাচ্চা মারা, বৃদ্ধ বাপরে জমির জন্য শিকল দিয়া বাইন্ধা রাখা, গ্যাং রেপ করে তোর নিজের দেশের বাঙালি রমণী হত্যা করা, এই সব বীভৎস কাজ তোরা এনজয় করস না!!’
‘ঠিক আছে, ঠিক আছে, দেশে করুণ রস, বীভৎ রস, হাস্য রস সব আছে বুঝলাম। তাহলে এই অশান্ত দেশে আর যাই হোক শান্ত রস নাই। কি বলেন, হা হা।’
‘শান্ত রস নাই!! কী কস ব্যাটা বুরবক। এই যে তোরা এত কিছু অসঙ্গতি দেইখাও ভেড়ার মতো শিখ-ির মতো শান্ত হয়া ঘরে বয়া থাকোস এর চেয়ে ভালো শান্ত রসের আর কী উদাহরণ হতে পারে...।’
‘মানে কি আমরা মানুষ না, আমরা ভেড়ার পাল, আমরা হিজড়া!! মুখ সামলায়া কথাকন মিয়া, মুখে যাই আসে তাই বলবেন, আর আমরা বাংলার অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত জনগণ সব মাইন্না নিমু, জ্বি না, এসব আর চলবো না...।’
‘এই যে তুই খেপেছিস, একেই বলে বীর রস।
যেদিন তোদের বাংলার অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত জনগণ এমনি বীর রসে উজ্জীবিত হবি সেদিন তোদের হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলার স্বপ্ন পুরণ হবে, তোকে তখন আর কেউ ভেড়া বলার সাহস পাবে না।’
‘বীর ভোগ্যা এই বসূধা।’
[লেখক : চলচ্চিত্রকার]
জাঁ-নেসার ওসমান
শনিবার, ০৮ জুন ২০২৪
‘হেঁ হেঁ হেঁ, রসে ভরা বাংলাদেশ, হেঁ হেঁ! এইটা কোনো কথা হইলো! আরে ভাই পৃথিবীর সব দেশইতো রসে ভরা! তো বাংলাদেশের জন্য আবার আলাদা করে বলার কী আছে!!’
‘পৃথিবীর সব দেশই বাংলাদেশের মতো রসে ভরা??’
‘ক্যেনো নয়? এই যে খেজুরের রস, তালের রস, কমলার রস, আঙুরের রস, আখের রস, বাতাবি লেবুর রস, পাতি লেবুর রস, মোসাম্বুর রস... আর কত বলব!! পৃথিবীর সব দেশেই এই সব রস পাওয়া যায়। তাহলে বাংলাদেশের জন্য আলাদা করে আবার কী রস আবিষ্কার হলো যে, কেবল রসে ভরা বাংলাদেশ বলতে হবে?’
‘আরে গাড়ল আমি যে রসের কথা বলছি তার সাথে তোর এই সব প্রাকৃতিক ফল ফ্রুটের রসের সঙ্গে কোনো সম্বন্ধ নেই রে, এ হচ্ছে ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গলের রস।’
‘অন্নদামঙ্গল!! এরাম কোনো উদ্ভিদের নাম শুনি নাই যার রস হয়?’
‘ও রে কাঠ বাঙাল, এ-রস, সে রস নয় যে তুই গ্লাসে ঢেলে পান করবি?’ ‘গ্লাসে ঢেলে পান করতে না পারলে, সে রস আবার কোনো রস হয় নাকি?’
‘হয় হয়, গ্লাসে ঢেলে পান করতে না পারলেও রস হয় রে. রস হয়।’
‘সাত সকালেই গাঞ্জা সেবন করিয়াছেন নাকি? গ্লাসে না ঢালিয়াও রস পান করা যায়, ফাইজলামি মারার জায়গা পান না মিয়া!!’
‘আরে মনু চ্যেতো ক্যা!! এই যে দ্যেখ, শৃঙ্গার, বীর, করুণ, অদ্ভুত, হাস্য, বীভৎস, রৌদ্র ও শান্ত রস, এই রস তো সর্বজনগ্রাহ্য। এই রস তো গ্লাসে ঢেলে পান করা যায় না। তাই বলে তুই এই রসকে রস বলবি না??’
‘ও মনু আপনি দেখি ওকালতির প্যাঁচ, মাইরা সাহিত্যের, চলচ্চিত্রের, নাটক নভেলের রস লইয়া আমার সাথে রসিকতা করলেন! এইটা তো রস, মানলাম। এইটা গ্লাসে ঢেলে পান করা যায় না, তা ও মানলাম। তবে রসে ভরা বাংলাদেশ! এই কথার মানে কি?’
‘বাহ্ এই কথার মানে তুই বুঝিস নাই বললে তো হবে না!!’
‘এইডা আবার কি কথা! আপনের মনে কি আছে সেটা আমি বুঝবো কি করে??’ ‘তোর মতো ঘাগু বাঙালকেও এঁটা বুঝিয়ে বলতে হবে??’
‘ঘাগু বলেন আর যাই বলেন, সব সময় সব কথার মানে সবাই বুঝে না। ভাই না ভালা, আর ধন্দের মইধ্যে না রাইখ্যা ব্যাপারটা খোলোসা কইরা কন প্লিজ?’
‘শুরু করিতেছি বাংলার অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত জনগণের নামে যারা পরম করুণাময় এবং অত্যন্ত দয়ালু।
এই দয়ালু লোকেদের দয়ার সুযোগ লইয়া কিছু বটতলার ঔপ্যনাসিকরা যাহা ইচ্ছা তাহাই রচনা করিতেছেন।
আর বাঙলার আপামর অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত জনগণ যারা পরম করুণাময় এবং অন্তত্য দয়ালু, তাহারা এসব চটি গল্প, কবিতা, নাটক ও উপন্যাস রসিয়ে রসিয়ে রসিয়া বন্ধুর মতো উপভোগ করিতেছেন। কাহাকেও কিছু বলিতেছেন না। একপ্রকার পড়ন্তবেলার গোধূলি লগ্নের ¯িœগ্ধ আলোর মতো এই সব রস, দিকে দিকে বিচ্ছুরিত করিতেছেন এবং পুত্র-কন্যা দারা-পরিবার লইয়া মহা সুখে কুম্ভকর্ণের নিদ্রায় মগ্ন রহিয়াছেন।’
‘দাদা, ব্রাদার, ভাই সাহেব, এসব হেঁয়ালি পূর্ণ ধাঁ-ধাঁর মধ্যে বাংলার অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত জনগণকে রাখার অর্থ কী??’
‘যা বলবেন মিয়া সোজা কইরা কন। এই সব বঙ্কিমী রং আমাগো লগে... দিয়েন না, প্লিজ।’
‘এতে বঙ্কিম চন্দ্রের কী আছে, এই যে তোদের ৭০০ কোটি টাকার পাবলিক, যার তোরা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করলি, তার বৌ-বাচ্চা, সন্তান সন্ততির, চৌদ্দগোষ্ঠীর নাড়ি-নক্ষত্র ধরে টান দিলি, তার নামে মোকদ্দমা শুরু করলি, সেই মান্যবর বিশ কোটি বাঙালির চল্লিশ কোটি চোখ (জুলফিকারের মতো কিছু কানা, আর মান্যবরের নিজের আর ছেলে-মেয়েদের চোখ, বাদে) ফাঁকি দিয়ে হাওয়া হয়ে গেল!!’
‘এটাতো একটা অদ্ভুত ব্যাপার!’
‘জ্বি, সেটাই বলছিলাম, এটা আমাদের মুকুন্দরামের নাটক, সাহিত্য, নভেল, কবিতা গানে বলা হয় অদ্ভুত রস। তোর বাংলাদেশে প্রতিদিন এমনি রসের বন্যা বয়ে যাচ্ছে আর তোরা বাংলার অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত জনগণ পরম তৃপ্তির সঙ্গে বৌ-বাচ্চা, পোলাপান নিয়া মজা নিচ্ছিস!! সাধু সাধু।’
‘বুঝলাম আমরা বাংলার অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত জনগণ পরম করুনাময় এবং অন্তত্য দয়ালু, তাই এসব অদ্ভুত ব্যাপার নিয়ে আমরা মাথা ঘামাই না। কিন্তু তাই বলে আমার বীভৎস ঘটনাও উপভোগ করছি, বৌ পোলাপান নিয়া মজা নিচ্ছি, এই অপবাদ দেয়া কি ঠিক??’
‘ওই ব্যাটা ওই, এই যে তোদের মাননীয় বঙ্গবাসী বিদেশ বিভুঁয়ে মইরা কিমা হয়া মাছের খাদ্যে পরিণত হলো...
‘না না, এটাতো একটা বীভৎস ব্যাপার!!’
‘জ্বি, এই বীভৎস ব্যাপার, মানে তোরা রসিয়ে রসিয়ে এই বীভৎ রসের মজা লুটছিস। তোরা এর কোনো প্রতিবাদ করেছিস?? কোনো মানববন্ধন? নয়ন বন্ডের চাপাতি দিয়ে কোপায়া বান্ধবি মারা, মোসলমানির সময় বাচ্চা মারা, বৃদ্ধ বাপরে জমির জন্য শিকল দিয়া বাইন্ধা রাখা, গ্যাং রেপ করে তোর নিজের দেশের বাঙালি রমণী হত্যা করা, এই সব বীভৎস কাজ তোরা এনজয় করস না!!’
‘ঠিক আছে, ঠিক আছে, দেশে করুণ রস, বীভৎ রস, হাস্য রস সব আছে বুঝলাম। তাহলে এই অশান্ত দেশে আর যাই হোক শান্ত রস নাই। কি বলেন, হা হা।’
‘শান্ত রস নাই!! কী কস ব্যাটা বুরবক। এই যে তোরা এত কিছু অসঙ্গতি দেইখাও ভেড়ার মতো শিখ-ির মতো শান্ত হয়া ঘরে বয়া থাকোস এর চেয়ে ভালো শান্ত রসের আর কী উদাহরণ হতে পারে...।’
‘মানে কি আমরা মানুষ না, আমরা ভেড়ার পাল, আমরা হিজড়া!! মুখ সামলায়া কথাকন মিয়া, মুখে যাই আসে তাই বলবেন, আর আমরা বাংলার অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত জনগণ সব মাইন্না নিমু, জ্বি না, এসব আর চলবো না...।’
‘এই যে তুই খেপেছিস, একেই বলে বীর রস।
যেদিন তোদের বাংলার অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত জনগণ এমনি বীর রসে উজ্জীবিত হবি সেদিন তোদের হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলার স্বপ্ন পুরণ হবে, তোকে তখন আর কেউ ভেড়া বলার সাহস পাবে না।’
‘বীর ভোগ্যা এই বসূধা।’
[লেখক : চলচ্চিত্রকার]