জাহিদুল ইসলাম
বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে বৃষ্টিপাত, ভূমিকম্প, সুনামিসহ বন্যার মতো নানা নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলো। তাই বর্তমান আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে আগাম সতর্কতা হিসেবে প্রয়োজন হয়ে পড়েছে আবহাওয়ার নির্ভুল পূর্বাভাসের। ব্যারোমিটার (বায়ুম-লীয় চাপ পরিমাপ করতে), হাইগ্রোমিটার (আর্দ্রতা পরিমাপ করতে), থার্মোমিটার (তাপমাত্রা পরিমাপ করতে) ইত্যাদি আধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্র ব্যবহার করে ভৌগোলিক অবস্থান, পূর্ব আবহাওয়ার ইতিহাস, তাপমাত্রা, বায়ুচাপ, বায়ুর আর্দ্রতা, জলবায়ু, প্রাকৃতিক পরিবেশ, বনাঞ্চলের পরিমাণ ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ ও প্রাপ্ত উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বিদ্যমান আবহাওয়া ও অদূর ভবিষ্যতের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়ে থাকে।
বর্তমানে আধুনিক বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আবহাওয়া ও জলবায়ুসংক্রান্ত সেবা দ্রুততার সঙ্গে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া সম্ভব হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তাই দুর্যোগ ক্ষয়ক্ষতি ঘটানোর আগের প্রতিটি মুহূর্তই খুবই মূল্যবান। যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসার আগেই সঠিক সতর্কবার্তা পাওয়া যেত তাহলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক হ্রাস পেত। ঘূর্ণিঝড়, খরা, সুনামি, ভূমিকম্পসহ বন্যার মতো বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম তথ্য জানিয়ে জনগণের সম্পদের রক্ষাসহ প্রাণহানি কমানোর পাশাপাশি কৃষি উৎপাদনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব। প্রকৃতপক্ষে সামগ্রিকভাবে দেশে আবহাওয়া ও জলবায়ুর পূর্বাভাস সেবার মান বাড়িয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
গবেষকেরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষেত্রে আগাম সংকেত পাওয়ার পদ্ধতি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা চালাচ্ছেন। তারা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংকেত পেতে জিপিএস প্রযুক্তির পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি নির্ণয়ে উপযোগী প্রযুক্তির সেন্সরও ব্যবহার করেছেন তাদের গবেষণা এবং পরীক্ষা নিরীক্ষার ক্ষেত্রে। এছাড়াও প্রযুক্তিবিদরা ফ্ল্যাশ ফ্লাড বা আকস্মিক বন্যার মতো ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের জরুরি সংকেত পেতেও এই ধরনের বিভিন্ন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করেছেন। এক্ষেত্রে গবেষকরা রিয়েল টাইম বা ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে যেন তথ্য পাওয়া যায় এ ধরনের প্রযুক্তি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন।
যেহেতু প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগেই প্রতিটি মুহূর্ত সময় সবচেয়ে বেশি মূল্যবান। তাই ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে তথ্য পাওয়া গেলে জরুরি সেবাদাতা সংস্থাগুলোর জন্য প্রস্তুত থাকা সহজ হবে। এর ফলে এ ধরনের সতর্কবার্তা স্মার্টফোনে পাঠানো সহজ হবে। জননিরাপত্তায় এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যাপকভাবে কাজে লাগবে। পৃথিবীতে আঘাত হানা প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে প্রচ-তার দিক থেকে ঘূর্ণিঝড় অন্যতম। ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা ও গতিপথ পূর্বাভাসের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ অধিক রেঞ্জবিশিষ্ট অত্যাধুনিক কম্পিউটারযুক্ত রাডারের সাহায্যে ঘূর্ণিঝড়ের মেঘরাশি কেমন করে আবর্তিত হচ্ছে, মেঘরাশির উচ্চতা ও এর গতি কোনদিকে তা সুস্পষ্টভাবে দেখা যায়। রাডারের চিত্র থেকে ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ বাতাসের গতি ও ঘূর্ণিঝড়ের গতি নির্ণয় করা সম্ভব। অর্থাৎ এই রাডারের সাহায্যে ঘূর্ণিঝড়ের ত্রিমাত্রিক ধারণা পাওয়া সম্ভব।
আবহাওয়াজনিত দুর্যোগের পূর্বাভাস দিতে সদা তৎপর বিশ্বজুড়ে পরিবেশ ও আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা। পূর্বাভাসের মাধ্যমে জনসাধারণকে অগ্রিম সতর্ক করায় জীবন ও সম্পদহানির পরিমাণ বহুলাংশে কম হয়ে থাকে। জনসাধারণকে সচেতন করার কাজে পরিবেশ ও আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা অত্যাধুনিক নতুন নতুন ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে সঠিক ও সময়োচিত পূর্বাভাসদানে সচেষ্ট রয়েছেন।
ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ হলেও তা দিনে দিনে চরম ভাবাপন্ন হয়ে উঠছে। ফলে দেশের কৃষি, জনস্বাস্থ্য, মৎস্য, জীববৈচিত্র্যসহ সামগ্রিক ক্ষেত্রে এর বিরূপ প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বাংলাদেশে দুর্যোগের সংখ্যা ও তীব্রতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। জলবায়ু ও আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলার জন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশও বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রম ও উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করা খুবই জরুরি। আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের জন্য বিদ্যমান প্রযুক্তির সঙ্গে উন্নত বায়ু পরিমাপক ও রেকর্ডিং সিস্টেম, ডিজিটাল ব্যারোমিটার, জিপিএস রেডিও স্টেশন স্থাপনসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। এসব আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের অধিকতর সঠিক ও আগাম পূর্বাভাস পাওয়া সম্ভব হবে। অত্যাধুনিক এসব প্রযুক্তির ব্যবহার দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
বিজ্ঞানের উৎকর্ষের কল্যাণে দুর্যোগপ্রবণ দেশগুলোর ক্ষতি মোকাবিলায় যেসব প্রযুক্তির উদ্যোগ নেয়া হয় সেসবের জনপ্রিয়তা যেমন বাড়ছে তেমনি গ্রহণযোগ্যতাও বেড়েছে অনেক। বিশেষ করে বন্যা ও সাইক্লোনের পূর্বাভাসে এক সময় প্রচুর অসঙ্গতি ছিল। যার কারণে মানুষের কাছে এসব পূর্বাভাসের কোন গুরুত্ব ছিল না। কিন্তু গত প্রায় দুই দশক ধরে তথ্য-প্রযুক্তির গবেষণায় এসব সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠা গেছে। বর্তমানে পূর্বাভাসের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ার পাশাপাশি সচেতনতাও বেড়েছে অনেক। ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আগের তুলনায় এখন অনেক কম হয়। বিশেষ করে প্রাণহানির সংখ্যা অনেক সীমিত হয়ে এসেছে।
[ লেখক : নেটওয়ার্ক টেকনিশিয়ান (আইসিটি সেল), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ]
জাহিদুল ইসলাম
সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪
বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে বৃষ্টিপাত, ভূমিকম্প, সুনামিসহ বন্যার মতো নানা নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলো। তাই বর্তমান আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে আগাম সতর্কতা হিসেবে প্রয়োজন হয়ে পড়েছে আবহাওয়ার নির্ভুল পূর্বাভাসের। ব্যারোমিটার (বায়ুম-লীয় চাপ পরিমাপ করতে), হাইগ্রোমিটার (আর্দ্রতা পরিমাপ করতে), থার্মোমিটার (তাপমাত্রা পরিমাপ করতে) ইত্যাদি আধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্র ব্যবহার করে ভৌগোলিক অবস্থান, পূর্ব আবহাওয়ার ইতিহাস, তাপমাত্রা, বায়ুচাপ, বায়ুর আর্দ্রতা, জলবায়ু, প্রাকৃতিক পরিবেশ, বনাঞ্চলের পরিমাণ ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ ও প্রাপ্ত উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বিদ্যমান আবহাওয়া ও অদূর ভবিষ্যতের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়ে থাকে।
বর্তমানে আধুনিক বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আবহাওয়া ও জলবায়ুসংক্রান্ত সেবা দ্রুততার সঙ্গে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া সম্ভব হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তাই দুর্যোগ ক্ষয়ক্ষতি ঘটানোর আগের প্রতিটি মুহূর্তই খুবই মূল্যবান। যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসার আগেই সঠিক সতর্কবার্তা পাওয়া যেত তাহলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক হ্রাস পেত। ঘূর্ণিঝড়, খরা, সুনামি, ভূমিকম্পসহ বন্যার মতো বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম তথ্য জানিয়ে জনগণের সম্পদের রক্ষাসহ প্রাণহানি কমানোর পাশাপাশি কৃষি উৎপাদনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব। প্রকৃতপক্ষে সামগ্রিকভাবে দেশে আবহাওয়া ও জলবায়ুর পূর্বাভাস সেবার মান বাড়িয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
গবেষকেরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষেত্রে আগাম সংকেত পাওয়ার পদ্ধতি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা চালাচ্ছেন। তারা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংকেত পেতে জিপিএস প্রযুক্তির পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি নির্ণয়ে উপযোগী প্রযুক্তির সেন্সরও ব্যবহার করেছেন তাদের গবেষণা এবং পরীক্ষা নিরীক্ষার ক্ষেত্রে। এছাড়াও প্রযুক্তিবিদরা ফ্ল্যাশ ফ্লাড বা আকস্মিক বন্যার মতো ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের জরুরি সংকেত পেতেও এই ধরনের বিভিন্ন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করেছেন। এক্ষেত্রে গবেষকরা রিয়েল টাইম বা ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে যেন তথ্য পাওয়া যায় এ ধরনের প্রযুক্তি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন।
যেহেতু প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগেই প্রতিটি মুহূর্ত সময় সবচেয়ে বেশি মূল্যবান। তাই ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে তথ্য পাওয়া গেলে জরুরি সেবাদাতা সংস্থাগুলোর জন্য প্রস্তুত থাকা সহজ হবে। এর ফলে এ ধরনের সতর্কবার্তা স্মার্টফোনে পাঠানো সহজ হবে। জননিরাপত্তায় এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যাপকভাবে কাজে লাগবে। পৃথিবীতে আঘাত হানা প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে প্রচ-তার দিক থেকে ঘূর্ণিঝড় অন্যতম। ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা ও গতিপথ পূর্বাভাসের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ অধিক রেঞ্জবিশিষ্ট অত্যাধুনিক কম্পিউটারযুক্ত রাডারের সাহায্যে ঘূর্ণিঝড়ের মেঘরাশি কেমন করে আবর্তিত হচ্ছে, মেঘরাশির উচ্চতা ও এর গতি কোনদিকে তা সুস্পষ্টভাবে দেখা যায়। রাডারের চিত্র থেকে ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ বাতাসের গতি ও ঘূর্ণিঝড়ের গতি নির্ণয় করা সম্ভব। অর্থাৎ এই রাডারের সাহায্যে ঘূর্ণিঝড়ের ত্রিমাত্রিক ধারণা পাওয়া সম্ভব।
আবহাওয়াজনিত দুর্যোগের পূর্বাভাস দিতে সদা তৎপর বিশ্বজুড়ে পরিবেশ ও আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা। পূর্বাভাসের মাধ্যমে জনসাধারণকে অগ্রিম সতর্ক করায় জীবন ও সম্পদহানির পরিমাণ বহুলাংশে কম হয়ে থাকে। জনসাধারণকে সচেতন করার কাজে পরিবেশ ও আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা অত্যাধুনিক নতুন নতুন ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে সঠিক ও সময়োচিত পূর্বাভাসদানে সচেষ্ট রয়েছেন।
ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ হলেও তা দিনে দিনে চরম ভাবাপন্ন হয়ে উঠছে। ফলে দেশের কৃষি, জনস্বাস্থ্য, মৎস্য, জীববৈচিত্র্যসহ সামগ্রিক ক্ষেত্রে এর বিরূপ প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বাংলাদেশে দুর্যোগের সংখ্যা ও তীব্রতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। জলবায়ু ও আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলার জন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশও বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রম ও উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করা খুবই জরুরি। আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের জন্য বিদ্যমান প্রযুক্তির সঙ্গে উন্নত বায়ু পরিমাপক ও রেকর্ডিং সিস্টেম, ডিজিটাল ব্যারোমিটার, জিপিএস রেডিও স্টেশন স্থাপনসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। এসব আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের অধিকতর সঠিক ও আগাম পূর্বাভাস পাওয়া সম্ভব হবে। অত্যাধুনিক এসব প্রযুক্তির ব্যবহার দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
বিজ্ঞানের উৎকর্ষের কল্যাণে দুর্যোগপ্রবণ দেশগুলোর ক্ষতি মোকাবিলায় যেসব প্রযুক্তির উদ্যোগ নেয়া হয় সেসবের জনপ্রিয়তা যেমন বাড়ছে তেমনি গ্রহণযোগ্যতাও বেড়েছে অনেক। বিশেষ করে বন্যা ও সাইক্লোনের পূর্বাভাসে এক সময় প্রচুর অসঙ্গতি ছিল। যার কারণে মানুষের কাছে এসব পূর্বাভাসের কোন গুরুত্ব ছিল না। কিন্তু গত প্রায় দুই দশক ধরে তথ্য-প্রযুক্তির গবেষণায় এসব সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠা গেছে। বর্তমানে পূর্বাভাসের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ার পাশাপাশি সচেতনতাও বেড়েছে অনেক। ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আগের তুলনায় এখন অনেক কম হয়। বিশেষ করে প্রাণহানির সংখ্যা অনেক সীমিত হয়ে এসেছে।
[ লেখক : নেটওয়ার্ক টেকনিশিয়ান (আইসিটি সেল), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ]