alt

উপ-সম্পাদকীয়

রঙ্গব্যঙ্গ : কোটের কেবল রং বদলায়

জাঁ-নেসার ওসমান

: শনিবার, ০৩ মে ২০২৫

“হেঃ হেঃ হেঃ হেঃ ‘কোটের কেবল রং বদলায়’ আশ্চইর্য, কুটের রং বদলায় এই কথাডার কুনো মানে হোইলো! আপনে মিয়া যেই রঙয়ের কাপড় দিয়া কুট সিলাইবেন, কুটের রং হেই কালার ধারণ করবো! এর মোইধ্যে আপনে মিয়া ‘কোটের কেবল রং বদলায়’ কি এমন নতুন মাজেজা পাইলেন??”

‘আরে ব্যাটা এটা আমার কথা না, আমার এক বিদেশি বন্ধু বলছিলেন, আচ্ছা ভাই তোমাদের দেশের মেল সরকার প্রধানের কি কোনো ইউনিফর্ম আছে নাকি? আমি তো তাজ্জিব! মেল সরকার প্রধান মানে পুরুষ সরকার প্রধানের ইউনিফর্ম উনি আসলে কি মিন করছেন মানে কি বলতে চাইছেন?’

‘পুরুষ সরকার প্রধানের ডেরেসের কথা কোইচে তয় মাননীয় মহিলা গো ডেরেস লয়া কিছু কয় নাই, শিফন না জামদানি?’

‘আরে শাড়ি তো শাড়িই, কিন্তু যেই পুরুষই সরকার প্রধানে আসছেন তিনিই তার পরিধেয় পোশাকের উপর ছোট্ট একটা হাতা কাটা কোট পরছেন যার রংটা ভিন্ন। কিন্তু কোটের কাটিং সেইম সেইম।’

‘বুঝলাম না, আন্নে নি গত স্বৈরাচারী সরকারের পেঙ্গুইন পার্টি মানে সাদা পায়জামা পাঞ্জাবির ওপর হ্যেতারা যে কালা কালা হাতা কাটা কুট হিনতো আন্নে কি হ্যেইডার কথা কোইলেন নি?’

‘আরে তোর আন্দাজ ঠিক। কিন্তু কথা হচ্ছে বর্তমান সরকার প্রধানও পরিধেয় পোশাকের ওপর ছোট্ট একটা হাতা কাটা কোট পরছেন যার রংটা ভিন্ন। কিন্তু কোটের কাটিং সেইম সেইম। তাই আমার বিদেশি বন্ধু বলছিলেন যে, তোমাদের কি পুরুষ সরকার প্রধানের ইউনিফর্ম আছে?’

‘ইয়েস যুক্তি আছে, ওগো বিদেশিনী তোমার চেরি ফুল দাও আমার শিউলি নাউ, দুই সরকার পোরধানের পরিধেয় একই তয় রংটা ভিন্ন। দেখছেন হেতি কিন্তু ঠিকই ধরছে, জনগনের প্রধানগো নীতি যাই হোক, সরকার পরিচালনার মাইরপ্যাঁচ যেমনই হোক ডেরেস কোইলাম সেইম। এইডা যেন নতুন বোতলে পুরানা তাড়ি!’

‘মানে কি তাহলে কি জনগণ আবার পনের বছর পর তৃতীয় স্বাধীনতা ঘোষণা করবে! এ যেন ওয়ার্ল্ড কাপ ফুটবলের মতো প্রতি পনেরো বছর পর পর সাইক্লিক অর্ডারে জনগণ কেবল বংশ পরম্পরায়ে, স্বাধীনতার পর স্বাধীনতা ঘোষণা দিতেই থাকবে! কিন্তু সরকার প্রধানের পোশাকের কোনো পরিবর্তন হবে না! প্রতিবারই নতুন বোতলে পুরানো মদ্য!’

‘আরে না না, অত হাতাশ হোইয়েনা ভাইডি, এইডার মানে এই ইউনিফর্মের মাঝেও একটু ফারাক আছে, তাই কোই কি, অতো ভয়ের কিছু নাই। ডেরেসের ফারাক মানে দেশ চালানোর মইধ্যে ভি বিশাল ফারাক আছে কোইলাম।’

‘তা ভাই, তুমি সরকার প্রধানের কোটের রংছাড়া আর কি কি ফারাক দেখলে ভাই? আমরা সাধারণ আম পাবলিক তো কেবল কালার দেখলাম আরতো কোনো ডিফারেন্স দেখলাম না?’

‘মিয়া বাই আপনেরা হোইলেন, কালার ব্লাইন্ড, মাথায় একবার যেইডা ঢোকে হ্যেইডা আর বাইর হয়না! বলদা ষাঁড় যানি কোনখার কার!’

‘ওই ব্যাডা ষাঁড় বললে ষাঁড় বল, কিছু মাইন্ড কোরবো না, কিন্তু বলদ বলবি না, আম জনতা কি খাসি নাকি যে যা ইচ্ছা তাই বলবি!’

‘আরে মনু চ্যেতো কা! তুমি দ্যেহনাই বিগত স্বৈরাচরের কালু কুটের বুতাম আছে ছয়ডা, হ্যেরা কয় দফায় দফায় ছয় দফা, তাই পেঙ্গুইন গো হাতাকাটা কালা কুটের বুতাম ছয়ডা, আর বর্তমান ৩৬ জুলাই, মানে পাঁচই আগস্টের বুতাম পাঁচটা। ৫টা বুতাম পাঁচই আগস্টের প্রতীকী প্রদর্শন, বুঝলেন মিয়া হ্যেই সুক্ষু মারপে্যঁইচ আন্নের মতুন বলদ পাবলিক ও না না বলদ না, পাঁঠা পাবলিক কিছুই বুঝবো না।’

‘বলছিস কি? এই হাতাকাটা কোটের মাঝেও এতো রকমফের! তাহলে তো দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রেও সূক্ষ্ম মারপ্যাঁচ রয়েছে যা আমরা সাধারণ বলদ নানা ষাঁড় পাবলিক কিছুই বুঝতে পারছি না!’

‘ক্যেমনে বুঝবেন বড়গো চাল। দেখলেন না, নিজের কুটি কুটি টাকা মাফ, কিন্তু কাতারের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার এক চেকে শোধ করছি। পুরা বিশ্ব আমাগোরে ধন্য ধন্য কোরছে। আর কাতারের আমিরুল মোমেনিন হ্যের পারসোনাল ফেইসবুক পেজে, আমাগো বাংলাদেশের ব্যেবাগ বলদরে না না পাঁঠারে মানে ষাঁড়েরে ধন্য ধন্য কোরছে। ব্যেবাগতে মিল্লা কোরশে কোইছে, ধন্য আমি ধন্য আমি জেন-জিরে, পাবলিকে বলে...

‘হেঁঃ হেঁঃ হেঁঃ এভাবে দেশ এগিয়ে গেলে তো প্রতিবেশী ভারত সরকারের টনক নড়বে।’

‘আপনি কি মুদিজি চা-বিক্রেতার কথা বোলছেন যে, তিনি তো আপনাদের থেকেও দুই কাঠি সরেস, মুদি স্যার মাঝে মাঝে কালো রংয়ের ছয় বুতাম ওয়ালা হাতাকাটা কোট পরে আবার মাঝে মাঝে বর্তমান সরকার প্রধানের রংয়ের পাঁচ বুতামের হাতাকাটা কোটও পরে। স্যার বুঝতে পারছেন না যে, কে কখন প্রকৃত সরকার প্রধান হবে তাই দুই রংয়ের মইধ্যেই ঘুরা ফিরা কোরতাছেন। হেঁঃ হেঁঃ হেঁঃ।’

‘তাহলে আমরা আমজনতা কোন কোট পরবো, অতীতের ছয় বোতাম ওয়ালা কোট নাকি বর্তমানে পাঁচ বোতাম ওয়ালা কোট?’

‘আপনেরা বলদ না না, আপনেরা পাঁঠারা, মানে আম জনতারা পাঁচ বোতাম বা ছয় বোতাম ওয়ালা কোট কোনোটাই পরবেন না।’

‘মানে কি, আমার জনগন এ দেশের মালিক না! আমরা কেনো পাঁচ-বোতাম বা ছয় বোতাম পরতে পারবো না! আমরা তাহলে কি পরবো?’

‘সিম্পেল আপনারা বলদরা পরবেন ‘সাফারি স্যুট’ গড বি উইথ ইয়ু, থ্যাং ইউ।’

‘সাফারি স্যুট!’

‘জ্বি, মানে বুইঝা লন?’

[লেখক : চলচ্চিত্রকার]

ভিন্নমতের ভয়, নির্বাচনের দোলাচল ও অন্তর্বর্তী সরকারের কৌশলী অবস্থান

সমুদ্রসম্পদ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা

কৃষি শিক্ষা হোক উদ্যোক্তা গড়ার মাধ্যম

মে দিবসের চেতনা বনাম বাস্তবতা

শ্রম আইন ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় চাই আন্তরিকতা

বাসযোগ্যতা সূচকে ঢাকা কেন এত পিছিয়ে

সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল : নিরাপদ যাত্রার প্রত্যাশা

কর ফাঁকি : অর্থনীতির জন্য এক অশনি সংকেত

১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় : উপকূলীয় সুরক্ষার শিক্ষা

যখন নদীগুলো অস্ত্র হয়ে ওঠে

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুণগত মান উন্নয়নে গবেষণা ও উদ্ভাবন

বজ্রপাত ও তালগাছ : প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা

কুষ্ঠ ও বৈষম্য : মানবাধিকারের প্রশ্নে একটি অবহেলিত অধ্যায়

ছবি

প্রান্তজনের বাংলাদেশ

অতীতের ছায়ায় নতুন বাংলাদেশ : দুর্নীতি, উগ্রপন্থা ও সরকারের দায়

সাইবার নিরাপত্তা : অদৃশ্য যুদ্ধের সামনে আমাদের প্রস্তুতি

ছবি

বাহান্নর গর্ভে জন্ম নেয়া এক ঝড়ের পাখি

প্রবাসী শ্রমিক : অর্থের যন্ত্র নয়, রাষ্ট্রের সহযোদ্ধা

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির এক যুগ

ভোগবাদের বিরুদ্ধে পোপ ফ্রান্সিসের জলবায়ু বার্তা

রম্যগদ্য : হাসি নিষেধ...

পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের আন্দোলন : দাবি ও সমাধানের পথ

সিরিয়ার পতন কিভাবে আমেরিকার স্বার্থকে হুমকিতে ফেলছে

পরিবারতত্ত্ব ও পরিবারতন্ত্র : বিকল্প রাষ্ট্রচিন্তার সন্ধানে

বিশ্ব ধরিত্রী দিবস

স্নায়ুরোগ চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন জরুরি

জলবায়ু পরিবর্তনের সম্ভাব্য প্রভাব ও করণীয়

শাসনব্যবস্থা : জনগণের প্রত্যাশা ও বাস্তবতার দ্বন্দ্ব

বয়নামা দলিল কখন স্বত্বের দলিল হিসেবে পরিগণিত হয়?

বর্ষার আগেই নদীভাঙনের আতঙ্কে উপকূলবাসী

ছবি

ভূমিকম্প ঝুঁকিতে দেশ : মোকাবিলায় প্রস্তুতি প্রয়োজন

‘রিসেটের’ পরাকৌশল কী হওয়া প্রয়োজন

প্রসঙ্গ : জাতীয় বাজেট

ব্রুনোর শ্মশান মঞ্চ

দুর্নীতির অবিশ্বাস্য খতিয়ান

সাম্য, ন্যায়বিচার, সুশাসন, বহুত্ববাদ : সবকা সাথ্ সবকা বিকাশ!

tab

উপ-সম্পাদকীয়

রঙ্গব্যঙ্গ : কোটের কেবল রং বদলায়

জাঁ-নেসার ওসমান

শনিবার, ০৩ মে ২০২৫

“হেঃ হেঃ হেঃ হেঃ ‘কোটের কেবল রং বদলায়’ আশ্চইর্য, কুটের রং বদলায় এই কথাডার কুনো মানে হোইলো! আপনে মিয়া যেই রঙয়ের কাপড় দিয়া কুট সিলাইবেন, কুটের রং হেই কালার ধারণ করবো! এর মোইধ্যে আপনে মিয়া ‘কোটের কেবল রং বদলায়’ কি এমন নতুন মাজেজা পাইলেন??”

‘আরে ব্যাটা এটা আমার কথা না, আমার এক বিদেশি বন্ধু বলছিলেন, আচ্ছা ভাই তোমাদের দেশের মেল সরকার প্রধানের কি কোনো ইউনিফর্ম আছে নাকি? আমি তো তাজ্জিব! মেল সরকার প্রধান মানে পুরুষ সরকার প্রধানের ইউনিফর্ম উনি আসলে কি মিন করছেন মানে কি বলতে চাইছেন?’

‘পুরুষ সরকার প্রধানের ডেরেসের কথা কোইচে তয় মাননীয় মহিলা গো ডেরেস লয়া কিছু কয় নাই, শিফন না জামদানি?’

‘আরে শাড়ি তো শাড়িই, কিন্তু যেই পুরুষই সরকার প্রধানে আসছেন তিনিই তার পরিধেয় পোশাকের উপর ছোট্ট একটা হাতা কাটা কোট পরছেন যার রংটা ভিন্ন। কিন্তু কোটের কাটিং সেইম সেইম।’

‘বুঝলাম না, আন্নে নি গত স্বৈরাচারী সরকারের পেঙ্গুইন পার্টি মানে সাদা পায়জামা পাঞ্জাবির ওপর হ্যেতারা যে কালা কালা হাতা কাটা কুট হিনতো আন্নে কি হ্যেইডার কথা কোইলেন নি?’

‘আরে তোর আন্দাজ ঠিক। কিন্তু কথা হচ্ছে বর্তমান সরকার প্রধানও পরিধেয় পোশাকের ওপর ছোট্ট একটা হাতা কাটা কোট পরছেন যার রংটা ভিন্ন। কিন্তু কোটের কাটিং সেইম সেইম। তাই আমার বিদেশি বন্ধু বলছিলেন যে, তোমাদের কি পুরুষ সরকার প্রধানের ইউনিফর্ম আছে?’

‘ইয়েস যুক্তি আছে, ওগো বিদেশিনী তোমার চেরি ফুল দাও আমার শিউলি নাউ, দুই সরকার পোরধানের পরিধেয় একই তয় রংটা ভিন্ন। দেখছেন হেতি কিন্তু ঠিকই ধরছে, জনগনের প্রধানগো নীতি যাই হোক, সরকার পরিচালনার মাইরপ্যাঁচ যেমনই হোক ডেরেস কোইলাম সেইম। এইডা যেন নতুন বোতলে পুরানা তাড়ি!’

‘মানে কি তাহলে কি জনগণ আবার পনের বছর পর তৃতীয় স্বাধীনতা ঘোষণা করবে! এ যেন ওয়ার্ল্ড কাপ ফুটবলের মতো প্রতি পনেরো বছর পর পর সাইক্লিক অর্ডারে জনগণ কেবল বংশ পরম্পরায়ে, স্বাধীনতার পর স্বাধীনতা ঘোষণা দিতেই থাকবে! কিন্তু সরকার প্রধানের পোশাকের কোনো পরিবর্তন হবে না! প্রতিবারই নতুন বোতলে পুরানো মদ্য!’

‘আরে না না, অত হাতাশ হোইয়েনা ভাইডি, এইডার মানে এই ইউনিফর্মের মাঝেও একটু ফারাক আছে, তাই কোই কি, অতো ভয়ের কিছু নাই। ডেরেসের ফারাক মানে দেশ চালানোর মইধ্যে ভি বিশাল ফারাক আছে কোইলাম।’

‘তা ভাই, তুমি সরকার প্রধানের কোটের রংছাড়া আর কি কি ফারাক দেখলে ভাই? আমরা সাধারণ আম পাবলিক তো কেবল কালার দেখলাম আরতো কোনো ডিফারেন্স দেখলাম না?’

‘মিয়া বাই আপনেরা হোইলেন, কালার ব্লাইন্ড, মাথায় একবার যেইডা ঢোকে হ্যেইডা আর বাইর হয়না! বলদা ষাঁড় যানি কোনখার কার!’

‘ওই ব্যাডা ষাঁড় বললে ষাঁড় বল, কিছু মাইন্ড কোরবো না, কিন্তু বলদ বলবি না, আম জনতা কি খাসি নাকি যে যা ইচ্ছা তাই বলবি!’

‘আরে মনু চ্যেতো কা! তুমি দ্যেহনাই বিগত স্বৈরাচরের কালু কুটের বুতাম আছে ছয়ডা, হ্যেরা কয় দফায় দফায় ছয় দফা, তাই পেঙ্গুইন গো হাতাকাটা কালা কুটের বুতাম ছয়ডা, আর বর্তমান ৩৬ জুলাই, মানে পাঁচই আগস্টের বুতাম পাঁচটা। ৫টা বুতাম পাঁচই আগস্টের প্রতীকী প্রদর্শন, বুঝলেন মিয়া হ্যেই সুক্ষু মারপে্যঁইচ আন্নের মতুন বলদ পাবলিক ও না না বলদ না, পাঁঠা পাবলিক কিছুই বুঝবো না।’

‘বলছিস কি? এই হাতাকাটা কোটের মাঝেও এতো রকমফের! তাহলে তো দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রেও সূক্ষ্ম মারপ্যাঁচ রয়েছে যা আমরা সাধারণ বলদ নানা ষাঁড় পাবলিক কিছুই বুঝতে পারছি না!’

‘ক্যেমনে বুঝবেন বড়গো চাল। দেখলেন না, নিজের কুটি কুটি টাকা মাফ, কিন্তু কাতারের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার এক চেকে শোধ করছি। পুরা বিশ্ব আমাগোরে ধন্য ধন্য কোরছে। আর কাতারের আমিরুল মোমেনিন হ্যের পারসোনাল ফেইসবুক পেজে, আমাগো বাংলাদেশের ব্যেবাগ বলদরে না না পাঁঠারে মানে ষাঁড়েরে ধন্য ধন্য কোরছে। ব্যেবাগতে মিল্লা কোরশে কোইছে, ধন্য আমি ধন্য আমি জেন-জিরে, পাবলিকে বলে...

‘হেঁঃ হেঁঃ হেঁঃ এভাবে দেশ এগিয়ে গেলে তো প্রতিবেশী ভারত সরকারের টনক নড়বে।’

‘আপনি কি মুদিজি চা-বিক্রেতার কথা বোলছেন যে, তিনি তো আপনাদের থেকেও দুই কাঠি সরেস, মুদি স্যার মাঝে মাঝে কালো রংয়ের ছয় বুতাম ওয়ালা হাতাকাটা কোট পরে আবার মাঝে মাঝে বর্তমান সরকার প্রধানের রংয়ের পাঁচ বুতামের হাতাকাটা কোটও পরে। স্যার বুঝতে পারছেন না যে, কে কখন প্রকৃত সরকার প্রধান হবে তাই দুই রংয়ের মইধ্যেই ঘুরা ফিরা কোরতাছেন। হেঁঃ হেঁঃ হেঁঃ।’

‘তাহলে আমরা আমজনতা কোন কোট পরবো, অতীতের ছয় বোতাম ওয়ালা কোট নাকি বর্তমানে পাঁচ বোতাম ওয়ালা কোট?’

‘আপনেরা বলদ না না, আপনেরা পাঁঠারা, মানে আম জনতারা পাঁচ বোতাম বা ছয় বোতাম ওয়ালা কোট কোনোটাই পরবেন না।’

‘মানে কি, আমার জনগন এ দেশের মালিক না! আমরা কেনো পাঁচ-বোতাম বা ছয় বোতাম পরতে পারবো না! আমরা তাহলে কি পরবো?’

‘সিম্পেল আপনারা বলদরা পরবেন ‘সাফারি স্যুট’ গড বি উইথ ইয়ু, থ্যাং ইউ।’

‘সাফারি স্যুট!’

‘জ্বি, মানে বুইঝা লন?’

[লেখক : চলচ্চিত্রকার]

back to top