অনেক চেষ্টা করেও দুই বন্ধু চাকরি পেল না। নিরুপায় হয়ে অবশেষে ঠিক করল, ধারদেনা করে একটা কাজ করবে। অনুষ্ঠান করে টাকা উপার্জন করবে।
ঢাকার বসুন্ধরার একটি কনভেনশন হলে অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেখানে যোগাযোগ করার সময় কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘কনভেনশন হলে অনুষ্ঠান করতে হলে আড়াই লক্ষ টাকা জমা দিতে হবে’। অগ্রিম দেড় লক্ষ টাকা জমা প্রদান করার কয়েকদিন পরে বাকি টাকা জমা দিতে গেলে কনভেনশন হল কর্তৃপক্ষ বলে, ‘থানা থেকে অনুমতি নিয়ে আসুন। অনুমতি না আনলে অনুষ্ঠান করা যাবে না।’ দুই বন্ধু থানায় যোগাযোগ করেও অনুমতি না পেয়ে অবশেষে কনভেনশন হল কর্তৃপক্ষের কাছে জমাকৃত দেড় লক্ষ টাকা ফেরত চায়।
কনভেনশন হল কর্তৃপক্ষ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়, টাকা কোম্পানির অ্যাকাউন্টে জমা হয়ে গেছে। ফেরত দেয়ার সুযোগ নাই। এভাবে সেই কনভেনশন হল কর্তৃপক্ষ দেড় লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে নিল।
এদিকে ঢাকার মিরপুর পল্লবী এলাকার একটি কনভেনশন হলে অনুষ্ঠান করার অনুমতি চাওয়া হলে কর্তৃপক্ষ বলে, কনভেনশন হলের ভাড়া মোট আড়াই লক্ষ টাকা। আয়োজকদ্বয় আড়াই লক্ষ টাকা জমা দেয়। অনুষ্ঠানের আগের দিন কনভেনশন হল কর্তৃপক্ষ বলে, ‘আনুষাঙ্গিক খরচ আরও ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা দিতে হবে’। অথচ কনভেনশন হল কর্তৃপক্ষ প্রথমে আড়াই লক্ষ টাকা বলে তা তো হাতিয়ে নিল এবং অনুষ্ঠানের দিন আরও ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা জোরজবরদস্তি করে নিয়ে গেল।
বেকার যুবকরা একটা কর্ম করে খাবে বলে মেলা বা অনুষ্ঠান আয়োজন করতে গিয়ে এভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারক কনভেনশন হল কর্তৃপক্ষের খপ্পরে পড়ে হারাচ্ছে। দেখার কেউ নেই। অভিযোগ শোনার কেউ নেই। সবাই যে একই দলের লোক। এর বিচার কে করবে?
আইনের আশ্রয় নেবে? এজন্য তো টাকার দরকার। বেকার যুবকদ্বয় সে টাকা পাবে কোথায়? তাছাড়া কনভেনশন হল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করা সে তো আরও কঠিন কাজ।
বেকার যুবকদ্বয় একটা চাকরি তো পেল না। ধারদেনা করা টাকা পর্যন্ত প্রতারক কনভেনশন হল কর্তৃপক্ষের খপ্পরে পড়ে হারাল।
লিয়াকত হোসেন খোকন
বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪
অনেক চেষ্টা করেও দুই বন্ধু চাকরি পেল না। নিরুপায় হয়ে অবশেষে ঠিক করল, ধারদেনা করে একটা কাজ করবে। অনুষ্ঠান করে টাকা উপার্জন করবে।
ঢাকার বসুন্ধরার একটি কনভেনশন হলে অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেখানে যোগাযোগ করার সময় কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘কনভেনশন হলে অনুষ্ঠান করতে হলে আড়াই লক্ষ টাকা জমা দিতে হবে’। অগ্রিম দেড় লক্ষ টাকা জমা প্রদান করার কয়েকদিন পরে বাকি টাকা জমা দিতে গেলে কনভেনশন হল কর্তৃপক্ষ বলে, ‘থানা থেকে অনুমতি নিয়ে আসুন। অনুমতি না আনলে অনুষ্ঠান করা যাবে না।’ দুই বন্ধু থানায় যোগাযোগ করেও অনুমতি না পেয়ে অবশেষে কনভেনশন হল কর্তৃপক্ষের কাছে জমাকৃত দেড় লক্ষ টাকা ফেরত চায়।
কনভেনশন হল কর্তৃপক্ষ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়, টাকা কোম্পানির অ্যাকাউন্টে জমা হয়ে গেছে। ফেরত দেয়ার সুযোগ নাই। এভাবে সেই কনভেনশন হল কর্তৃপক্ষ দেড় লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে নিল।
এদিকে ঢাকার মিরপুর পল্লবী এলাকার একটি কনভেনশন হলে অনুষ্ঠান করার অনুমতি চাওয়া হলে কর্তৃপক্ষ বলে, কনভেনশন হলের ভাড়া মোট আড়াই লক্ষ টাকা। আয়োজকদ্বয় আড়াই লক্ষ টাকা জমা দেয়। অনুষ্ঠানের আগের দিন কনভেনশন হল কর্তৃপক্ষ বলে, ‘আনুষাঙ্গিক খরচ আরও ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা দিতে হবে’। অথচ কনভেনশন হল কর্তৃপক্ষ প্রথমে আড়াই লক্ষ টাকা বলে তা তো হাতিয়ে নিল এবং অনুষ্ঠানের দিন আরও ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা জোরজবরদস্তি করে নিয়ে গেল।
বেকার যুবকরা একটা কর্ম করে খাবে বলে মেলা বা অনুষ্ঠান আয়োজন করতে গিয়ে এভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারক কনভেনশন হল কর্তৃপক্ষের খপ্পরে পড়ে হারাচ্ছে। দেখার কেউ নেই। অভিযোগ শোনার কেউ নেই। সবাই যে একই দলের লোক। এর বিচার কে করবে?
আইনের আশ্রয় নেবে? এজন্য তো টাকার দরকার। বেকার যুবকদ্বয় সে টাকা পাবে কোথায়? তাছাড়া কনভেনশন হল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করা সে তো আরও কঠিন কাজ।
বেকার যুবকদ্বয় একটা চাকরি তো পেল না। ধারদেনা করা টাকা পর্যন্ত প্রতারক কনভেনশন হল কর্তৃপক্ষের খপ্পরে পড়ে হারাল।
লিয়াকত হোসেন খোকন