alt

পাঠকের চিঠি

লাখ টাকার ছাগল!

: বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪

দেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানের কা- যেন সেই চমকেরই একটি উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটি ছাগল, যা কেনা হয়েছিল ১৫ লাখ টাকায়, তা ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর বেরিয়ে আসল বিশাল এক কেলেঙ্কারি। এই ছাগল যেন সোনার হরিণের মতো, যা খুঁড়তেই বেরিয়ে এলো অসীম পরিমাণ সম্পদের খোঁজ।

মতিউর রহমান, এক সময়ের প্রভাবশালী রাজস্ব কর্মকর্তা, যিনি কর ফাঁকির সুবিধা দিয়ে দেশের নামি-দামি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্ণধারদের সঙ্গে ব্যবসায়িক কানেকশন গড়ে তোলেন। ট্রেড ক্যাডারের কর্মকর্তা হয়েও সুকৌশলে কাস্টমস ক্যাডারে প্রবেশ, এলসি জালিয়াতি, বন্ড সুবিধায় আনা পণ্য খোলা বাজারে বিক্রিসহ নানা অপকীর্তির বিস্তর অভিযোগ তার বিরুদ্ধে রয়েছে।

মতিউরের প্রায় ৫০০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদের মধ্যে ঢাকাতেই অন্তত দুই ডজন বিলাসবহুল ফ্ল্যাট রয়েছে।

একটি ছাগল কিনে দেওয়া হয় তার ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাতকে, যার দাম ১৫ লাখ টাকা। সেই ছাগল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে ফাঁস হয়ে যায় মতিউর রহমানের অবৈধ সম্পদের পাহাড়। সমাজের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা যে ধরনের অপকীর্তি করে থাকেন, তা যখন প্রকাশ্যে আসে, তখন সমাজে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার সুযোগ সৃষ্টি হয়।

সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা যদি এ ধরনের অবৈধ কাজ করতে পারেন এবং তাও দীর্ঘদিন ধরে আড়ালে রাখতে পারেন, তবে তা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা নির্দেশ করে। কর ফাঁকি, ঘুষ গ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার। এসব অপরাধ শুধু ব্যক্তিগত লাভের জন্যই নয়, বরং দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিতে পারে। এ ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত যে, আমাদের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রয়োজন।

ওসমান এহতেসাম

সারের সংকট ও কৃষকের দুর্ভোগ

সংস্কার আর সময়ের সমীকরণে নির্বাচন

বাণিজ্য মুক্ত হোক সান্ধ্যকোর্স

ছবি

ডে-কেয়ার সেন্টার

ডিজিটাল দাসত্ব : মোবাইল আসক্তির প্রভাব

লোকালয়ে ইটভাটা

ছবি

নিপাহ ভাইরাস : খেজুরের কাঁচা রস পরিহার করুন

ছবি

পাটের বস্তা ব্যবহার অনেকটাই উপক্ষিত

রায়পুরে সড়কের সংস্কার চাই

অতিরিক্ত ভাড়া বন্ধ হোক

গ্যাস সংকট

ছবি

বাংলার ক্রিকেটের সফলতার গল্প লিখেছেন যুবারা

স্বেচ্ছাসেবা : একটি জীবন বোধ

শীতকালীন বায়ুদূষণ ও স্বাস্থ্য সচেতনতা

অবসরের বয়সসীমা বাড়ান

রাস্তা অবরোধ নামক অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে

ছবি

খেলনায় বিষাক্ত ধাতু

জিপিএ-৫ মুখ্য নয়, প্রয়োজন প্রকৃত শিক্ষা

রাষ্ট্রসংস্কারের পূর্বে আত্মসংস্কার প্রয়োজন

আইনশৃৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বেহালদশা

পরিকল্পিতভাবে উপযুক্ত স্থানে গাছ রোপণ করা উচিত

ইজিবাইক ছিনতাই

ছবি

টিসিবির পণ্য : নিম্নআয়ের মানুষের ভোগান্তি

ছবি

উন্নয়নের জন্য কারিগরি শিক্ষা অপরিহার্য

ছবি

ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ বন্ধ করুন

সড়ক দুর্ঘটনা

বায়ুদূষণে দমবন্ধ ঢাকা

হলগুলোর খাবারের মান বাড়ান

নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ হবে কবে

মোরেলগঞ্জ পৌরসভার নাগরিক সেবা উন্নয়নে পদক্ষেপ নিন

ছবি

খেজুরের রস

ট্যাগিং সংস্কৃতির অবসান ঘটুক

আবাসন সংকট দূর করুন

আখাউড়া-আগরতলা ট্রেন চালু হবে কি ?

উচ্চশিক্ষা ও বেকারত্ব

tab

পাঠকের চিঠি

লাখ টাকার ছাগল!

বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪

দেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানের কা- যেন সেই চমকেরই একটি উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটি ছাগল, যা কেনা হয়েছিল ১৫ লাখ টাকায়, তা ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর বেরিয়ে আসল বিশাল এক কেলেঙ্কারি। এই ছাগল যেন সোনার হরিণের মতো, যা খুঁড়তেই বেরিয়ে এলো অসীম পরিমাণ সম্পদের খোঁজ।

মতিউর রহমান, এক সময়ের প্রভাবশালী রাজস্ব কর্মকর্তা, যিনি কর ফাঁকির সুবিধা দিয়ে দেশের নামি-দামি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্ণধারদের সঙ্গে ব্যবসায়িক কানেকশন গড়ে তোলেন। ট্রেড ক্যাডারের কর্মকর্তা হয়েও সুকৌশলে কাস্টমস ক্যাডারে প্রবেশ, এলসি জালিয়াতি, বন্ড সুবিধায় আনা পণ্য খোলা বাজারে বিক্রিসহ নানা অপকীর্তির বিস্তর অভিযোগ তার বিরুদ্ধে রয়েছে।

মতিউরের প্রায় ৫০০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদের মধ্যে ঢাকাতেই অন্তত দুই ডজন বিলাসবহুল ফ্ল্যাট রয়েছে।

একটি ছাগল কিনে দেওয়া হয় তার ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাতকে, যার দাম ১৫ লাখ টাকা। সেই ছাগল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে ফাঁস হয়ে যায় মতিউর রহমানের অবৈধ সম্পদের পাহাড়। সমাজের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা যে ধরনের অপকীর্তি করে থাকেন, তা যখন প্রকাশ্যে আসে, তখন সমাজে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার সুযোগ সৃষ্টি হয়।

সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা যদি এ ধরনের অবৈধ কাজ করতে পারেন এবং তাও দীর্ঘদিন ধরে আড়ালে রাখতে পারেন, তবে তা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা নির্দেশ করে। কর ফাঁকি, ঘুষ গ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার। এসব অপরাধ শুধু ব্যক্তিগত লাভের জন্যই নয়, বরং দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিতে পারে। এ ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত যে, আমাদের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রয়োজন।

ওসমান এহতেসাম

back to top