মধ্যপ্রাচ্য গত কয়েক বছর ধরেই বেশ উত্তপ্ত অবস্থায় রয়েছে। এই পরিস্থিতি আরো উত্তেজিত হয়ে ওঠে মূলত কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করা হলে। এরপর আরও কয়েক বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু মধ্যপ্রচ্যে উত্তেজনা কমেনি। বরং দিন দিন তা বাড়ছে। বাড়ছে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যাও।
ইসরাইলের সাথে হিজবুল্লাহর এবং হামাসের চলতি সংঘাত বর্তমানে একটি সংকটপূর্ণ অবস্থানে পৌঁছেছে। এমন অবস্থা বিশ্বের পরাশক্তিধর দেশগুলোকে ভাবিয়ে তুলেছে। যদি তা আরেকটি পূর্ণমাত্রার সামরিক সংঘাতে রূপ নেয়, তাহলে মধ্যপ্রাচ্য অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠবে। কারণ যুদ্ধ শুধু ইরান আর ইসরাইলের মধ্যেই থেমে থাকবে না। এটি আরও বিস্তৃত হবে। ফলে সংঘাতের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে মধ্যপ্রাচ্য। আর এই যুদ্ধ শুরু হলে তা হবে মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ভয়াবহ সতর্কবার্তা।
এমনিতেই মধ্যপ্রাচ্য গতে কয়েক বছর ধরেই বেশ উত্তপ্ত হয়ে আছে। এর মধ্যেই ইরসাইল ফিলিস্তিনে হামলা চালালে পরিস্থিতি বদলে যেতে থাকে। এখানে একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সেটি হলো ইসরায়েল যদি লেবাননে হিজবুল্লাহ দমনে সর্বাত্মক হামলা চালায় তাহলে আরও ব্যাপক প্রাণহানি ঘটবে এবং পরিস্থিতি যদি আরেকটি যুদ্ধাক্রান্ত শহরের মতো হয় তাহলে বিশ্বের জন্য নিশ্চয়ই ভালো হবে না। তাছাড়া লেবানন এবং ফিলিস্তিন এক নয়। ফলে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাই বেশি।
পৃথিবী এমন একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে যেখানে বৈশ্বিক রাজনীতি একে অন্যের সাথে সম্পৃক্ত। অবস্থা এমন যে নগর পুড়লে দেবালয় এড়াতে পারে না। মধ্যপ্রাচ্য যদি একটি সম্পূর্ণ যুদ্ধে জড়িয়ে যায় সেক্ষেত্রে পৃথিবীর বাকি অংশ এর আঁচ থেকে বাঁচতে পারবে না। প্রত্যক্ষভাবে না হলেও পরোক্ষ প্রভাব হবে অত্যন্ত ভয়াবহ। এই যুদ্ধ এমন এক সময়ে শুরু হলো যখন মার্কিন নির্বাচন আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ বাকি। ওদিকে গাজা যুদ্ধও এখনও বিরতির কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। উল্টো ইরানে হামাস নেতা নিহত হওয়ার পর থেকে সেই সম্ভাবনা প্রায় কমে এসেছে। এর ফলে মানবতা আরও ভয়াবহভাবে বিপন্ন হচ্ছে।
ইউক্রেন যুদ্ধও চলমান। এই তিন যুদ্ধেই যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান পদক্ষেপ কিছুটা স্তিমিত নির্বাচনের কারণে। এই তিন যুদ্ধে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সহজ করা নয়। আবার এই তিন ক্ষেত্রেই শান্তি প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্রকেই প্রধান ভূমিকা পালন করতে হবে। বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্য এতসব দ্বন্দ্ব আর যুদ্ধের ডামাডোলে বেশ খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যকে এই ধ্বংসযজ্ঞ থেকে বের করতে হলে প্রয়োজন বহুমুখী কূটনৈতিক প্রচেষ্টা। প্রয়োজন কার্যকর শান্তি চুক্তি।
অলোক আচার্য
বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪
মধ্যপ্রাচ্য গত কয়েক বছর ধরেই বেশ উত্তপ্ত অবস্থায় রয়েছে। এই পরিস্থিতি আরো উত্তেজিত হয়ে ওঠে মূলত কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করা হলে। এরপর আরও কয়েক বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু মধ্যপ্রচ্যে উত্তেজনা কমেনি। বরং দিন দিন তা বাড়ছে। বাড়ছে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যাও।
ইসরাইলের সাথে হিজবুল্লাহর এবং হামাসের চলতি সংঘাত বর্তমানে একটি সংকটপূর্ণ অবস্থানে পৌঁছেছে। এমন অবস্থা বিশ্বের পরাশক্তিধর দেশগুলোকে ভাবিয়ে তুলেছে। যদি তা আরেকটি পূর্ণমাত্রার সামরিক সংঘাতে রূপ নেয়, তাহলে মধ্যপ্রাচ্য অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠবে। কারণ যুদ্ধ শুধু ইরান আর ইসরাইলের মধ্যেই থেমে থাকবে না। এটি আরও বিস্তৃত হবে। ফলে সংঘাতের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে মধ্যপ্রাচ্য। আর এই যুদ্ধ শুরু হলে তা হবে মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ভয়াবহ সতর্কবার্তা।
এমনিতেই মধ্যপ্রাচ্য গতে কয়েক বছর ধরেই বেশ উত্তপ্ত হয়ে আছে। এর মধ্যেই ইরসাইল ফিলিস্তিনে হামলা চালালে পরিস্থিতি বদলে যেতে থাকে। এখানে একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সেটি হলো ইসরায়েল যদি লেবাননে হিজবুল্লাহ দমনে সর্বাত্মক হামলা চালায় তাহলে আরও ব্যাপক প্রাণহানি ঘটবে এবং পরিস্থিতি যদি আরেকটি যুদ্ধাক্রান্ত শহরের মতো হয় তাহলে বিশ্বের জন্য নিশ্চয়ই ভালো হবে না। তাছাড়া লেবানন এবং ফিলিস্তিন এক নয়। ফলে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাই বেশি।
পৃথিবী এমন একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে যেখানে বৈশ্বিক রাজনীতি একে অন্যের সাথে সম্পৃক্ত। অবস্থা এমন যে নগর পুড়লে দেবালয় এড়াতে পারে না। মধ্যপ্রাচ্য যদি একটি সম্পূর্ণ যুদ্ধে জড়িয়ে যায় সেক্ষেত্রে পৃথিবীর বাকি অংশ এর আঁচ থেকে বাঁচতে পারবে না। প্রত্যক্ষভাবে না হলেও পরোক্ষ প্রভাব হবে অত্যন্ত ভয়াবহ। এই যুদ্ধ এমন এক সময়ে শুরু হলো যখন মার্কিন নির্বাচন আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ বাকি। ওদিকে গাজা যুদ্ধও এখনও বিরতির কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। উল্টো ইরানে হামাস নেতা নিহত হওয়ার পর থেকে সেই সম্ভাবনা প্রায় কমে এসেছে। এর ফলে মানবতা আরও ভয়াবহভাবে বিপন্ন হচ্ছে।
ইউক্রেন যুদ্ধও চলমান। এই তিন যুদ্ধেই যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান পদক্ষেপ কিছুটা স্তিমিত নির্বাচনের কারণে। এই তিন যুদ্ধে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সহজ করা নয়। আবার এই তিন ক্ষেত্রেই শান্তি প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্রকেই প্রধান ভূমিকা পালন করতে হবে। বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্য এতসব দ্বন্দ্ব আর যুদ্ধের ডামাডোলে বেশ খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যকে এই ধ্বংসযজ্ঞ থেকে বের করতে হলে প্রয়োজন বহুমুখী কূটনৈতিক প্রচেষ্টা। প্রয়োজন কার্যকর শান্তি চুক্তি।
অলোক আচার্য