alt

উপ-সম্পাদকীয়

মানব পাচার প্রতিরোধে প্রয়োজন সচেতনতা

মাহতাব হোসাইন মাজেদ

: রোববার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

মানব পাচার মানবাধিকার বিরোধী জঘন্য অপরাধ। মানব পাচারের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। মানব পাচারকে দাসত্বের আধুনিক রূপ বলে মনে করা হয়। অর্থ উপার্জনের সহজ মাধ্যম হিসেবে কিছু লোক মানব পাচারের মতো ঘৃণ্য কাজকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে।

বাংলাদেশের মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২ অনুযায়ী, ‘মানব পাচার’ অর্থ কোনো ব্যক্তিকে ভয় দেখিয়ে, বল প্রয়োগ বা প্রতারণার মাধ্যমে তার আর্থ-সামাজিক, পরিবেশগত বা অন্য কোনো অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে এবং টাকা-পয়সার বিনিময়ে বা অন্য কোন সুবিধা লাভের জন্য তার ওপর নিয়ন্ত্রণ আছে এমন কারও সম্মতি নিয়ে এবং বাংলাদেশের ভেতরে বা বাইরে যৌন শোষণ, শ্রম শোষণ অথবা অন্যকোন শোষণ বা নিপীড়নের উদ্দেশ্যে ক্রয় বা বিক্রয়, সংগ্রহ বা গ্রহণ, নির্বাসন বা স্থানান্তর, চালান বা আটক করা বা লুকিয়ে রাখা বা আশ্রয় দেয়া। উল্লেখ্য, পাচারের শিকার ব্যক্তির বয়স ১৮ বছরের কম হলে বলপ্রয়োগ, প্রতারণা বা প্রলোভন দেয়া হয়েছে কি না তা বিবেচনা করার দরকার নেই বরং শোষণ বা নিপীড়ন হলেই তা মানব পাচার প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট।

অপরাধের মাত্রাভেদে আইনের মধ্যে মানব পাচারের বিভিন্ন রকম শাস্তির বিধান রয়েছে। এ আইনের ৬ ধারা অনুসারে মানব পাচার নিষিদ্ধ করে এর জন্য অনধিক যাবজ্জীবন কারাদ- এবং কমপক্ষে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদ- এবং কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা অর্থদ-ের বিধান রাখা হয়েছে। ধারা ৭ অনুসারে সংঘবদ্ধ মানব পাচার অপরাধের দ- মৃত্যুদ- বা যাবজ্জীবন কারাদ- বা কমপক্ষে সাত বছর সশ্রম কারাদ- এবং কমপক্ষে পাঁচ লাখ টাকা অর্থদ-।

এ ছাড়া এ আইনের ধারা ৮ অনুসারে অপরাধ সংঘটনে প্ররোচনা, ষড়যন্ত্র বা চেষ্টা চালানোর দ- হিসেবে অনধিক সাত বছর এবং কমপক্ষে তিন বছর সশ্রম কারাদ- এবং কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা অর্থদ- রাখা হয়েছে। ধারা ৯ অনুসারে জবরদস্তি বা দাসত্বমূলক শ্রম বা সেবা প্রদান করিতে বাধ্য করার দ- অনধিক ১২ বছর এবং কমপক্ষে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদ- এবং কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা অর্থদ-। উক্ত আইনের ধারা ১০ অনুসারে মানব পাচার অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে অপহরণ, চুরি এবং আটক করার দ- এবং মানব পাচারের অপরাধ সংঘটনের অভিপ্রায়ে বা যৌনশোষণ ও নিপীড়নের শাস্তি অনধিক ১০ বছর এবং কমপক্ষে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদ- এবং কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা অর্থদ-ে দ-িত রাখা হয়েছে।

নবজাতক শিশু অপহরণ বা চুরির দ- অনধিক যাবজ্জীবন কারাদ- এবং কমপক্ষে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদ- এবং কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা অর্থদ- রাখা হয়েছে। এ আইনের পতিতাবৃত্তি বা অন্য কোনো ধরনের যৌনশোষণ বা নিপীড়নের জন্য আমদানি বা স্থানান্তরের দ- অনধিক সাত বছর এবং কমপক্ষে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদ- এবং কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা অর্থদ- রাখা হয়েছে। এ আইনের অধীন অপরাধগুলো আমলযোগ্য, আপস অযোগ্য এবং অ-জামিনযোগ্য।

হতাশার বিষয় হলো, নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে মানবপাচার অব্যাহত রয়েছে। প্রশ্ন হলো, এ ধরনের সুনির্দিষ্ট আইন থাকার পরও কেন তা রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না? অধিক জনসংখ্যা, অসচেতনতা, দারির্দ্য, শিক্ষার অভাব, দ্রুত নগরায়ন, মাদক ও যৌন ব্যবসা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদি বাংলাদেশকে এশিয়ার অন্যতম শিশু ও নারী পাচারের ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে পরিণত করেছে। আবার সুখী ও উন্নত জীবনের প্রলোভনে পড়ে আশ্রয়হীন; অসহায় ও হতাশাগ্রস্ত শহরমুখী নারী ও শিশুরাও পাচারের কবলে পড়ে। একশ্রেণীর মুনাফালোভী ব্যবসায়ী চক্র নারী ও শিশুদের চাকরি, বিবাহ, ভালোবাসা বা অন্য কিছুর প্রলোভন দেখিয়ে তাদের বিদেশে পাচার করে চলেছে। বছরের পর বছর এসব পাচারকৃত নারী ও শিশু শারীরিক ও যৌন নির্যাতন সহ্য করছে এবং ব্যবহৃত হচ্ছে কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট এর ট্রাফিকিং ইন পারসন্স (টিআইপি) রিপোর্ট ২০১৯ অনুযায়ী, প্রতিবছর অনেকেই অনিয়মিত চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে পাচার হন এবং পাচারকারীদের হাতে শোষণ এবং নির্যাতনের শিকার হয় এই মানুষগুলো। যারা অবৈধভাবে বা অনিয়মিতভাবে বিদেশে যায় বা যেতে বাধ্য হয় তারা সীমাবদ্ধ চলাচল, ঋণচুক্তি, জোরপূর্বক শ্রম, যৌন নিপীড়ন, জোরপূর্বক বিবাহ এবং দাসত্বের মতো সমস্যায় পড়েন। মানব পাচার প্রতিরোধে জনসচেতনতার বিকল্প নেই। নিজেকে এবং অন্যদের পাচারের হাত থেকে রক্ষা করুন, নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে সহায়তা করুন। আপনার অধিকারগুলো জানুন এবং সব সময় সেগুলো আদায় করার চেষ্টা করুন। পছন্দের দেশ বা চাকরিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে ঝুঁকিগুলো যাচাই করুন। আপনার ভবিষ্যৎ আপনি নিজেই স্থির করুন এবং জেনে ও বুঝে আপনার সিদ্ধান্ত নিন। নিবন্ধিত শ্রম অভিবাসী উপায়গুলো জেনে নিন। যেসব সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থা পাচার প্রতিরোধে কাজ করে তাদের সঠিক তথ্য দেয়া ও সহায়তা করা কর্তব্য।

[লেখক : প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি]

সম্পাদিত/ রেজাউল

মানব পাচার প্রতিরোধে প্রয়োজন সচেতনতা

মাহতাব হোসাইন মাজেদ

মানব পাচার মানবাধিকার বিরোধী জঘন্য অপরাধ। মানব পাচারের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। মানব পাচারকে দাসত্বের আধুনিক রূপ বলে মনে করা হয়। অর্থ উপার্জনের সহজ মাধ্যম হিসেবে কিছু লোক মানব পাচারের মতো ঘৃণ্য কাজকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে।

বাংলাদেশের মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২ অনুযায়ী, ‘মানব পাচার’ অর্থ কোনো ব্যক্তিকে ভয় দেখিয়ে, বল প্রয়োগ বা প্রতারণার মাধ্যমে তার আর্থ-সামাজিক, পরিবেশগত বা অন্য কোনো অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে এবং টাকা-পয়সার বিনিময়ে বা অন্য কোন সুবিধা লাভের জন্য তার ওপর নিয়ন্ত্রণ আছে এমন কারও সম্মতি নিয়ে এবং বাংলাদেশের ভেতরে বা বাইরে যৌন শোষণ, শ্রম শোষণ অথবা অন্যকোন শোষণ বা নিপীড়নের উদ্দেশ্যে ক্রয় বা বিক্রয়, সংগ্রহ বা গ্রহণ, নির্বাসন বা স্থানান্তর, চালান বা আটক করা বা লুকিয়ে রাখা বা আশ্রয় দেয়া। উল্লেখ্য, পাচারের শিকার ব্যক্তির বয়স ১৮ বছরের কম হলে বলপ্রয়োগ, প্রতারণা বা প্রলোভন দেয়া হয়েছে কি না তা বিবেচনা করার দরকার নেই বরং শোষণ বা নিপীড়ন হলেই তা মানব পাচার প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট।

অপরাধের মাত্রাভেদে আইনের মধ্যে মানব পাচারের বিভিন্ন রকম শাস্তির বিধান রয়েছে। এ আইনের ৬ ধারা অনুসারে মানব পাচার নিষিদ্ধ করে এর জন্য অনধিক যাবজ্জীবন কারাদ- এবং কমপক্ষে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদ- এবং কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা অর্থদ-ের বিধান রাখা হয়েছে। ধারা ৭ অনুসারে সংঘবদ্ধ মানব পাচার অপরাধের দ- মৃত্যুদ- বা যাবজ্জীবন কারাদ- বা কমপক্ষে সাত বছর সশ্রম কারাদ- এবং কমপক্ষে পাঁচ লাখ টাকা অর্থদ-।

এ ছাড়া এ আইনের ধারা ৮ অনুসারে অপরাধ সংঘটনে প্ররোচনা, ষড়যন্ত্র বা চেষ্টা চালানোর দ- হিসেবে অনধিক সাত বছর এবং কমপক্ষে তিন বছর সশ্রম কারাদ- এবং কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা অর্থদ- রাখা হয়েছে। ধারা ৯ অনুসারে জবরদস্তি বা দাসত্বমূলক শ্রম বা সেবা প্রদান করিতে বাধ্য করার দ- অনধিক ১২ বছর এবং কমপক্ষে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদ- এবং কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা অর্থদ-। উক্ত আইনের ধারা ১০ অনুসারে মানব পাচার অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে অপহরণ, চুরি এবং আটক করার দ- এবং মানব পাচারের অপরাধ সংঘটনের অভিপ্রায়ে বা যৌনশোষণ ও নিপীড়নের শাস্তি অনধিক ১০ বছর এবং কমপক্ষে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদ- এবং কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা অর্থদ-ে দ-িত রাখা হয়েছে।

নবজাতক শিশু অপহরণ বা চুরির দ- অনধিক যাবজ্জীবন কারাদ- এবং কমপক্ষে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদ- এবং কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা অর্থদ- রাখা হয়েছে। এ আইনের পতিতাবৃত্তি বা অন্য কোনো ধরনের যৌনশোষণ বা নিপীড়নের জন্য আমদানি বা স্থানান্তরের দ- অনধিক সাত বছর এবং কমপক্ষে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদ- এবং কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা অর্থদ- রাখা হয়েছে। এ আইনের অধীন অপরাধগুলো আমলযোগ্য, আপস অযোগ্য এবং অ-জামিনযোগ্য।

হতাশার বিষয় হলো, নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে মানবপাচার অব্যাহত রয়েছে। প্রশ্ন হলো, এ ধরনের সুনির্দিষ্ট আইন থাকার পরও কেন তা রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না? অধিক জনসংখ্যা, অসচেতনতা, দারির্দ্য, শিক্ষার অভাব, দ্রুত নগরায়ন, মাদক ও যৌন ব্যবসা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদি বাংলাদেশকে এশিয়ার অন্যতম শিশু ও নারী পাচারের ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে পরিণত করেছে। আবার সুখী ও উন্নত জীবনের প্রলোভনে পড়ে আশ্রয়হীন; অসহায় ও হতাশাগ্রস্ত শহরমুখী নারী ও শিশুরাও পাচারের কবলে পড়ে। একশ্রেণীর মুনাফালোভী ব্যবসায়ী চক্র নারী ও শিশুদের চাকরি, বিবাহ, ভালোবাসা বা অন্য কিছুর প্রলোভন দেখিয়ে তাদের বিদেশে পাচার করে চলেছে। বছরের পর বছর এসব পাচারকৃত নারী ও শিশু শারীরিক ও যৌন নির্যাতন সহ্য করছে এবং ব্যবহৃত হচ্ছে কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট এর ট্রাফিকিং ইন পারসন্স (টিআইপি) রিপোর্ট ২০১৯ অনুযায়ী, প্রতিবছর অনেকেই অনিয়মিত চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে পাচার হন এবং পাচারকারীদের হাতে শোষণ এবং নির্যাতনের শিকার হয় এই মানুষগুলো। যারা অবৈধভাবে বা অনিয়মিতভাবে বিদেশে যায় বা যেতে বাধ্য হয় তারা সীমাবদ্ধ চলাচল, ঋণচুক্তি, জোরপূর্বক শ্রম, যৌন নিপীড়ন, জোরপূর্বক বিবাহ এবং দাসত্বের মতো সমস্যায় পড়েন। মানব পাচার প্রতিরোধে জনসচেতনতার বিকল্প নেই। নিজেকে এবং অন্যদের পাচারের হাত থেকে রক্ষা করুন, নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে সহায়তা করুন। আপনার অধিকারগুলো জানুন এবং সব সময় সেগুলো আদায় করার চেষ্টা করুন। পছন্দের দেশ বা চাকরিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে ঝুঁকিগুলো যাচাই করুন। আপনার ভবিষ্যৎ আপনি নিজেই স্থির করুন এবং জেনে ও বুঝে আপনার সিদ্ধান্ত নিন। নিবন্ধিত শ্রম অভিবাসী উপায়গুলো জেনে নিন। যেসব সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থা পাচার প্রতিরোধে কাজ করে তাদের সঠিক তথ্য দেয়া ও সহায়তা করা কর্তব্য।

[লেখক : প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি]

মকর সংক্রান্তি : বাঙালির উৎসব ও ঐতিহ্যের ধারক

শৃঙ্খলে আবদ্ধ সামাজিক মানুষ

দাবি আদায়ে জনদুর্ভোগ : অপসংস্কৃতি ও নৈতিক প্রশ্ন

মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে কূটতর্ক

শৃঙ্খলে আবদ্ধ সামাজিক মানুষ

রজিনাদের বেঁচে থাকার লড়াই

সংবিধান সংশোধন : আমাদের বলার আছে

চিন্তা ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা

গ্রাম উন্নয়নে যুব সমাজের ভূমিকা

‘দেশজ নাট্যশৈলী’র কেন্দ্রীয় নাট্যআঙ্গিক ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি

ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ও কিছু প্রশ্ন

রাখাইন পরিস্থিতি : বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির বড় পরীক্ষা

রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব

রম্যগদ্য : নিশুতিরাতের আগন্তুক

গুরু রবিদাস জির কথা

গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতালদের জন্য অশনিসংকেত

নতুন বছরের প্রত্যাশা

নৈতিকতা, শিক্ষা ও উন্নয়ন: আমাদের মুক্তির পথ

কোথায় নাই কোটা?

ছবি

ও আমার স্বপ্ন ঝরা আকুল করা জন্মভূমি

ব্রেন রট: বর্তমান সময়ের এক মারাত্মক ব্যাধি

যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলুক দেশের গবেষণা

নির্মোহ ইতিহাস চর্চা ও রাষ্ট্র সংস্কার প্রয়াসে শিক্ষা

জলবায়ুর পরিবর্তন ও দেশের ভবিষ্যৎ

প্রসঙ্গ : থিয়েটার ফর থেরাপির তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক পাঠ

শ্বেতপত্রে নতুন কী আছে?

ছবি

ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও জুনো ভাইয়ের স্মৃতি

পরিবেশ সুরক্ষায় সার্কুলার ইকোনমি

বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না কেন

ভাড়া ‘নির্ধারণ’ কিংবা ‘নিয়ন্ত্রণ’ করবে কে?

ব্যাংক ও আর্থিক খাতের জন্য কেমন ছিল ২০২৪ সাল?

স্বৈরাচারের শেষ নেই...

ছবি

স্মরণ : বাংলা সাহিত্যের অমর কথাশিল্পী

দোষারোপের রাজনীতি আর কত

জ্ঞান, দক্ষতা ও সৃজনশীলতার বিকাশে চাই বিকেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা

যৌন নিপীড়ন প্রসঙ্গে

tab

উপ-সম্পাদকীয়

মানব পাচার প্রতিরোধে প্রয়োজন সচেতনতা

মাহতাব হোসাইন মাজেদ

রোববার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

মানব পাচার মানবাধিকার বিরোধী জঘন্য অপরাধ। মানব পাচারের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। মানব পাচারকে দাসত্বের আধুনিক রূপ বলে মনে করা হয়। অর্থ উপার্জনের সহজ মাধ্যম হিসেবে কিছু লোক মানব পাচারের মতো ঘৃণ্য কাজকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে।

বাংলাদেশের মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২ অনুযায়ী, ‘মানব পাচার’ অর্থ কোনো ব্যক্তিকে ভয় দেখিয়ে, বল প্রয়োগ বা প্রতারণার মাধ্যমে তার আর্থ-সামাজিক, পরিবেশগত বা অন্য কোনো অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে এবং টাকা-পয়সার বিনিময়ে বা অন্য কোন সুবিধা লাভের জন্য তার ওপর নিয়ন্ত্রণ আছে এমন কারও সম্মতি নিয়ে এবং বাংলাদেশের ভেতরে বা বাইরে যৌন শোষণ, শ্রম শোষণ অথবা অন্যকোন শোষণ বা নিপীড়নের উদ্দেশ্যে ক্রয় বা বিক্রয়, সংগ্রহ বা গ্রহণ, নির্বাসন বা স্থানান্তর, চালান বা আটক করা বা লুকিয়ে রাখা বা আশ্রয় দেয়া। উল্লেখ্য, পাচারের শিকার ব্যক্তির বয়স ১৮ বছরের কম হলে বলপ্রয়োগ, প্রতারণা বা প্রলোভন দেয়া হয়েছে কি না তা বিবেচনা করার দরকার নেই বরং শোষণ বা নিপীড়ন হলেই তা মানব পাচার প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট।

অপরাধের মাত্রাভেদে আইনের মধ্যে মানব পাচারের বিভিন্ন রকম শাস্তির বিধান রয়েছে। এ আইনের ৬ ধারা অনুসারে মানব পাচার নিষিদ্ধ করে এর জন্য অনধিক যাবজ্জীবন কারাদ- এবং কমপক্ষে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদ- এবং কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা অর্থদ-ের বিধান রাখা হয়েছে। ধারা ৭ অনুসারে সংঘবদ্ধ মানব পাচার অপরাধের দ- মৃত্যুদ- বা যাবজ্জীবন কারাদ- বা কমপক্ষে সাত বছর সশ্রম কারাদ- এবং কমপক্ষে পাঁচ লাখ টাকা অর্থদ-।

এ ছাড়া এ আইনের ধারা ৮ অনুসারে অপরাধ সংঘটনে প্ররোচনা, ষড়যন্ত্র বা চেষ্টা চালানোর দ- হিসেবে অনধিক সাত বছর এবং কমপক্ষে তিন বছর সশ্রম কারাদ- এবং কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা অর্থদ- রাখা হয়েছে। ধারা ৯ অনুসারে জবরদস্তি বা দাসত্বমূলক শ্রম বা সেবা প্রদান করিতে বাধ্য করার দ- অনধিক ১২ বছর এবং কমপক্ষে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদ- এবং কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা অর্থদ-। উক্ত আইনের ধারা ১০ অনুসারে মানব পাচার অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে অপহরণ, চুরি এবং আটক করার দ- এবং মানব পাচারের অপরাধ সংঘটনের অভিপ্রায়ে বা যৌনশোষণ ও নিপীড়নের শাস্তি অনধিক ১০ বছর এবং কমপক্ষে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদ- এবং কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা অর্থদ-ে দ-িত রাখা হয়েছে।

নবজাতক শিশু অপহরণ বা চুরির দ- অনধিক যাবজ্জীবন কারাদ- এবং কমপক্ষে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদ- এবং কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা অর্থদ- রাখা হয়েছে। এ আইনের পতিতাবৃত্তি বা অন্য কোনো ধরনের যৌনশোষণ বা নিপীড়নের জন্য আমদানি বা স্থানান্তরের দ- অনধিক সাত বছর এবং কমপক্ষে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদ- এবং কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা অর্থদ- রাখা হয়েছে। এ আইনের অধীন অপরাধগুলো আমলযোগ্য, আপস অযোগ্য এবং অ-জামিনযোগ্য।

হতাশার বিষয় হলো, নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে মানবপাচার অব্যাহত রয়েছে। প্রশ্ন হলো, এ ধরনের সুনির্দিষ্ট আইন থাকার পরও কেন তা রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না? অধিক জনসংখ্যা, অসচেতনতা, দারির্দ্য, শিক্ষার অভাব, দ্রুত নগরায়ন, মাদক ও যৌন ব্যবসা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদি বাংলাদেশকে এশিয়ার অন্যতম শিশু ও নারী পাচারের ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে পরিণত করেছে। আবার সুখী ও উন্নত জীবনের প্রলোভনে পড়ে আশ্রয়হীন; অসহায় ও হতাশাগ্রস্ত শহরমুখী নারী ও শিশুরাও পাচারের কবলে পড়ে। একশ্রেণীর মুনাফালোভী ব্যবসায়ী চক্র নারী ও শিশুদের চাকরি, বিবাহ, ভালোবাসা বা অন্য কিছুর প্রলোভন দেখিয়ে তাদের বিদেশে পাচার করে চলেছে। বছরের পর বছর এসব পাচারকৃত নারী ও শিশু শারীরিক ও যৌন নির্যাতন সহ্য করছে এবং ব্যবহৃত হচ্ছে কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট এর ট্রাফিকিং ইন পারসন্স (টিআইপি) রিপোর্ট ২০১৯ অনুযায়ী, প্রতিবছর অনেকেই অনিয়মিত চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে পাচার হন এবং পাচারকারীদের হাতে শোষণ এবং নির্যাতনের শিকার হয় এই মানুষগুলো। যারা অবৈধভাবে বা অনিয়মিতভাবে বিদেশে যায় বা যেতে বাধ্য হয় তারা সীমাবদ্ধ চলাচল, ঋণচুক্তি, জোরপূর্বক শ্রম, যৌন নিপীড়ন, জোরপূর্বক বিবাহ এবং দাসত্বের মতো সমস্যায় পড়েন। মানব পাচার প্রতিরোধে জনসচেতনতার বিকল্প নেই। নিজেকে এবং অন্যদের পাচারের হাত থেকে রক্ষা করুন, নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে সহায়তা করুন। আপনার অধিকারগুলো জানুন এবং সব সময় সেগুলো আদায় করার চেষ্টা করুন। পছন্দের দেশ বা চাকরিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে ঝুঁকিগুলো যাচাই করুন। আপনার ভবিষ্যৎ আপনি নিজেই স্থির করুন এবং জেনে ও বুঝে আপনার সিদ্ধান্ত নিন। নিবন্ধিত শ্রম অভিবাসী উপায়গুলো জেনে নিন। যেসব সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থা পাচার প্রতিরোধে কাজ করে তাদের সঠিক তথ্য দেয়া ও সহায়তা করা কর্তব্য।

[লেখক : প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি]

সম্পাদিত/ রেজাউল

মানব পাচার প্রতিরোধে প্রয়োজন সচেতনতা

মাহতাব হোসাইন মাজেদ

মানব পাচার মানবাধিকার বিরোধী জঘন্য অপরাধ। মানব পাচারের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। মানব পাচারকে দাসত্বের আধুনিক রূপ বলে মনে করা হয়। অর্থ উপার্জনের সহজ মাধ্যম হিসেবে কিছু লোক মানব পাচারের মতো ঘৃণ্য কাজকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে।

বাংলাদেশের মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২ অনুযায়ী, ‘মানব পাচার’ অর্থ কোনো ব্যক্তিকে ভয় দেখিয়ে, বল প্রয়োগ বা প্রতারণার মাধ্যমে তার আর্থ-সামাজিক, পরিবেশগত বা অন্য কোনো অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে এবং টাকা-পয়সার বিনিময়ে বা অন্য কোন সুবিধা লাভের জন্য তার ওপর নিয়ন্ত্রণ আছে এমন কারও সম্মতি নিয়ে এবং বাংলাদেশের ভেতরে বা বাইরে যৌন শোষণ, শ্রম শোষণ অথবা অন্যকোন শোষণ বা নিপীড়নের উদ্দেশ্যে ক্রয় বা বিক্রয়, সংগ্রহ বা গ্রহণ, নির্বাসন বা স্থানান্তর, চালান বা আটক করা বা লুকিয়ে রাখা বা আশ্রয় দেয়া। উল্লেখ্য, পাচারের শিকার ব্যক্তির বয়স ১৮ বছরের কম হলে বলপ্রয়োগ, প্রতারণা বা প্রলোভন দেয়া হয়েছে কি না তা বিবেচনা করার দরকার নেই বরং শোষণ বা নিপীড়ন হলেই তা মানব পাচার প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট।

অপরাধের মাত্রাভেদে আইনের মধ্যে মানব পাচারের বিভিন্ন রকম শাস্তির বিধান রয়েছে। এ আইনের ৬ ধারা অনুসারে মানব পাচার নিষিদ্ধ করে এর জন্য অনধিক যাবজ্জীবন কারাদ- এবং কমপক্ষে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদ- এবং কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা অর্থদ-ের বিধান রাখা হয়েছে। ধারা ৭ অনুসারে সংঘবদ্ধ মানব পাচার অপরাধের দ- মৃত্যুদ- বা যাবজ্জীবন কারাদ- বা কমপক্ষে সাত বছর সশ্রম কারাদ- এবং কমপক্ষে পাঁচ লাখ টাকা অর্থদ-।

এ ছাড়া এ আইনের ধারা ৮ অনুসারে অপরাধ সংঘটনে প্ররোচনা, ষড়যন্ত্র বা চেষ্টা চালানোর দ- হিসেবে অনধিক সাত বছর এবং কমপক্ষে তিন বছর সশ্রম কারাদ- এবং কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা অর্থদ- রাখা হয়েছে। ধারা ৯ অনুসারে জবরদস্তি বা দাসত্বমূলক শ্রম বা সেবা প্রদান করিতে বাধ্য করার দ- অনধিক ১২ বছর এবং কমপক্ষে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদ- এবং কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা অর্থদ-। উক্ত আইনের ধারা ১০ অনুসারে মানব পাচার অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে অপহরণ, চুরি এবং আটক করার দ- এবং মানব পাচারের অপরাধ সংঘটনের অভিপ্রায়ে বা যৌনশোষণ ও নিপীড়নের শাস্তি অনধিক ১০ বছর এবং কমপক্ষে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদ- এবং কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা অর্থদ-ে দ-িত রাখা হয়েছে।

নবজাতক শিশু অপহরণ বা চুরির দ- অনধিক যাবজ্জীবন কারাদ- এবং কমপক্ষে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদ- এবং কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা অর্থদ- রাখা হয়েছে। এ আইনের পতিতাবৃত্তি বা অন্য কোনো ধরনের যৌনশোষণ বা নিপীড়নের জন্য আমদানি বা স্থানান্তরের দ- অনধিক সাত বছর এবং কমপক্ষে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদ- এবং কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা অর্থদ- রাখা হয়েছে। এ আইনের অধীন অপরাধগুলো আমলযোগ্য, আপস অযোগ্য এবং অ-জামিনযোগ্য।

হতাশার বিষয় হলো, নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে মানবপাচার অব্যাহত রয়েছে। প্রশ্ন হলো, এ ধরনের সুনির্দিষ্ট আইন থাকার পরও কেন তা রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না? অধিক জনসংখ্যা, অসচেতনতা, দারির্দ্য, শিক্ষার অভাব, দ্রুত নগরায়ন, মাদক ও যৌন ব্যবসা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদি বাংলাদেশকে এশিয়ার অন্যতম শিশু ও নারী পাচারের ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে পরিণত করেছে। আবার সুখী ও উন্নত জীবনের প্রলোভনে পড়ে আশ্রয়হীন; অসহায় ও হতাশাগ্রস্ত শহরমুখী নারী ও শিশুরাও পাচারের কবলে পড়ে। একশ্রেণীর মুনাফালোভী ব্যবসায়ী চক্র নারী ও শিশুদের চাকরি, বিবাহ, ভালোবাসা বা অন্য কিছুর প্রলোভন দেখিয়ে তাদের বিদেশে পাচার করে চলেছে। বছরের পর বছর এসব পাচারকৃত নারী ও শিশু শারীরিক ও যৌন নির্যাতন সহ্য করছে এবং ব্যবহৃত হচ্ছে কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট এর ট্রাফিকিং ইন পারসন্স (টিআইপি) রিপোর্ট ২০১৯ অনুযায়ী, প্রতিবছর অনেকেই অনিয়মিত চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে পাচার হন এবং পাচারকারীদের হাতে শোষণ এবং নির্যাতনের শিকার হয় এই মানুষগুলো। যারা অবৈধভাবে বা অনিয়মিতভাবে বিদেশে যায় বা যেতে বাধ্য হয় তারা সীমাবদ্ধ চলাচল, ঋণচুক্তি, জোরপূর্বক শ্রম, যৌন নিপীড়ন, জোরপূর্বক বিবাহ এবং দাসত্বের মতো সমস্যায় পড়েন। মানব পাচার প্রতিরোধে জনসচেতনতার বিকল্প নেই। নিজেকে এবং অন্যদের পাচারের হাত থেকে রক্ষা করুন, নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে সহায়তা করুন। আপনার অধিকারগুলো জানুন এবং সব সময় সেগুলো আদায় করার চেষ্টা করুন। পছন্দের দেশ বা চাকরিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে ঝুঁকিগুলো যাচাই করুন। আপনার ভবিষ্যৎ আপনি নিজেই স্থির করুন এবং জেনে ও বুঝে আপনার সিদ্ধান্ত নিন। নিবন্ধিত শ্রম অভিবাসী উপায়গুলো জেনে নিন। যেসব সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থা পাচার প্রতিরোধে কাজ করে তাদের সঠিক তথ্য দেয়া ও সহায়তা করা কর্তব্য।

[লেখক : প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি]

back to top