জিল্লুর রহমান
গণআন্দোলনের মুখে সরকার পতনের পর পুলিশের ‘নিষ্ক্রিয়তার মধ্যে’ বিভিন্ন এলাকায় একদল মানুষের একজোট হয়ে ‘নিজেরাই বিচার’ করে ফেলার যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তা নিয়ে সমাজে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে, যা ‘মব জাস্টিস’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।
অন্তর্র্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকেও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানানো হয়েছে, আইন কোনোভাবেই হাতে তুলে না দেওয়ার আহ্বানও জানানো হয়েছে; কিন্তু যারা এসব কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দৃষ্টান্তও খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। অপরাধ বিশেষজ্ঞের মতে, এসব ঘটনায় সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি, আইনের শাসনের প্রতি অনীহা এবং ভবিষ্যতে ‘প্রতিশোধ গ্রহণের স্পৃহা’ তৈরি করতে পারে। তারা বলছেন, এ ধরনের ঘটনাগুলো বিচারিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করবে। মানুষ যদি বিচার ব্যবস্থাকেই বিশ্বাস না করে, নিজেরাই ‘মব জাস্টিস’ করতে থাকে, তাহলে বিচার ব্যবস্থার আর দরকার কী? এ কারণে যে কোনো মূল্যে এসব অতি উৎসাহী তৎপরতা বন্ধ করতে হবে।
আসলে মব জাস্টিস বা উচ্ছৃঙ্খল জনতার গণবিচার মূলত একটি অবজ্ঞাসূচক শব্দ, যা সাধারণ জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে অধিকৃত সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদী ধরনের শাসন ব্যবস্থাকে বোঝায়, যেখানে গণতন্ত্র বা অন্যান্য বৈধ এবং প্রতিনিধিত্বমূলক শাসন ব্যবস্থার তুলনায় পুরো সমাজের প্রতিনিধিত্বশীল একটি নাগরিক প্রক্রিয়ার অভাব বা ক্ষতি বিদ্যমান থাকে। এটি হলো গণতন্ত্রের একটি অবক্ষয়িত রূপ, যেমনভাবে সাম্রাজ্যবাদ সর্বাতন্ত্রবাদ বা অভিজাততন্ত্র অলিগার্কিতে পরিণত হতে পারে। শব্দগতভাবে, গণতন্ত্র হলো ‘জনগণের শাসন’, যা সাধারণ ইচ্ছার মাধ্যমে রাজনৈতিক ক্ষমতাকে বৈধতা দেয়। কিন্তু মব জাস্টিস হলো ‘উচ্ছৃঙ্খল জনতার গণবিচার’, অর্থাৎ যারা রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা করার সময় একটি দূষিত ইচ্ছা প্রদর্শন করে, যা বিভ্রান্ত ও অযৌক্তিক এবং এর ফলে তাদের স্বশাসন ক্ষমতা থাকে না এবং তারা জনগণ হিসেবে বিবেচিত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলী পূরণ করতে পারে না।
ছাত্র-জনতার প্রবল গণআন্দোলনে গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকেই এ ঘটনাগুলো ঘটছে। প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে আক্রমণ হচ্ছে, মাজারে মাজারে হামলা হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে কাউকে কাউকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ‘স্বউদ্যোগে অভিযানে’ যেতে দেখা যাচ্ছে এবং সরকারের পতনের পর বিভিন্ন জায়গায় ‘মব জাস্টিস’ চলতে দেখা যাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার আহ্বান জানানো হলেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেই চলেছে।
কোথাও কোনো ঘটনা ঘটলে সেটির জন্য প্রচলিত আইন, প্রশাসন আছে, বিচার ব্যবস্থা আছে। আইন অনুযায়ী সবকিছু হলেই সমাজে স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে, শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। আইনের বাইরে গিয়ে এমন পরিস্থিতি কখনই কাম্য নয়। ‘মব জাস্টিসের’ নামে নৈরাজ্য কখনই গ্রহণযোগ্য কোন সমাধানও নয়।
আইনের চোখে সবাই সমান। আইনের দৃষ্টিতে সব নাগরিকের সমান অধিকার প্রাপ্তির সুযোগকে আইনের শাসন বলে। আইনের দৃষ্টিতে সকলে সমান-এর অর্থ, জাতি-ধর্ম-বর্ণ -লিঙ্গ-পেশা নির্বিশেষে আইনের সমান আশ্রয় লাভ করা। এর ফলে ধনী-দরিদ্র, সবল-দুর্বল সকলে সমান অধিকার লাভ করে। আইনের শাসনের প্রাধান্য থাকলে সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার থেকে বিরত থাকবে এবং জনগণ আইনের বিধান মেনে চলবে। আইনের শাসনের গুরুত্ব অপরিসীম। আইন না থাকলে সমাজে অনাচার অরাজকতা সৃষ্টি হয়। আইনের শাসন অনুপস্থিত থাকলে নাগরিক স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, সামাজিক মূল্যবোধ, সাম্য কিছুই থাকে না। সাম্য, স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আইনের শাসন অত্যাবশ্যক।
সুশাসনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে আইনের শাসন। এটি একটি রাষ্ট্রের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ও বৈধ উপকরণ। মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আইনের শাসন। প্রশাসনের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে আইনের শাসন থাকা দরকার। আইনের মাধ্যমেই স্বেচ্ছাচারী ক্ষমতা ও আধিপত্য রোধকরা যায়। আইন হতে হবে অবশ্যই নিরপেক্ষ। শাসন তখনই ভালো বা সুশাসন হয় যখন, সরকার সামাজিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর উপকার বা মঙ্গল করে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা হচ্ছে সুশাসনের প্রধান উপাদান। এটি সরকারের স্বচ্ছতা ও আইনের শাসনের ওপর নির্ভর করে। জবাবদিহিতার মাধ্যমেই সুশাসন প্রতিষ্ঠা পায়। শুধু সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতেই নয় বরং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সুশীল সমাজের জবাবদিহিতাও আবশ্যক। দুর্নীতি কমাতে ও রাজনৈতিক উন্নয়নে জবাবদিহিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আইনের শাসনের মাধ্যমেই শাসক ও শাসিতের সুসম্পর্ক সৃষ্টি হয়। সরকার স্থায়িত্ব লাভ করে এবং রাষ্ট্রে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর অভাবে অবিশ্বাস, আন্দোলন ও বিপ্লব অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠে। আর বিশৃঙ্খলা, অশান্তি ও হানাহানি সমাজের শক্ত ভিতকে দুর্বল করে তুলে। সমাজে ধনী-দরিদ্র, সবল-দুর্বলের ভেদাভেদ প্রকট আকার ধারণ করে। সুতরাং সামাজিক সাম্য, নাগরিক অধিকার, গণতান্ত্রিক সমাজ ও স্থিতিশীল রাষ্ট্রব্যবস্থার জন্য আইনের শাসন অপরিহার্য। আইনের শাসন একটি সভ্য সমাজের মানদ-।
মব জাস্টিস কখনই ভালো কিছু বয়ে আনতে পারে না। এখন যিনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, ভবিষ্যতে তিনিও আরেকটা সুযোগের অপেক্ষায় থাকবেন। একটি মব আরও অনেকগুলো মব বয়ে নিয়ে আসে। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে সেটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে, কিন্তু সেই জায়গায় না গিয়ে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়, বরং এটি আইনের শাসনের পরিপন্থি।
[লেখক : ব্যাংকার]
জিল্লুর রহমান
মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
গণআন্দোলনের মুখে সরকার পতনের পর পুলিশের ‘নিষ্ক্রিয়তার মধ্যে’ বিভিন্ন এলাকায় একদল মানুষের একজোট হয়ে ‘নিজেরাই বিচার’ করে ফেলার যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তা নিয়ে সমাজে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে, যা ‘মব জাস্টিস’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।
অন্তর্র্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকেও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানানো হয়েছে, আইন কোনোভাবেই হাতে তুলে না দেওয়ার আহ্বানও জানানো হয়েছে; কিন্তু যারা এসব কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দৃষ্টান্তও খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। অপরাধ বিশেষজ্ঞের মতে, এসব ঘটনায় সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি, আইনের শাসনের প্রতি অনীহা এবং ভবিষ্যতে ‘প্রতিশোধ গ্রহণের স্পৃহা’ তৈরি করতে পারে। তারা বলছেন, এ ধরনের ঘটনাগুলো বিচারিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করবে। মানুষ যদি বিচার ব্যবস্থাকেই বিশ্বাস না করে, নিজেরাই ‘মব জাস্টিস’ করতে থাকে, তাহলে বিচার ব্যবস্থার আর দরকার কী? এ কারণে যে কোনো মূল্যে এসব অতি উৎসাহী তৎপরতা বন্ধ করতে হবে।
আসলে মব জাস্টিস বা উচ্ছৃঙ্খল জনতার গণবিচার মূলত একটি অবজ্ঞাসূচক শব্দ, যা সাধারণ জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে অধিকৃত সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদী ধরনের শাসন ব্যবস্থাকে বোঝায়, যেখানে গণতন্ত্র বা অন্যান্য বৈধ এবং প্রতিনিধিত্বমূলক শাসন ব্যবস্থার তুলনায় পুরো সমাজের প্রতিনিধিত্বশীল একটি নাগরিক প্রক্রিয়ার অভাব বা ক্ষতি বিদ্যমান থাকে। এটি হলো গণতন্ত্রের একটি অবক্ষয়িত রূপ, যেমনভাবে সাম্রাজ্যবাদ সর্বাতন্ত্রবাদ বা অভিজাততন্ত্র অলিগার্কিতে পরিণত হতে পারে। শব্দগতভাবে, গণতন্ত্র হলো ‘জনগণের শাসন’, যা সাধারণ ইচ্ছার মাধ্যমে রাজনৈতিক ক্ষমতাকে বৈধতা দেয়। কিন্তু মব জাস্টিস হলো ‘উচ্ছৃঙ্খল জনতার গণবিচার’, অর্থাৎ যারা রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা করার সময় একটি দূষিত ইচ্ছা প্রদর্শন করে, যা বিভ্রান্ত ও অযৌক্তিক এবং এর ফলে তাদের স্বশাসন ক্ষমতা থাকে না এবং তারা জনগণ হিসেবে বিবেচিত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলী পূরণ করতে পারে না।
ছাত্র-জনতার প্রবল গণআন্দোলনে গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকেই এ ঘটনাগুলো ঘটছে। প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে আক্রমণ হচ্ছে, মাজারে মাজারে হামলা হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে কাউকে কাউকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ‘স্বউদ্যোগে অভিযানে’ যেতে দেখা যাচ্ছে এবং সরকারের পতনের পর বিভিন্ন জায়গায় ‘মব জাস্টিস’ চলতে দেখা যাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার আহ্বান জানানো হলেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেই চলেছে।
কোথাও কোনো ঘটনা ঘটলে সেটির জন্য প্রচলিত আইন, প্রশাসন আছে, বিচার ব্যবস্থা আছে। আইন অনুযায়ী সবকিছু হলেই সমাজে স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে, শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। আইনের বাইরে গিয়ে এমন পরিস্থিতি কখনই কাম্য নয়। ‘মব জাস্টিসের’ নামে নৈরাজ্য কখনই গ্রহণযোগ্য কোন সমাধানও নয়।
আইনের চোখে সবাই সমান। আইনের দৃষ্টিতে সব নাগরিকের সমান অধিকার প্রাপ্তির সুযোগকে আইনের শাসন বলে। আইনের দৃষ্টিতে সকলে সমান-এর অর্থ, জাতি-ধর্ম-বর্ণ -লিঙ্গ-পেশা নির্বিশেষে আইনের সমান আশ্রয় লাভ করা। এর ফলে ধনী-দরিদ্র, সবল-দুর্বল সকলে সমান অধিকার লাভ করে। আইনের শাসনের প্রাধান্য থাকলে সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার থেকে বিরত থাকবে এবং জনগণ আইনের বিধান মেনে চলবে। আইনের শাসনের গুরুত্ব অপরিসীম। আইন না থাকলে সমাজে অনাচার অরাজকতা সৃষ্টি হয়। আইনের শাসন অনুপস্থিত থাকলে নাগরিক স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, সামাজিক মূল্যবোধ, সাম্য কিছুই থাকে না। সাম্য, স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আইনের শাসন অত্যাবশ্যক।
সুশাসনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে আইনের শাসন। এটি একটি রাষ্ট্রের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ও বৈধ উপকরণ। মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আইনের শাসন। প্রশাসনের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে আইনের শাসন থাকা দরকার। আইনের মাধ্যমেই স্বেচ্ছাচারী ক্ষমতা ও আধিপত্য রোধকরা যায়। আইন হতে হবে অবশ্যই নিরপেক্ষ। শাসন তখনই ভালো বা সুশাসন হয় যখন, সরকার সামাজিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর উপকার বা মঙ্গল করে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা হচ্ছে সুশাসনের প্রধান উপাদান। এটি সরকারের স্বচ্ছতা ও আইনের শাসনের ওপর নির্ভর করে। জবাবদিহিতার মাধ্যমেই সুশাসন প্রতিষ্ঠা পায়। শুধু সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতেই নয় বরং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সুশীল সমাজের জবাবদিহিতাও আবশ্যক। দুর্নীতি কমাতে ও রাজনৈতিক উন্নয়নে জবাবদিহিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আইনের শাসনের মাধ্যমেই শাসক ও শাসিতের সুসম্পর্ক সৃষ্টি হয়। সরকার স্থায়িত্ব লাভ করে এবং রাষ্ট্রে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর অভাবে অবিশ্বাস, আন্দোলন ও বিপ্লব অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠে। আর বিশৃঙ্খলা, অশান্তি ও হানাহানি সমাজের শক্ত ভিতকে দুর্বল করে তুলে। সমাজে ধনী-দরিদ্র, সবল-দুর্বলের ভেদাভেদ প্রকট আকার ধারণ করে। সুতরাং সামাজিক সাম্য, নাগরিক অধিকার, গণতান্ত্রিক সমাজ ও স্থিতিশীল রাষ্ট্রব্যবস্থার জন্য আইনের শাসন অপরিহার্য। আইনের শাসন একটি সভ্য সমাজের মানদ-।
মব জাস্টিস কখনই ভালো কিছু বয়ে আনতে পারে না। এখন যিনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, ভবিষ্যতে তিনিও আরেকটা সুযোগের অপেক্ষায় থাকবেন। একটি মব আরও অনেকগুলো মব বয়ে নিয়ে আসে। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে সেটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে, কিন্তু সেই জায়গায় না গিয়ে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়, বরং এটি আইনের শাসনের পরিপন্থি।
[লেখক : ব্যাংকার]