নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের মিয়া পাড়া প্রভাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় একটি ঐতিহ্যবাহী একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ৫৯ বছর পূর্বে এলাকার গুণী মানুষজন বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। সুনাম ও সুচারুরূপে প্রতিষ্ঠানের কার্য্যক্রম চলে আসছে।
ইদানীং প্রতিষ্ঠানটি প্রতিহিংসার কবলে পড়ে গেছে। ব্যক্তিহিংসার কারণে স্বনামধন্য এই প্রতিষ্ঠানের পাঠদান মারাত্বকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে মাঠে পানি জমা রয়েছে। শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করতে হলে হাঁটুপানি পেরিয়ে যেতে হয়। শিক্ষার্থীদের প্যারেড করার মত কোনো অবস্থা নেই। কোমলমতি শিশুদের খেলাধুলা ও হৈচৈ করার কোনো পরিবেশ নেই। দীর্ঘদিন ধরে মাঠে পানি জমে থাকার কারণে পানির দুর্গন্ধ চতুর্দিকে ছড়িয়ে যাচ্ছে। রোগ-বালাই বেড়ে চলেছে প্রতিনিয়ত।
বিদ্যালয়টির মাঠে পানি জমায়েত হওয়ার কোনো নজির ৫৮ বছরেও কখনো দেখা যায়নি। কারণ বিদ্যালয়ের মাঠের বৃষ্টির পানি ও গ্রামের বৃষ্টির পানি বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পূর্ব কোণে রাস্তায় ৩৫/৪০ বছর পূর্বের বসানো একটি ড্রেন দিয়ে বের হয়ে যেত। ফলে গ্রাম কিংবা বিদ্যালয়টির পানি কখনই জমত না। সরকারি রাস্তাটিতে পাকাকরণের কাজ শুরু হলে ৩৫/৪০ বছর পূর্বের বসানো ড্রেনটিকে তুলে ফেলে নতুনভাবে একটি ইউড্রেন স্থাপনের বরাদ্দ হয়। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সেই ইউড্রেনটি স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু করলে এলাকার একটি স্বার্থান্বেষী মহল বাধা প্রদান করে।
ড্রেনটি স্থাপনের জন্য ৩ দফায় ঠিকাদারকে বাধা প্রদান করা হয়। ফলে কাজটি বন্ধ হয়ে যায়। ইউড্রেনটি নির্মাণের পক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা, কোমলমতি ছাত্রছাত্রী ও এলাকার ৯৯% মানুষের সমর্থন রয়েছে। এত জনশক্তি থাকার পরেও ড্রেনটি নির্মাণে ব্যর্থ হওয়ার অন্যতম কারণ হলো রাজনৈতিক অপশক্তি। যে অপশক্তি মানুষ গড়ার কারখানাকে দুর্গন্ধ পানিতে ডুবিয়ে রেখেছে।
শুধু একটি ইউড্রেন নির্মাণ হলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠের এই বেহাল অবস্থার অবসান হবে। এতে সুন্দর একটি পরিবেশ গড়ে উঠবে। পূর্বের ন্যায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা হৈচৈ ও আনন্দের মধ্য পাঠদানে মনোযোগী হবে। বিষয়টি নজরে এনে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এমএ রহমান
বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের মিয়া পাড়া প্রভাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় একটি ঐতিহ্যবাহী একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ৫৯ বছর পূর্বে এলাকার গুণী মানুষজন বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। সুনাম ও সুচারুরূপে প্রতিষ্ঠানের কার্য্যক্রম চলে আসছে।
ইদানীং প্রতিষ্ঠানটি প্রতিহিংসার কবলে পড়ে গেছে। ব্যক্তিহিংসার কারণে স্বনামধন্য এই প্রতিষ্ঠানের পাঠদান মারাত্বকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে মাঠে পানি জমা রয়েছে। শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করতে হলে হাঁটুপানি পেরিয়ে যেতে হয়। শিক্ষার্থীদের প্যারেড করার মত কোনো অবস্থা নেই। কোমলমতি শিশুদের খেলাধুলা ও হৈচৈ করার কোনো পরিবেশ নেই। দীর্ঘদিন ধরে মাঠে পানি জমে থাকার কারণে পানির দুর্গন্ধ চতুর্দিকে ছড়িয়ে যাচ্ছে। রোগ-বালাই বেড়ে চলেছে প্রতিনিয়ত।
বিদ্যালয়টির মাঠে পানি জমায়েত হওয়ার কোনো নজির ৫৮ বছরেও কখনো দেখা যায়নি। কারণ বিদ্যালয়ের মাঠের বৃষ্টির পানি ও গ্রামের বৃষ্টির পানি বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পূর্ব কোণে রাস্তায় ৩৫/৪০ বছর পূর্বের বসানো একটি ড্রেন দিয়ে বের হয়ে যেত। ফলে গ্রাম কিংবা বিদ্যালয়টির পানি কখনই জমত না। সরকারি রাস্তাটিতে পাকাকরণের কাজ শুরু হলে ৩৫/৪০ বছর পূর্বের বসানো ড্রেনটিকে তুলে ফেলে নতুনভাবে একটি ইউড্রেন স্থাপনের বরাদ্দ হয়। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সেই ইউড্রেনটি স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু করলে এলাকার একটি স্বার্থান্বেষী মহল বাধা প্রদান করে।
ড্রেনটি স্থাপনের জন্য ৩ দফায় ঠিকাদারকে বাধা প্রদান করা হয়। ফলে কাজটি বন্ধ হয়ে যায়। ইউড্রেনটি নির্মাণের পক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা, কোমলমতি ছাত্রছাত্রী ও এলাকার ৯৯% মানুষের সমর্থন রয়েছে। এত জনশক্তি থাকার পরেও ড্রেনটি নির্মাণে ব্যর্থ হওয়ার অন্যতম কারণ হলো রাজনৈতিক অপশক্তি। যে অপশক্তি মানুষ গড়ার কারখানাকে দুর্গন্ধ পানিতে ডুবিয়ে রেখেছে।
শুধু একটি ইউড্রেন নির্মাণ হলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠের এই বেহাল অবস্থার অবসান হবে। এতে সুন্দর একটি পরিবেশ গড়ে উঠবে। পূর্বের ন্যায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা হৈচৈ ও আনন্দের মধ্য পাঠদানে মনোযোগী হবে। বিষয়টি নজরে এনে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এমএ রহমান