alt

opinion » post-editorial

জীবনযাত্রায় ই-কমার্সের ভূমিকা

মোহাম্মদ কাওছার উদ্দীন

: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১
image

ইন্টারনেটের বদৌলতে পৃথিবী এখন আমাদের হাতের মুঠোয়। গ্যাস বা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা, পছন্দের জামা-কাপড় কেনা কিংবা বাস বা ট্রেনের টিকিট বুকিংসহ সবকিছুই এখন ঘরে বসে করা যায়। ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে দেশ-বিদেশের যে কোন জায়গায় মিনিটের মধ্যেই অর্থ আদান-প্রদান করা যায়। ইন্টারনেটের প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে এভাবেই আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রত্যেকটি স্তরে লাগছে আমূল পরিবর্তনের ছোঁয়া।

এই পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করেছে করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারি। মানুষের সমাগম এড়িয়ে চলায় বা লকডাউনে বাসায় থাকায় মানুষ আরও বেশি ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে পড়েছে। নতুন এই বাস্তবতায় মানুষ ধীরে ধীরে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে নিজেকে; এখন সরাসরি দেখা করার চেয়ে সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগ করার প্রবণতা বেড়েছে, বাইরে না বের হয়ে ঘরে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে বাইরের কাজ সম্পন্ন করা যাচ্ছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে বাজারে যাওয়ার চেয়ে মানুষ এখন অনলাইনে অর্ডার করার দিকে ঝুঁকছে। আর এভাবেই, অনলাইনে শপিং করার প্রতি মানুষের প্রবণতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে, বিস্তৃত হতে শুরু করেছে ই-কমার্স খাতের পরিসর।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ই-কমার্সের চাহিদা যেমন বেড়েছে, তেমনি ব্যবস্থাপনায়ও এসেছে পরিবর্তন। নিজের হাতে দেখেশুনে পণ্য ক্রয় করা ক্রেতারা যখন অনলাইনে অর্ডার করেন, তখন ক্রেতার কাছে বিশ্বাসযোগ্য উপায়ে পণ্য সরবরাহ করাটাই বিক্রেতার নিকট বড় একটি চ্যালেঞ্জ। ধীরে ধীরে এই চ্যালেঞ্জটিও সহজ হয়ে এসেছে। অনলাইনে কেনাকাটায় এখন আগের চেয়ে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস বেড়েছে। গত বছর ই-কমার্স খাতের ব্যাপ্তি ছিল ৮০০ থেকে ৯০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা স্পষ্টতই অনলাইনে মানুষের আস্থার দিককে প্রতিফলিত করে। স্বভাবতই, অনলাইন শপিংয়ে মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রত্যাশাও বৃদ্ধি পেয়েছে। যেহেতু, সামনে থেকে না দেখে শুধু অনলাইনে যোগাযোগ করে পণ্য কিনতে হয়, তাই ক্রেতারা বিক্রেতার কাছে পণ্যের মান ও গুণাগুণ নিশ্চিতের জন্য ব্র্যান্ডের আসল পণ্য আশা করেন। পাশাপাশি, অর্ডারকৃত পণ্য সময়মতো ডেলিভারি পাওয়াটাও তাদের চাওয়া।

চা-জনগোষ্ঠীর দণ্ডপূজা ও উপেক্ষিত অধিকার

মেরিটোক্রেসি: সমাজ ও রাজনীতির প্রাসঙ্গিকতা

রম্যগদ্য: হাতের মুঠোয় বিশ্ব

শারদীয় পূজার দিনলিপি

ঋণের জন্য আত্মহত্যা, ঋণ নিয়েই চল্লিশা

জাকসু নির্বাচন ও হট্টগোল: আমাদের জন্য শিক্ষণীয় কী?

নরসুন্দর পেশার গুরুত্ব ও সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন

বিভাগভিত্তিক এমপিআর নির্বাচন পদ্ধতি

প্ল্যাটফর্ম সমাজে বাংলাদেশ: জ্ঞানের ভবিষ্যৎ কার হাতে?

আনন্দবেদনার হাসপাতাল: সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থার বাস্তবতা

ছবি

ভিন্ন ধরনের নির্বাচন, ভিন্ন ধরনের ফল

বেসরকারি খাতে সিআইবি’র যাত্রা: ঋণ ব্যবস্থার নতুন দিগন্ত

স্বাস্থ্যসেবায় মানবিকতা প্রতিষ্ঠা হোক

ছবি

নেপালে সরকার পতন ও বামপন্থীদের ভবিষ্যৎ

ডাকসু নির্বাচন ও সংস্কারপ্রয়াস: রাজনৈতিক চিন্তার নতুন দিগন্ত

নির্বাচন কি সব সমস্যার সমাধান

জিতিয়া উৎসব

ছবি

অলির পর নেপাল কোন পথে?

রম্যগদ্য: “মরেও বাঁচবি নারে পাগলা...”

অপরিকল্পিত নগরায়ন ও শ্রীপুর পৌরসভা

ভূরিভোজ, উচ্ছেদ এবং আদিবাসী পাহাড়িয়া

অনলাইন সংস্কৃতিতে হাস্যরসের সমাজবিজ্ঞান

মামলাজট নিরসনে দেওয়ানি কার্যবিধির সংস্কার

বাস্তব মস্কো বনাম বিভ্রান্ত ইউরোপ

ছাত্রসংসদ নির্বাচন ও ভবিষ্যৎ ছাত্ররাজনীতির গতিপ্রকৃতি

সড়ক দুর্ঘটনা: কারও মৃত্যু সাধারণ, কারও মৃত্যু বিশেষ

ঐকমত্য ছাড়াও কিছু সংস্কার সম্ভব

আবার বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম : সংকটে সাধারণ মানুষ

ডায়াবেটিস রোগীর সেবা ও জনসচেতনতা

ভিন্ন ধরনের ডাকসু নির্বাচন

ডাকসু নির্বাচন : পেছনে ফেলে আসি

প্রসঙ্গ : এলডিসি তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ

“কোপা চাটিগাঁ...”

ই-কমার্স হতে পারে প্রবৃদ্ধির ইঞ্জিন

ভারত-চীনের নতুন সমীকরণ

সাইবার যুগে মানুষের মর্যাদা ও নিরাপত্তা

tab

opinion » post-editorial

জীবনযাত্রায় ই-কমার্সের ভূমিকা

মোহাম্মদ কাওছার উদ্দীন

image

বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১

ইন্টারনেটের বদৌলতে পৃথিবী এখন আমাদের হাতের মুঠোয়। গ্যাস বা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা, পছন্দের জামা-কাপড় কেনা কিংবা বাস বা ট্রেনের টিকিট বুকিংসহ সবকিছুই এখন ঘরে বসে করা যায়। ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে দেশ-বিদেশের যে কোন জায়গায় মিনিটের মধ্যেই অর্থ আদান-প্রদান করা যায়। ইন্টারনেটের প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে এভাবেই আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রত্যেকটি স্তরে লাগছে আমূল পরিবর্তনের ছোঁয়া।

এই পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করেছে করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারি। মানুষের সমাগম এড়িয়ে চলায় বা লকডাউনে বাসায় থাকায় মানুষ আরও বেশি ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে পড়েছে। নতুন এই বাস্তবতায় মানুষ ধীরে ধীরে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে নিজেকে; এখন সরাসরি দেখা করার চেয়ে সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগ করার প্রবণতা বেড়েছে, বাইরে না বের হয়ে ঘরে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে বাইরের কাজ সম্পন্ন করা যাচ্ছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে বাজারে যাওয়ার চেয়ে মানুষ এখন অনলাইনে অর্ডার করার দিকে ঝুঁকছে। আর এভাবেই, অনলাইনে শপিং করার প্রতি মানুষের প্রবণতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে, বিস্তৃত হতে শুরু করেছে ই-কমার্স খাতের পরিসর।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ই-কমার্সের চাহিদা যেমন বেড়েছে, তেমনি ব্যবস্থাপনায়ও এসেছে পরিবর্তন। নিজের হাতে দেখেশুনে পণ্য ক্রয় করা ক্রেতারা যখন অনলাইনে অর্ডার করেন, তখন ক্রেতার কাছে বিশ্বাসযোগ্য উপায়ে পণ্য সরবরাহ করাটাই বিক্রেতার নিকট বড় একটি চ্যালেঞ্জ। ধীরে ধীরে এই চ্যালেঞ্জটিও সহজ হয়ে এসেছে। অনলাইনে কেনাকাটায় এখন আগের চেয়ে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস বেড়েছে। গত বছর ই-কমার্স খাতের ব্যাপ্তি ছিল ৮০০ থেকে ৯০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা স্পষ্টতই অনলাইনে মানুষের আস্থার দিককে প্রতিফলিত করে। স্বভাবতই, অনলাইন শপিংয়ে মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রত্যাশাও বৃদ্ধি পেয়েছে। যেহেতু, সামনে থেকে না দেখে শুধু অনলাইনে যোগাযোগ করে পণ্য কিনতে হয়, তাই ক্রেতারা বিক্রেতার কাছে পণ্যের মান ও গুণাগুণ নিশ্চিতের জন্য ব্র্যান্ডের আসল পণ্য আশা করেন। পাশাপাশি, অর্ডারকৃত পণ্য সময়মতো ডেলিভারি পাওয়াটাও তাদের চাওয়া।

back to top