alt

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

জলবায়ু সংকট ও খাদ্য নিরাপত্তা

জাহাঙ্গীর আলম সরকার

: শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫

একবিংশ শতাব্দীর আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা প্রেক্ষাপটে জলবায়ু পরিবর্তন এবং খাদ্য নিরাপত্তা শুধু আঞ্চলিক বা জাতীয় সমস্যা হিসেবে সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি বৈশ্বিক জিয়োপলিটিক্স, আন্তর্জাতিক বাজার এবং রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতার সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত একটি বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, চরম আবহাওয়া, খরা ও বন্যা, এবং জলবায়ু-প্রভাবিত কৃষি উৎপাদনের হ্রাস খাদ্যশস্যের চাহিদা ও সরবরাহের অস্থিরতাকে বৃদ্ধি করছে।

এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক খাদ্য সরবরাহ চেইনের স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করছে এবং বৈশ্বিক বাজারে খাদ্যের মূল্য অস্থিরতা তৈরি করছে। সেই সঙ্গে, অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে খাদ্য নিরাপত্তার সংকট সামাজিক অস্থিরতা, জনগণের অসন্তোষ এবং রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে পারে। রাষ্ট্রগুলোর জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে এই ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং নীতি প্রণয়ন, যাতে খাদ্য উৎপাদন, সরবরাহ চেইন এবং অভ্যন্তরীন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সুরক্ষিত থাকে।

ফলস্বরূপ, জলবায়ু পরিবর্তন ও খাদ্য নিরাপত্তার ইস্যু শুধু পরিবেশগত বা মানবিক সমস্যা নয়; এটি আন্তর্জাতিক কূটনীতি, শক্তির ভারসাম্য এবং রাষ্ট্রগুলোর অভ্যন্তরীন নীতি প্রণয়ন প্রক্রিয়ার একটি কেন্দ্রীয় উপাদান হিসেবে উদ্ভূত হয়েছে। আধুনিক জিয়োপলিটিক্সে রাষ্ট্রগুলোর জন্য এটি কৌশলগত সতর্কতা, বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্ব এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার এক গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপট তৈরি করছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঘন ঘন খরা, বন্যা, ঘূর্ণিঝড় এবং তাপমাত্রার উর্ধ্বগতি কৃষি উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলছে। খাদ্যশস্যের উৎপাদন হ্রাস হলে আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যের ওঠানামা বেড়ে যায়, যা ক্ষুধা, দরিদ্রতা এবং সামাজিক অস্থিরতার ঝুঁকি বাড়ায়। কৃষি নির্ভর রাষ্ট্রগুলোতে এই প্রভাব সরাসরি অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও সরকারী স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব ফেলে।

বর্তমান বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থাপনা সম্পূর্ণরূপে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সংযুক্ত। এক দেশ বা অঞ্চলে উৎপাদনে ক্ষতি হলে বিশ্ব বাজারে খাদ্যের সরবরাহ ও মূল্যেও প্রভাব পড়ে। খাদ্য সরবরাহ চেইনের উপর ভিত্তি করে শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো রাজনৈতিক ও কৌশলগত প্রভাব ব্যবহার করতে পারে, যখন অসংগঠিত বা কৃষি নির্ভর রাষ্ট্রগুলো আন্তর্জাতিক বাজারের অস্থিরতা এবং মূল্যস্ফীতির ঝুঁকির মুখোমুখি হয়। এভাবে খাদ্য নিরাপত্তা শুধু অভ্যন্তরীণ সমস্যা নয়; এটি আন্তর্জাতিক কূটনীতি, শক্তি ব্যবস্থাপনা এবং অঞ্চলভিত্তিক জিয়োপলিটিক্সের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে।

খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহের অস্থিরতা রাষ্ট্রগুলোর অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতায় চাপ তৈরি করে। খাদ্য অভাব ও মূল্যের উর্ধ্বগতি সামাজিক অস্থিরতা, বিক্ষোভ, হিংসাত্মক সংঘর্ষ এবং কখনো কখনো সশস্ত্র দমন বা রাজনীতি পরিবর্তনের দিকে পরিচালিত করতে পারে। মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ এশিয়ার কিছু রাষ্ট্রে ইতোমধ্যেই এই ধরনের খাদ্যভিত্তিক রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রমাণ দেখা যাচ্ছে। ফলে, জলবায়ু সংকট শুধু পরিবেশগত বা অর্থনৈতিক সমস্যা নয়, বরং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার জন্য একটি ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

জলবায়ু পরিবর্তন এবং খাদ্য নিরাপত্তা এখন আর শুধু আঞ্চলিক বা মানবিক সমস্যা হিসেবে সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি আন্তর্জাতিক জিয়োপলিটিক্স, শক্তি ভারসাম্য, এবং রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতার সঙ্গে গভীরভাবে সংযুক্ত একটি বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে উদ্ভূত হয়েছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, এবং জলবায়ু-প্রভাবিত কৃষি উৎপাদনের অস্থিরতা আন্তর্জাতিক খাদ্য সরবরাহ চেইনকে বিপর্যস্ত করছে এবং ফলস্বরূপ খাদ্যের মূল্য ও প্রাপ্যতার অস্থিরতা রাষ্ট্রগুলোর অভ্যন্তরীণ রাজনীতি এবং সামাজিক স্থিতিশীলতার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলছে।

এই প্রেক্ষাপটে, খাদ্য নিরাপত্তার অনিশ্চয়তা শুধু অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক চাপে সীমাবদ্ধ থাকছে না; এটি আন্তর্জাতিক কূটনীতি, শক্তির ভারসাম্য, এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের কাঠামোকে পুনর্গঠন করছে। রাষ্ট্রগুলোর জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে কার্যকর নীতি প্রণয়ন, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, এবং আন্তর্জাতিক সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে এই সংকট মোকাবিলা করা। বিশেষভাবে, কৃষি প্রযুক্তি, জল ব্যবস্থাপনা, এবং বৈশ্বিক খাদ্য বাজারের স্থিতিশীলতা রক্ষায় সহযোগিতা জাতীয় এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফলস্বরূপ, জলবায়ু-ভিত্তিক খাদ্য অস্থিরতা শুধু অর্থনৈতিক বা মানবিক চ্যালেঞ্জ নয়; এটি আধুনিক জিয়োপলিটিক্সে রাষ্ট্রগুলোর কৌশলগত সক্ষমতা, বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্ব, এবং দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার প্রেক্ষাপট তৈরি করছে। সঠিক নীতি প্রণয়ন এবং দায়িত্বশীল আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ছাড়া এই সংকট আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে এবং বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য জটিল চ্যালেঞ্জ হিসেবে উদ্ভূত হবে।

[লেখক: আইনজীবী]

বুদ্ধিজীবী হত্যা ও এর স্বরূপ সন্ধানে

আদিবাসীদের ভূমি অধিকার ও নিরাপত্তা সংকট

“মুনীর চৌধুরীর কবর...”

বুদ্ধিজীবী হত্যা ও এর স্বরূপ সন্ধানে

স্বাধীন তদন্ত কমিশন দাবির নেপথ্যে কি দায়মুক্তি?

বুদ্ধিজীবী হত্যা ও এর স্বরূপ সন্ধানে

প্রহর গুনি কোন আশাতে!

বিজয়ের রক্তাক্ত সূর্য ও আমাদের ঋণের হিসাব

বিজয় দিবস: নতুন প্রজন্মের রাষ্ট্রচিন্তার দিকদর্শন

ছবি

আমাদের বিজয়ের অন্তর্নিহিত বার্তা

প্রাণিসম্পদ: দেশীয় জাত, আধুনিক প্রযুক্তি

জমির জরিপ: ন্যায়বিচার প্রসঙ্গ

বুদ্ধিজীবী হত্যা ও এর স্বরূপ সন্ধানে

উন্নয়নের আড়ালে রোগীর ভোগান্তি: আস্থা সংকটে স্বাস্থ্যসেবা

ছবি

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস: অমিত শক্তির উৎস

ছবি

বেগম রোকেয়া এখনো জাগ্রত

পশ্চিমবঙ্গ: বামপন্থীদের ‘বাংলা বাঁচাও’-এর ডাক

সবার বাংলাদেশ কবে প্রতিষ্ঠিত হবে?

বিদেশি বিনিয়োগ : প্রয়োজন আইনের শাসন ও সামাজিক স্থিতি

চিকিৎসা যখন অসহনীয় ব্যয়, তখন প্রতিবাদই ন্যায়

মস্কোর কৌশলগত পুনর্গঠন

“সব শিয়ালের এক রা’ মারা গেল কুমিরের ছা”

ছবি

বিচূর্ণ দর্পণের মুখ

নিজের চেতনায় নিজেরই ঘা দেয়া জরুরি

ঋণ অবলোপনের প্রভাব

ভেজাল গুড়ের মরণফাঁদ: বাঙালির ঐতিহ্য, জনস্বাস্থ্য ও আস্থার নীরব বিপর্যয়

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস

জোটের ভোট নাকি ভোটের জোট, কৌশলটা কী?

প্রমাণ তো করতে হবে আমরা হাসিনার চেয়ে ভালো

ছবি

কৃষি ডেটা ব্যবস্থাপনা

যুক্তরাজ্যে ভর্তি স্থগিতের কুয়াশা: তালা লাগলেও চাবি আমাদের হাতে

শিক্ষকদের কর্মবিরতি: পেশাগত নৈতিকতা ও দায়িত্ববোধ

জাতীয় রক্তগ্রুপ নির্ণয় দিবস

জাল সনদপত্রে শিক্ষকতা

সাধারণ চুক্তিগুলোও গোপনীয় কেন

ছবি

শিশুখাদ্যের নিরাপত্তা: জাতির ভবিষ্যৎ সুরক্ষার প্রথম শর্ত

tab

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

জলবায়ু সংকট ও খাদ্য নিরাপত্তা

জাহাঙ্গীর আলম সরকার

শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫

একবিংশ শতাব্দীর আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা প্রেক্ষাপটে জলবায়ু পরিবর্তন এবং খাদ্য নিরাপত্তা শুধু আঞ্চলিক বা জাতীয় সমস্যা হিসেবে সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি বৈশ্বিক জিয়োপলিটিক্স, আন্তর্জাতিক বাজার এবং রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতার সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত একটি বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, চরম আবহাওয়া, খরা ও বন্যা, এবং জলবায়ু-প্রভাবিত কৃষি উৎপাদনের হ্রাস খাদ্যশস্যের চাহিদা ও সরবরাহের অস্থিরতাকে বৃদ্ধি করছে।

এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক খাদ্য সরবরাহ চেইনের স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করছে এবং বৈশ্বিক বাজারে খাদ্যের মূল্য অস্থিরতা তৈরি করছে। সেই সঙ্গে, অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে খাদ্য নিরাপত্তার সংকট সামাজিক অস্থিরতা, জনগণের অসন্তোষ এবং রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে পারে। রাষ্ট্রগুলোর জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে এই ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং নীতি প্রণয়ন, যাতে খাদ্য উৎপাদন, সরবরাহ চেইন এবং অভ্যন্তরীন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সুরক্ষিত থাকে।

ফলস্বরূপ, জলবায়ু পরিবর্তন ও খাদ্য নিরাপত্তার ইস্যু শুধু পরিবেশগত বা মানবিক সমস্যা নয়; এটি আন্তর্জাতিক কূটনীতি, শক্তির ভারসাম্য এবং রাষ্ট্রগুলোর অভ্যন্তরীন নীতি প্রণয়ন প্রক্রিয়ার একটি কেন্দ্রীয় উপাদান হিসেবে উদ্ভূত হয়েছে। আধুনিক জিয়োপলিটিক্সে রাষ্ট্রগুলোর জন্য এটি কৌশলগত সতর্কতা, বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্ব এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার এক গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপট তৈরি করছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঘন ঘন খরা, বন্যা, ঘূর্ণিঝড় এবং তাপমাত্রার উর্ধ্বগতি কৃষি উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলছে। খাদ্যশস্যের উৎপাদন হ্রাস হলে আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যের ওঠানামা বেড়ে যায়, যা ক্ষুধা, দরিদ্রতা এবং সামাজিক অস্থিরতার ঝুঁকি বাড়ায়। কৃষি নির্ভর রাষ্ট্রগুলোতে এই প্রভাব সরাসরি অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও সরকারী স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব ফেলে।

বর্তমান বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থাপনা সম্পূর্ণরূপে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সংযুক্ত। এক দেশ বা অঞ্চলে উৎপাদনে ক্ষতি হলে বিশ্ব বাজারে খাদ্যের সরবরাহ ও মূল্যেও প্রভাব পড়ে। খাদ্য সরবরাহ চেইনের উপর ভিত্তি করে শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো রাজনৈতিক ও কৌশলগত প্রভাব ব্যবহার করতে পারে, যখন অসংগঠিত বা কৃষি নির্ভর রাষ্ট্রগুলো আন্তর্জাতিক বাজারের অস্থিরতা এবং মূল্যস্ফীতির ঝুঁকির মুখোমুখি হয়। এভাবে খাদ্য নিরাপত্তা শুধু অভ্যন্তরীণ সমস্যা নয়; এটি আন্তর্জাতিক কূটনীতি, শক্তি ব্যবস্থাপনা এবং অঞ্চলভিত্তিক জিয়োপলিটিক্সের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে।

খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহের অস্থিরতা রাষ্ট্রগুলোর অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতায় চাপ তৈরি করে। খাদ্য অভাব ও মূল্যের উর্ধ্বগতি সামাজিক অস্থিরতা, বিক্ষোভ, হিংসাত্মক সংঘর্ষ এবং কখনো কখনো সশস্ত্র দমন বা রাজনীতি পরিবর্তনের দিকে পরিচালিত করতে পারে। মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ এশিয়ার কিছু রাষ্ট্রে ইতোমধ্যেই এই ধরনের খাদ্যভিত্তিক রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রমাণ দেখা যাচ্ছে। ফলে, জলবায়ু সংকট শুধু পরিবেশগত বা অর্থনৈতিক সমস্যা নয়, বরং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার জন্য একটি ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

জলবায়ু পরিবর্তন এবং খাদ্য নিরাপত্তা এখন আর শুধু আঞ্চলিক বা মানবিক সমস্যা হিসেবে সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি আন্তর্জাতিক জিয়োপলিটিক্স, শক্তি ভারসাম্য, এবং রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতার সঙ্গে গভীরভাবে সংযুক্ত একটি বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে উদ্ভূত হয়েছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, এবং জলবায়ু-প্রভাবিত কৃষি উৎপাদনের অস্থিরতা আন্তর্জাতিক খাদ্য সরবরাহ চেইনকে বিপর্যস্ত করছে এবং ফলস্বরূপ খাদ্যের মূল্য ও প্রাপ্যতার অস্থিরতা রাষ্ট্রগুলোর অভ্যন্তরীণ রাজনীতি এবং সামাজিক স্থিতিশীলতার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলছে।

এই প্রেক্ষাপটে, খাদ্য নিরাপত্তার অনিশ্চয়তা শুধু অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক চাপে সীমাবদ্ধ থাকছে না; এটি আন্তর্জাতিক কূটনীতি, শক্তির ভারসাম্য, এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের কাঠামোকে পুনর্গঠন করছে। রাষ্ট্রগুলোর জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে কার্যকর নীতি প্রণয়ন, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, এবং আন্তর্জাতিক সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে এই সংকট মোকাবিলা করা। বিশেষভাবে, কৃষি প্রযুক্তি, জল ব্যবস্থাপনা, এবং বৈশ্বিক খাদ্য বাজারের স্থিতিশীলতা রক্ষায় সহযোগিতা জাতীয় এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফলস্বরূপ, জলবায়ু-ভিত্তিক খাদ্য অস্থিরতা শুধু অর্থনৈতিক বা মানবিক চ্যালেঞ্জ নয়; এটি আধুনিক জিয়োপলিটিক্সে রাষ্ট্রগুলোর কৌশলগত সক্ষমতা, বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্ব, এবং দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার প্রেক্ষাপট তৈরি করছে। সঠিক নীতি প্রণয়ন এবং দায়িত্বশীল আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ছাড়া এই সংকট আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে এবং বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য জটিল চ্যালেঞ্জ হিসেবে উদ্ভূত হবে।

[লেখক: আইনজীবী]

back to top