alt

উপ-সম্পাদকীয়





























  • download

বিনোদনের রূপান্তর : সংস্কৃতির সংকোচন ও নতুন পথ

শাহ মো. জিয়াউদ্দিন

: শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

বিনোদনের সংজ্ঞা হলো এমন কাজ যা মানুষ মনের সম্মতিতে করে এবং যা করার সময় মানসিক চাপ কমায়। ইংরেজি শব্দ ‘রিক্রিয়েশন’ প্রথম ব্যবহৃত হয় ১৪ শতকের শেষ দিকে, অসুস্থ ব্যক্তির সতেজতা বা নিরাময়ের প্রেক্ষাপটে। এই শব্দটি ল্যাটিন শব্দ ‘রিক্রিয়ারে’ থেকে এসেছে, যার অর্থ ‘পুনরায় সৃষ্টি করা’ বা ‘নতুন জন্ম দেয়া’।

বিনোদন হলো অবসর সময়ের একটি কার্যকলাপ। অবসর মানে বিচক্ষণ সময়, যা মানুষ উপভোগ, আনন্দ বা মজার জন্য ব্যবহার করে। বিনোদন মানব জীববিজ্ঞান ও মনোবিজ্ঞানের একটি অপরিহার্য উপাদান। এটি দর্শক বা শ্রোতার আগ্রহ ধরে রাখে এবং তাদের আনন্দ দেয়। বিনোদন কোনো ধারণা বা কাজ হতে পারে, তবে এটি হাজার বছর ধরে মানুষের আগ্রহ ধরে রাখার মতো হতে হবে।

বিনোদনের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এর প্রভাব কাজে লাগাতে থেরাপিউটিক রিক্রিয়েশন প্রবর্তিত হয়েছে। ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর থেরাপিউটিক রিক্রিয়েশন সার্টিফিকেশন (এনসিটিআরসি) এই পেশার জন্য জাতীয়ভাবে স্বীকৃত প্রশংসাপত্র প্রদান করে। এনসিটিআরসি-প্রত্যয়িত পেশাদারদের ‘সার্টিফাইড থেরাপিউটিক রিক্রিয়েশন স্পেশালিস্ট’ বলা হয়। মার্কিন শ্রম বিভাগ এই পেশাকে ‘রিক্রিয়েশন থেরাপিস্ট’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এই থেরাপি পুনর্বাসন, যুব ও প্রাপ্তবয়স্কদের মানসিক চিকিৎসা, এবং বয়স্ক, প্রতিবন্ধী বা দীর্ঘস্থায়ী রোগীদের যতেœ ব্যবহৃত হয়।

বিনোদনমূলক শারীরিক কার্যকলাপ স্থূলতা ও অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমায় এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে, বিশেষ করে পুরুষদের কোলন ও প্রোস্টেট ক্যানসার এবং নারীদের স্তন ক্যানসার। তবে, বাইরের বিনোদন মেলানোমার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। চরম অ্যাডভেঞ্চার রিক্রিয়েশনের স্বাভাবিক ঝুঁকিও রয়েছে।

অনেক বিনোদনমূলক কার্যক্রম সরকারি প্রতিষ্ঠান, স্বেচ্ছাসেবী গোষ্ঠী, সদস্যপদ ফি-সমর্থিত ব্যক্তিগত গোষ্ঠী এবং বাণিজ্যিক উদ্যোগ দ্বারা সংগঠিত হয়। উদাহরণ হলো ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিস, ওয়াইএমসিএ, কিওয়ানিস, এবং ওয়াল্ট ডিজনি ওয়ার্ল্ড। পার্ক, সৈকতের মতো পাবলিক স্পেস বিনোদনের জন্য অপরিহার্য। পর্যটন শিল্পও বিনোদনমূলক অফারের গুরুত্ব স্বীকার করে। উদাহরণস্বরূপ, ক্যালিফোর্নিয়ার ভেনিস বিচ, কানের প্রোমেনেড দে লা ক্রোয়েসেট বা নিসের প্রোমেনেড ডেস অ্যাংলাইস শহরের বিনোদন ও পর্যটনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিনোদন

বাংলাদেশে বিনোদনের কার্যক্রম সময় ও অবস্থার প্রেক্ষাপটে বিভিন্নভাবে সংগঠিত হয়েছে। প্রাচীন বাংলায় গ্রামের মানুষ নিজস্ব সংস্কৃতির মাধ্যমে বিনোদনের আয়োজন করত। শীতের মেলায় যাত্রাপালা, বাউল গান, লালনের আসর, বয়াতি গানের বৈঠক ছিল জনপ্রিয়। কিন্তু এখন যাত্রাপালার প্রচলন অনেক কমে গেছে। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া এসব আয়োজন করা কঠিন। ফলে বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিনোদন ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে।

চৈত্র বা বৈশাখের শুকনো আবহাওয়ায় গ্রামের মানুষ নদীর তীরে নৌকায় বসে বা মাঠের ফুরফুরে হাওয়ায় বাঁশির সুর শুনত। চাঁদনী রাতে বাঁশির সুর ছিল গ্রাম-বাংলার রোমান্টিক ক্লাসিক। বৈশাখী মেলায় নাগরদোলা, মাটির খেলনা, গ্রামে তৈরি মিষ্টি ছিল বিনোদনের অংশ।

একসময় পত্রিকা, ম্যাগাজিন, গল্পের বই পড়া, গান শোনা, মাছ ধরা ছিল বিনোদনের বড় উপাদান। কিন্তু এখন ইন্টারনেটের যুগে ফেইসবুক, ইউটিউব বিনোদনের প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ইন্টারনেটে রবীন্দ্রনাথের কবিতা, নজরুলের গান, সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্র, বা রুশ ক্লাসিক বই পাওয়া যায়। কিন্তু পাশাপাশি টিকটক, ইউটিউব চ্যানেলে অরুচিকর কনটেন্ট জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এটি সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

বিনোদন মানসিক চাপ কমায় এবং শারীরিক-মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। কিন্তু বর্তমানে ইন্টারনেটভিত্তিক বিনোদন কি সত্যিই এই উদ্দেশ্য পূরণ করছে? অনেকে রাত জেগে ইন্টারনেটে বিনোদন উপভোগ করলেও স্থূলতা, মানসিক অশান্তি এবং পারিবারিক সমস্যা কমছে না। ঐতিহ্যবাহী বিনোদন বাংলার ষড়ঋতুর সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। জারি, সারি, নৌকা বাইচ, গীতি যাত্রার মতো আঞ্চলিক সংস্কৃতি এখন কমে যাচ্ছে। ইন্টারনেটের বিনোদন অনেক ক্ষেত্রে অরুচিকর হয়ে উঠছে, যা সমাজে অশান্তি ও কিশোর গ্যাংয়ের মতো অপরাধ বাড়াচ্ছে।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে বাংলার নিজস্ব সংস্কৃতি প্রচার করা না গেলে মানুষ অরুচিকর ও ক্ষতিকর বিনোদনের দিকে ঝুঁকবে। এটি ব্যক্তি ও সমাজের শারীরিক-মানসিক উন্নয়নকে বিপথে নিয়ে যাবে।

[লেখক : উন্নয়নকর্মী]

ভেতরের অদৃশ্য অপরাধ : সমাজের বিপন্ন মানসিকতা

দারিদ্র্য ও বৈষম্য নিরসনে খাসজমি ও জলার গুরুত্ব

অবহেলিত কৃষক ও বাজার ব্যবস্থার বৈষম্য

রাক্ষুসে মাছের দাপটে বিপন্ন দেশীয় মাছ : করণীয় কী?

বজ্রপাতের আতঙ্কে জনজীবন

তাহলে কি ঘৃণায় ছেয়ে যাবে দেশ, মানবজমিন রইবে পতিত

কর্পোরেট ও ব্যক্তিগত সামাজিক দায়বদ্ধতা

‘রাখাইন করিডর’ : একটি ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষণ

ভিন্নমতের ভয়, নির্বাচনের দোলাচল ও অন্তর্বর্তী সরকারের কৌশলী অবস্থান

সমুদ্রসম্পদ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা

কৃষি শিক্ষা হোক উদ্যোক্তা গড়ার মাধ্যম

রঙ্গব্যঙ্গ : কোটের কেবল রং বদলায়

মে দিবসের চেতনা বনাম বাস্তবতা

শ্রম আইন ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় চাই আন্তরিকতা

বাসযোগ্যতা সূচকে ঢাকা কেন এত পিছিয়ে

সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল : নিরাপদ যাত্রার প্রত্যাশা

কর ফাঁকি : অর্থনীতির জন্য এক অশনি সংকেত

১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় : উপকূলীয় সুরক্ষার শিক্ষা

যখন নদীগুলো অস্ত্র হয়ে ওঠে

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুণগত মান উন্নয়নে গবেষণা ও উদ্ভাবন

বজ্রপাত ও তালগাছ : প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা

কুষ্ঠ ও বৈষম্য : মানবাধিকারের প্রশ্নে একটি অবহেলিত অধ্যায়

ছবি

প্রান্তজনের বাংলাদেশ

অতীতের ছায়ায় নতুন বাংলাদেশ : দুর্নীতি, উগ্রপন্থা ও সরকারের দায়

সাইবার নিরাপত্তা : অদৃশ্য যুদ্ধের সামনে আমাদের প্রস্তুতি

ছবি

বাহান্নর গর্ভে জন্ম নেয়া এক ঝড়ের পাখি

প্রবাসী শ্রমিক : অর্থের যন্ত্র নয়, রাষ্ট্রের সহযোদ্ধা

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির এক যুগ

ভোগবাদের বিরুদ্ধে পোপ ফ্রান্সিসের জলবায়ু বার্তা

রম্যগদ্য : হাসি নিষেধ...

পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের আন্দোলন : দাবি ও সমাধানের পথ

সিরিয়ার পতন কিভাবে আমেরিকার স্বার্থকে হুমকিতে ফেলছে

পরিবারতত্ত্ব ও পরিবারতন্ত্র : বিকল্প রাষ্ট্রচিন্তার সন্ধানে

বিশ্ব ধরিত্রী দিবস

স্নায়ুরোগ চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন জরুরি

জলবায়ু পরিবর্তনের সম্ভাব্য প্রভাব ও করণীয়

tab

উপ-সম্পাদকীয়

বিনোদনের রূপান্তর : সংস্কৃতির সংকোচন ও নতুন পথ

শাহ মো. জিয়াউদ্দিন

  • download

শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

বিনোদনের সংজ্ঞা হলো এমন কাজ যা মানুষ মনের সম্মতিতে করে এবং যা করার সময় মানসিক চাপ কমায়। ইংরেজি শব্দ ‘রিক্রিয়েশন’ প্রথম ব্যবহৃত হয় ১৪ শতকের শেষ দিকে, অসুস্থ ব্যক্তির সতেজতা বা নিরাময়ের প্রেক্ষাপটে। এই শব্দটি ল্যাটিন শব্দ ‘রিক্রিয়ারে’ থেকে এসেছে, যার অর্থ ‘পুনরায় সৃষ্টি করা’ বা ‘নতুন জন্ম দেয়া’।

বিনোদন হলো অবসর সময়ের একটি কার্যকলাপ। অবসর মানে বিচক্ষণ সময়, যা মানুষ উপভোগ, আনন্দ বা মজার জন্য ব্যবহার করে। বিনোদন মানব জীববিজ্ঞান ও মনোবিজ্ঞানের একটি অপরিহার্য উপাদান। এটি দর্শক বা শ্রোতার আগ্রহ ধরে রাখে এবং তাদের আনন্দ দেয়। বিনোদন কোনো ধারণা বা কাজ হতে পারে, তবে এটি হাজার বছর ধরে মানুষের আগ্রহ ধরে রাখার মতো হতে হবে।

বিনোদনের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এর প্রভাব কাজে লাগাতে থেরাপিউটিক রিক্রিয়েশন প্রবর্তিত হয়েছে। ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর থেরাপিউটিক রিক্রিয়েশন সার্টিফিকেশন (এনসিটিআরসি) এই পেশার জন্য জাতীয়ভাবে স্বীকৃত প্রশংসাপত্র প্রদান করে। এনসিটিআরসি-প্রত্যয়িত পেশাদারদের ‘সার্টিফাইড থেরাপিউটিক রিক্রিয়েশন স্পেশালিস্ট’ বলা হয়। মার্কিন শ্রম বিভাগ এই পেশাকে ‘রিক্রিয়েশন থেরাপিস্ট’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এই থেরাপি পুনর্বাসন, যুব ও প্রাপ্তবয়স্কদের মানসিক চিকিৎসা, এবং বয়স্ক, প্রতিবন্ধী বা দীর্ঘস্থায়ী রোগীদের যতেœ ব্যবহৃত হয়।

বিনোদনমূলক শারীরিক কার্যকলাপ স্থূলতা ও অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমায় এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে, বিশেষ করে পুরুষদের কোলন ও প্রোস্টেট ক্যানসার এবং নারীদের স্তন ক্যানসার। তবে, বাইরের বিনোদন মেলানোমার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। চরম অ্যাডভেঞ্চার রিক্রিয়েশনের স্বাভাবিক ঝুঁকিও রয়েছে।

অনেক বিনোদনমূলক কার্যক্রম সরকারি প্রতিষ্ঠান, স্বেচ্ছাসেবী গোষ্ঠী, সদস্যপদ ফি-সমর্থিত ব্যক্তিগত গোষ্ঠী এবং বাণিজ্যিক উদ্যোগ দ্বারা সংগঠিত হয়। উদাহরণ হলো ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিস, ওয়াইএমসিএ, কিওয়ানিস, এবং ওয়াল্ট ডিজনি ওয়ার্ল্ড। পার্ক, সৈকতের মতো পাবলিক স্পেস বিনোদনের জন্য অপরিহার্য। পর্যটন শিল্পও বিনোদনমূলক অফারের গুরুত্ব স্বীকার করে। উদাহরণস্বরূপ, ক্যালিফোর্নিয়ার ভেনিস বিচ, কানের প্রোমেনেড দে লা ক্রোয়েসেট বা নিসের প্রোমেনেড ডেস অ্যাংলাইস শহরের বিনোদন ও পর্যটনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিনোদন

বাংলাদেশে বিনোদনের কার্যক্রম সময় ও অবস্থার প্রেক্ষাপটে বিভিন্নভাবে সংগঠিত হয়েছে। প্রাচীন বাংলায় গ্রামের মানুষ নিজস্ব সংস্কৃতির মাধ্যমে বিনোদনের আয়োজন করত। শীতের মেলায় যাত্রাপালা, বাউল গান, লালনের আসর, বয়াতি গানের বৈঠক ছিল জনপ্রিয়। কিন্তু এখন যাত্রাপালার প্রচলন অনেক কমে গেছে। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া এসব আয়োজন করা কঠিন। ফলে বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিনোদন ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে।

চৈত্র বা বৈশাখের শুকনো আবহাওয়ায় গ্রামের মানুষ নদীর তীরে নৌকায় বসে বা মাঠের ফুরফুরে হাওয়ায় বাঁশির সুর শুনত। চাঁদনী রাতে বাঁশির সুর ছিল গ্রাম-বাংলার রোমান্টিক ক্লাসিক। বৈশাখী মেলায় নাগরদোলা, মাটির খেলনা, গ্রামে তৈরি মিষ্টি ছিল বিনোদনের অংশ।

একসময় পত্রিকা, ম্যাগাজিন, গল্পের বই পড়া, গান শোনা, মাছ ধরা ছিল বিনোদনের বড় উপাদান। কিন্তু এখন ইন্টারনেটের যুগে ফেইসবুক, ইউটিউব বিনোদনের প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ইন্টারনেটে রবীন্দ্রনাথের কবিতা, নজরুলের গান, সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্র, বা রুশ ক্লাসিক বই পাওয়া যায়। কিন্তু পাশাপাশি টিকটক, ইউটিউব চ্যানেলে অরুচিকর কনটেন্ট জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এটি সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

বিনোদন মানসিক চাপ কমায় এবং শারীরিক-মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। কিন্তু বর্তমানে ইন্টারনেটভিত্তিক বিনোদন কি সত্যিই এই উদ্দেশ্য পূরণ করছে? অনেকে রাত জেগে ইন্টারনেটে বিনোদন উপভোগ করলেও স্থূলতা, মানসিক অশান্তি এবং পারিবারিক সমস্যা কমছে না। ঐতিহ্যবাহী বিনোদন বাংলার ষড়ঋতুর সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। জারি, সারি, নৌকা বাইচ, গীতি যাত্রার মতো আঞ্চলিক সংস্কৃতি এখন কমে যাচ্ছে। ইন্টারনেটের বিনোদন অনেক ক্ষেত্রে অরুচিকর হয়ে উঠছে, যা সমাজে অশান্তি ও কিশোর গ্যাংয়ের মতো অপরাধ বাড়াচ্ছে।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে বাংলার নিজস্ব সংস্কৃতি প্রচার করা না গেলে মানুষ অরুচিকর ও ক্ষতিকর বিনোদনের দিকে ঝুঁকবে। এটি ব্যক্তি ও সমাজের শারীরিক-মানসিক উন্নয়নকে বিপথে নিয়ে যাবে।

[লেখক : উন্নয়নকর্মী]

back to top