alt

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

হরিজনদের পদবি : ঐক্যের পথে বাধা

বাবুল রবিদাস

: শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫

আমাদের সমাজে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ বসবাস করে। প্রত্যেকেরই একটি নাম আছে, যার সঙ্গে উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া একটি পদবি বা উপাধি যুক্ত হয়। কিন্তু এই পদবিগুলো কি আদৌ কোনো উপকারে আসে? আজ আমরা আলোচনা করব তথাকথিত ‘হরিজন’ সম্প্রদায় নিয়ে। ‘হরিজন’ শব্দটির বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়Ñ ‘হরি’ মানে ভগবান বা ঈশ্বর, আর ‘জন’ মানে ভক্ত, সন্তান বা বান্দা। অর্থাৎ, গভীরভাবে ভাবলে ‘হরিজন’ হলো ভগবানের সন্তান বা বান্দা, ইংরেজিতে যাকে বলা যায় ‘চাইল্ড অব গড’।

সমাজের বৃহৎ অংশ শ্রমিক, মজদুর ও দলিতবঞ্চিত মানুষদের নিয়ে গঠিত। এরা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল। ধনীরা তাদের কাছ থেকে নামমাত্র মজুরিতে কাজ আদায় করে, যাতে তারা স্বাবলম্বী হতে না পারে। ফলে, খাদ্যের জন্য প্রতিদিন তাদের ধনীদের দ্বারস্থ হতে হয়। এতে তাদের পরিবার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় এবং বংশপরম্পরায় তারা পিছিয়ে পড়ে। হোটেল, রেস্তোরাঁসহ জনসাধারণের স্থানে অলিখিত নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা প্রবেশ করতে পারে না। উচ্চবর্গের চোখে হরিজনরা যেন অস্পৃশ্য ও অচ্ছুৎÑ এক ভিন্ন জগতের মানুষ। তাই তাদের বসবাস সমাজের বাইরে, নির্জন পল্লীতে। তারা শুধু প্রজা, কিন্তু ভোটের সময় হঠাৎ মূল্যবান নাগরিকে পরিণত হয়।

মহাত্মা গান্ধী এই অনগ্রসর ও সহজ-সরল জনগোষ্ঠীকে ‘হরিজন’ নাম দিয়ে তাদের পক্ষে কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাদের প্রকৃত প্রয়োজন ছিল মৌলিক অধিকারÑ অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা ও চিকিৎসা। গান্ধী তাদের জন্য ক্লাব গঠন, খেলাধুলা বা আমোদ-প্রমোদের সামান্য সুযোগ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু এগুলো ছিল প্রহসনের মতো। প্রকৃতপক্ষে, তাদের দরকার ছিল শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাসস্থানের মতো মৌলিক সুবিধা। ফলে, তারা আজও বঞ্চনা ও শোষণের শিকার।

‘বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদ’-এর সভাপতি কৃষ্ণলাল বলেন, এই সম্প্রদায়ের মধ্যে বহু পদবি রয়েছেÑ যেমন বাল্মীকি, বাঁশফোড়, লালবেগী, হেলা, ডোম, রাউত, মেথর ইত্যাদি। তিনি নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, স্কুলে ভর্তির সময় প্রধান শিক্ষক পদবি জানতে চাইলে তিনি শুধু ‘কৃষ্ণলাল’ নামে ভর্তি হন। কারণ, শিক্ষক জানতে চেয়েছিলেন তিনি ‘ছোট জাত’ না ‘বড় জাত’। তিনি মনে করেন, এই পদবিগুলো ভয়ংকর। একই পেশায় নিয়োজিত পরিবারগুলোÑ যেমন একটি রাজু ডোম, আরেকটি নির্মল বাল্মীকিÑ পদবির ভিন্নতার কারণে একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে না। খাওয়া-দাওয়া, বৈবাহিক সম্পর্ক বা বন্ধুত্ব স্থাপন না হওয়ায় তাদের মধ্যে বৈরিতা তৈরি হয়। এটি হরিজনদের ঐক্যের জন্য ক্ষতিকর।

কৃষ্ণলালের মতে, পদবির কারণে তারা ‘একতাই বল’ বোঝে না। এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অন্যরা তাদের ভোট বা সমর্থন কিনে নেয়। ফলে তারা ভোট দিয়েও উপকৃত হয় না। তিনি বলেন, উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া এই পদবিগুলো ‘ভাগ করো আর শোষণ করো’ নীতির ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। তাই এগুলো পরিত্যাগ করা উচিত। তিনি যুক্তি দেন, সব মানুষের রক্ত লাল, চুল কালো বা সাদা, হাত-পা-নাক-কান একই রকম। তাহলে ঘৃণার পদবি কেন?

সমাজে অনেক কিছু বদলেছে। পূর্বপুরুষরা নেংটি পরতেন, এখন তা অচল। গরু দিয়ে চাষ হতো, এখন পাওয়ার টিলার ব্যবহৃত হয়। বিয়ে সাত দিন চলত, এখন এক দিনে শেষ হয়। তাহলে হরিজনদের পদবি কেন বদলাবে না? যে পদবির কারণে সমাজ তাদের ঘৃণা করে, সেগুলো পরিবর্তন জরুরি। কৃষ্ণলাল নিজের উদাহরণ দিয়ে বলেন, তিনি পদবি ব্যবহার করেন না।

তিনি মনে করেন, পৃথিবীতে মানুষ এক জাতি হিসেবে শুরু করেছিল। স্বার্থের কারণে ভাগাভাগি হয়েছে। অথচ আগে সবাই মিলেমিশে থাকত, ছোঁয়াছুঁয়ির ভেদাভেদ ছিল না। হরিজনদের পিছিয়ে রাখা যাবে না। দেশের নীতি ‘কাউকে পেছনে ফেলে উন্নয়ন নয়’। তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে মানবতা জাগ্রত হোক। তিনি পরামর্শ দেন, পদবি ত্যাগ করে জন্ম নিবন্ধন ও ভোটার আইডি কার্ডে যোগ্য নাগরিক হিসেবে পরিচয় তৈরি করতে।

সব কলাগাছের পাতা একই রকম, মানুষের রক্তও একÑ লাল। হাত-পা-চোখ সবার একই। তাহলে ভিন্নতা কেন? পদবি ত্যাগ করে ভ্রাতৃত্ব, বন্ধুত্ব ও প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক গড়তে হবে। পদবিবৈষম্য, অস্পৃশ্যতার মতো ক্যানসার তৈরি করে, যা দ্রুত দূর করা দরকার। হরিজনরা একে অপরের প্রতি ভালোবাসা ও ঐক্য গড়লে শক্তি বাড়বে। আইনের চোখে সবাই সমান।

পদবি চালু রাখতে চাইলে পিতা-মাতার নাম ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন ‘বাবুলাল বিরেন’ বা ‘বাবুলাল সূর্যমণি’। অনেক দেশে এ পদ্ধতি রয়েছে। বাংলাদেশেও এটি চালু করা যেতে পারে।

[লেখক : আইনজীবী, জজ কোর্ট, জয়পুরহাট]

বাংলাদেশী উত্তরাধিকার: প্রবাস-জীবন ও আমাদের সংস্কৃতি

রাজনীতিতে ভাষার সহনীয় প্রয়োগ

ভারত : এসআইআর এবং সাম্প্রদায়িক বিভাজন

মনে কী দ্বিধা নিয়ে...

নিরাপদ সড়ক ভাবনা

অপরিকল্পিত বাঁধ-শিল্পায়নে বিপর্যস্ত বরেন্দ্র কৃষি

ছবি

মামদানি দেখালেন নেতৃত্বের মূল পরিচয় কী

চেকের মামলায় বৈধ বিনিময়, লেনদেন, দেনা-পাওনা প্রমাণ ছাড়া আর জেল নয়

নবাগত শিক্ষকদের পেশাগত ভাবনা

মাদকাসক্তি: শুধু নিরাময় নয়, চাই সমাজ ব্যবস্থার সংস্কার

আমেরিকার “নো কিংস” আন্দোলন

ঘি তো আমাদের লাগবেই, নো হাংকি পাংকি!

“মামদানি না জামদানি...”

ভাষার বৈচিত্র্য রক্ষায় নীরব বিপ্লব

উপাত্ত সুরক্ষা আইন : গোপনীয়তা রক্ষা নাকি রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ?

সমতা কি ন্যায্যতা নিশ্চিত করে?

ডেঙ্গু সংকট দূরদৃষ্টির ব্যর্থতা

ষাটের দশকে বামপন্থী ভাবনার উত্থান ও বিবর্তন

দেখিতে পাও না তুমি মৃত্যুদূত দাঁড়ায়েছে দ্বারে!

বায়ুর অপর নাম জীবন

ছবি

হাওরের জীবন ও সংস্কৃতি

বিখণ্ডিত আত্মপরিচয়: তরল সহানুভূতিতে নৈতিক মূলধনের সমাজতত্ত্ব

প্রভাষকের ‘প্রভা’ যখন ‘শোক’: শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতি বঞ্চনা

যুদ্ধ বিরতি গাজাবাসীর জন্য জরুরি ছিল

লবলং খালের মৃত্যু: স্মৃতিতে নদী, বাস্তবে দূষণ

বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা: অর্থনৈতিক স্থিতির পূর্বশর্ত

হায় যম! আর কতক্ষণ, হবে অপেক্ষা করিতে মোরে?

পোশাক শিল্প : অগ্রগতি ও শ্রমিকের অধিকার

গণভোটের রাজনৈতিক গুরুত্ব

বামঘরানার বাটখারা...

বাগদা ফার্ম : স্মারকলিপি, অবরোধ, অনশন, আন্দোলন- কিছুতেই বরফ গলেনি

ব্যাটারি-শকট: নতুন সংকট

মতপ্রকাশ কিংবা দ্বিমত পোষণ: নাগরিক অধিকার ও রাজনৈতিক বাস্তবতা

সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন ব্যাংক কি আদৌ প্রয়োজন

ট্রাম্প ও শি’র ‘কৌশলগত শান্তি’

আশার সমাজতত্ত্ব: বিভ্রান্তির যুগে ভবিষ্যৎ নির্মাণের বিপ্লবী বিজ্ঞান

tab

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

হরিজনদের পদবি : ঐক্যের পথে বাধা

বাবুল রবিদাস

শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫

আমাদের সমাজে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ বসবাস করে। প্রত্যেকেরই একটি নাম আছে, যার সঙ্গে উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া একটি পদবি বা উপাধি যুক্ত হয়। কিন্তু এই পদবিগুলো কি আদৌ কোনো উপকারে আসে? আজ আমরা আলোচনা করব তথাকথিত ‘হরিজন’ সম্প্রদায় নিয়ে। ‘হরিজন’ শব্দটির বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়Ñ ‘হরি’ মানে ভগবান বা ঈশ্বর, আর ‘জন’ মানে ভক্ত, সন্তান বা বান্দা। অর্থাৎ, গভীরভাবে ভাবলে ‘হরিজন’ হলো ভগবানের সন্তান বা বান্দা, ইংরেজিতে যাকে বলা যায় ‘চাইল্ড অব গড’।

সমাজের বৃহৎ অংশ শ্রমিক, মজদুর ও দলিতবঞ্চিত মানুষদের নিয়ে গঠিত। এরা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল। ধনীরা তাদের কাছ থেকে নামমাত্র মজুরিতে কাজ আদায় করে, যাতে তারা স্বাবলম্বী হতে না পারে। ফলে, খাদ্যের জন্য প্রতিদিন তাদের ধনীদের দ্বারস্থ হতে হয়। এতে তাদের পরিবার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় এবং বংশপরম্পরায় তারা পিছিয়ে পড়ে। হোটেল, রেস্তোরাঁসহ জনসাধারণের স্থানে অলিখিত নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা প্রবেশ করতে পারে না। উচ্চবর্গের চোখে হরিজনরা যেন অস্পৃশ্য ও অচ্ছুৎÑ এক ভিন্ন জগতের মানুষ। তাই তাদের বসবাস সমাজের বাইরে, নির্জন পল্লীতে। তারা শুধু প্রজা, কিন্তু ভোটের সময় হঠাৎ মূল্যবান নাগরিকে পরিণত হয়।

মহাত্মা গান্ধী এই অনগ্রসর ও সহজ-সরল জনগোষ্ঠীকে ‘হরিজন’ নাম দিয়ে তাদের পক্ষে কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাদের প্রকৃত প্রয়োজন ছিল মৌলিক অধিকারÑ অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা ও চিকিৎসা। গান্ধী তাদের জন্য ক্লাব গঠন, খেলাধুলা বা আমোদ-প্রমোদের সামান্য সুযোগ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু এগুলো ছিল প্রহসনের মতো। প্রকৃতপক্ষে, তাদের দরকার ছিল শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাসস্থানের মতো মৌলিক সুবিধা। ফলে, তারা আজও বঞ্চনা ও শোষণের শিকার।

‘বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদ’-এর সভাপতি কৃষ্ণলাল বলেন, এই সম্প্রদায়ের মধ্যে বহু পদবি রয়েছেÑ যেমন বাল্মীকি, বাঁশফোড়, লালবেগী, হেলা, ডোম, রাউত, মেথর ইত্যাদি। তিনি নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, স্কুলে ভর্তির সময় প্রধান শিক্ষক পদবি জানতে চাইলে তিনি শুধু ‘কৃষ্ণলাল’ নামে ভর্তি হন। কারণ, শিক্ষক জানতে চেয়েছিলেন তিনি ‘ছোট জাত’ না ‘বড় জাত’। তিনি মনে করেন, এই পদবিগুলো ভয়ংকর। একই পেশায় নিয়োজিত পরিবারগুলোÑ যেমন একটি রাজু ডোম, আরেকটি নির্মল বাল্মীকিÑ পদবির ভিন্নতার কারণে একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে না। খাওয়া-দাওয়া, বৈবাহিক সম্পর্ক বা বন্ধুত্ব স্থাপন না হওয়ায় তাদের মধ্যে বৈরিতা তৈরি হয়। এটি হরিজনদের ঐক্যের জন্য ক্ষতিকর।

কৃষ্ণলালের মতে, পদবির কারণে তারা ‘একতাই বল’ বোঝে না। এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অন্যরা তাদের ভোট বা সমর্থন কিনে নেয়। ফলে তারা ভোট দিয়েও উপকৃত হয় না। তিনি বলেন, উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া এই পদবিগুলো ‘ভাগ করো আর শোষণ করো’ নীতির ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। তাই এগুলো পরিত্যাগ করা উচিত। তিনি যুক্তি দেন, সব মানুষের রক্ত লাল, চুল কালো বা সাদা, হাত-পা-নাক-কান একই রকম। তাহলে ঘৃণার পদবি কেন?

সমাজে অনেক কিছু বদলেছে। পূর্বপুরুষরা নেংটি পরতেন, এখন তা অচল। গরু দিয়ে চাষ হতো, এখন পাওয়ার টিলার ব্যবহৃত হয়। বিয়ে সাত দিন চলত, এখন এক দিনে শেষ হয়। তাহলে হরিজনদের পদবি কেন বদলাবে না? যে পদবির কারণে সমাজ তাদের ঘৃণা করে, সেগুলো পরিবর্তন জরুরি। কৃষ্ণলাল নিজের উদাহরণ দিয়ে বলেন, তিনি পদবি ব্যবহার করেন না।

তিনি মনে করেন, পৃথিবীতে মানুষ এক জাতি হিসেবে শুরু করেছিল। স্বার্থের কারণে ভাগাভাগি হয়েছে। অথচ আগে সবাই মিলেমিশে থাকত, ছোঁয়াছুঁয়ির ভেদাভেদ ছিল না। হরিজনদের পিছিয়ে রাখা যাবে না। দেশের নীতি ‘কাউকে পেছনে ফেলে উন্নয়ন নয়’। তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে মানবতা জাগ্রত হোক। তিনি পরামর্শ দেন, পদবি ত্যাগ করে জন্ম নিবন্ধন ও ভোটার আইডি কার্ডে যোগ্য নাগরিক হিসেবে পরিচয় তৈরি করতে।

সব কলাগাছের পাতা একই রকম, মানুষের রক্তও একÑ লাল। হাত-পা-চোখ সবার একই। তাহলে ভিন্নতা কেন? পদবি ত্যাগ করে ভ্রাতৃত্ব, বন্ধুত্ব ও প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক গড়তে হবে। পদবিবৈষম্য, অস্পৃশ্যতার মতো ক্যানসার তৈরি করে, যা দ্রুত দূর করা দরকার। হরিজনরা একে অপরের প্রতি ভালোবাসা ও ঐক্য গড়লে শক্তি বাড়বে। আইনের চোখে সবাই সমান।

পদবি চালু রাখতে চাইলে পিতা-মাতার নাম ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন ‘বাবুলাল বিরেন’ বা ‘বাবুলাল সূর্যমণি’। অনেক দেশে এ পদ্ধতি রয়েছে। বাংলাদেশেও এটি চালু করা যেতে পারে।

[লেখক : আইনজীবী, জজ কোর্ট, জয়পুরহাট]

back to top