alt

পাঠকের চিঠি

প্রতিষ্ঠান পানিতে ভাসছে

: বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের মিয়া পাড়া প্রভাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় একটি ঐতিহ্যবাহী একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ৫৯ বছর পূর্বে এলাকার গুণী মানুষজন বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। সুনাম ও সুচারুরূপে প্রতিষ্ঠানের কার্য্যক্রম চলে আসছে।

ইদানীং প্রতিষ্ঠানটি প্রতিহিংসার কবলে পড়ে গেছে। ব্যক্তিহিংসার কারণে স্বনামধন্য এই প্রতিষ্ঠানের পাঠদান মারাত্বকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে মাঠে পানি জমা রয়েছে। শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করতে হলে হাঁটুপানি পেরিয়ে যেতে হয়। শিক্ষার্থীদের প্যারেড করার মত কোনো অবস্থা নেই। কোমলমতি শিশুদের খেলাধুলা ও হৈচৈ করার কোনো পরিবেশ নেই। দীর্ঘদিন ধরে মাঠে পানি জমে থাকার কারণে পানির দুর্গন্ধ চতুর্দিকে ছড়িয়ে যাচ্ছে। রোগ-বালাই বেড়ে চলেছে প্রতিনিয়ত।

বিদ্যালয়টির মাঠে পানি জমায়েত হওয়ার কোনো নজির ৫৮ বছরেও কখনো দেখা যায়নি। কারণ বিদ্যালয়ের মাঠের বৃষ্টির পানি ও গ্রামের বৃষ্টির পানি বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পূর্ব কোণে রাস্তায় ৩৫/৪০ বছর পূর্বের বসানো একটি ড্রেন দিয়ে বের হয়ে যেত। ফলে গ্রাম কিংবা বিদ্যালয়টির পানি কখনই জমত না। সরকারি রাস্তাটিতে পাকাকরণের কাজ শুরু হলে ৩৫/৪০ বছর পূর্বের বসানো ড্রেনটিকে তুলে ফেলে নতুনভাবে একটি ইউড্রেন স্থাপনের বরাদ্দ হয়। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সেই ইউড্রেনটি স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু করলে এলাকার একটি স্বার্থান্বেষী মহল বাধা প্রদান করে।

ড্রেনটি স্থাপনের জন্য ৩ দফায় ঠিকাদারকে বাধা প্রদান করা হয়। ফলে কাজটি বন্ধ হয়ে যায়। ইউড্রেনটি নির্মাণের পক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা, কোমলমতি ছাত্রছাত্রী ও এলাকার ৯৯% মানুষের সমর্থন রয়েছে। এত জনশক্তি থাকার পরেও ড্রেনটি নির্মাণে ব্যর্থ হওয়ার অন্যতম কারণ হলো রাজনৈতিক অপশক্তি। যে অপশক্তি মানুষ গড়ার কারখানাকে দুর্গন্ধ পানিতে ডুবিয়ে রেখেছে।

শুধু একটি ইউড্রেন নির্মাণ হলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠের এই বেহাল অবস্থার অবসান হবে। এতে সুন্দর একটি পরিবেশ গড়ে উঠবে। পূর্বের ন্যায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা হৈচৈ ও আনন্দের মধ্য পাঠদানে মনোযোগী হবে। বিষয়টি নজরে এনে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এমএ রহমান

কনভেনশন হলের প্রতারণা

ছবি

অনলাইন জুয়া বন্ধে এগিয়ে আসুন

ছবি

গৌরবের প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

নতুন শিক্ষা কারিকুলামে ইংরেজি শিক্ষা

রাজধানীতে ছিনতাই বন্ধ হচ্ছে না কেন

ছবি

সিলেটে ভয়াবহ বন্যার কারণ

রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান কী

কুমিল্লায় কিশোর গ্যাং

ছবি

হাকালুকি হাওরের গুরুত্ব

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিচ্ছি কি?

চবির আলাওল হলে প্রভোস্ট চাই

গণিত ও ইংরেজিতে কেন এত দুর্বলতা

ছবি

যানজটে অপচয় হচ্ছে কর্মঘণ্টা

ছবি

প্লাস্টিক দূষণ প্রতিকার প্রসঙ্গে

কুষ্টিয়ায় শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয় চাই

এসআই ও সার্জেন্ট নিয়োগে বয়সসীমা বাড়ানো হোক

ছবি

স্কাউটে আছে আনন্দের জগৎ

সম্মাননা স্মারক কি শুধুই একটি শব্দ

মোবাইল আসক্তি

খেলাপি ঋণ আদায়ে পদক্ষেপ নিন

বই হোক প্রকৃত বন্ধু

ছবি

তীব্র তাপপ্রবাহে সচেতনতা জরুরি

ব্রিজ চাই

প্রসঙ্গ : পরিযায়ী পাখি

ছবি

পরিকল্পিতভাবে গাছ লাগাতে হবে

ছবি

গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং কমাতে হবে

কেন এত আত্মহত্যা

দুর্নীতি বন্ধ হবে কবে

ছবি

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

পিতা-মাতার স্থান হোক সন্তানের কাছে, বৃদ্ধাশ্রমে নয়

ছবি

ট্রেনের বিলম্বে যাত্রীদের দুর্ভোগ

অভিনব কৌশলে প্রতারণা

ট্রেনে ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করা হোক

ঈদে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে তৎপর হতে হবে

পথশিশুদের পাশে দাঁড়ান

ছবি

অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ হোক

tab

পাঠকের চিঠি

প্রতিষ্ঠান পানিতে ভাসছে

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের মিয়া পাড়া প্রভাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় একটি ঐতিহ্যবাহী একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ৫৯ বছর পূর্বে এলাকার গুণী মানুষজন বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। সুনাম ও সুচারুরূপে প্রতিষ্ঠানের কার্য্যক্রম চলে আসছে।

ইদানীং প্রতিষ্ঠানটি প্রতিহিংসার কবলে পড়ে গেছে। ব্যক্তিহিংসার কারণে স্বনামধন্য এই প্রতিষ্ঠানের পাঠদান মারাত্বকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে মাঠে পানি জমা রয়েছে। শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করতে হলে হাঁটুপানি পেরিয়ে যেতে হয়। শিক্ষার্থীদের প্যারেড করার মত কোনো অবস্থা নেই। কোমলমতি শিশুদের খেলাধুলা ও হৈচৈ করার কোনো পরিবেশ নেই। দীর্ঘদিন ধরে মাঠে পানি জমে থাকার কারণে পানির দুর্গন্ধ চতুর্দিকে ছড়িয়ে যাচ্ছে। রোগ-বালাই বেড়ে চলেছে প্রতিনিয়ত।

বিদ্যালয়টির মাঠে পানি জমায়েত হওয়ার কোনো নজির ৫৮ বছরেও কখনো দেখা যায়নি। কারণ বিদ্যালয়ের মাঠের বৃষ্টির পানি ও গ্রামের বৃষ্টির পানি বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পূর্ব কোণে রাস্তায় ৩৫/৪০ বছর পূর্বের বসানো একটি ড্রেন দিয়ে বের হয়ে যেত। ফলে গ্রাম কিংবা বিদ্যালয়টির পানি কখনই জমত না। সরকারি রাস্তাটিতে পাকাকরণের কাজ শুরু হলে ৩৫/৪০ বছর পূর্বের বসানো ড্রেনটিকে তুলে ফেলে নতুনভাবে একটি ইউড্রেন স্থাপনের বরাদ্দ হয়। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সেই ইউড্রেনটি স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু করলে এলাকার একটি স্বার্থান্বেষী মহল বাধা প্রদান করে।

ড্রেনটি স্থাপনের জন্য ৩ দফায় ঠিকাদারকে বাধা প্রদান করা হয়। ফলে কাজটি বন্ধ হয়ে যায়। ইউড্রেনটি নির্মাণের পক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা, কোমলমতি ছাত্রছাত্রী ও এলাকার ৯৯% মানুষের সমর্থন রয়েছে। এত জনশক্তি থাকার পরেও ড্রেনটি নির্মাণে ব্যর্থ হওয়ার অন্যতম কারণ হলো রাজনৈতিক অপশক্তি। যে অপশক্তি মানুষ গড়ার কারখানাকে দুর্গন্ধ পানিতে ডুবিয়ে রেখেছে।

শুধু একটি ইউড্রেন নির্মাণ হলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠের এই বেহাল অবস্থার অবসান হবে। এতে সুন্দর একটি পরিবেশ গড়ে উঠবে। পূর্বের ন্যায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা হৈচৈ ও আনন্দের মধ্য পাঠদানে মনোযোগী হবে। বিষয়টি নজরে এনে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এমএ রহমান

back to top