মাদক মাদকদ্রব্য বলতে মূলত বোঝানো হয় সেই সব দ্রব্যাদিকে, যা খেলে নেশা হয়। যেমন- মদ, গাঁজা, হেরোইন, ফেনসিডিল, ভাঙ, গুল, জর্দা, চরস, প্যাথেড্রিন, ইয়াবা ইত্যাদি। আর যেসব ব্যক্তি এই মাদকদ্রব্য সেবন করে থাকেন তারাই মাদকাসক্ত বলে বিবেচিত হন।
জাতিসংঘের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশে মাদকাসক্তদের মধ্যে ৮৪ ভাগ পুরুষ, ১৬ ভাগ নারী। এছাড়া বাংলাদেশ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে যে, এই মাদকাসক্তদের শতকরা ৯০ ভাগই তরুণ কিশোর-কিশোরী। অর্থাৎ মাদকের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে কিশোর কিশোরী তথা যুবসমাজের ওপর; যা আমাদের দেশের জন্য একটি বড় হুমকি স্বরূপ। মাদকদ্রব্য শুধু শারীরিক বা মানসিক ক্ষতিই নয় বরং অর্থনৈতিক, সামাজিক ক্ষতি ও করে থাকে, যার কুফল বলে শেষ করা যাবে না। যেমন- অনিদ্রা, খাবারের প্রতি অনাগ্রহ, মানসিক অবসাদগ্রস্ততা, মস্তিষ্ক বিকৃতি, স্ট্রোক, হৃদেরাগ, কিডনি ও লিভারের জটিলতা ইত্যাদি।
তাছাড়াও মাদক কেনার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, খুন, পারিবারিক কলহ ইত্যাদি যেন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে। মাদক সেবনের ভয়াবহ পরিণতি জানা সত্ত্বেও কিছু মানুষ প্রতিনিয়তই মাদক গ্রহণ করে থাকেন, যা আমাদের দেশের জন্য অভিশাপ স্বরূপ। তাই মাদকের বিস্তার ও গ্রহণ রোধ করা খুবই জরুরি।
মাদক সেবন নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হলো ‘মাদককে না বলুন’ এই মন্ত্রে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করা। এছাড়া জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য দেশব্যাপী মাদকবিরোধী সভা, সেমিনার আয়োজন দেয়াল লিখন, শর্ট ফিল্ম নির্মাণ, বিজ্ঞাপন প্রচার, জনমনে ধর্মীয় মূল্যবোধ জাগ্রত করা ইত্যাদি কার্যক্রম আরও দৃঢ়তার সাথে গ্রহণ করা যেতে পারে।
মাদকদ্রব্য সেবনের কুফল সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মাদক ব্যবসা বন্ধের জন্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আরও কঠোর ও কার্যকরী ব্যবস্থাসমূহ গ্রহণ করা যেতে পারে। সর্বোপরি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই গড়ে উঠতে পারে মাদকমুক্ত স্বচ্ছ ও সুন্দর একটি সমাজ ও রাষ্ট্র।
বিষ্টি সূত্রধর
বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪
মাদক মাদকদ্রব্য বলতে মূলত বোঝানো হয় সেই সব দ্রব্যাদিকে, যা খেলে নেশা হয়। যেমন- মদ, গাঁজা, হেরোইন, ফেনসিডিল, ভাঙ, গুল, জর্দা, চরস, প্যাথেড্রিন, ইয়াবা ইত্যাদি। আর যেসব ব্যক্তি এই মাদকদ্রব্য সেবন করে থাকেন তারাই মাদকাসক্ত বলে বিবেচিত হন।
জাতিসংঘের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশে মাদকাসক্তদের মধ্যে ৮৪ ভাগ পুরুষ, ১৬ ভাগ নারী। এছাড়া বাংলাদেশ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে যে, এই মাদকাসক্তদের শতকরা ৯০ ভাগই তরুণ কিশোর-কিশোরী। অর্থাৎ মাদকের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে কিশোর কিশোরী তথা যুবসমাজের ওপর; যা আমাদের দেশের জন্য একটি বড় হুমকি স্বরূপ। মাদকদ্রব্য শুধু শারীরিক বা মানসিক ক্ষতিই নয় বরং অর্থনৈতিক, সামাজিক ক্ষতি ও করে থাকে, যার কুফল বলে শেষ করা যাবে না। যেমন- অনিদ্রা, খাবারের প্রতি অনাগ্রহ, মানসিক অবসাদগ্রস্ততা, মস্তিষ্ক বিকৃতি, স্ট্রোক, হৃদেরাগ, কিডনি ও লিভারের জটিলতা ইত্যাদি।
তাছাড়াও মাদক কেনার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, খুন, পারিবারিক কলহ ইত্যাদি যেন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে। মাদক সেবনের ভয়াবহ পরিণতি জানা সত্ত্বেও কিছু মানুষ প্রতিনিয়তই মাদক গ্রহণ করে থাকেন, যা আমাদের দেশের জন্য অভিশাপ স্বরূপ। তাই মাদকের বিস্তার ও গ্রহণ রোধ করা খুবই জরুরি।
মাদক সেবন নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হলো ‘মাদককে না বলুন’ এই মন্ত্রে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করা। এছাড়া জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য দেশব্যাপী মাদকবিরোধী সভা, সেমিনার আয়োজন দেয়াল লিখন, শর্ট ফিল্ম নির্মাণ, বিজ্ঞাপন প্রচার, জনমনে ধর্মীয় মূল্যবোধ জাগ্রত করা ইত্যাদি কার্যক্রম আরও দৃঢ়তার সাথে গ্রহণ করা যেতে পারে।
মাদকদ্রব্য সেবনের কুফল সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মাদক ব্যবসা বন্ধের জন্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আরও কঠোর ও কার্যকরী ব্যবস্থাসমূহ গ্রহণ করা যেতে পারে। সর্বোপরি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই গড়ে উঠতে পারে মাদকমুক্ত স্বচ্ছ ও সুন্দর একটি সমাজ ও রাষ্ট্র।
বিষ্টি সূত্রধর