alt

পাঠকের চিঠি

মধ্যপ্রাচ্য সংকট

: বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪

মধ্যপ্রাচ্য গত কয়েক বছর ধরেই বেশ উত্তপ্ত অবস্থায় রয়েছে। এই পরিস্থিতি আরো উত্তেজিত হয়ে ওঠে মূলত কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করা হলে। এরপর আরও কয়েক বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু মধ্যপ্রচ্যে উত্তেজনা কমেনি। বরং দিন দিন তা বাড়ছে। বাড়ছে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যাও।

ইসরাইলের সাথে হিজবুল্লাহর এবং হামাসের চলতি সংঘাত বর্তমানে একটি সংকটপূর্ণ অবস্থানে পৌঁছেছে। এমন অবস্থা বিশ্বের পরাশক্তিধর দেশগুলোকে ভাবিয়ে তুলেছে। যদি তা আরেকটি পূর্ণমাত্রার সামরিক সংঘাতে রূপ নেয়, তাহলে মধ্যপ্রাচ্য অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠবে। কারণ যুদ্ধ শুধু ইরান আর ইসরাইলের মধ্যেই থেমে থাকবে না। এটি আরও বিস্তৃত হবে। ফলে সংঘাতের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে মধ্যপ্রাচ্য। আর এই যুদ্ধ শুরু হলে তা হবে মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ভয়াবহ সতর্কবার্তা।

এমনিতেই মধ্যপ্রাচ্য গতে কয়েক বছর ধরেই বেশ উত্তপ্ত হয়ে আছে। এর মধ্যেই ইরসাইল ফিলিস্তিনে হামলা চালালে পরিস্থিতি বদলে যেতে থাকে। এখানে একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সেটি হলো ইসরায়েল যদি লেবাননে হিজবুল্লাহ দমনে সর্বাত্মক হামলা চালায় তাহলে আরও ব্যাপক প্রাণহানি ঘটবে এবং পরিস্থিতি যদি আরেকটি যুদ্ধাক্রান্ত শহরের মতো হয় তাহলে বিশ্বের জন্য নিশ্চয়ই ভালো হবে না। তাছাড়া লেবানন এবং ফিলিস্তিন এক নয়। ফলে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাই বেশি।

পৃথিবী এমন একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে যেখানে বৈশ্বিক রাজনীতি একে অন্যের সাথে সম্পৃক্ত। অবস্থা এমন যে নগর পুড়লে দেবালয় এড়াতে পারে না। মধ্যপ্রাচ্য যদি একটি সম্পূর্ণ যুদ্ধে জড়িয়ে যায় সেক্ষেত্রে পৃথিবীর বাকি অংশ এর আঁচ থেকে বাঁচতে পারবে না। প্রত্যক্ষভাবে না হলেও পরোক্ষ প্রভাব হবে অত্যন্ত ভয়াবহ। এই যুদ্ধ এমন এক সময়ে শুরু হলো যখন মার্কিন নির্বাচন আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ বাকি। ওদিকে গাজা যুদ্ধও এখনও বিরতির কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। উল্টো ইরানে হামাস নেতা নিহত হওয়ার পর থেকে সেই সম্ভাবনা প্রায় কমে এসেছে। এর ফলে মানবতা আরও ভয়াবহভাবে বিপন্ন হচ্ছে।

ইউক্রেন যুদ্ধও চলমান। এই তিন যুদ্ধেই যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান পদক্ষেপ কিছুটা স্তিমিত নির্বাচনের কারণে। এই তিন যুদ্ধে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সহজ করা নয়। আবার এই তিন ক্ষেত্রেই শান্তি প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্রকেই প্রধান ভূমিকা পালন করতে হবে। বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্য এতসব দ্বন্দ্ব আর যুদ্ধের ডামাডোলে বেশ খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যকে এই ধ্বংসযজ্ঞ থেকে বের করতে হলে প্রয়োজন বহুমুখী কূটনৈতিক প্রচেষ্টা। প্রয়োজন কার্যকর শান্তি চুক্তি।

অলোক আচার্য

নারী উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়ান

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা

দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা জরুরি

প্রক্রিয়াজাত খাবারে শিশুর বিপদ

ছবি

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেষ্ট হোন

ছবি

কৃষি এগিয়ে নিতে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিতে হবে

ছবি

ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক সমস্যার সমাধান চাই

লক্ষ্মীপুরে রেলপথ চাই

ছবি

তৈলারদ্বীপ সেতুর টোল প্রসঙ্গে

সরকারি চাকরির বয়স প্রসঙ্গে

পরোক্ষ ধূমপান

ছবি

বিশ্ববিদ্যালয় : জ্ঞানের সূতিকাগার নাকি হত্যাপুরী

বেকারত্বের বেড়াজালে শিক্ষিত তরুণ সমাজ

ছবি

শরতে কাশফুলের সৌন্দর্যে প্রকৃতির নতুন রূপ

ছবি

ব্যাংক লেনদেন ও অফিস সময় প্রসঙ্গে

ডেঙ্গুর আবাসস্থল ধ্বংস করা হোক

ছবি

কেমন আছে জাতীয় ফুল শাপলা

ছবি

ই-টিকিট বাধ্যতামূলক করুন

ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য সুপরিকল্পিত টয়লেট চাই

ট্রাফিক পুলিশের সুখদুঃখ

ছবি

বন্যার পর ডেঙ্গুর আশঙ্কা

ছবি

বর্ষায় বাংলার অপরূপ প্রকৃতি

রীমার করুণ পরিণতি কী বার্তা দেয়

কোটা নাকি মেধা?

পাচার চক্র নিয়ন্ত্রণ জরুরি

ছবি

জলাবদ্ধতা নিরসনে করণীয়

বিশ্বব্যাপী পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি

লাখ টাকার ছাগল!

মাদককে না বলুন

ছবি

বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশ মূল্য কমান

কনভেনশন হলের প্রতারণা

ছবি

অনলাইন জুয়া বন্ধে এগিয়ে আসুন

প্রতিষ্ঠান পানিতে ভাসছে

ছবি

গৌরবের প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

নতুন শিক্ষা কারিকুলামে ইংরেজি শিক্ষা

রাজধানীতে ছিনতাই বন্ধ হচ্ছে না কেন

tab

পাঠকের চিঠি

মধ্যপ্রাচ্য সংকট

বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪

মধ্যপ্রাচ্য গত কয়েক বছর ধরেই বেশ উত্তপ্ত অবস্থায় রয়েছে। এই পরিস্থিতি আরো উত্তেজিত হয়ে ওঠে মূলত কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করা হলে। এরপর আরও কয়েক বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু মধ্যপ্রচ্যে উত্তেজনা কমেনি। বরং দিন দিন তা বাড়ছে। বাড়ছে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যাও।

ইসরাইলের সাথে হিজবুল্লাহর এবং হামাসের চলতি সংঘাত বর্তমানে একটি সংকটপূর্ণ অবস্থানে পৌঁছেছে। এমন অবস্থা বিশ্বের পরাশক্তিধর দেশগুলোকে ভাবিয়ে তুলেছে। যদি তা আরেকটি পূর্ণমাত্রার সামরিক সংঘাতে রূপ নেয়, তাহলে মধ্যপ্রাচ্য অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠবে। কারণ যুদ্ধ শুধু ইরান আর ইসরাইলের মধ্যেই থেমে থাকবে না। এটি আরও বিস্তৃত হবে। ফলে সংঘাতের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে মধ্যপ্রাচ্য। আর এই যুদ্ধ শুরু হলে তা হবে মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ভয়াবহ সতর্কবার্তা।

এমনিতেই মধ্যপ্রাচ্য গতে কয়েক বছর ধরেই বেশ উত্তপ্ত হয়ে আছে। এর মধ্যেই ইরসাইল ফিলিস্তিনে হামলা চালালে পরিস্থিতি বদলে যেতে থাকে। এখানে একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সেটি হলো ইসরায়েল যদি লেবাননে হিজবুল্লাহ দমনে সর্বাত্মক হামলা চালায় তাহলে আরও ব্যাপক প্রাণহানি ঘটবে এবং পরিস্থিতি যদি আরেকটি যুদ্ধাক্রান্ত শহরের মতো হয় তাহলে বিশ্বের জন্য নিশ্চয়ই ভালো হবে না। তাছাড়া লেবানন এবং ফিলিস্তিন এক নয়। ফলে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাই বেশি।

পৃথিবী এমন একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে যেখানে বৈশ্বিক রাজনীতি একে অন্যের সাথে সম্পৃক্ত। অবস্থা এমন যে নগর পুড়লে দেবালয় এড়াতে পারে না। মধ্যপ্রাচ্য যদি একটি সম্পূর্ণ যুদ্ধে জড়িয়ে যায় সেক্ষেত্রে পৃথিবীর বাকি অংশ এর আঁচ থেকে বাঁচতে পারবে না। প্রত্যক্ষভাবে না হলেও পরোক্ষ প্রভাব হবে অত্যন্ত ভয়াবহ। এই যুদ্ধ এমন এক সময়ে শুরু হলো যখন মার্কিন নির্বাচন আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ বাকি। ওদিকে গাজা যুদ্ধও এখনও বিরতির কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। উল্টো ইরানে হামাস নেতা নিহত হওয়ার পর থেকে সেই সম্ভাবনা প্রায় কমে এসেছে। এর ফলে মানবতা আরও ভয়াবহভাবে বিপন্ন হচ্ছে।

ইউক্রেন যুদ্ধও চলমান। এই তিন যুদ্ধেই যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান পদক্ষেপ কিছুটা স্তিমিত নির্বাচনের কারণে। এই তিন যুদ্ধে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সহজ করা নয়। আবার এই তিন ক্ষেত্রেই শান্তি প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্রকেই প্রধান ভূমিকা পালন করতে হবে। বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্য এতসব দ্বন্দ্ব আর যুদ্ধের ডামাডোলে বেশ খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যকে এই ধ্বংসযজ্ঞ থেকে বের করতে হলে প্রয়োজন বহুমুখী কূটনৈতিক প্রচেষ্টা। প্রয়োজন কার্যকর শান্তি চুক্তি।

অলোক আচার্য

back to top