বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন পণ্যের যে অস্বাভাবিক উচ্চমূল্য প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে, তার পেছনে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও পরোক্ষ অবদান রেখেছে। ইউক্রেন যুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম ব্যাপকভাবে বাড়ে।
ফলে সমুদ্রের জাহাজ ভাড়া আগের তুলনায় অনেকটা বেড়ে গেছে। জাহাজের ভাড়া যখন বেড়ে যায়, তখন জাহাজে যেসব পণ্য আমদানি করা হয় তার দাম স্বাভাবিকভাবেই বাড়ে। আমাদের দেশে যেসব পণ্য আমদানি করা হয়, তার বেশির ভাগই আসে জাহাজে করে। আমদানি পণ্য আবার দুই ধরনের। একটি হচ্ছে ভোগ্যপণ্য অপরটি হচ্ছে শিল্পের কাঁচামাল, মধ্যবর্তী পণ্য ও ক্যাপিটাল মেশিনারিজ।
তাই পরিবহণ ব্যয় বেড়ে গেলে সব পণ্যের দামই বাড়বে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি তেলের সরবরাহ চেইন বিশ্বব্যাপী ভেঙ্গে গেছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর জ্বালানি তেলের জোগান বাড়ানোর জন্য চাপ বেড়েছে। এ সুযোগে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো জ্বালানি তেলের উত্তোলন কমিয়ে বা স্থির রেখে দাম বাড়িয়েছে। ফলে জ্বালানি তেল গ্যাস ইত্যাদির দাম বেড়েছে।
উৎপাদন কম হলে সরবরাহ কমে গিয়ে পণ্যটির দাম বাড়ার কোন কারণ থাকে না। আবার কোন পণ্যের দাম বাড়া এবং ভোক্তার আয় কমে যাওয়ার কারণে ও ক্রয়ক্ষমতা কমে যেতে পারে। পণ্যের দাম কমে গেলে ও মানুষ তা কিনতে পারবে না। যদি তার ক্রয় ক্ষমতা আরো বেশি কমে যায়। ক্রয় ক্ষমতা দুই কারণে কমে যেতে পারে। ভোক্তার বেকারত্ব ও আয় কমে যাওয়ার মাধ্যমে যদি ক্রয়ক্ষমতার সংকট হয় তাহলে সেই অবস্থাকে মন্দা বলা হয়। মন্দাকালীন অবস্থায় পণ্যের দাম কমে গেলে ও মানুষ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারে না। কারণ তার পণ্য কেনার সামর্থ্য থাকে না।
কাজেই পণ্যের দাম কমলেই যে তা সব সময় ভালো হয় তা কিন্তু নয়। করোনা ও অন্যান্য কারণে অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে, কিন্তু চাহিদা সমানুপাতিক হারে কমেনি। তাই চাহিদা ও উৎপাদন একই সঙ্গে না কমার ফলে বাজারে পণ্যের দাম বেড়ে গেছে।
আব্বাসউদ্দিন আহমদ
বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪
বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন পণ্যের যে অস্বাভাবিক উচ্চমূল্য প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে, তার পেছনে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও পরোক্ষ অবদান রেখেছে। ইউক্রেন যুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম ব্যাপকভাবে বাড়ে।
ফলে সমুদ্রের জাহাজ ভাড়া আগের তুলনায় অনেকটা বেড়ে গেছে। জাহাজের ভাড়া যখন বেড়ে যায়, তখন জাহাজে যেসব পণ্য আমদানি করা হয় তার দাম স্বাভাবিকভাবেই বাড়ে। আমাদের দেশে যেসব পণ্য আমদানি করা হয়, তার বেশির ভাগই আসে জাহাজে করে। আমদানি পণ্য আবার দুই ধরনের। একটি হচ্ছে ভোগ্যপণ্য অপরটি হচ্ছে শিল্পের কাঁচামাল, মধ্যবর্তী পণ্য ও ক্যাপিটাল মেশিনারিজ।
তাই পরিবহণ ব্যয় বেড়ে গেলে সব পণ্যের দামই বাড়বে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি তেলের সরবরাহ চেইন বিশ্বব্যাপী ভেঙ্গে গেছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর জ্বালানি তেলের জোগান বাড়ানোর জন্য চাপ বেড়েছে। এ সুযোগে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো জ্বালানি তেলের উত্তোলন কমিয়ে বা স্থির রেখে দাম বাড়িয়েছে। ফলে জ্বালানি তেল গ্যাস ইত্যাদির দাম বেড়েছে।
উৎপাদন কম হলে সরবরাহ কমে গিয়ে পণ্যটির দাম বাড়ার কোন কারণ থাকে না। আবার কোন পণ্যের দাম বাড়া এবং ভোক্তার আয় কমে যাওয়ার কারণে ও ক্রয়ক্ষমতা কমে যেতে পারে। পণ্যের দাম কমে গেলে ও মানুষ তা কিনতে পারবে না। যদি তার ক্রয় ক্ষমতা আরো বেশি কমে যায়। ক্রয় ক্ষমতা দুই কারণে কমে যেতে পারে। ভোক্তার বেকারত্ব ও আয় কমে যাওয়ার মাধ্যমে যদি ক্রয়ক্ষমতার সংকট হয় তাহলে সেই অবস্থাকে মন্দা বলা হয়। মন্দাকালীন অবস্থায় পণ্যের দাম কমে গেলে ও মানুষ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারে না। কারণ তার পণ্য কেনার সামর্থ্য থাকে না।
কাজেই পণ্যের দাম কমলেই যে তা সব সময় ভালো হয় তা কিন্তু নয়। করোনা ও অন্যান্য কারণে অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে, কিন্তু চাহিদা সমানুপাতিক হারে কমেনি। তাই চাহিদা ও উৎপাদন একই সঙ্গে না কমার ফলে বাজারে পণ্যের দাম বেড়ে গেছে।
আব্বাসউদ্দিন আহমদ