alt

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

আস্থাহীনতা কেন চিন্তাহীনতার জন্ম দেয়?

মতিয়ার রহমান

: মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২২

বাংলাদেশের মানুষের যে কোন বিষয়ের প্রতি আস্থাহীনতা দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু কেন এই আস্থাহীনতা দিন দিন বাড়ছে? আস্থাহীনতা বাড়ার পেছনে অনেক কারণ আছে। সেজন্য আমরা কেউ কী একবারও ভেবে দেখেছি আস্থাহীনতার কারণ? মানুষের কাছে কোনরকম দিন গেলেই হলো। মানুষের ভাবনার বা চিন্তার জগতকে মাথা থেকে তাড়াতে পারলে রাষ্ট্র অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে শোষণ ব্যবস্থাকে পাকাপোক্ত করে নিজেদের স্বর্গবাসে রূপান্তরিত করে রাখা সহজ হয়। আর এজন্য গুটিকয়েক সুবিধাভোগী পদলেহনকারী মানুষকে সুবিধা দিলেই তা সম্ভব। বাকি ৯৫% মানুষ শোষণ যন্ত্রণা ভোগ করবে। মূল হচ্ছে চিন্তাশক্তি ধ্বংস করা, এজন্য শিক্ষা ব্যবস্থা বাণিজ্যিকী ও ধর্মীয়করণ। সব হাতে কাজ না দিয়ে লুণ্ঠন ব্যবস্থা ত্বরান্বিত করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা। শিল্পপ্রতিষ্ঠান ব্যক্তি মালিকানায় তুলে দিয়ে শোষণ ব্যবস্থা অব্যাহত রেখে টাকা বিদেশে পাঠানো। বড় নেতার কিছু ছা-পোষা তাবেদার তৈরি করা ইত্যাদি।

মানুষের যদি চিন্তাশক্তি ধ্বংস হয়, তখন সে আর মানুষ থাকে না। মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে পার্খক্য-মানুষ চিন্তা করে সমাজকে পাল্টাতে পারে, আর অন্যান্য প্রাণী চিন্তা করতে পারে না। মানুষের চিন্তাশক্তিকে আরো শক্তিশালী, যুক্তিবাদী, সৃজনশীল করতে চাইলে সর্বাগ্রে প্রয়োজন উপযুক্ত নেতৃত্ব। উপযুক্ত চর্চা, যুক্তিবাদী মনন বিজ্ঞানের উৎকর্ষতা অর্জন ছাড়া সম্ভব নয়। তেমনি ক্ষুরধার যুক্তির বিকাশ লাভ। তা না হলে একদল দাসত্ব দলদাস হয়ে অন্যান্য প্রাণীর মতো পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে হবে। মানুষের মতো হয়ত দুই হাত, দুই পা, দুই চোখ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থাকবে, কিন্তু মনুষ্যত্ব থাকবে না। আর থাকবে না বলেই সমাজ, পৃথিবী, রাষ্ট্র নিয়ে যারা চিন্তা করে, তাদের এগিয়ে আসতে হবে। তা না হলে কর্তৃত্ববাদী শাসন, দাসত্ববাদী শাসন, স্বৈরাচারী শাসন মানুষ নামক প্রাণীকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখবে কর্তৃত্ববাদীরা। তবুও সামনে এগিয়ে যেতে হবে, পেছনে ফেরার কোন পথ নেই।

সমাজ কী? সভ্যতা কী? বিজ্ঞান কী? মানব সভ্যতার ক্রমবিকাশের ইতিহাস, এভাবে এর ইতিহাস শিশুমনে দাগ কাটাতে হবে। শিশু মনে ধর্মীয় গোঁড়ামী বা ধর্ম শিক্ষার নামে শিশুদের শিক্ষা দেওয়া উচিত হবে না। ১ টাকার জন্য একজন মানুষকে হত্যা করতে দ্বিধা করে না। ফলে পুঁজিবাদী সাম্রাজ্যবাদী ব্যবস্থা মানুষকে পশুতে পরিণত করতে বাধ্য করে। তবে ভিন্ন ভিন্ন রাষ্ট্রে ভিন্ন ভিন্ন ফর্মে হয়। বাংলাদেশে মাত্রাটা অত্যন্ত প্রকট আকার ধারণ করেছে। এখানে ক্ষমতার মোহ খুবই অন্ধ। সব মানুষের মুক্তি চাই। পৃথিবীতে সব মানুষ সুখে থাকুকÑ এ প্রত্যাশা করছি।

[লেখক : উন্নয়ন কর্মী]

প্রাণিসম্পদ: দেশীয় জাত, আধুনিক প্রযুক্তি

জমির জরিপ: ন্যায়বিচার প্রসঙ্গ

বুদ্ধিজীবী হত্যা ও এর স্বরূপ সন্ধানে

উন্নয়নের আড়ালে রোগীর ভোগান্তি: আস্থা সংকটে স্বাস্থ্যসেবা

ছবি

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস: অমিত শক্তির উৎস

ছবি

বেগম রোকেয়া এখনো জাগ্রত

পশ্চিমবঙ্গ: বামপন্থীদের ‘বাংলা বাঁচাও’-এর ডাক

সবার বাংলাদেশ কবে প্রতিষ্ঠিত হবে?

বিদেশি বিনিয়োগ : প্রয়োজন আইনের শাসন ও সামাজিক স্থিতি

চিকিৎসা যখন অসহনীয় ব্যয়, তখন প্রতিবাদই ন্যায়

মস্কোর কৌশলগত পুনর্গঠন

“সব শিয়ালের এক রা’ মারা গেল কুমিরের ছা”

ছবি

বিচূর্ণ দর্পণের মুখ

নিজের চেতনায় নিজেরই ঘা দেয়া জরুরি

ঋণ অবলোপনের প্রভাব

ভেজাল গুড়ের মরণফাঁদ: বাঙালির ঐতিহ্য, জনস্বাস্থ্য ও আস্থার নীরব বিপর্যয়

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস

জোটের ভোট নাকি ভোটের জোট, কৌশলটা কী?

প্রমাণ তো করতে হবে আমরা হাসিনার চেয়ে ভালো

ছবি

কৃষি ডেটা ব্যবস্থাপনা

যুক্তরাজ্যে ভর্তি স্থগিতের কুয়াশা: তালা লাগলেও চাবি আমাদের হাতে

শিক্ষকদের কর্মবিরতি: পেশাগত নৈতিকতা ও দায়িত্ববোধ

জাতীয় রক্তগ্রুপ নির্ণয় দিবস

জাল সনদপত্রে শিক্ষকতা

সাধারণ চুক্তিগুলোও গোপনীয় কেন

ছবি

শিশুখাদ্যের নিরাপত্তা: জাতির ভবিষ্যৎ সুরক্ষার প্রথম শর্ত

ছবি

ফিনল্যান্ড কেন সুখী দেশ

ছবি

কৃষকের সংকট ও অর্থনীতির ভবিষ্যৎ

আলু চাষের আধুনিক প্রযুক্তি

ই-বর্জ্য: নীরব বিষে দগ্ধ আমাদের ভবিষ্যৎ

ঢাকার জনপরিসর: আর্ভিং গফম্যানের সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ

আলু চাষের আধুনিক প্রযুক্তি

কলি ফুটিতে চাহে ফোটে না!

কৃষিতে স্মার্ট প্রযুক্তি

রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে লোকালাইজেশন অপরিহার্য

আইসিইউ থেকে বাড়ি ফেরা ও খাদের কিনারায় থাকা দেশ

tab

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

আস্থাহীনতা কেন চিন্তাহীনতার জন্ম দেয়?

মতিয়ার রহমান

মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২২

বাংলাদেশের মানুষের যে কোন বিষয়ের প্রতি আস্থাহীনতা দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু কেন এই আস্থাহীনতা দিন দিন বাড়ছে? আস্থাহীনতা বাড়ার পেছনে অনেক কারণ আছে। সেজন্য আমরা কেউ কী একবারও ভেবে দেখেছি আস্থাহীনতার কারণ? মানুষের কাছে কোনরকম দিন গেলেই হলো। মানুষের ভাবনার বা চিন্তার জগতকে মাথা থেকে তাড়াতে পারলে রাষ্ট্র অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে শোষণ ব্যবস্থাকে পাকাপোক্ত করে নিজেদের স্বর্গবাসে রূপান্তরিত করে রাখা সহজ হয়। আর এজন্য গুটিকয়েক সুবিধাভোগী পদলেহনকারী মানুষকে সুবিধা দিলেই তা সম্ভব। বাকি ৯৫% মানুষ শোষণ যন্ত্রণা ভোগ করবে। মূল হচ্ছে চিন্তাশক্তি ধ্বংস করা, এজন্য শিক্ষা ব্যবস্থা বাণিজ্যিকী ও ধর্মীয়করণ। সব হাতে কাজ না দিয়ে লুণ্ঠন ব্যবস্থা ত্বরান্বিত করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা। শিল্পপ্রতিষ্ঠান ব্যক্তি মালিকানায় তুলে দিয়ে শোষণ ব্যবস্থা অব্যাহত রেখে টাকা বিদেশে পাঠানো। বড় নেতার কিছু ছা-পোষা তাবেদার তৈরি করা ইত্যাদি।

মানুষের যদি চিন্তাশক্তি ধ্বংস হয়, তখন সে আর মানুষ থাকে না। মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে পার্খক্য-মানুষ চিন্তা করে সমাজকে পাল্টাতে পারে, আর অন্যান্য প্রাণী চিন্তা করতে পারে না। মানুষের চিন্তাশক্তিকে আরো শক্তিশালী, যুক্তিবাদী, সৃজনশীল করতে চাইলে সর্বাগ্রে প্রয়োজন উপযুক্ত নেতৃত্ব। উপযুক্ত চর্চা, যুক্তিবাদী মনন বিজ্ঞানের উৎকর্ষতা অর্জন ছাড়া সম্ভব নয়। তেমনি ক্ষুরধার যুক্তির বিকাশ লাভ। তা না হলে একদল দাসত্ব দলদাস হয়ে অন্যান্য প্রাণীর মতো পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে হবে। মানুষের মতো হয়ত দুই হাত, দুই পা, দুই চোখ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থাকবে, কিন্তু মনুষ্যত্ব থাকবে না। আর থাকবে না বলেই সমাজ, পৃথিবী, রাষ্ট্র নিয়ে যারা চিন্তা করে, তাদের এগিয়ে আসতে হবে। তা না হলে কর্তৃত্ববাদী শাসন, দাসত্ববাদী শাসন, স্বৈরাচারী শাসন মানুষ নামক প্রাণীকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখবে কর্তৃত্ববাদীরা। তবুও সামনে এগিয়ে যেতে হবে, পেছনে ফেরার কোন পথ নেই।

সমাজ কী? সভ্যতা কী? বিজ্ঞান কী? মানব সভ্যতার ক্রমবিকাশের ইতিহাস, এভাবে এর ইতিহাস শিশুমনে দাগ কাটাতে হবে। শিশু মনে ধর্মীয় গোঁড়ামী বা ধর্ম শিক্ষার নামে শিশুদের শিক্ষা দেওয়া উচিত হবে না। ১ টাকার জন্য একজন মানুষকে হত্যা করতে দ্বিধা করে না। ফলে পুঁজিবাদী সাম্রাজ্যবাদী ব্যবস্থা মানুষকে পশুতে পরিণত করতে বাধ্য করে। তবে ভিন্ন ভিন্ন রাষ্ট্রে ভিন্ন ভিন্ন ফর্মে হয়। বাংলাদেশে মাত্রাটা অত্যন্ত প্রকট আকার ধারণ করেছে। এখানে ক্ষমতার মোহ খুবই অন্ধ। সব মানুষের মুক্তি চাই। পৃথিবীতে সব মানুষ সুখে থাকুকÑ এ প্রত্যাশা করছি।

[লেখক : উন্নয়ন কর্মী]

back to top