alt

উপ-সম্পাদকীয়

প্লাস্টিক ও পরিবেশ

মোশারফ হোসেন

: মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩

প্লাস্টিক বা পলিথিন তৈরিতে কয়লা ও অশোধিত তেল থেকে প্রাপ্ত গ্যাস ও তরল বস্তু দ্বারা উৎপাদিত হয়। আর এই গ্যাস ও তরল বস্তুর মধ্যে রয়েছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পরমাণু। তাপ ও চাপের ফলে জোড়া লেগে থাকে বিদ্যমান অণুর বিশাল শিকল বা চেইন। একেই পলিমার বলে। পলিমার নমনীয় বলেই যে কোন আকার-আকৃতি দেয়া যায়। আর এভাবেই তৈরি হয় প্লাস্টিক বা পলিথিন।

সূর্যের তাপ, আর্দ্রতা, আবহাওয়া, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, পলিথিনকে নষ্ট করতে পারে না। বিজ্ঞানী আলেকজান্ডার পার্ক সেলুলোজ, প্লাস্টি সাইজার এবং অন্যান্য দ্রাবক পদার্থের সমন্বয়ে প্রথম প্লাস্টিক তৈরি করেন ১৮৮৫ সালে।

প্লাস্টিক ও পলিথিনের কিছু সুবিধা থাকলেও এর মারাত্মক ক্ষতির পরিমাণই বেশি। প্লাস্টিক পলিথিন পৃথিবীর স্বাভাবিক পরিবেশকে নষ্ট করছে প্রতিনিয়ত। প্লাস্টিক বর্জ্য ও পরিবেশের দীর্ঘমেয়াদী প্রতিকার প্রভাব পড়ছে উদ্ভিদকূল জলজপ্রাণী এবং মানবজাতির ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে। আমাদের দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত একটি বিরাট অংশজুড়ে প্লাস্টিকের দখল। বিশ্বজুড়ে প্রতি মিনিটে ৩৩৮০০টি প্লাস্টিকের বোতল এবং ব্যাগ সাগরে গিয়ে পড়ছে। বছরে এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৮০ লাখ টন। ২০৫০ সাল নাগাদ বছরে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য সাগরে গিয়ে মিশবে।

বিশ্বে প্লাস্টিক দূষণে বাংলাদেশ দশম। আমাদের দেশের বর্জ্যরে প্রায় ৮০ শতাংশ প্লাস্টিক। প্লাস্টিক-পলিথিনের বর্জ্যগুলোতে বিদ্যমান উগ্র রাসায়নিক পদার্থ পানি, বায়ু ও মাটিকে নানাভাবে দূষিত করে থাকে। মাটিতে দ্রুত পচনশীল না হওয়ার কারণে মাটির উর্বরা শক্তি নষ্ট, ভূগর্ভের পানির স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটছে।

পলিথিন ব্যবহারের নিষিদ্ধ দেশ হিসেবে বাংলাদেশই প্রথম। কিন্তু এরপরও পলিথিনের উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং ব্যবহার আগের তুলনায় না কমে বরং কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। সমীক্ষা থেকে জানা যায় প্রতি কেজি প্লাস্টিক উৎপাদনে প্রায় ২-৩ কেজি কার্বন-ডাই অক্সাইড নির্গত হয় এবং প্রতি বছর প্লাস্টিকপণ্য উৎপাদনে প্রায় ১৭০০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল ব্যবহার করা হয়। এসব কিছুই জলবায়ুর পরিবর্তনে নেতিবাচত ভূমিকা রাখে।

পুড়ে যাওয়া পলিথিন থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাস মানবদেহের শ্বাসকষ্টসহ ফুসফুসে মারাত্মক সমস্যা, চর্মরোগ, ক্যানসারের মতো মরণব্যাধি হয়ে থাকে। প্রসাধনী রাখার পাত্র, পানির পাইপ, খেলনা, গৃহসজ্জার বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী ইত্যাদি পলিভিনাইল ক্লোরাইড, পিভিসি প্লাস্টিক পদার্থ দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে জন্মগত ত্রুটি, জেনেটিক পরিবর্তন, আলসার, ব্রংকাইটিস, শুক্রাণু সংখ্যা হ্রাস, লিভার সমস্যা, হরমোন পরিবর্তন, হাঁপানির মতো জটিল জটিল রোগের সৃষ্টি হয়।

২০০২ সালে সর্বপ্রথম পলিথিনের ক্ষতিকর দিক বিবেচনায় উৎপাদন, পরিবহন, মজুত, আইনে এর নিষিদ্ধ করা হয়। পলিথিন ব্যাগের বিকল্প হিসেবে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে ১৭টি পণ্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ১৯৯৫ সালের পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের ঘোষণা বাস্তবায়ন কারা হয়। পলিথিন উৎপাদন, আমদানি বা বাজারজাত করলে তার ১০ বছরের কারাদন্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয়দন্ডে দন্ডিত করার কথা উল্লেখ থাকে। কিন্তু তার বাস্তবতা সুদূর পরাহত।

জলবায়ুর পরিবর্তন ও ধারিত্রীর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে, অনাগত ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা সময়ের দাবি। এছাড়া পাট পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে হবে এবং কাচের তৈরি পণ্যের ব্যবহারও বাড়াতে হবে প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে।

গ্রাফিন ও জৈবে-প্লাস্টিক পরিবেশের ক্ষতি করে না। তাই এটি ব্যবহার করার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে। বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ড. মোবারক আহম্মেদের খানের পাট থেকে তৈরি পচনশীল, পরিবেশবান্ধব সাশ্রয়ী পলিমার ব্যবহারের ওপর অধিক গুরুত্ব দেয়া সময়ের দাবি। পৃথিবীকে বাসযোগ্য করতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জাগ্রত বিবেক কে কাজে লাগাতে হবে। সরকারসহ মানুষকে সচেতন পদক্ষেপ নেয়ার পাশাপাশি উপোযুক্ত আইন, নীতিমালা ও তার কার্যকরী বাস্তবায়নে উদ্যোগী হতে হবে। ব্যক্তির হীনস্বার্থ ত্যাগ করে দেশপ্রেমের ব্রত নিয়ে পরিবেশকে বাঁচাতে উদ্যোগী হতে হবে আমাদের সবাইকে।

[লেখক: প্রভাষক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, সরকারি ইস্পাহানী কলেজ, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা]

ফলের রাজ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম

ছবি

তৃতীয় শক্তির জন্য জায়গা খালি : বামপন্থীরা কি ঘুরে দাঁড়াতে পারে না

জমি আপনার, দখল অন্যের?

সিধু-কানু : ধ্বংসস্তূপের নিচেও জেগে আছে সাহস

ছবি

বাংলার অনন্য লোকসংস্কৃতি ও গণতান্ত্রিক চেতনা

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সাম্পান

তিন দিক থেকে স্বাস্থ্যঝুঁকি : করোনা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া

দেশের অর্থ পাচারের বাস্তবতা

খাদ্য নিরাপত্তার নতুন দিগন্ত

আবারও কি রোহিঙ্গাদের ত্যাগ করবে বিশ্ব?

প্লান্ট ক্লিনিক বদলে দিচ্ছে কৃষির ভবিষ্যৎ

ঢাকাকে বাসযোগ্য নগরী করতে করণীয়

রম্যগদ্য : ‘ডন ডনা ডন ডন...’

ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব : কে সন্ত্রাসী, কে শিকার?

সুস্থ ও শক্তিশালী জাতি গঠনে শারীরিক শিক্ষার গুরুত্ব

প্রতিরোধই উত্তম : মাদকমুক্ত প্রজন্ম গড়ার ডাক

ছবি

বিকাশের পথকে পরিত্যাগ করা যাবে না

বর্ষা ও বৃক্ষরোপণ : সবুজ বিপ্লবের আহ্বান

প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়া রোধে শিক্ষকের করণীয়

পারমাণবিক ন্যায়বিচার ও বৈশ্বিক ভণ্ডামির প্রতিচ্ছবি

পরিবেশের নীরব রক্ষক : শকুন সংরক্ষণে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

ভুল স্বীকারে গ্লানি নেই

ভাঙনের বুকে টিকে থাকা স্বপ্ন

একটি সফর, একাধিক সংকেত : কে পেল কোন বার্তা?

দেশের কারা ব্যবস্থার বাস্তবতা

ইসলামী ব্যাংক একীভূতকরণ : আস্থা ফেরাতে সংস্কার, না দায়মুক্তির প্রহসন?

রম্যগদ্য : চাঁদাবাজি চলছে, চলবে

বায়ুদূষণ : নীরব ঘাতক

ইসরায়েলের কৌশলগত ঔদ্ধত্য

পরিবার : সুনাগরিক ও সুশাসক তৈরির ভিত্তিমূল

শিল্পে গ্যাস সংকট : দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নিন

আমাদের লড়াইটা আমাদের লড়তে দিন

ব্যাকবেঞ্চারদের পৃথিবী : ব্যর্থতার গায়ে সাফল্যের ছাপ

আমের অ্যানথ্রাকনোজ ও বোঁটা পঁচা রোগ

শিশুদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি : স্কুল ব্যাংকিংয়ের সম্ভাবনা ও সংকট

tab

উপ-সম্পাদকীয়

প্লাস্টিক ও পরিবেশ

মোশারফ হোসেন

মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩

প্লাস্টিক বা পলিথিন তৈরিতে কয়লা ও অশোধিত তেল থেকে প্রাপ্ত গ্যাস ও তরল বস্তু দ্বারা উৎপাদিত হয়। আর এই গ্যাস ও তরল বস্তুর মধ্যে রয়েছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পরমাণু। তাপ ও চাপের ফলে জোড়া লেগে থাকে বিদ্যমান অণুর বিশাল শিকল বা চেইন। একেই পলিমার বলে। পলিমার নমনীয় বলেই যে কোন আকার-আকৃতি দেয়া যায়। আর এভাবেই তৈরি হয় প্লাস্টিক বা পলিথিন।

সূর্যের তাপ, আর্দ্রতা, আবহাওয়া, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, পলিথিনকে নষ্ট করতে পারে না। বিজ্ঞানী আলেকজান্ডার পার্ক সেলুলোজ, প্লাস্টি সাইজার এবং অন্যান্য দ্রাবক পদার্থের সমন্বয়ে প্রথম প্লাস্টিক তৈরি করেন ১৮৮৫ সালে।

প্লাস্টিক ও পলিথিনের কিছু সুবিধা থাকলেও এর মারাত্মক ক্ষতির পরিমাণই বেশি। প্লাস্টিক পলিথিন পৃথিবীর স্বাভাবিক পরিবেশকে নষ্ট করছে প্রতিনিয়ত। প্লাস্টিক বর্জ্য ও পরিবেশের দীর্ঘমেয়াদী প্রতিকার প্রভাব পড়ছে উদ্ভিদকূল জলজপ্রাণী এবং মানবজাতির ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে। আমাদের দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত একটি বিরাট অংশজুড়ে প্লাস্টিকের দখল। বিশ্বজুড়ে প্রতি মিনিটে ৩৩৮০০টি প্লাস্টিকের বোতল এবং ব্যাগ সাগরে গিয়ে পড়ছে। বছরে এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৮০ লাখ টন। ২০৫০ সাল নাগাদ বছরে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য সাগরে গিয়ে মিশবে।

বিশ্বে প্লাস্টিক দূষণে বাংলাদেশ দশম। আমাদের দেশের বর্জ্যরে প্রায় ৮০ শতাংশ প্লাস্টিক। প্লাস্টিক-পলিথিনের বর্জ্যগুলোতে বিদ্যমান উগ্র রাসায়নিক পদার্থ পানি, বায়ু ও মাটিকে নানাভাবে দূষিত করে থাকে। মাটিতে দ্রুত পচনশীল না হওয়ার কারণে মাটির উর্বরা শক্তি নষ্ট, ভূগর্ভের পানির স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটছে।

পলিথিন ব্যবহারের নিষিদ্ধ দেশ হিসেবে বাংলাদেশই প্রথম। কিন্তু এরপরও পলিথিনের উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং ব্যবহার আগের তুলনায় না কমে বরং কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। সমীক্ষা থেকে জানা যায় প্রতি কেজি প্লাস্টিক উৎপাদনে প্রায় ২-৩ কেজি কার্বন-ডাই অক্সাইড নির্গত হয় এবং প্রতি বছর প্লাস্টিকপণ্য উৎপাদনে প্রায় ১৭০০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল ব্যবহার করা হয়। এসব কিছুই জলবায়ুর পরিবর্তনে নেতিবাচত ভূমিকা রাখে।

পুড়ে যাওয়া পলিথিন থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাস মানবদেহের শ্বাসকষ্টসহ ফুসফুসে মারাত্মক সমস্যা, চর্মরোগ, ক্যানসারের মতো মরণব্যাধি হয়ে থাকে। প্রসাধনী রাখার পাত্র, পানির পাইপ, খেলনা, গৃহসজ্জার বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী ইত্যাদি পলিভিনাইল ক্লোরাইড, পিভিসি প্লাস্টিক পদার্থ দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে জন্মগত ত্রুটি, জেনেটিক পরিবর্তন, আলসার, ব্রংকাইটিস, শুক্রাণু সংখ্যা হ্রাস, লিভার সমস্যা, হরমোন পরিবর্তন, হাঁপানির মতো জটিল জটিল রোগের সৃষ্টি হয়।

২০০২ সালে সর্বপ্রথম পলিথিনের ক্ষতিকর দিক বিবেচনায় উৎপাদন, পরিবহন, মজুত, আইনে এর নিষিদ্ধ করা হয়। পলিথিন ব্যাগের বিকল্প হিসেবে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে ১৭টি পণ্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ১৯৯৫ সালের পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের ঘোষণা বাস্তবায়ন কারা হয়। পলিথিন উৎপাদন, আমদানি বা বাজারজাত করলে তার ১০ বছরের কারাদন্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয়দন্ডে দন্ডিত করার কথা উল্লেখ থাকে। কিন্তু তার বাস্তবতা সুদূর পরাহত।

জলবায়ুর পরিবর্তন ও ধারিত্রীর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে, অনাগত ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা সময়ের দাবি। এছাড়া পাট পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে হবে এবং কাচের তৈরি পণ্যের ব্যবহারও বাড়াতে হবে প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে।

গ্রাফিন ও জৈবে-প্লাস্টিক পরিবেশের ক্ষতি করে না। তাই এটি ব্যবহার করার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে। বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ড. মোবারক আহম্মেদের খানের পাট থেকে তৈরি পচনশীল, পরিবেশবান্ধব সাশ্রয়ী পলিমার ব্যবহারের ওপর অধিক গুরুত্ব দেয়া সময়ের দাবি। পৃথিবীকে বাসযোগ্য করতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জাগ্রত বিবেক কে কাজে লাগাতে হবে। সরকারসহ মানুষকে সচেতন পদক্ষেপ নেয়ার পাশাপাশি উপোযুক্ত আইন, নীতিমালা ও তার কার্যকরী বাস্তবায়নে উদ্যোগী হতে হবে। ব্যক্তির হীনস্বার্থ ত্যাগ করে দেশপ্রেমের ব্রত নিয়ে পরিবেশকে বাঁচাতে উদ্যোগী হতে হবে আমাদের সবাইকে।

[লেখক: প্রভাষক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, সরকারি ইস্পাহানী কলেজ, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা]

back to top