alt

পাঠকের চিঠি

কোটা নাকি মেধা?

: বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪

বর্তমানে শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলনের একটি স্লোগান হলো ‘কোটা নাকি মেধা? মেধা, মেধা[’Ñ এই স্লোগানটির যৌক্তিকতা কতটুকু?

বাংলাদেশের চাকরির পরীক্ষা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় বিভিন্ন কোটা দেখা যায়। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা, নৃগোষ্ঠী কোটা, প্রতিবন্ধী কোটা, পোষ্য কোটাসহ অন্যান্য; কিন্তু কেন এতো কোটা? আদো কি এতো কোটার প্রয়োজন আছে?

বাংলাদেশের অতীত প্রেক্ষাপট ও বর্তমান প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। দেশ আর্থিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ভাবে এগিয়েছে। তাই সেই এগিয়ে যাওয়াকে ধরে রাখা এবং আধুনিক বাংলাদেশ নির্মাণে দক্ষ, স্মার্ট ও মেধাসম্পন্ন জনবলের প্রয়োজন। মেধাকে মুল্যায়ন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোটাধারীদের কাছে একটা মানসিক ব্যাপার কাজ করেÑ আমার কোটা আছে। কম মেধা হলেও চলবে। অর্থাৎ কোটা+কম মেধা=সফলতা।

এ অবস্থায় যদি মেধার জায়গায় কোটাধারীদের কম মেধা নিয়ে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে তাদের নিয়োগ দেয়া হয়, তাহলে দেশ এগিয়ে যাবে নাকি পিছিয়ে যাবে তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না।

কোটা মূলত তাদেরই দেয়া দরকার, যাদের দেশের জন্য অবদান রাখার শক্তি আছে। তবে কোনো একটি কারণে তারা পারছে না। যেমন আমাদের প্রতিবন্ধীরা। তাদের মেধা রয়েছে তবে শারীরিক দুর্বলতার কারণে তারা তাদের মেধাকে দেশের অবদানে কাজে লাগানোতে পিছিয়ে পড়ছে। তাদের মেধার ক্ষেত্রে কোটা একটি সুযোগের মতো কাজ করে। তাই এক্ষেত্রে প্রতিবন্ধি কোটা বিবেচনায় রাখা যেতে পারে।

তবে সবচেয়ে বেশি বিতর্কের বিষয় মুক্তিযুদ্ধা কোটা নিয়ে। মুক্তিযুদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছে সেজন্য তাদের প্রতি সবার শ্রদ্বা কাজ করে। তারা ও তাদের সন্তানরা সুযোগ সুবিধা পাবে তা নিয়ে কোনো আপত্তি নেই সাধারণ মানুষের। তবে তাদের নাতি নাতনি বা তৃতীয় প্রজন্ম কেন এই সুবিধা পাবে?

মুক্তিযুদ্ধারা ভাতা, বাড়িসহ নানা সুযোগ সুবিধা পাবে এটা মানা যায়। তবে আজকের দিনে এসে ৩০% কোটা এবং তৃতীয় প্রযন্মে কোটা এসব বেশি হয়ে যাচ্ছে না কি? সাধারণ মানুষের আপত্তি এই জায়গাতে।

স্বাধীনতা অর্জন করলে হবে না সেটা রক্ষা করতে হবে। সেই স্বাধীনতা রক্ষা করতে মেধা সম্পন্ন মানুষ প্রয়োজন। তাই কোটার যথাযথ সংস্কার প্রয়োজন। সম্ভব হলে মেধার সাথে কিছু অধিক গুরুত্বপূর্ণ কোটা রেখে সেগুলোর সমন্বয় ঘটানো যেতে পারে। সময়ের সাথে যেসবাই কোটা ততটা গুরুত্ব বহন করে না সেগুলো সম্ভব হলে বাতিল করতে হবে।

মো.রিমেল

সারের সংকট ও কৃষকের দুর্ভোগ

সংস্কার আর সময়ের সমীকরণে নির্বাচন

বাণিজ্য মুক্ত হোক সান্ধ্যকোর্স

ছবি

ডে-কেয়ার সেন্টার

ডিজিটাল দাসত্ব : মোবাইল আসক্তির প্রভাব

লোকালয়ে ইটভাটা

ছবি

নিপাহ ভাইরাস : খেজুরের কাঁচা রস পরিহার করুন

ছবি

পাটের বস্তা ব্যবহার অনেকটাই উপক্ষিত

রায়পুরে সড়কের সংস্কার চাই

অতিরিক্ত ভাড়া বন্ধ হোক

গ্যাস সংকট

ছবি

বাংলার ক্রিকেটের সফলতার গল্প লিখেছেন যুবারা

স্বেচ্ছাসেবা : একটি জীবন বোধ

শীতকালীন বায়ুদূষণ ও স্বাস্থ্য সচেতনতা

অবসরের বয়সসীমা বাড়ান

রাস্তা অবরোধ নামক অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে

ছবি

খেলনায় বিষাক্ত ধাতু

জিপিএ-৫ মুখ্য নয়, প্রয়োজন প্রকৃত শিক্ষা

রাষ্ট্রসংস্কারের পূর্বে আত্মসংস্কার প্রয়োজন

আইনশৃৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বেহালদশা

পরিকল্পিতভাবে উপযুক্ত স্থানে গাছ রোপণ করা উচিত

ইজিবাইক ছিনতাই

ছবি

টিসিবির পণ্য : নিম্নআয়ের মানুষের ভোগান্তি

ছবি

উন্নয়নের জন্য কারিগরি শিক্ষা অপরিহার্য

ছবি

ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ বন্ধ করুন

সড়ক দুর্ঘটনা

বায়ুদূষণে দমবন্ধ ঢাকা

হলগুলোর খাবারের মান বাড়ান

নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ হবে কবে

মোরেলগঞ্জ পৌরসভার নাগরিক সেবা উন্নয়নে পদক্ষেপ নিন

ছবি

খেজুরের রস

ট্যাগিং সংস্কৃতির অবসান ঘটুক

আবাসন সংকট দূর করুন

আখাউড়া-আগরতলা ট্রেন চালু হবে কি ?

উচ্চশিক্ষা ও বেকারত্ব

tab

পাঠকের চিঠি

কোটা নাকি মেধা?

বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪

বর্তমানে শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলনের একটি স্লোগান হলো ‘কোটা নাকি মেধা? মেধা, মেধা[’Ñ এই স্লোগানটির যৌক্তিকতা কতটুকু?

বাংলাদেশের চাকরির পরীক্ষা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় বিভিন্ন কোটা দেখা যায়। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা, নৃগোষ্ঠী কোটা, প্রতিবন্ধী কোটা, পোষ্য কোটাসহ অন্যান্য; কিন্তু কেন এতো কোটা? আদো কি এতো কোটার প্রয়োজন আছে?

বাংলাদেশের অতীত প্রেক্ষাপট ও বর্তমান প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। দেশ আর্থিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ভাবে এগিয়েছে। তাই সেই এগিয়ে যাওয়াকে ধরে রাখা এবং আধুনিক বাংলাদেশ নির্মাণে দক্ষ, স্মার্ট ও মেধাসম্পন্ন জনবলের প্রয়োজন। মেধাকে মুল্যায়ন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোটাধারীদের কাছে একটা মানসিক ব্যাপার কাজ করেÑ আমার কোটা আছে। কম মেধা হলেও চলবে। অর্থাৎ কোটা+কম মেধা=সফলতা।

এ অবস্থায় যদি মেধার জায়গায় কোটাধারীদের কম মেধা নিয়ে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে তাদের নিয়োগ দেয়া হয়, তাহলে দেশ এগিয়ে যাবে নাকি পিছিয়ে যাবে তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না।

কোটা মূলত তাদেরই দেয়া দরকার, যাদের দেশের জন্য অবদান রাখার শক্তি আছে। তবে কোনো একটি কারণে তারা পারছে না। যেমন আমাদের প্রতিবন্ধীরা। তাদের মেধা রয়েছে তবে শারীরিক দুর্বলতার কারণে তারা তাদের মেধাকে দেশের অবদানে কাজে লাগানোতে পিছিয়ে পড়ছে। তাদের মেধার ক্ষেত্রে কোটা একটি সুযোগের মতো কাজ করে। তাই এক্ষেত্রে প্রতিবন্ধি কোটা বিবেচনায় রাখা যেতে পারে।

তবে সবচেয়ে বেশি বিতর্কের বিষয় মুক্তিযুদ্ধা কোটা নিয়ে। মুক্তিযুদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছে সেজন্য তাদের প্রতি সবার শ্রদ্বা কাজ করে। তারা ও তাদের সন্তানরা সুযোগ সুবিধা পাবে তা নিয়ে কোনো আপত্তি নেই সাধারণ মানুষের। তবে তাদের নাতি নাতনি বা তৃতীয় প্রজন্ম কেন এই সুবিধা পাবে?

মুক্তিযুদ্ধারা ভাতা, বাড়িসহ নানা সুযোগ সুবিধা পাবে এটা মানা যায়। তবে আজকের দিনে এসে ৩০% কোটা এবং তৃতীয় প্রযন্মে কোটা এসব বেশি হয়ে যাচ্ছে না কি? সাধারণ মানুষের আপত্তি এই জায়গাতে।

স্বাধীনতা অর্জন করলে হবে না সেটা রক্ষা করতে হবে। সেই স্বাধীনতা রক্ষা করতে মেধা সম্পন্ন মানুষ প্রয়োজন। তাই কোটার যথাযথ সংস্কার প্রয়োজন। সম্ভব হলে মেধার সাথে কিছু অধিক গুরুত্বপূর্ণ কোটা রেখে সেগুলোর সমন্বয় ঘটানো যেতে পারে। সময়ের সাথে যেসবাই কোটা ততটা গুরুত্ব বহন করে না সেগুলো সম্ভব হলে বাতিল করতে হবে।

মো.রিমেল

back to top